তাইবার

স্থানাঙ্ক: ৪১°৪৪′২৬″ উত্তর ১২°১৪′০০″ পূর্ব / ৪১.৭৪০৫° উত্তর ১২.২৩৩৪° পূর্ব / 41.7405; 12.2334
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
তাইবার
. (তেভেরে)
রোমের তাইবার নদী
স্থানীয় নামTevere (ইতালীয়) {{স্থানীয় নামের পরীক্ষক}} ত্রুটি: প্যারামিটারের মান ত্রুটিপূর্ণ (সাহায্য)
অবস্থান
দেশইতালি
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
উৎস 
 • অবস্থানফুমাইলো পর্বত
 • উচ্চতা১,২৬৮ মি (৪,১৬০ ফু)
মোহনা 
 • অবস্থান
তিররেনীয় সাগর
দৈর্ঘ্য৪০৬ কিমি (২৫২ মা)
অববাহিকার আকার১৭,৩৭৫ কিমি (৬,৭০৯ মা)
নিষ্কাশন 
 • গড়লুয়া ত্রুটি মডিউল:Convert এর 670 নং লাইনে: attempt to index field 'per_unit_fixups' (a nil value)।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] (রোমে)

তাইবার বা তেভেরে (লাতিন: Tiberis;[১] ইতালীয়: Tevere [teːvere])[২] ইতালির তৃতীয় দীর্ঘতম নদী এবং মধ্য ইতালির দীর্ঘতম নদী। এর উৎপত্তি স্থল এমিলিয়া-রোমানার অ্যাপেনাইন পর্বতমালায়। এটি তোসকানা, উম্ব্রিয়া এবং লাৎসিওর মধ্য দিয়ে ৪০৬ কিলোমিটার (২৫২ মা) প্রবাহিত হয়, তারপর এটি আনিয়েনে নদীর সাথে মিলিত হয়ে তাইবার-আনিয়েনে মিলিত প্রবাহ হিসেবে অস্টিয়া এবং ফিউমিচিনোর মাঝামাঝি স্থানের তিররেনীয় সাগরে মিলিত হয়।[৩] এটি আনুমানিক ১৭,৩৭৫ বর্গকিলোমিটার (৬,৭০৯ বর্গমাইল) এর একটি অববাহিকা নিষ্কাশন করে। পূর্ব তীরে গড়ে ওঠা এই নদীটি রোম শহরের প্রধান জলচক্র হিসাবে দীর্ঘস্থায়ী খ্যাতি অর্জন করেছে।

নদীটি মধ্য ইতালির ফুমাইয়োলো পর্বতের নিকটে উৎপন্ন হয় এবং সাধারণভাবে দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়ে পেরুজা এবং রোম অতিক্রম করে অস্টিয়ার কাছাকাছি সাগরে মিলিত হয়। এটির পানির হরিদ্রাভ রঙের কারণে, প্রাচীনকালে একে (লাতিন ভাষায়) ফ্লাভুস বা হলুদ ("স্বর্ণকেশী") বলে ডাকা হত। অস্তিয়া আন্তিকার প্রাচীন বন্দরটি ৬ কিলোমিটার (৪ মাইল) অভ্যন্তরীণে রেখেই, সেই রোমান কাল থেকেই তাইবারের মোহনার আশেপাশের ৩ কিলোমিটার (২ মাইল) জুড়ে ব্যাপক উন্নতি ঘটেছে।[৪][৫] তবে এটি একটি সমানুপাতিক ব-দ্বীপ গঠন করে না, এর কারণগুলো হল- তীরের খুব কাছ দিয়েই বয়ে যাওয়া শক্তিশালী উত্তর-মুখী সমুদ্র স্রোত, উপকূলের খাড়া ঢাল এবং ধীর টেকটোনিক অবক্ষয়।

উৎস[সম্পাদনা]

তাইবারের উৎসের কাছে মুসোলিনি নির্মিত কলাম

তাইবারের উৎস ফুমাইলো পর্বতে একে অপরের থেকে ১০ মিটার (৩৩ ফু) দূরে অবস্থিত দুটি ঝরনা নিয়ে গঠিত। এই ঝরনাগুলোকে "লে ভেন" বলা হয়।[৬] ঝরনা দুটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১,২৬৮ মিটার (৪,১৬০ ফু) উপরে একটি বিচ (beech) বনে অবস্থিত। ১৯৩০ এর দশকে, বেনিতো মুসোলিনির নির্দেশে, নদীটির উৎপত্তি স্থলের নিকটে একটি প্রাচীন মর্মরপ্রস্তরের রোমান স্তম্ভ নির্মিত হয়েছিল। সেখানে খোদাই করা রয়েছে QUI NASCE IL FIUME SACRO AI DESTINI DI ROMA ("এখানে জন্মেছে নদীটি / রোমের নিয়তিতে সে পবিত্র")। কলামের শীর্ষে ঈগল রয়েছে, যা একটি ফ্যাসিবাদের প্রতীক। আম্বরিয়াতে প্রবেশ করার পূর্বে নদীটি প্রথম এক মাইল ভালতিবারিনার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়।[৭]

সেতু[সম্পাদনা]

রোম ফিউমিচিনো বিমানবন্দরটিও নদীটির ধারে অবস্থিত।

অনেক আধুনিক সেতু ছাড়াও রোম জুড়ে তাইবারের উপরে বেশ কয়েকটি প্রাচীন সেতু (এখন বেশিরভাগই শুধু পথচারীদের জন্য) রয়েছে, যেগুলোর কোন কোনটার কেবল কিছু অংশে টিকে আছে (যেমন, পন্তে মিলিভো এবং পন্তে সান্ত'এঞ্জেলো), আবার কোন কোনটার পুরোটাই ( ফ্যাব্রিসিয়াসের সেতু)। সেতুগুলোর পাশাপাশি, এখানে সুড়ঙ্গপথ রয়েছে যা মেট্রো ট্রেনগুলো ব্যবহার করে।

উপস্থাপনা[সম্পাদনা]

কর্নুকোপিয়ার সাথে একজন দেবতা (তাইবেরিনাস) হিসেবে রোমান তাইবারের উপস্থাপনা, রোমের কাম্পিডলিওতে

নদীগুলোকে শক্তিশালীভাবে নির্মিত হেলান দেওয়া দেবতা রূপে চিত্রণের রীতি অনুসারে, তাইবার নদীও তাইবেরিনাস নামের একজন দেবতা হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। ছবিতে তাঁর চুল এবং দাড়ি থেকে প্রবাহিত জল ধারা দেখানো হয়েছে।[৮]

অতিরিক্ত চিত্র[সম্পাদনা]

ভ্যাটিকান সিটির তাইবার নদীর একটি দৃশ্য
১৫৯৮ সালের রোমের প্লাবন চিহ্নিতকারী; সান পিয়েত্রোর বাসিলিকার নিকটে অবস্থিত সান্তো স্পিরিতো হাসপাতালের একটি স্তম্ভের মধ্যে স্থাপিত
নদীটির উপর দিয়ে ট্রেন যাচ্ছে

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Barrington Atlas of the Greek and Roman World: Map-By-Map Directory। Princeton University Press। ২০০০। পৃষ্ঠা 630আইএসবিএন 0691049459 
  2. (ইতালীয়) Dizionario d'ortografia e di pronunzia ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২ ডিসেম্বর ২০২০ তারিখে
  3. Lazio – Latium | Italy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০০৯-০৮-২৮ তারিখে
  4. "Tiber River". Encyclopædia Britannica. 2006
  5. "Tiber". World Encyclopedia. Philip's, 2005.
  6. "Tiber Springs – Mount Fumaiolo"turismo.fc.it। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  7. "Tuscany tours – the origin of the Tiber River"Farm Holidays Le Ceregne। ১১ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ 
  8. Tiber. Bloomsbury Dictionary of Myth (1996)