কাডু (১৯৭৩-এর কন্নড় চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
কাডু
পরিচালকগিরিশ কারনাড
প্রযোজক
[১]
রচয়িতাশ্রীকৃষ্ণ আলানাহল্লি
চিত্রনাট্যকারগিরিশ কারনাড
শ্রেষ্ঠাংশেমাস্টার জি. এস. নটরাজ
অমরিশ পুরি
নন্দিনী ভক্তভতশালা
সুরকারবি. ভি. করন্থ
চিত্রগ্রাহকগোবিন্দ নিহালনি
সম্পাদকভক্তভতশালাম
প্রযোজনা
কোম্পানি
এল. এন. কম্বাইনস[১]
মুক্তি
  • ১৯৭৩ (1973)
স্থিতিকাল১৪১ মিনিট[১]
দেশভারত
ভাষাকন্নড়

কাডু (জঙ্গল) গিরিশ কারনাড রচিত ও পরিচালিত ১৯৭৩ সালের একটি ভারতীয় কন্নড় চলচ্চিত্রশ্রীকৃষ্ণ আলানাহল্লি র একই নামের একটি উপন্যাস অবলম্বনে ছবির চিত্রনাট্যটি তৈরি হয়েছিল। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মাস্টার জি. এস. নটরাজ, অমরিশ পুরি এবং নন্দিনী ভক্তভতশালা। ছবিটি একুশতম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং একুশ তম ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস দক্ষিণ এর পুরস্কার লাভ করেছিল।

কামাল হাসান এটিকে তাঁর পছন্দের চলচ্চিত্রগুলির একটি হিসাবে অভিহিত করেছেন এবং বলেছিলেন যে এই ছবিটি তাঁর চলচ্চিত্র থেভার মাগান (১৯৯২) এর জন্য অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করেছিল।[২]

পটভূমি[সম্পাদনা]

আট বছর বয়সী একটি ছেলে কিটি। তাকে তার মামা চন্দ্রে গৌড়া শহর থেকে কোপ্পাল নামের একটি গ্রামে নিয়ে আসেন। গৌড়ার সাথে কমলির বিয়ে হয়েছে এবং দম্পতি নিঃসন্তান। কমলির সাথে এবং কোপ্পালের ঘন জঙ্গলের সাথে কিটির গভীর সংযোগ বিকশিত হয়। গৌড়া হসুর নামে কাছের একটি গ্রামে ঘন ঘন যেতেন। যেখানে তাঁর উপপত্নী বসাক্কা রয়েছেন। কমলি তাঁর স্বামীর এই অতিরিক্ত বৈবাহিক সম্পর্ক নিয়ে অবগত হলেও অসহায় থেকে যান। কমলি এক সন্ধ্যায় তাঁর সাথে কিটি ও এক চাকরকে নিয়ে জঙ্গলে যান। সেখানে তাঁদের এক ডাইনির সাথে সাক্ষাত হয়। তিনি গৌড়াকে বাসাক্কা থেকে দূরে রাখতে একটি বলি প্রদান করেন। কমলিকে আশ্বাস দেন যে তিনি বসাক্কার কবল থেকে তাঁর স্বামীকে ফিরিয়ে আনবেন। কিটি তার মামার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জানতে পারে। দুই ব্যক্তির মধ্যে লড়াই দুটি গ্রামের মধ্যে কলহে পরিণত হয়। কমালির দৃঢ় প্রত্যয় হয় যে ডাইনির প্রভাব সংঘটিত হতে শুরু করেছে। এদিকে গৌড়া বাসাক্কার একটি বার্তা পান যাতে তাঁকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হোসুরে আসতে মানা করেন। গৌড়ার অহংবোধ আহত হয় এবং তাঁর সাহস প্রমাণের জন্য তিনি তাঁকে একটি বার্তা প্রেরণ করেন যে পরের রাতে তিনি সেখানে যাবেন। হতাশ কমলি তাঁর স্বামীকে ঘরে রাখার জন্য দ্বিতীয়বার চেষ্টা করেন। তিনি ডাইনির কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পথে শিবগঙ্গার লোকেরা তাঁকে মারাত্মকভাবে আক্রমণ করে। এর ফলে কোপ্পাল গ্রামবাসীরা হোসুরে আক্রমণ শুরু করে। এই লড়াইয়ে গৌড়ার চাকরদের হাতে শিবগঙ্গা মারা যান। পুলিশ গ্রামে এসে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে এবং গ্রামের নিকটে একটি ফাঁড়ি স্থাপন করেন এবং গ্রামবাসীদের তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জরিমানা দিতে বলেন। এর সঙ্গে এটিও নিশ্চিত হয় যে গ্রাম্য লোকেরা ন্যায় পরিচালনা থেকে নিজেদের নিবৃত্ত করেছে।

চরিত্রায়ণ[সম্পাদনা]

পাদটীকা[সম্পাদনা]

উদ্ধৃতি[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]