নৈরাজ্যবাদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

সমাজবিজ্ঞানে, অ্যানোমি ( /ˈænəmi/ ) হল একটি সামাজিক অবস্থা যা ব্যক্তিদের অনুসরণ করার জন্য কোনো নৈতিক মূল্যবোধ, মান বা নির্দেশিকা উপড়ে ফেলা বা ভেঙে ফেলার দ্বারা সংজ্ঞায়িত করা হয়। [১] [২] অ্যানোমি সম্ভবত সামাজিক সংহতিতে সংঘাত থেকে উদ্ভূত বলে মনে করা হয় [৩] এবং একজন ব্যক্তি এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সামাজিক বন্ধন ভেঙে দেয় (অর্থনৈতিক এবং প্রাথমিক সামাজিকীকরণ উভয়ই)। [৪] একটি উদাহরণ হল একজন ব্যক্তির মধ্যে বিচ্ছিন্নতা যা তাদের সামাজিক জগতের আদর্শিক পরিস্থিতিতে যেমন চাকরি খোঁজা, সম্পর্কের ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন ইত্যাদির মধ্যে একীভূত করতে একটি অকার্যকর অক্ষমতার দিকে অগ্রসর হতে পারে।

শব্দটি, সাধারণত স্বাভাবিকতা বলতে বোঝায়, ফরাসি সমাজবিজ্ঞানী এমাইল ডুরখেইম তার প্রভাবশালী বই সুইসাইড (১৮৯৭) এ জনপ্রিয় করেছেন বলে মনে করা হয়। এমিল ডুরখেইম পরামর্শ দিয়েছিলেন যে প্রোটেস্ট্যান্টরা ক্যাথলিকদের চেয়ে বেশি মাত্রায় বিচ্ছিন্নতায় পতিত হয় । [৫] যাইহোক, ডুরখেইম সর্বপ্রথম তার ১৮৯৩ সালের দ্য ডিভিশন অফ লেবার ইন সোসাইটি গ্রন্থে অ্যানোমি ধারণাটি চালু করেছিলেন। ডুরখেইম কখনই Normlessness শব্দটি ব্যবহার করেননি; [৬] বরং, তিনি নৈরাজ্যকে "বিপর্যয়" এবং "একটি অতৃপ্ত ইচ্ছা" হিসাবে বর্ণনা করেছেন। [৭] ডুরখেইম "Malady of infinite" শব্দটি ব্যবহার করেছেন কারণ সীমা হীন আকাঙ্ক্ষা কখনই পূর্ণ হতে পারে না; এটা শুধুমাত্র আরো তীব্র হয়. [৮]

ডুরখেইমের মতে, ব্যাক্তিগত বা গোষ্ঠীর মান এবং বৃহত্তর সামাজিক মানগুলির মধ্যে অমিল থেকে সাধারণভাবে নৈরাজ্যের বা Anomie এর উদ্ভব হয়; অথবা একটি সামাজিক নৈতিকতার অভাব থেকে, যা নৈতিক নিয়ন্ত্রণহীনতা এবং বৈধ আকাঙ্ক্ষার অনুপস্থিতি তৈরি করে।

Most sociologists associate the term with Durkheim, who used the concept to speak of the ways in which an individual's actions are matched, or integrated, with a system of social norms and practices…anomie is a mismatch, not simply the absence of norms. Thus, a society with too much rigidity and little individual discretion could also produce a kind of anomie…[৯]


সংজ্ঞা[সম্পাদনা]

উইলহেলম ওয়েইলিং, এমন এক লেখকের উদাহরণ যিনি সঠিক শব্দটি ব্যাখ্যা না করেই নৈরাজ্যবাদী তত্ত্বকে যুক্ত করেছিলেন

নৈরাজ্যবাদ একটি সমাজ ও রাজনৈতিক দর্শন যা রাষ্ট্র-ব্যবস্থার অবসানের কথা প্রচার করে। আইন, তা প্রয়োগকারী বাহিনী, প্রশাসন, ইত্যাদির সমন্বয়ে গঠিত রাষ্ট্র-ব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে ব্যক্তি-বিকাশের জন্য বাধা, একটি অত্যাচারের যন্ত্রস্বরূপ, এমন ধারণা থেকে এই মতবাদের উৎপত্তি। এই দর্শনানুসারে রাষ্ট্র মানুষ ও সমাজের জন্য অপ্রয়োজনীয়।

এই তত্ত্বের স্বাভাবিক অনুসিদ্ধান্ত হল রাষ্ট্র-ব্যবস্থার অবসান ঘটিয়ে রাষ্ট্রবিহীন সমাজ-ব্যবস্থার প্রতিষ্ঠা। এই লক্ষ্য অর্জনের উপায় নিয়ে নৈরাজ্যবাদীদের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। কেউ বিপ্লবের কথা বলেন, আবার কেউ - মানুষের সদিচ্ছার স্বাভাবিক বিজয়ের মাধ্যমে নৈরাজ্যবাদের প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। রাষ্ট্রহীন সমাজ-ব্যবস্থার ব্যাপারে তাদের দিকনির্দেশনায়ও পার্থক্য দেখা যায়। সাধারণভাবে - পারস্পরিক চুক্তি ও সদিচ্ছার ভিত্তিতে একটি বিকল্প অর্থনৈতিক ও সামাজিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কথা কল্পনা করা হয়।

অরাজকতা বা সন্ত্রাসী-কর্মকান্ডের সাথে নৈরাজ্যবাদকে যুক্ত করা হলেও তত্ত্বগতভাবে এগুলোকে নৈরাজ্যবাদের সরাসরি পরিণতি বলা যায় না।

সমসাময়িক নৈরাজ্যবাদ[সম্পাদনা]

[১০] ৬০-এর দশকে ও ৭০-এর দশকে নৈরাজ্যবাদ বৃদ্ধি পায়।[১১] ১৯৬৮ সালে ইতালির কারারাতে আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যবাদী ফেডারেশন গঠিত হয় যখন একটি আন্তর্জাতিক নৈরাজ্যবাদী কনফারেন্স চলছিল সেখানে।[১২][১৩] ইংল্যান্ডেও নৈরাজ্যবাদী আন্দোলন শুরু হয় পাঙ্ক রকের মাধ্যমে যাতে ছিল সেক্স পিস্তল ও ক্রাসের মতো ব্যান্ডগুলো।[১৪] বাসস্থান ও কর্ম সংকটের কারণে পশ্চিম ইউরোপে এত আন্দোলন নানা ভাবে দানা বাধতে থাকে।যদিও নারীবাদ নৈরাজ্যবাদের একটি অংশ কিন্তু ৬০-এর দশকে তা ফিরে আসে বিপুল উদ্দ্যমে দ্বিতীয় স্রোতের মাধ্যমে।আমেরিকার নাগরিক অধিকার আন্দোলন ও ভিয়েতনাম যুদ্ধবিরোধী আন্দোলন উত্তর আমেরিকায় নৈরাজ্যবাদের উদ্ভব ঘটায়।বিংশ শতাব্দীর শেষের দিকে শ্রমিক আন্দোলন ও প্রাণী অধিকার আন্দোলন নৈরাজ্যবাদে নতুন মাত্রা যোগ করে।

লিঙ্গ, যৌনতা এবং মুক্ত ভালোবাসা[সম্পাদনা]

Collection of anarcha-feminist protests, symbols, and flags

একটি গুরুত্বপূর্ণ সাম্প্রতিক নৈরাজ্যবাদ হলো মুক্ত ভালোবাসা। [১৫] মুক্ত ভালোবাসা তার উৎস পায় জোসিয়া ওয়ারেন এবং পরীক্ষাধীন সম্প্রদায়ে, যেখানে যৌন স্বাধীনতাকে দেখা হয় ব্যক্তির নিজ মালিকানার পরিষ্কার ও সরাসরি প্রকাশ। মুক্ত ভালোবাসা নারী অধিকারকে সংকুচিত করে যা অধিকাংশ বৈবাহিক আইন ও জন্ম নিয়ন্ত্রণবিরোধী পরিমাপের পরিপন্থী।[১৫]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Gerber, John J. Macionis, Linda M. (২০১০)। Sociology (7th Canadian সংস্করণ)। Pearson Canada। পৃষ্ঠা 97। আইএসবিএন 978-0-13-700161-3 
  2. "anomie"ডিকশনারী.কম। র‍্যান্ডম হাউজ। 
  3. Nickell Knutson, Jeanne (১৯৭২)। The Human Basis of the Polity: A Psychological Study of Political Men। Aldine treatises in social psychology। Aldine-Atherton। পৃষ্ঠা 146আইএসবিএন 9780202240404। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  4. Terry Long; Terry Robertson (২৪ জানুয়ারি ২০১৯)। "Youth Development and Therapeutic Recreation"Foundations of Therapeutic Recreation: Perceptions, Philosophies, and Practices। Human Kinetics। আইএসবিএন 978-1-4925-4367-1। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ 
  5. Dean, Dwight G.; Reeves, Jon A. (১৯৬২)। "Anomie: A Comparison of a Catholic and a Protestant Sample": 209–212। জেস্টোর 2785951ডিওআই:10.2307/2785951 
  6. Meštrović, Stjepan Gabriel (১৯৮৮)। Emile Durkheim and the Reformation of Sociology। G - Reference, Information and Interdisciplinary Subjects Series। Rowman & Littlefield (প্রকাশিত হয় ১৯৯৩)। পৃষ্ঠা 60। আইএসবিএন 9780847678679। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৯ 
  7. Mestrovic, Stjepan (১৯৯৩)। Emile Durkheim and The Reformation of Sociologyআইএসবিএন 9780847678679 
  8. Cotterrell, Roger (১৯৯৯)। Emile Durkheim: Law in a Moral DomainStanford University Press। পৃষ্ঠা 19। আইএসবিএন 0804738238ওসিএলসি 43421884 
  9. Star, Susan Leigh; Bowker, Geoffrey C.; Neumann, Laura J. (২০০৩)। "Transparency At Different Levels of Scale: Convergence between Information Artifacts and Social Worlds"Digital Library Use: Social Practice in Design and Evaluation। MIT Press। আইএসবিএন 9780262025447 
  10. [ http://www.gurl.com/showoff/spotlight/qa/0,,656336,00.html ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৪ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে]
  11. [^ Thomas 1985, p. 4]
  12. [১]
  13. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১০ 
  14. [^ McLaughlin, Paul (2007). Anarchism and Authority. Aldershot: Ashgate. p. 10. আইএসবিএন ০-৭৫৪৬-৬১৯৬-২. ]
  15. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৪ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]