জীবাণুদূষণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Snthakur (আলোচনা | অবদান)
সেপসিস রোগের নতুন নিবন্ধ শুরু হল।
 
Snthakur (আলোচনা | অবদান)
তথ্যসূত্র, বহিঃসংযোগ
৪৭ নং লাইন: ৪৭ নং লাইন:
নির্ধারিত সুপারিশ ও সতর্ক অনুসরণ করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। বিশেষভাবে হাসপাতালের শিশুদের জন্য চিকিৎসা-শাস্ত্রগত‌ পদ্ধতি সতর্কতা ও যত্ন সহকারে অনুসরণ করলে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।
নির্ধারিত সুপারিশ ও সতর্ক অনুসরণ করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। বিশেষভাবে হাসপাতালের শিশুদের জন্য চিকিৎসা-শাস্ত্রগত‌ পদ্ধতি সতর্কতা ও যত্ন সহকারে অনুসরণ করলে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।


== তথ্যসূত্র ==
== ==

== বহিঃসংযোগ ==


[[বিষয়শ্রেণী:চিকিৎসা]]
[[বিষয়শ্রেণী:চিকিৎসা]]

১৯:৪১, ২ জুলাই ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জীবাণুদূষণ
বিশেষত্বসংক্রামক রোগ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন


সেপসিস খুব মারাত্মক অসুস্থতা যা ব্যাকটেরিয়া (জীবাণু) দ্বারা রক্তের কার্য ক্ষমতাকে সম্পূর্ণ ভাবে পরাজিত করে।

রোগের কারণ

এই রোগ ব্যাকটেরিয়ার (জীবাণু) সংক্রমণে ঘটে যা দেহের যেকোন জায়গায় হতে পারে। সাধারনত দেহের যে যে জায়গায় এই সংক্রমণ ঘটতে পারে তাহোলো - অন্ত্রে, কিডনিতে, ঘিলুর ভাঁজে, যকৃতে, গলব্লাডারে, ফুসফুসে (ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া) ও ত্বকে। এছাড়া, শিশুদের হাড়ে এই ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হতে পারে।

রোগের লক্ষণ

এই রোগে রক্ত চাপ কমে যায় ও ধাক্কা অনুভুত হয়। দেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ সমুহে; যেমন - কিডনি, যকৃত, ফুসফুস ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্রের কাজ সঠিকভাবে থেমে যায়। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ও অতি শ্বাস-প্রশ্বাস এই রোগের পূর্ব লক্ষণ।

সাধারণভাবে রোগের লক্ষণ সমুহ

প্রস্রাব কমে যাওয়া, প্রচন্ড ঝাঁকুনি দেওয়া, বিভ্রান্ত বোধ করা, জ্বর অথবা দেহের তাপমাত্রা কমে যাওয়া, অতি শ্বাস নেওয়া, অল্প রক্ত চাপের দরুন মাথা ঘোরা ও ঝিমুনি, দ্রুত হৃদয় স্প্ন্দন হওয়া, কাঁপুনি দেওয়া, ত্বকে চাকা-চাকা লালচে দাগ হওয়া ইত্যাদি।

পরীক্ষার দ্বারা রোগ চিহ্নিত করা

এই রোগের জীবাণু সংক্রমণ রক্ত পরীক্ষার দ্বারা প্রায়শই দৃঢ়তরভাবে প্রতিপন্ন করা হয়। উপরন্তু, যদি জীবাণু প্রতিরোধী (Antibiotics) গ্রহন করা হয়ে থাকে তাহলে রক্ত পরীক্ষায় জীবাণুর সংক্রমণ প্রকাশ নাও হতে পারে।


রোগের চিকিৎসা

হাসপাতালে, সাধারণত একটি তীব্র যত্ন কক্ষে (ICU) ভর্তি করা হয়। ব্যাকটেরিয়া (জীবাণু) প্রতিরোধক ওষুধ ও তরল একটি শিরার মধ্য দিয়ে দেওয়া হয়। অক্সিজেন দেওয়া হয় এবং যে ওষুধ রক্ত চাপ বৃদ্ধি করে, প্রয়োজনে তাও দেওয়া হয়। বিকল কিডনির জন্য ডায়ালাইসিস করা প্রয়োজন। অকৃতকার্য ফুসফুসের জন্য একটি নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস মেশিন (mechanical ventilation) প্রয়োজন। কিছু রোগীর জন্য ক্ষমতাশালী জ্বালা নিবারনকারী (anti-inflammatory) ওষুধ যেমন, করটিকোস্টেরয়েডস (corticosteroids) অথবা সহায়ক সক্রিয় মানবিক প্রোটিন সি (human activated protein C) দ্বারা চিকিৎসা করা সাহায্যকারি হতে পারে।

এই রোগে হলে যা আশাকরা হয়

সেপসিস পুনরায় জীবন দায়ী রোগ, বিশেষ করে যাদের রোগ প্রতিরোধ করার দুর্বলতা আছে অথবা দীর্ঘস্থায়ী অসুস্থতার সহিত।

রোগের জটিলতা সমুহ

  • মৃত্যূ।
  • বিস্তীর্ণভাবে শিরার মধ্য রক্তের তঞ্চন হওয়া।
  • অত্যাবশ্যক অঙ্গ সমুহ যথা - মস্তিষ্ক, হৃদয় ও কিডনিতে রক্ত প্রবাহের সমস্যা হওয়া।
  • দেহের কলা সমুহের মধ্য দিয়ে তরল ও অক্সিজেনের প্রবাহ বিঘ্নিত হওয়া।

রোগের প্রতিরোধ

নির্ধারিত সুপারিশ ও সতর্ক অনুসরণ করে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কমানো যেতে পারে। বিশেষভাবে হাসপাতালের শিশুদের জন্য চিকিৎসা-শাস্ত্রগত‌ পদ্ধতি সতর্কতা ও যত্ন সহকারে অনুসরণ করলে এই রোগের সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ