কাইয়ুম চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান) |
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
২০ নং লাইন: | ২০ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
'''কাইয়ুম চৌধুরী''' (জন্ম [[১৯৩৪]]) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন চিত্রশিল্পী যিনি ১৯৩৪ সালে [[ফেনী]]তে জন্মগ্রহণ করেন। |
'''কাইয়ুম চৌধুরী''' (জন্ম [[১৯৩৪]]) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশী]] স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। তিনি [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশের]] একজন চিত্রশিল্পী যিনি ১৯৩৪ সালে [[ফেনী]]তে জন্মগ্রহণ করেন। |
||
== প্রাথমিক জীবন == |
== প্রাথমিক জীবন == |
||
ক্ষয়িঞ্চু জমিদার পরিবারে কাইয়ুম চৌধুরী জন্ম গ্রহণ করেন যেখানে অর্থের জৌলুস না শিক্ষা ও উদার মানসের জোরদার অবস্থান ছিল । পরিবারের এক সদস্য আমীনুল ইসলাম চৌধুরী লিখেছিলেন নোয়াখালীর ইতিহাস। পিতা আবদুল কুদ্দুস চৌধুরী ছিলেন সমবায় পরিদর্শক এবং পরে হয়েছিলেন [[সমবায় ব্যাংক|সমবায় ব্যাংকের]] কর্মকর্তা। [[নোয়াখালী]]তে [[গোপাল হালদার|গোপাল হালদারের]] সঙ্গে ছিল তাঁর সখ্য। [[কুমিল্লা]]য় গায়ক মোহাম্মদ হোসেন খসরু এবং লোকগানের সাধক [[শচীন দেববর্মন|শচীন দেববর্মনের]] সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা গড়ে উঠেছিল। [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামের]] [[আব্দুল করিম|আব্দুল করিম সাহিত্য বিশারদের]] সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক যোগাযোগ ছিল । বাবার বদলির চাকরির সুবাদে কাইয়ুম চৌধুরী বাংলার অনেক এলাকায় ঘুরে ফিরেছেন।<ref name="Kaium Chowdury1"/> |
|||
== শিক্ষা জীবন == |
== শিক্ষা জীবন == |
||
মক্তবে কাইয়ুম চৌধুরীর শিক্ষার হাতেখড়ি, তারপর ভর্তি হন [[চট্টগ্রাম|চট্টগ্রামের]] নর্মাল স্কুলে। এরপর কিছুকাল [[কুমিল্লা]]য় কাটিয়ে চলে যান [[নড়াইল|নড়াইলে]]। চিত্রা পারের এই শহরে কাটে তাঁর তিনটি বছর। সেখান থেকে সন্দ্বীপ এসে ভর্তি হন প্রথমে সন্দ্বীপ হাই স্কুলে ও পরে কারগিল হাই স্কুলে। <ref name="Kaium Chowdury"/> |
|||
এরপর [[নোয়াখালী]] সদরে কিছুকাল কাটিয়ে পিতার সঙ্গে তাঁর ঠাঁই বদল হয় [[ফেনী]]তে। ভর্তি হলেন ফেনী হাই স্কুলে, সেখানে থেকে যান [[ফরিদপুর|ফরিদপুরে]]। [[ফরিদপুর]] থেকে [[ময়মনসিংহ]] এসে ১৯৪৯ সালে সিটি কলেজিয়েট স্কুল থেকে যখন ম্যাট্রিক পাশ করেন। স্কুল জীবন থেকে আঁকাআঁকির প্রতি ঝোঁক দেখা গিয়েছিল কাইয়ুম চৌধুরীর। ১৯৪৯ সালে আর্ট ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়ে কাইয়ুম চৌধুরী কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা সমাপন করেন ১৯৫৪ সালে।তিনি শিক্ষক হিসেবে পেয়েছিলেন [[জয়নুল আবেদীন]]কে। সদ্য-প্রতিষ্ঠিত আর্টস ইনস্টিটিউটের নবীন শিক্ষার্থীরা ১৯৫২ সালের [[ভাষা আন্দোলন|ভাষা আন্দোলনে]] বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। ইমদাদ হোসেন, [[মুর্তজা বশীর]], [[আমিনুল ইসলাম]], দেবদাস চক্রবর্তী প্রমুখ ছিলেন প্রতিবাদী আয়োজনের নিরলস কর্মী এবং সকল মিছিলের পুরোভাগে। অন্তর্মুখী স্বভাবের কাইয়ুম চৌধুরীরও সম্পৃক্তি ছিলেন। <ref name="Kaium Chowdury"/>শিক্ষার্থী জীবন প্রসঙ্গে পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে কাইয়ুম চৌধুরী বলেন: "আমি আমার শিল্পী জীবন যখন শুরু করি আমার সঙ্গে যাঁরা ছিলেন কবি, শিল্পী, সাহিত্যিক, গায়ক এদের সবার মধ্যে একটা যোগযোগ ছিল। যেমন, আমার বন্ধুস্থানীয়দের মধ্যে আমার খুব ঘনিষ্টতম বন্ধু-যার সঙ্গে আমি একই সঙ্গে রাতও কাটিয়েছি, তিনি [[সৈয়দ শামসুল হক]]। তারপর [[শামসুর রাহমান]], [[আলাউদ্দিন আল আজাদ]], [[হাসান হাফিজুর রহমান]], [[বোরহান্নউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর]]। আমরা এক সময় একই সঙ্গে কাজ করতাম। সেই সময় গায়কদের মধ্যে যেমন [[আবদুল আলীম]] সাহেবকে দেখেছি যে, কবি [[জসীম উদ্দিন]] তাঁকে গান শেখাচ্ছেন। জসীম উদ্দিন সাহেব তাঁর ভাঙা গলায় সুর তুলে দিচ্ছেন আবদুল আলীমের গলায়, [[নীনা হামিদ|নীনা হামিদের]] গলায়, এগুলো তো আমাদের চোখের সামনে দেখা। মিউজিশিয়ানদের মধ্যে, আজকে যেমন [[সমর দাস]], আমার খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু।" <ref>সাপ্তাহিক ২০০০, ২২ অক্টোবর ১৯৯৯, পৃ. ৪৭</ref> |
|||
== কর্মজীবন == |
== কর্মজীবন == |
||
১৯৫৫ থেকে ১৯৫৬ সাল পর্যন্ত কাইয়ুম চৌধুরী নানা ধরনের ব্যবহারিক কাজ করেছেন, বিজ্ঞাপনী সংস্থার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন, আর বইয়ের প্রচ্ছদ ও সচিত্রকরণের কাজ করেছেন । সিগনেটের বই কাইয়ুম চৌধুরীর জন্য ছিল এক অনুপম নির্দশন। সাময়িক পত্রিকা বিষয়ে আগ্রহী কাইয়ুম চৌধুরী, ছায়াছবি নামে একটি চলচ্চিত্র সাময়িকী যুগ্মভাবে সম্পাদনা করেছিলেন কিছুকাল। সুযোগমতো টুকটাক প্রচ্ছদ আঁকছিলেন এবং এই কাজের সূত্রেই পরিচয় [[সৈয়দ শামসুল হক|সৈয়দ শামসুল হকের]] সঙ্গে। ১৯৫৫ সালে তাঁর দুই বইয়ের প্রচ্ছদ এঁকেছিলেন, কিন্তু প্রকাশক অপারগ হওয়ায় সে-বই প্রকাশিত। প্রচ্ছদে একটি পালাবদল তিনি ঘটালেন ১৯৫৭ সালে প্রকাশিত জহুরুল হকের সাত-সাঁতার গ্রন্থে। গ্রন্থের বক্তব্যের বা সারসত্যের প্রতিফলন ঘটালেন প্রচ্ছদে, একই সঙ্গে গ্রাফিক ডিজাইনে কুশলতা ও নতুন ভাবনার ছাপ মেলে ধরলেন। এমনি দক্ষতার যুগল মিলনে আঁকলেন [[ফজলে লোহানী]] রচিত 'কথাসরিত্সাগর'-এর প্রচ্ছদ যা প্রকাশিত হয়নি। গাজী শাহাবুদ্দিন আহমদের [[সচিত্র সন্ধানী]] পত্রিকার আত্মপ্রকাশ তাঁর অঙ্কন, টাইপোগ্রাফিবোধ ও রসসিঞ্চিত তির্যক রচনা প্রকাশের মাধ্যমে হয়ে উঠেছিল। ১৯৫৭ সালে কাইয়ুম চৌধুরী আর্ট কলেজে শিক্ষকতায় যোগ দেন।<ref name="Kaium Chowdury1">[http://shoily.com/?p=1968&upm_export=print] </ref> |
|||
== সন্মাননা == |
== সন্মাননা == |
||
শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী [[সুফিয়া কামাল]] পদক লাভ করেন ২০১০ সালে।প্রতিক্রিয়ায় শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, 'এমন একজন মহীয়সী নারীর নামাঙ্কিত পদক আমাকে প্রদান করা হয়েছে, জানি না আমি এর যোগ্য কি না। আমি এর জন্য আনন্দিত এবং গর্বিত। [[বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ|বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের]] কাছে আমি অশেষ কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।'<ref>{{cite web|url=http://dailykalerkantho.com/?view=details&archiev=yes&arch_date=21-06-2010&type=gold&data=Loan&pub_no=201&cat_id=1&menu_id=43&news_type_id=1&index=20|title=কাইয়ুম চৌধুরী|last= |first=|date=২১শে জুন, ২০১০|work=দৈনিক কালের কন্ঠ|accessdate=জানুয়ারি ১৬,২০১০}}</ref> কাইয়ুম চৌধুরীর ৭৮তম জন্মবার্ষিকীতে [[সৈয়দ শামসুল হক]] বলেন, সত্যিকার অর্থে বিশ্বমানের শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী। মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, [[সত্যজিত রায়|সত্যজিত রায়ের]] পর গ্রাফিক্স কিংবা প্রচ্ছদ শিল্পকে তিনি অন্যরকম অবস্থানে নিয়ে গেছেন। [[কামাল লোহানী]] বলেন, কাইয়ুম চৌধুরী আমাদের চলার পথে সংগ্রামী সাথী। |
|||
অধ্যাপক [[বোরহানউদ্দীন খান জাহাঙ্গীর]] বলেন, তাঁর মতো বন্ধু পাওয়া ভাগ্যের ব্যাপার।.<ref name="Riddick">{{cite web|url=http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-03-10/news/47797|title= কাইয়ুম চৌধুরী |last=|first=|date=মার্চ ১০,২০১০|work= দৈনিক প্রথম আলো|accessdate= জানুয়ারি ১৬,২০১০ }}</ref> |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
||
<references /> |
|||
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2010-03-10/news/47797 |
|||
http://gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=57 |
|||
http://shoily.com/?p=1968&upm_export=print |
|||
== বহিঃসংযোগ == |
== বহিঃসংযোগ == |
||
* http://www.samakal.com.bd/details.php?news=17&view=archiev&y=2010&m=03&d=10&action=main&menu_type=&option=single&news_id=51567&pub_no=272&type= |
* http://www.samakal.com.bd/details.php?news=17&view=archiev&y=2010&m=03&d=10&action=main&menu_type=&option=single&news_id=51567&pub_no=272&type= |
১২:৩৪, ১৩ জুন ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
কাইয়ুম চৌধুরী | |
---|---|
জন্ম | |
শিক্ষা | তেলচিত্র, রেখাচিত্র]] ,জলরং, ছাপচিত্র |
পরিচিতির কারণ | চিত্রশিল্প, প্রচ্ছদশিল্প |
উল্লেখযোগ্য কর্ম | ঘুড়ি হাতে বালক, আত্মপ্রকৃতি, বিড়াল |
কাইয়ুম চৌধুরী (জন্ম ১৯৩৪) একজন বাংলাদেশী স্বনামধন্য চিত্রশিল্পী। তিনি বাংলাদেশের একজন চিত্রশিল্পী যিনি ১৯৩৪ সালে ফেনীতে জন্মগ্রহণ করেন।