অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামঅ্যালিস্টেয়ার ডগলাস রস ক্যাম্পবেল
জন্ম (1972-09-23) ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭২ (বয়স ৫১)
সলসবারি, রোডেশিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি অফ ব্রেক
ভূমিকাব্যাটসম্যান, অধিনায়ক
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ )
১৮ অক্টোবর ১৯৯২ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট১৬ নভেম্বর ২০০২ বনাম পাকিস্তান
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ২২)
২৯ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
শেষ ওডিআই১২ মার্চ ২০০৩ বনাম কেনিয়া
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ৬০ ১৮৮ ১২৯ ২৪৮
রানের সংখ্যা ২,৮৫৮ ৫,১৮৫ ৬,৭০১ ৭,০৯৮
ব্যাটিং গড় ২৭.২১ ৩০.৫০ ৩৩.৮৪ ৩৩.১৬
১০০/৫০ ২/১৮ ৭/৩০ ১১/৩৮ ৯/৪৩
সর্বোচ্চ রান ১০৩ ১৩১* ১৯৬ ১৩১*
বল করেছে ৬৬ ৫০৯ ১,৭৩৭ ৮৪২
উইকেট ১২ ২২ ২৪
বোলিং গড় ৩৬.১৬ ৪৫.৬৩ ২৯.৮৩
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ২/২০ ৪/৮২ ৩/১৯
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৬০/– ৭৬/– ১৩৩/– ৯৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৭

অ্যালিস্টেয়ার ডগলাস রস ক্যাম্পবেল (ইংরেজি: Alistair Douglas Ross Campbell; জন্ম: ২৩ সেপ্টেম্বর, ১৯৭২) সলসবারিতে (বর্তমানে - হারারে) জন্মগ্রহণকারী জিম্বাবুয়ের সাবেক আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন। পাশাপাশি, ডানহাতে অফ ব্রেক বোলিংয়ে পারদর্শীতা দেখিয়েছেন অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেলজিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে দলের অধিনায়কেরও দায়িত্ব পালন করেছেন। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেটের ইতিহাসে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে সর্বকনিষ্ঠ ক্রিকেটার হিসেবে সেঞ্চুরি করে সবিশেষ কৃতিত্বের পরিচয় দেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

টেস্টে মাঝারিসারিতে ব্যাটিংয়ে নামতেন ক্যাম্পবেল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৬০ টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। তন্মধ্যে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২১ টেস্টে। ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে পাকিস্তান সফরে যান। ওয়াসিম আকরামওয়াকার ইউনুসের ন্যায় বোলারদের বোলিং আক্রমণ রুখে দিয়ে তিনটি অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছিলেন।

অক্টোবর, ১৯৯৪ সালে অভিষেক টেস্ট শতক থেকে অল্পের জন্য বঞ্চিত হন। শ্রীলঙ্কান পেসার রবীন্দ্র পুষ্পকুমারা’র বলে ৯৯ রানে আউট হন। তিন অঙ্কের কোটায় পৌঁছতে তাকে আরও পাঁচ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে। ২০০০-০১ মৌসুমে নাগপুরে অনুষ্ঠিত টেস্টে ভারতের বিপক্ষে তিনি এ কৃতিত্ব অর্জন করেন। পরের মৌসুমেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শতরান করেন।

টেস্টের তুলনায় একদিনের আন্তর্জাতিকেই অধিক সফলতা অর্জন করেছেন তিনি। ৩০-এর অধিক গড়ে পাঁচ সহস্রাধিক রান তুলেছেন। তন্মধ্যে, ২০০০ সালটি ছিল তার স্বর্ণালী সময়। ঐ মৌসুমে ৩৮.৪০ গড়ে ৯৬০ রান তোলেন। ৭টি সেঞ্চুরির মধ্যে ২টিই ছিল অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে।

১৯৯২ সালে মাত্র ১৯ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ক্রিকেট বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে দলে খেলার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু তাকে বেশ কঠিন সময় অতিক্রম করতে হয়েছিল। তারপরও জাতীয় দলে নিজেকে স্থায়ীভাবে অবস্থান করাতে সক্ষমতা দেখান ক্যাম্পবেল। একদিনের আন্তর্জাতিকে সচরাচর ব্যাটিং উদ্বোধন করতেন।

আইসিসি ট্রফি প্রতিযোগিতায় প্রথম সেঞ্চুরি করার গৌরব অর্জন করেন তিনি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী আসরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ রান করেন।[১] তার এ সেঞ্চুরির বিপরীতে ম্যান অব দ্য ম্যাচ পুরস্কার লাভকারী স্টিফেন ফ্লেমিং ৯৬ রান তুললে নিউজিল্যান্ড ৫ উইকেটে জয় পায়।

অধিনায়কত্ব[সম্পাদনা]

১৮৮ ওডিআইয়ে জিম্বাবুয়ে দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। পাশাপাশি ৮৬ খেলায় ওডিআই দলের অধিনায়ক ছিলেন। ১৯৯৬ সালে দলের অধিনায়কত্ব লাভ করেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুমে পাকিস্তানে স্বাগতিক দলের বিপক্ষে সিরিজ বিজয়ে নেতৃত্ব দেন। এছাড়াও, ১৯৯৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে দলকে সুপার সিক্স পর্বে উত্তরণ ঘটান। কিন্তু, তিন বছর দায়িত্বে থাকার পর ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি।

অর্জনসমূহ[সম্পাদনা]

তিনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যান হিসেবে ৩ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১১৮০ রান করে সর্বোচ্চ স্থানে ছিলেন।[২] পরবর্তীতে, হ্যামিল্টন মাসাকাদজা এ স্থানটি দখল করেন। ট্রেভর গডার্ড (২৫১৬ রান, ১ সেঞ্চুরি); অ্যালিস্টেয়ার ক্যাম্পবেল (২৮৫৮ রান, ২ সেঞ্চুরি); চামিন্দা ভাস (৩০৮৯ রান, ১ সেঞ্চুরি) ও অনিল কুম্বলে (২৫০৬ রান, ১ সেঞ্চুরি) - এ চারজন ক্রিকেটার তাদের টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে দুই হাজার রান সংগ্রহের পর তাদের প্রথম সেঞ্চুরির সন্ধান পান।

অবসর[সম্পাদনা]

২০০৩ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তাকে অন্তর্ভুক্ত না করায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের জল্পনা-কল্পনা চলতে থাকে। কিন্তু আহত মার্ক ভার্মুলেনের স্থলাভিষিক্ত হন ও জিম্বাবুয়ের বিশ্বকাপের শেষ খেলাটিই ক্যাম্পবেলের শেষ খেলা ছিল। এরপর তাকে আর দেশের পক্ষে খেলতে দেখা যায়নি।

২০০৩ সালে খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেন তিনি। জুলাই, ২০০৯ সালে অ্যালিস্টেয়ার জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের ক্রিকেট বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে পুনরায় আবির্ভূত হন।[৩] এরফলে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। এছাড়াও জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান দল নির্বাচক তিনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Champions Trophy Centuries" (ইংরেজি ভাষায়)। ESPNcricinfo। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মার্চ ২০১৭ 
  2. batting record on no. 3 position of Zimbabwe
  3. "Alistair Campbell appointed Chairman of Zimbabwe Cricket Committee" (ইংরেজি ভাষায়)। [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার
জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
১৯৯৬-১৯৯৯/২০০০
উত্তরসূরী
অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার
পূর্বসূরী
স্টুয়ার্ট কার্লাইল
জিম্বাবুয়ে জাতীয় ক্রিকেট অধিনায়ক
২০০২/০৩
উত্তরসূরী
হিথ স্ট্রিক