যোনি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
[অপরীক্ষিত সংশোধন] | [অপরীক্ষিত সংশোধন] |
অ বট যোগ করছে: ps:مهبل পরিবর্তন করছে: frp:Vajhena |
অ বট মুছে ফেলছে: kk:Ам (deleted) |
||
১৪৬ নং লাইন: | ১৪৬ নং লাইন: | ||
[[jbo:vibna]] |
[[jbo:vibna]] |
||
[[jv:Vagina]] |
[[jv:Vagina]] |
||
[[kk:Ам]] |
|||
[[kn:ತುಲ್ಲು]] |
[[kn:ತುಲ್ಲು]] |
||
[[ko:질]] |
[[ko:질]] |
১৯:২৪, ২৩ জুন ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
যোনি (ইংরেজি ভাষায়: Vagina ভ্যাজাইনা, মূলত লাতিন: উয়াগিনা) হলো স্ত্রী যৌনাঙ্গ, যা একটি ফাইব্রোমাসকুলার টিউবাকৃতি অংশ যা জরায়ু থেকে স্ত্রীদেহের বাইরের অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি দেখা যায় অমরাবিশিষ্ট মেরুদণ্ডী ও মারসুপিয়াল প্রাণীতে, যেমন ক্যাঙ্গারু অথবা স্ত্রী পাখি, মনোট্রিম, ও কিছু সরীসৃপের ক্লোকাতে। স্ত্রী কীটপ্রত্যঙ্গ এবং অন্যান্য অমেরুদণ্ডী প্রাণীরও যোনি আছে, যা মূলত ওভিডাক্টের শেষ প্রান্ত। লাতিন বহুবচনে যোনিকে বলা হয় vaginae উয়াগিনাই (ইংরেজি উচ্চারণে ভ্যাজাইনি)।
গঠন (মানবদেহ)
মানুষের যোনি সারভিক্স থেকে ভালভা পর্যন্ত বিস্তৃত একটি নমনীয় ও মাংসল নালী।[১] শরীর ভেদে পার্থক্য হলেও সাধারণত একটি অনুত্তেজিত যোনির দৈর্ঘ্য সামনের দিকে ৬ থেকে ৬.৫ সে.মি. (২.৫ থেকে ৩ ইঞ্চি) এবং পেছনের দিকে ৯ সে.মি. (৩.৫ ইঞ্চি)।[২] যৌন উত্তেজনার সময় যোনি দৈর্ঘ্য এবং প্রস্থ উভয় দিকেই বৃদ্ধি পায়।[৩] এটার নমনীয়তার ফলেই এটি যৌন মিলন ও সন্তান জন্মদানের সময় বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়।[৪] যোনি, সুপারফিকাল ভালভা ও জরায়ুর গভীরের সারভিক্সকে সংযুক্ত করে।
যদি একজন মহিলা সোজা হয়ে দাঁড়ান তবে যোনির শেষপ্রান্ত সামনে-পেছনে জরায়ুর সাথে ৪৫ ডিগ্রীর বেশী কোণ উৎপন্ন করে। যোনির শেষপ্রান্তটি ভালভার একটি কডাল প্রান্ত। এটি মুত্রনালীর পেছনে অবস্থিত। যোনির উপরের এক চতুর্থাংশ রেকটোউটেরিন পাউচ দ্বারা রেকটাম থেকে পৃথক। যোনির উপরের অংশের নাম মন্স ভেনেরিস। ভালভার ভেতরের দিক সহ যোনির রং হালকা গোলাপী এবং এটি মেরুদণ্ডী প্রাণীতে সবচেয়ে বেশি মিউকাস ঝিল্লী বিশিষ্ট অভ্যন্তরীন অঙ্গ। যোনির বাকি তিন চতুর্থাংশ অঞ্চল উঁচু-নিচু অংশের দ্বারা সৃষ্ট ভাঁজে পরিপূর্ণ, এই ভাঁজকে রূগী বলে। যোনির পিচ্ছিলতা বার্থোলিনের গ্রন্থি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি যোনির প্রবেশ মুখে এবং সারভিক্সের কাছে অবস্থিত। যৌনমিলনের সময় প্রয়োজনীয় পিচ্ছিলকারক তরল ক্ষরিত করার মাধ্যমে এটি যৌনমিলনের সময় সৃষ্ট ঘর্ষণ হ্রাসে ভূমিকা রাখে। কোনোরকম গ্রন্থির সম্পৃক্ততা না থাকলেও যোনির দেওয়াল জলীয় উৎপাদন করে। ডিম্বক্ষরণের সময় সারভিক্সের মিউকাস গ্রন্থিগুলো বিভিন্ন রকম মিউকাস ক্ষরণ করে। এর ফলে যোনীয় নালিতে ক্ষারধর্মী অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় এবং এটি শুক্রাণুর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দেয়।
যোনিচ্ছদ
অনেক স্ত্রী প্রাণীতে যোনিচ্ছদ বা সত্বীচ্ছদ যোনির প্রবেশদ্বার ঢেকে রাখে, যতোক্ষণ না এটি যৌনমিলন বা অন্য কোনো কারণে ছিঁড়ে না যায়। এটি মূলত যোজক কলার একটি পাতলা ঝিল্লী। এটি যোনির শুরুর দিকে অবস্থিত। যোনিপথে কোনোকিছু প্রবেশের মাধ্যমে, পেলভিক পরীক্ষার সময়, কোনো কারণে আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা কিছু সুনির্দিষ্ট কাজের ফলে, যেমন: ঘোড়ায় চড়া, বা জিমন্যাস্টিক্সের ফলেও এই কলাটি ছিঁড়ে যেতে পারে। যোনিচ্ছদ না থাকাটা যৌনমিলন সংঘটিত হবার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় প্রমাণ দেয় না, কারণ সবসময় এটি যে যৌনমিলনের ফলেই ছিঁড়বে—এমন নয়। আবার একই ভাবে বলা যায়, এটি থাকাটা খুব জোরের সাথে প্রমাণ করে না যে যৌনমিলন একেবারেই হয়নি।[৫] হালকা যৌনমিলনের ফলে যোনিচ্ছদ না ছেঁড়াটা সম্ভব, আর যদি ছিঁড়েও যায় তবে তা শল্যচিকিৎসার মাধ্যমে প্রতিস্থাপিতও করা সম্ভব। অর্থাৎ কুমারীতত্ত্ব, যোনিচ্ছদ থাকা বা না-থাকার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করে না।
যোনির শারীরবৃত্তীয় ভূমিকা
যোনির বিভিন্ন রকম জৈবিক ভূমিকা রয়েছে।
জরায়ুজ ক্ষরণ
যোনিপথের মাধ্যমে জরায়ুতে উৎপন্ন রজঃস্রাবের রক্ত ও মৃতটিস্যু (কলা) বেরিয়ে যায়। আধুনিক সমাজে, রজঃস্রাবের মাধ্যমে নির্গত এই তরল শোষণ বা সংগ্রহে ট্যাম্পোন, মেন্সট্রুয়াল কাপ, স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রভৃতি সরঞ্জাম ব্যবহৃত হয়।
যৌনমিলন
যোনির প্রবেশমুখে বেশকিছু স্নায়ুর প্রান্তদ্বার উন্মুক্ত, আর এগুলোর মাধ্যমে একজন নারী যৌনমিলনের সময় যৌনসুখ অনুভব করতে পারেন। কোনোভাবে এটি উত্তেজিত হলে কিছু মহিলা এটা উপভোগ করতে পারেন। যৌন উত্তেজনার সময়, বিশেষ করে ভগাঙ্কুর বা উত্তেজিত হলে যোনির দেয়াল নিজে থেকেই পিচ্ছিল হতে শুরু করে। এর ফলে যৌনমিলনের সময় সৃষ্ট ঘর্ষণ হ্রাস পায়। গবেষণায় দেখা গেছে ক্লাইটোরিসের অংশ যোনি এবং ভালভাতেও বিস্তৃত।[৬]
উত্তেজিত হলে যোনিপথের দৈর্ঘ্য গড়ে প্রায় ৮.৫ সে.মি. (৪ ইঞ্চি) বৃদ্ধি পায়, কিন্তু এই বৃদ্ধি প্রবিষ্ট শিশ্নের চাপের ওপর ভিত্তি করে আরো বাড়তে পারে।[৭] যখন একজন মহিলা পুরোপুরি উত্তেজিত হন তখন সারভিক্স পেছনের দিকে গুটিয়ে যাওয়ায় যোনিগহ্বর দৈর্ঘ্য-প্রস্থে পূর্বের চেয়ে প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ বৃদ্ধি পায়।[৮] যোনির ভেতরের দেয়ালের আবরণ মিউকাস ঝিল্লির নরম ও নমনীয় ভাঁজ বিশিষ্ট। প্রবিষ্ট শিশ্নের আকার অনুযায়ী এটি প্রসারিত বা সংকুচিত হতে পারে।
জি-স্পট
এটি যোনির একটি কামোত্তেজোক অংশ। যোনির ভেতর অংশে (শুরুর অংশ থেকে প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার ভিতরে) এর অবস্থান। কিছু মহিলা যৌনমিলনের সময় তীব্র যৌনসুখ অনুভব করেন যদি জি-স্পট ভালোভাবে উত্তেজিত হয়। সম্ভবত জি-স্পট রাগমোচন (শীর্ষসুখ) নারীর বীর্যপাতের কারণ। বেশ কিছু প্রখ্যাত ডাক্তার ও গবেষক মনে করেন জি-স্পটের যৌনসুখটা আসলে আসে স্কিনি গ্রন্থির মাধ্যমে। এই গ্রন্থিটি যোনির ভেতরের অন্য কোনো অংশের তুলনায় পুরুষের প্রোস্টেটের সাথে বেশি সাদৃশ্যপূর্ণ।[৯][১০][১১] অবশ্য কিছু গবেষক জি-স্পট থাকার ব্যাপারটাই স্বীকার করেন না।[১২]
শিশু প্রসব
শিশু প্রসবের সময় মাতৃদেহের জরায়ু থেকে বাইরের পৃথিবীর স্বাধীন জীবনে আসার জন্য যোনি রাস্তা হিসেবে কাজ করে। শিশু জন্মদানের সময় যোনিকে প্রসব নালীকা (birth canal) বলা হয়। এসময় যোনির ব্যাস তার স্বাভাবিক অবস্থা থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশ কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় এবং আরো বেশি নমনীয় হয়ে ওঠে।
যৌনস্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা
যোনি নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখে তাই কোনো অতিরিক্ত পরিচর্যার দরকার হয় না। ডাক্তাররা সাধারণত ডউশিংয়ের চর্চাকে অনুৎসাহিত করেন।
যোনীয় রোগের লক্ষণ
যোনীয় রোগের লক্ষণ হিসেবে যেগুলো দেখা যায়, তার মধ্যে আছে ফোঁড়া, তরলক্ষরণ, সূতিকা এবং বিভিন্ন যৌনরোগ :
- ফোঁড়া
যোনি গাত্র এবং গোড়ার অংশে ফোঁড়া হওয়াটা সচারচর দেখা যায় না। বেশিরভাগে ক্ষেত্রে এটি বার্থোলিনের ছত্রাকের কারণে হয়ে থাকে। ছত্রাকটি দেখতে অনেকটা মটরদানার মতো, এবং বার্থোলিনের গ্রন্থিতে বাধার সৃষ্টির কারণে এর সৃষ্টি। এর ফলে এটি যোনির প্রবেশমুখে ক্ষরিত তরল পৌঁছতে বাধা দেয়। এ ধরনের সমস্যা ছোটোখাটো শল্যাচিকিৎসা বা সিলভার নাইট্রেট নামীয় রাসায়নিকের দ্বারা সহজেই দূর করা যায়। আর ধরনের ছোটোখাটো ফোঁড়ার আরেকটি কারণ হচ্ছে হার্পার সিমপ্লেক্স। সেক্ষেত্রে ফোঁড়ার পরিমাণ একাধিক হয় এবং একপর্যায়ে ফোঁড়াটি ফেটে অভ্যন্তরীস্থ তরল বেরিয়ে পড়ে ; ফলশ্রুতিতে প্রচণ্ড ব্যাথ্যা অনুভূত হয়।
সহায়ক চিত্র
-
জরায়ু ও জরায়ুজ নালি।
-
স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গসমূহ।
-
ভালভার স্কিমেটিক অঙ্গসংস্থান।
-
জরায়ু এবং ডান প্রশস্ত লিগামেন্ট, পশ্চাৎদৃশ্য।
-
স্ত্রী ট্রাঙ্কের নিচের অংশের স্যাগিটাল অংশ (পার্শ্বীয় দৃশ্য)।
-
জরায়ুর পশ্চাৎ অর্ধাংশ ও যোনির উপরাংশ।
-
যোনি দেওয়ালের স্তরসমূহ।
-
মানুষের ভালভা, যোনির প্রবেশদ্বার দেখা যাচ্ছে।
আরো দেখুন
তথ্যসূত্র
- ↑ http://www.womenshealth.gov/glossary/#vagina Womenshealth.gov
- ↑ Gray's Anatomy
- ↑ "The sexual response cycle"। EngenderHealth। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-১৩।
- ↑ http://www.metrokc.gov/HEALTH/famplan/flash/grades11-12/G1112-L17.pdf Metrokc.gov
- ↑ Rogers DJ, Stark M (১৯৯৮)। "The hymen is not necessarily torn after sexual intercourse"। BMJ। 317: 414। পিএমআইডি 9694770। পিএমসি 1113684 । অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য) - ↑ Mascall S (জুন ২০০৬)। "Time for Rethink on the Clitoris"। BBC News।
- ↑ "Does size matter"। TheSite.org। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-১২।
- ↑ "do big penises hurt?"। AskMen.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৮-১৪।
- ↑ Crooks, R। Our Sexuality। California: Brooks/Cole। অজানা প্যারামিটার
|coauthors=
উপেক্ষা করা হয়েছে (|author=
ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে) (সাহায্য) - ↑ Jannini E, Simonelli C, Lenzi A (২০০২)। "Sexological approach to ejaculatory dysfunction."। Int J Androl। 25 (6): 317–23। ডিওআই:10.1046/j.1365-2605.2002.00371.x। পিএমআইডি 12406363।
- ↑ Jannini E, Simonelli C, Lenzi A (২০০২)। "Disorders of ejaculation."। J Endocrinol Invest। 25 (11): 1006–19। পিএমআইডি 12553564।
- ↑ name=Hines> Hines T (২০০১)। "The G-Spot: A modern gynecologic myth"। Am J Obstet Gynecol। 185 (2): 359–62। ডিওআই:10.1067/mob.2001.115995। পিএমআইডি 11518892। অজানা প্যারামিটার
|month=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)