স্তন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
r2.7.1) (রোবট যোগ করছে: oc:Sen
Mishrarpan (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Weibliche brust en.jpg|thumb|right|250px|স্ত্রী শরীরে পূর্ণবিকশিত স্তনযুগল]]
[[চিত্র:Weibliche brust en.jpg|thumb|right|250px|স্ত্রী শরীরে পূর্ণবিকশিত স্তনযুগল]]
[[চিত্র:Supernumerary third nipple.jpg|thumb|right|250px|পুরুষের বক্ষস্থল]]
[[চিত্র:Supernumerary third nipple.jpg|thumb|right|250px|পুরুষের বক্ষস্থল]]
'''স্তন''' হল [[স্তন্যপায়ী]] প্রাণীদের শরীরে দুগ্ধ (স্তন্য) উৎপাদনকারী গ্রন্থি। [[স্ত্রী]] এবং [[পুরুষ]] উভয়লিঙ্গেই স্তন থাকলেও একমাত্র স্ত্রী প্রাণীই [[দুগ্ধ]] উৎপাদনে সক্ষম। [[বয়ঃসন্ধি|বয়ঃসন্ধিকালে]] অর্থাৎ যৌবনাগমনে স্ত্রী শরীরে স্তন বিকশিত হতে আরম্ভ করে এবং আকারে বৃদ্ধি পায় ও স্থুলতা লাভ করে। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই স্তনপরিণতি সম্পূর্ণ হয়।। পুংশরীরে স্তন থাকলেও তা অপরিণত অবস্থাতেই থাকে এবং কয়েকটি বিরল ক্ষেত্র ব্যতীত তা থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হয় না। যৌবনপ্রাপ্ত স্ত্রীশরীরে পুষ্ট স্তনের আভাস পোশাকের উপর দিয়েও প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে স্তন স্বেদগ্রন্থিরই বিবর্তিত রূপ। স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্বেদগ্রন্থি বিবর্তন লাভ করে স্তনে রূপান্তরিত হয়। মানবশরীরে দু'টি স্তন থাকে কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বহুক্ষেত্রেই দুইয়ের অধিক স্তন পরিলক্ষিত হয়।
'''স্তন''' হল [[স্তন্যপায়ী]] প্রাণীদের শরীরে দুগ্ধ (স্তন্য) উৎপাদনকারী গ্রন্থি। [[স্ত্রী]] এবং [[পুরুষ]] উভয়লিঙ্গেই স্তন থাকলেও একমাত্র [[স্ত্রী]] প্রাণীই [[দুগ্ধ]] উৎপাদনে সক্ষম। [[বয়ঃসন্ধি|বয়ঃসন্ধিকালে]] অর্থাৎ যৌবনাগমনে স্ত্রী শরীরে স্তন বিকশিত হতে আরম্ভ করে এবং আকারে বৃদ্ধি পায় ও স্থুলতা লাভ করে। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই স্তনপরিণতি সম্পূর্ণ হয়।। পুংশরীরে স্তন থাকলেও তা অপরিণত অবস্থাতেই থাকে এবং কয়েকটি বিরল ক্ষেত্র ব্যতীত তা থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হয় না। [[যৌবন]]প্রাপ্ত স্ত্রীশরীরে পুষ্ট স্তনের আভাস পোশাকের উপর দিয়েও প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে স্তন [[স্বেদগ্রন্থি]]রই বিবর্তিত রূপ। স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্বেদগ্রন্থি বিবর্তন লাভ করে স্তনে রূপান্তরিত হয়। মানবশরীরে দু'টি স্তন থাকে কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বহুক্ষেত্রেই দুইয়ের অধিক স্তন পরিলক্ষিত হয়।


== স্তনপরিণতি ==
== স্তনপরিণতি ==
স্ত্রীশরীরে স্তন বিকশিত এবং পুষ্ট হয় মূলত '''ইস্ট্রোজেন''' নামক [[হরমোন|হরমোনের]] সহায়তায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উক্ত হরমোনের আধিক্যের ফলে পুংশরীরেও স্তন স্ত্রীস্তনের ন্যায়ই আকারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তা দুগ্ধ নিঃসরণেও সক্ষম হয়ে ওঠে।
স্ত্রীশরীরে স্তন বিকশিত এবং পুষ্ট হয় মূলত '''[[ইস্ট্রোজেন]]''' নামক [[হরমোন|হরমোনের]] সহায়তায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উক্ত হরমোনের আধিক্যের ফলে পুংশরীরেও স্তন স্ত্রীস্তনের ন্যায়ই আকারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তা দুগ্ধ নিঃসরণেও সক্ষম হয়ে ওঠে।


{{স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র}}
{{স্ত্রী প্রজনন তন্ত্র}}

১২:০৪, ৩০ জুলাই ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্ত্রী শরীরে পূর্ণবিকশিত স্তনযুগল
পুরুষের বক্ষস্থল

স্তন হল স্তন্যপায়ী প্রাণীদের শরীরে দুগ্ধ (স্তন্য) উৎপাদনকারী গ্রন্থি। স্ত্রী এবং পুরুষ উভয়লিঙ্গেই স্তন থাকলেও একমাত্র স্ত্রী প্রাণীই দুগ্ধ উৎপাদনে সক্ষম। বয়ঃসন্ধিকালে অর্থাৎ যৌবনাগমনে স্ত্রী শরীরে স্তন বিকশিত হতে আরম্ভ করে এবং আকারে বৃদ্ধি পায় ও স্থুলতা লাভ করে। সাধারণত ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সের মধ্যেই স্তনপরিণতি সম্পূর্ণ হয়।। পুংশরীরে স্তন থাকলেও তা অপরিণত অবস্থাতেই থাকে এবং কয়েকটি বিরল ক্ষেত্র ব্যতীত তা থেকে দুগ্ধ নিঃসরণ হয় না। যৌবনপ্রাপ্ত স্ত্রীশরীরে পুষ্ট স্তনের আভাস পোশাকের উপর দিয়েও প্রকটভাবে ফুটে ওঠে। প্রকৃতপক্ষে স্তন স্বেদগ্রন্থিরই বিবর্তিত রূপ। স্তন্যপায়ী প্রাণীর শরীরে স্বেদগ্রন্থি বিবর্তন লাভ করে স্তনে রূপান্তরিত হয়। মানবশরীরে দু'টি স্তন থাকে কিন্তু অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের বহুক্ষেত্রেই দুইয়ের অধিক স্তন পরিলক্ষিত হয়।

স্তনপরিণতি

স্ত্রীশরীরে স্তন বিকশিত এবং পুষ্ট হয় মূলত ইস্ট্রোজেন নামক হরমোনের সহায়তায়। সমীক্ষায় দেখা গেছে যে উক্ত হরমোনের আধিক্যের ফলে পুংশরীরেও স্তন স্ত্রীস্তনের ন্যায়ই আকারে বৃদ্ধি পেতে পারে। এমনকী বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে তা দুগ্ধ নিঃসরণেও সক্ষম হয়ে ওঠে।