ইয়াহিয়া ইবনে আকসাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

আবু মুহম্মদ ইয়াহিয়া ইবনে আকসাম ( আরবি: أبو محمد يحيى بن أكثم, মৃত্যু ৮৫৭) নবম শতাব্দীর একজন ইসলামী ফকিহ ছিলেন। তিনি ৮২৫-৮৩৩ এবং ৮৫১-৮৫৪ সালে দুবার আব্বাসীয় খিলাফতের প্রধান কাজী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

জীবন[সম্পাদনা]

ইয়াহিয়া খুরসানের মার্ভ এ জন্মগ্রহণ করেন। আর তিনি বনু তামিমের সদস্য ছিলেন; তিনি নিজেকে বিচারক আকসাম ইবনে আল-সাইফির বংশোদ্ভূত বলে দাবি করেন। তিনি বসরাতে হাদিস এবং ফেকাহ চর্চা করেন, আর সাধারণত তাকে হানাফী আলেম বিবেচনা করা হত, কিন্তু তিনি হয়তো আলাদাভাবে শাফেঈ মাযহাব চর্চা করতেন বলে অনেকে বলেন। ৮১৭-৮ সালে তাকে বসরার কাজী (বিচারক) হিসাবে নিযুক্ত করা হয়, এবং তিনি সেই পদে ৮২৫ সাল পর্যন্ত বজায় ছিলেন। [১]

বসরা থেকে অব্যাহতির পরে ইয়াহিয়াকে আল-মামুন (৮১৩-৮৩৩) প্রধান বিচারপতি (কাদি আল-কুদাত ) হিসাবে নির্বাচিত করেন। ইয়াহিয়ার সাথে খলিফার খুব ভালো সম্পর্ক ছিল আর তাই তিনি প্রশাসনের এক বড় প্রভাবশালী সদস্য হয়ে ওঠেন, উজিরদের সমস্ত সিদ্ধান্ত প্রথমে তার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হত। [২] ৮৩১ সালে তিনি বাইজান্টাইনদের বিরুদ্ধে আল-মামুনের আভিযানে অংশ নিয়েছিলেন এবং তায়ানা থেকে যাত্রাকারী একটি অভিযানরত দলের নেতৃত্বে ছিলেন,[৩] আর পরের বছর তিনি খলিফার সাথে মিশরে যান এবং সংক্ষিপ্তভাবে সেখানে কাজী হিসাবে কাজ করেছিলেন। [৪]

আল-মা'মুনের রাজত্বের শেষের দিকে অবশ্য ইয়াহিয়া ইরাকে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তার বিরুদ্ধে টাকা পয়সা নিয়ে সমস্যা, তার কুরআন সম্পর্কে মুতাজিলা বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থাকায় তার স্থানে আহমদ ইবনে আবি দুয়াদকে নিয়োগ দেয়া হয়।

৮৫৭ সালে ইয়াহিয়া হজ্জ এ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং মক্কায় বসবাসের সিদ্ধান্ত নেন। যখন সে জানতে পারে তাকে আল-মুতাওয়াক্কিল ক্ষমা করে দিয়েছেন তখন তিনি নিজের মতামত পরিবর্তন করে ইরাকে ফিরে আসার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন, কিন্তু ৮৫৭ এপ্রিল তিনি যাত্রা পথেই মারা যান এবং তাকে আল-রাবাদাহে দাফন করা হয়। [১]

টীকা[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]