উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণকারী স্বতন্ত্র পর্যায়ের খেলোয়াড়বিশেষ। ঐ ধরনের ক্রিকেটার মূলতঃ উইকেট-রক্ষক হলেও ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে উপস্থাপনার চেষ্টা চালান।[১][২]

চিরাচরিত প্রথায় উইকেট-রক্ষকদেরকে টেস্ট দলে রাখা হয় মূলতঃ তাদের উইকেট-রক্ষণে সক্ষমতার জন্যে। উইকেট-রক্ষণকে মাঠে অবস্থানের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এক্ষেত্রে শুধুমাত্র শারীরিক সক্ষমতা নয়; বরঞ্চ মানসিক দৃষ্টিভঙ্গীও এর সাথে জড়িত। ফলশ্রুতিতে, দলগুলো উইকেট-রক্ষক বাছাইয়ের ক্ষেত্রে প্রথমত তাদের গ্লাভসে দক্ষতার দিকেই অধিক দৃষ্টিপাত করে থাকে। এভাবেই টেস্টভূক্ত দেশগুলো গ্লাভসে বল তালুবন্দীতে দক্ষদেরকেই অন্তর্ভুক্ত করে। এরফলে, ঐ ধরনের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে তাদের ব্যাটিংয়ের দিকে কম মনোনিবেশ করলেও চলতো।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯০-এর দশকে ক্রিকেট দলগুলো উইকেট-রক্ষক হিসেবে প্রতিভাধর ব্যাটসম্যানদের দিকে নজর দিকে শুরু করে। টেস্ট ও ওডিআইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত উইকেট-রক্ষক অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে এ ধারার পথিকৃৎ হিসেবে ধরা হয়। তাকে উদাহরণ হিসেবে ধরে শীর্ষস্থানীয় দলগুলো ও উইকেট-রক্ষকেরা অসাধারণ মানসম্পন্ন উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে আত্মপ্রকাশের চেষ্টা চালায় যা দলের অমূল্য সম্পদস্বরূপ। অন্যান্য ব্যাটসম্যানও গিলক্রিস্টের উদাহরণকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যান ও অনুসরণ করতে থাকেন। এরপর থেকেই এমএস ধোনি, ব্রেন্ডন ম্যাককুলাম, জনি বেয়ারস্টো, দিনেশ কার্তিক, মুশফিকুর রহিমকুমার সাঙ্গাকারা’র ন্যায় শীর্ষস্থানীয় উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে দলের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হিসেবে জড়িয়ে রয়েছেন।[৩][৪][৫][৬]

আধুনিককালে উইকেট-রক্ষকেরা প্রায়ই ব্যাট হাতে মাঝারিসারির ব্যাটসম্যান হিসেবে দলে ভূমিকা রাখার প্রত্যাশা করেন। কেউবা গিলক্রিস্ট, ম্যাককুলাম ও ধোনির ন্যায় ব্যাটসম্যান হিসেবে আক্রমণাত্মক হবার চেষ্টা চালান। সীমিত ওভারের খেলাগুলোয় কিছুটা নিচেরদিকে মাঠে নেমে রান সংগ্রহের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা করে থাকেন। অন্যান্যরা সাঙ্গাকারা কিংবা কার্তিকের ন্যায় ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ ঘটানোর লক্ষ্যে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান কিংবা মাঝারিসারিতে ব্যাট হাতে মাঠে নামেন। এছাড়াও, কিছু আন্তর্জাতিকমানের খেলোয়াড়কে প্রায়শঃই তাদের ব্যাটিং দক্ষতার পাশাপাশি আপদকালীন সময়ের জন্য উইকেট-রক্ষণের দিকে অগ্রসর হতে হয়। লোকেশ রাহুল, তিলকরত্নে দিলশান, রাহুল দ্রাবিড়, মার্কাস ট্রেসকোথিক মাঝে-মধ্যেই উইকে-রক্ষকের ভূমিকা পালন করেছেন।

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]