নৃসিংহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ne:नृसिँह अवतार
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট কসমেটিক পরিবর্তন করছে, কোনো সমস্যা?
২৪ নং লাইন: ২৪ নং লাইন:


=== নৃসিংহ ও প্রহ্লাদ ===
=== নৃসিংহ ও প্রহ্লাদ ===
[[Image:Narasimha LACMA.jpg|thumb|right|210px| নৃসিংহ [[হিরণ্যকশিপু]] দানবকে হত্যা করছেন, [[প্রহ্লাদ]] ও তাঁর মা নৃসিংহদেবকে প্রণাম করছেন।]]
[[চিত্র:Narasimha LACMA.jpg|thumb|right|210px| নৃসিংহ [[হিরণ্যকশিপু]] দানবকে হত্যা করছেন, [[প্রহ্লাদ]] ও তাঁর মা নৃসিংহদেবকে প্রণাম করছেন।]]


''[[ভাগবত পুরাণ]]''-এ বর্ণিত নৃসিংহের কাহিনিটি নিম্নরূপ:
''[[ভাগবত পুরাণ]]''-এ বর্ণিত নৃসিংহের কাহিনিটি নিম্নরূপ:
৩৮ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:
</blockquote>
</blockquote>


[[File:Narasimha statue at National Museum, New Delhi.jpg|right|210px|thumb|নৃসিংহ মূর্তি]]
[[চিত্র:Narasimha statue at National Museum, New Delhi.jpg|right|210px|thumb|নৃসিংহ মূর্তি]]
হিরণ্যকশিপু যখন মন্দার পর্বতে তপস্যা করছিলেন, তখন [[ইন্দ্র]] ও অন্যান্য দেবগণ তাঁর প্রাসাদ আক্রমণ করেন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/7/6/en1 Bhag-P 7.7.6] "The victorious demigods plundered the palace of Hiranyakasipu, the king of the demons, and destroyed everything within it. Then Indra, King of heaven, arrested Prahalada's mother and Hiranyakasipu's wife Kayadu, the Queen"</ref> দেবর্ষি [[নারদ]] হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদুকে রক্ষা করেন। দেবর্ষি দেবগণের নিকট কায়াদুকে ‘পাপহীনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/7/8/en1 Bhag-P 7.7.8] "Narada Muni said: O Indra, King of the demigods, this woman is certainly sinless. You should not drag her off in this merciless way. This chaste woman is the wife of another. You must immediately release her." </ref> নারদ কায়াদুকে নিজ আশ্রমে নিয়ে যান। সেখানে কায়াদু [[প্রহ্লাদ]] নামে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। নারদ প্রহ্লাদকে শিক্ষিত করে তোলেন। নারদের প্রভাবে প্রহ্লাদ হয়ে ওঠেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এতে তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/6/en1 Bhag-P 7.8.6] </ref>
হিরণ্যকশিপু যখন মন্দার পর্বতে তপস্যা করছিলেন, তখন [[ইন্দ্র]] ও অন্যান্য দেবগণ তাঁর প্রাসাদ আক্রমণ করেন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/7/6/en1 Bhag-P 7.7.6] "The victorious demigods plundered the palace of Hiranyakasipu, the king of the demons, and destroyed everything within it. Then Indra, King of heaven, arrested Prahalada's mother and Hiranyakasipu's wife Kayadu, the Queen"</ref> দেবর্ষি [[নারদ]] হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদুকে রক্ষা করেন। দেবর্ষি দেবগণের নিকট কায়াদুকে ‘পাপহীনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/7/8/en1 Bhag-P 7.7.8] "Narada Muni said: O Indra, King of the demigods, this woman is certainly sinless. You should not drag her off in this merciless way. This chaste woman is the wife of another. You must immediately release her." </ref> নারদ কায়াদুকে নিজ আশ্রমে নিয়ে যান। সেখানে কায়াদু [[প্রহ্লাদ]] নামে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। নারদ প্রহ্লাদকে শিক্ষিত করে তোলেন। নারদের প্রভাবে প্রহ্লাদ হয়ে ওঠেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এতে তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/6/en1 Bhag-P 7.8.6] </ref>
৪৬ নং লাইন: ৪৬ নং লাইন:
<blockquote> "ওরে হতভাগা প্রহ্লাদ, তুই সব সময়ই আমার থেকেও মহৎ এক পরম সত্তার কথা বলিস। এমন এক সত্তা যা সর্বত্র অধিষ্ঠিত, যা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং যা সর্বত্রব্যাপী। কিন্তু সে কোথায়? সে যদি সর্বত্র থাকে তবে আমার সম্মুখের এই স্তম্ভটিতে কেন নেই?"<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/12/en1 Bhag-P 7.8.12] </ref></blockquote>
<blockquote> "ওরে হতভাগা প্রহ্লাদ, তুই সব সময়ই আমার থেকেও মহৎ এক পরম সত্তার কথা বলিস। এমন এক সত্তা যা সর্বত্র অধিষ্ঠিত, যা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং যা সর্বত্রব্যাপী। কিন্তু সে কোথায়? সে যদি সর্বত্র থাকে তবে আমার সম্মুখের এই স্তম্ভটিতে কেন নেই?"<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/12/en1 Bhag-P 7.8.12] </ref></blockquote>


[[File:Narasimha Cambodia.jpg|left|thumb|নৃসিংহ হিরণ্যকশিপুকে নখরাঘাত করছেন, [[ব্যানটেই স্রেই]], [[কম্বোডিয়া]]]]
[[চিত্র:Narasimha Cambodia.jpg|left|thumb|নৃসিংহ হিরণ্যকশিপুকে নখরাঘাত করছেন, [[ব্যানটেই স্রেই]], [[কম্বোডিয়া]]]]
প্রহ্লাদ উত্তর দিলেন, ''তিনি [এই স্তম্ভে] ছিলেন, আছে ও থাকবেন।'' উপাখ্যানের অন্য একটি পাঠান্তর অনুযায়ী, প্রহ্লাদ বলেছিলেন, ''তিনি এই স্তম্ভে আছেন, এমনকি ক্ষুদ্রতম যষ্টিটিতেও আছেন।'' হিরণ্যকশিপু ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে গদার আঘাতে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেন। তখনই সেই ভগ্ন স্তম্ভ থেকে প্রহ্লাদের সাহায্যার্থে নৃসিংহের মূর্তিতে আবির্ভূত হন বিষ্ণু। ব্রহ্মার বর যাতে বিফল না হয়, অথচ হিরণ্যকশিপুকেও হত্যা করা যায়, সেই কারণেই বিষ্ণু নরসিংহের বেশ ধারণ করেন: হিরণ্যকশিপু দেবতা, মানব বা পশুর মধ্য নন, তাই নৃসিংহ পরিপূর্ণ দেবতা, মানব বা পশু নন; হিরণ্যকশিপুকে দিবসে বা রাত্রিতে বধ করা যাবে না, তাই নৃসিংহ দিন ও রাত্রির সন্ধিস্থল গোধূলি সময়ে তাঁকে বধ করেন; হিরণ্যকশিপু ভূমিতে বা আকাশে কোনো শস্ত্রাঘাতে বধ্য নন, তাই নৃসিংহ তাঁকে নিজ জঙ্ঘার উপর স্থাপন করে নখরাঘাতে হত্যা করেন; হিরণ্যকশিপু নিজ গৃহ বা গৃহের বাইরে বধ্য ছিলেন না, তাই নৃসিংহ তাঁকে বধ করেন তাঁরই গৃহদ্বারে।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/29/en1 Bhag-P 7.8.29] "Lord Narasimhadeva placed the demon on his lap, supporting him with his thighs, and in the doorway of the assembly hall the lord very easily tore the demon to pieces with the nails of his hand." </ref>
প্রহ্লাদ উত্তর দিলেন, ''তিনি [এই স্তম্ভে] ছিলেন, আছে ও থাকবেন।'' উপাখ্যানের অন্য একটি পাঠান্তর অনুযায়ী, প্রহ্লাদ বলেছিলেন, ''তিনি এই স্তম্ভে আছেন, এমনকি ক্ষুদ্রতম যষ্টিটিতেও আছেন।'' হিরণ্যকশিপু ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে গদার আঘাতে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেন। তখনই সেই ভগ্ন স্তম্ভ থেকে প্রহ্লাদের সাহায্যার্থে নৃসিংহের মূর্তিতে আবির্ভূত হন বিষ্ণু। ব্রহ্মার বর যাতে বিফল না হয়, অথচ হিরণ্যকশিপুকেও হত্যা করা যায়, সেই কারণেই বিষ্ণু নরসিংহের বেশ ধারণ করেন: হিরণ্যকশিপু দেবতা, মানব বা পশুর মধ্য নন, তাই নৃসিংহ পরিপূর্ণ দেবতা, মানব বা পশু নন; হিরণ্যকশিপুকে দিবসে বা রাত্রিতে বধ করা যাবে না, তাই নৃসিংহ দিন ও রাত্রির সন্ধিস্থল গোধূলি সময়ে তাঁকে বধ করেন; হিরণ্যকশিপু ভূমিতে বা আকাশে কোনো শস্ত্রাঘাতে বধ্য নন, তাই নৃসিংহ তাঁকে নিজ জঙ্ঘার উপর স্থাপন করে নখরাঘাতে হত্যা করেন; হিরণ্যকশিপু নিজ গৃহ বা গৃহের বাইরে বধ্য ছিলেন না, তাই নৃসিংহ তাঁকে বধ করেন তাঁরই গৃহদ্বারে।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/8/29/en1 Bhag-P 7.8.29] "Lord Narasimhadeva placed the demon on his lap, supporting him with his thighs, and in the doorway of the assembly hall the lord very easily tore the demon to pieces with the nails of his hand." </ref>


৫৩ নং লাইন: ৫৩ নং লাইন:
''[[ভাগবত পুরাণ]]''-এ আরও বলা হয়েছে: হিরণ্যকশিপুকে বধ করার পর সকল দেবতাই নৃসিংহদেবের ক্রোধ নিবারণে ব্যর্থ হন। বিফল হন স্বয়ং [[শিব|শিবও]]। সকল দেবগণ তখন তাঁর পত্নী [[লক্ষ্মী|লক্ষ্মীকে]] ডাকেন; কিন্তু লক্ষ্মীও স্বামীর ক্রোধ নিবারণে অক্ষম হন। তখন ব্রহ্মার অনুরোধে প্রহ্লাদ এগিয়ে আসেন। ভক্ত প্রহ্লাদের স্তবগানে অবশেষে নৃসিংহদেব শান্ত হন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/9/en1 Bhag-P 7.9] </ref> নৃসিংহদেব "প্রহ্লাদকে কোলে লইয়া গা চাটিতে লাগিলেন।"<ref>''দশাবতার চরিত'', ইন্দ্রদয়াল ভট্টাচার্য, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ২০০৯ মুদ্রণ, পৃ. ৪৮</ref> প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নৃসিংহদেব প্রহ্লাদকে রাজা করে দেন।<ref name="Soifer">p.84</ref>
''[[ভাগবত পুরাণ]]''-এ আরও বলা হয়েছে: হিরণ্যকশিপুকে বধ করার পর সকল দেবতাই নৃসিংহদেবের ক্রোধ নিবারণে ব্যর্থ হন। বিফল হন স্বয়ং [[শিব|শিবও]]। সকল দেবগণ তখন তাঁর পত্নী [[লক্ষ্মী|লক্ষ্মীকে]] ডাকেন; কিন্তু লক্ষ্মীও স্বামীর ক্রোধ নিবারণে অক্ষম হন। তখন ব্রহ্মার অনুরোধে প্রহ্লাদ এগিয়ে আসেন। ভক্ত প্রহ্লাদের স্তবগানে অবশেষে নৃসিংহদেব শান্ত হন।<ref> [http://srimadbhagavatam.com/7/9/en1 Bhag-P 7.9] </ref> নৃসিংহদেব "প্রহ্লাদকে কোলে লইয়া গা চাটিতে লাগিলেন।"<ref>''দশাবতার চরিত'', ইন্দ্রদয়াল ভট্টাচার্য, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ২০০৯ মুদ্রণ, পৃ. ৪৮</ref> প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নৃসিংহদেব প্রহ্লাদকে রাজা করে দেন।<ref name="Soifer">p.84</ref>


[[Image:Sarabha Narasinmha Kangra.jpg|thumb|210px|নৃসিংহের সঙ্গে [[শরভ]] (ডানে)]]
[[চিত্র:Sarabha Narasinmha Kangra.jpg|thumb|210px|নৃসিংহের সঙ্গে [[শরভ]] (ডানে)]]


''[[শিবপুরাণ]]'' গ্রন্থে নৃসিংহ উপাখ্যানের একটি [[শৈব]] পাঠান্তর বর্ণিত হয়েছে, যা প্রথাগত কাহিনিটির থেকে একটু ভিন্ন: নৃসিংহকে শান্ত করতে শিব প্রথমে [[বীরভদ্র|বীরভদ্রকে]] প্রেরণ করেন। কিন্তু বীরভদ্র ব্যর্থ হলে শিব স্বয়ং মনুষ্য-সিংহ-পক্ষী রূপী [[শরভ|শরভের]] রূপ ধারণ করেন। এই কাহিনির শেষভাগে বলা হয়েছে, শরভ কর্তৃক বদ্ধ হয়ে বিষ্ণু শিবের ভক্তে পরিণত হন। ''[[লিঙ্গপুরাণ]]'' গ্রন্থেও শরভের কাহিনি রয়েছে।<ref name="Soifer 1991 91–92">{{cite book|last=Soifer|first=Deborah A.|title=The myths of Narasiṁha and Vāmana: two avatars in cosmological perspective|publisher=SUNY Press|date=1991|page=90-91|isbn=9780791407998|url=http://books.google.com/books?id=OoFDK_sDGHwC&pg=PA4}}</ref> যদিও [[বিজয়েন্দ্র তীর্থ]] প্রমুখ বৈষ্ণব [[দ্বৈত|দ্বৈতবাদী]] পণ্ডিতগণ [[পুরাণ|সাত্ত্বিক পুরাণ]] ও [[শ্রুতি]] শাস্ত্রের ভিত্তিতে নৃসিংহের উপাখ্যানটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে বিতর্কের অবকাশ রেখেছেন।<ref>{{cite book|last=Sharma|first= B. N. Krishnamurti|title=A history of the Dvaita school of Vedānta and its literature: from the earliest beginnings to our own times|publisher=Motilal Banarsidass Publ.|date=2000|pages=412|url=http://books.google.com/books?id=FVtpFMPMulcC&pg=PA412&}}</ref>
''[[শিবপুরাণ]]'' গ্রন্থে নৃসিংহ উপাখ্যানের একটি [[শৈব]] পাঠান্তর বর্ণিত হয়েছে, যা প্রথাগত কাহিনিটির থেকে একটু ভিন্ন: নৃসিংহকে শান্ত করতে শিব প্রথমে [[বীরভদ্র|বীরভদ্রকে]] প্রেরণ করেন। কিন্তু বীরভদ্র ব্যর্থ হলে শিব স্বয়ং মনুষ্য-সিংহ-পক্ষী রূপী [[শরভ|শরভের]] রূপ ধারণ করেন। এই কাহিনির শেষভাগে বলা হয়েছে, শরভ কর্তৃক বদ্ধ হয়ে বিষ্ণু শিবের ভক্তে পরিণত হন। ''[[লিঙ্গপুরাণ]]'' গ্রন্থেও শরভের কাহিনি রয়েছে।<ref name="Soifer 1991 91–92">{{cite book|last=Soifer|first=Deborah A.|title=The myths of Narasiṁha and Vāmana: two avatars in cosmological perspective|publisher=SUNY Press|date=1991|page=90-91|isbn=9780791407998|url=http://books.google.com/books?id=OoFDK_sDGHwC&pg=PA4}}</ref> যদিও [[বিজয়েন্দ্র তীর্থ]] প্রমুখ বৈষ্ণব [[দ্বৈত|দ্বৈতবাদী]] পণ্ডিতগণ [[পুরাণ|সাত্ত্বিক পুরাণ]] ও [[শ্রুতি]] শাস্ত্রের ভিত্তিতে নৃসিংহের উপাখ্যানটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে বিতর্কের অবকাশ রেখেছেন।<ref>{{cite book|last=Sharma|first= B. N. Krishnamurti|title=A history of the Dvaita school of Vedānta and its literature: from the earliest beginnings to our own times|publisher=Motilal Banarsidass Publ.|date=2000|pages=412|url=http://books.google.com/books?id=FVtpFMPMulcC&pg=PA412&}}</ref>
৫৯ নং লাইন: ৫৯ নং লাইন:
এই উপাখ্যান অনুসারে এবং ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহদেব তাঁর সত্য ভক্তদের চরমতম বিপদের সময় রক্ষা করেন। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এক [[কাপালিক]] দেবী [[কালী|কালীর]] নিকট [[আদি শংকর|আদি শংকরকে]] বলি দিতে গেলে নৃসিংহদেব তাঁকে রক্ষা করেছিলেন; এরপরই আদি শংকর তাঁর প্রসিদ্ধ লক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্রটি রচনা করেন।
এই উপাখ্যান অনুসারে এবং ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহদেব তাঁর সত্য ভক্তদের চরমতম বিপদের সময় রক্ষা করেন। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এক [[কাপালিক]] দেবী [[কালী|কালীর]] নিকট [[আদি শংকর|আদি শংকরকে]] বলি দিতে গেলে নৃসিংহদেব তাঁকে রক্ষা করেছিলেন; এরপরই আদি শংকর তাঁর প্রসিদ্ধ লক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্রটি রচনা করেন।


==আরও দেখুন==
== আরও দেখুন ==
* [[প্রহ্লাদ]]
* [[প্রহ্লাদ]]
* [[হিরণ্যকশিপু]]
* [[হিরণ্যকশিপু]]
৬৬ নং লাইন: ৬৬ নং লাইন:
* [[যোগ নরসিংহ মন্দির]]
* [[যোগ নরসিংহ মন্দির]]


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
{{reflist|2}}
{{reflist|2}}


==বহিঃসংযোগ==
== বহিঃসংযোগ ==
{{commonscat|Narasimha|নৃসিংহ}}
{{commonscat|Narasimha|নৃসিংহ}}
* [http://srimadbhagavatam.com/7/8/en1 Bhagavata Purana - Lord Narasimha slays Hiranyakashipu]
* [http://srimadbhagavatam.com/7/8/en1 Bhagavata Purana - Lord Narasimha slays Hiranyakashipu]
৭৮ নং লাইন: ৭৮ নং লাইন:
{{VishnuAvatars}}
{{VishnuAvatars}}


[[Category:বিষ্ণুর রূপভেদ]]
[[বিষয়শ্রেণী:বিষ্ণুর রূপভেদ]]
[[Category:বৈষ্ণবধর্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:বৈষ্ণবধর্ম]]
[[Category:সংস্কৃত শব্দ ও শব্দবন্ধ]]
[[বিষয়শ্রেণী:সংস্কৃত শব্দ ও শব্দবন্ধ]]


[[br:Narasimha]]
[[br:Narasimha]]

০৮:৩০, ২১ মে ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নৃসিংহ
দেবনাগরীनरसिंह

নৃসিংহ (সংস্কৃত: नरसिंह, বানানান্তরে নরসিংহ) বিষ্ণুর চতুর্থ অবতারপুরাণ, উপনিষদ ও অন্যান্য প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থে তাঁর উল্লেখ রয়েছে।[১] তিনি হিন্দুদের জনপ্রিয়তম দেবতাদের অন্যতম। প্রাচীন মহাকাব্য, মূর্তিতত্ত্ব, মন্দির ও উৎসব ইত্যাদির তথ্যপ্রমাণ থেকে জানা যায় এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর পূজা প্রচলিত রয়েছে।[২] নৃসিংহকে শৌর্যের মূর্তিস্বরূপ এবং তাঁর মন্ত্র শত্রুনিধন ও অমঙ্গল দূরীকরণে বিশেষ ফলপ্রসূ বলে মনে করা হয়; তাই অতীতে শাসক ও যোদ্ধারা নৃসিংহের পূজা করতেন।[৩]

নৃসিংহ অর্ধ-মনুষ্য অর্ধ-সিংহ আকারবিশিষ্ট। তাঁর দেহ মনুষ্যাকার, কিন্তু সিংহের ন্যায় মস্তক ও নখরযুক্ত।[৪] মৎস্যপুরাণ অনুযায়ী নৃসিংহ অষ্টভূজ হলেও, অগ্নিপুরাণ অনুযায়ী তিনি চতুর্ভূজ।[৫] একাধিক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে তাঁর পূজা প্রচলিত। দক্ষিণ ভারতে নৃসিংহ পূজার বিশেষ প্রচলন দেখা যায়। হিন্দুদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহ ‘মহারক্ষক’; তিনি ভক্তকে তার প্রয়োজনের সময় সর্বদা রক্ষা করে থাকেন।[৬]

শাস্ত্রোল্লেখ

একাধিক পুরাণ গ্রন্থে নৃসিংহের উল্লেখ পাওয়া যায়। পুরাণে নৃসিংহ-সংক্রান্ত মূল উপাখ্যানটির সতেরোটি পাঠান্তর বর্তমান।[৭] কয়েকটি কাহিনি অন্যান্য কাহিনিগুলির চেয়ে একটু বিস্তারিত। নৃসিংহ অবতারের বর্ণনা রয়েছে ভাগবত পুরাণ (সপ্তম স্কন্দ), অগ্নিপুরাণ (৪।২-৩), ব্রহ্মাণ্ডপুরাণ (২।৫।৩-২৯), বায়ুপুরাণ (৬৭।৬১-৬৬), হরিবংশ (৪১ এবং ৩।৪১-৪৭), ব্রহ্মাপুরাণ (২১৩।৪৪-৭৯), বিষ্ণুধর্মোত্তর পুরাণ (১।৫৪), কূর্মপুরাণ (১।১৫।১৮-৭২), মৎস্যপুরাণ (১৬১-১৬৩), পদ্মাপুরাণ (উত্তরখণ্ড, ৫।৪২), শিবপুরাণ (২।৪।৪৩ ও ৩।১০-১২), লিঙ্গপুরাণ (১।৯৫-৯৬), স্কন্দপুরাণ ৭ (২।১৮।৬০-১৩০) ও বিষ্ণুপুরাণ (১।১৬-২০) গ্রন্থে। মহাভারত-এও (৩।২৭২।৫৬-৬০) নৃসিংহ অবতারের একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা রয়েছে। এছাড়া একটি প্রাচীন বৈষ্ণব তাপনী উপনিষদ (নরসিংহ তাপনী উপনিষদ) তাঁর নামে উল্লিখিত হয়েছে।

বৈদিক উল্লেখ

ঋগ্বেদে একটি শ্লোকাংশে একটি রূপকল্পের উল্লেখ পাওয়া যায়। এই রূপকল্পটি নৃসিংহরূপী বিষ্ণুর রূপকল্প বলে অনুমিত হয়ে থাকে। উক্ত শ্লোকে বলা হয়েছে "বন্য জন্তুর ন্যায়, ভয়ংকর, বিধ্বংসী ও পর্বতচারী" রূপে বিষ্ণুর গুণ কেবল তাঁর অবতারে দৃষ্ট হয় (ঋগ্বেদ ১।১৫৪।২ক)। ঋগ্বেদের অষ্টম মণ্ডলে (১৪।১৩) বর্ণিত নামুচির উপাখ্যানে নৃসিংহের ছায়া লক্ষিত হয়: "হে ইন্দ্র, জলের বুদ্বুদের দ্বারা তুমি নামুচির মস্তক ছিন্ন করলে এবং সকল প্রতিকূল শক্তিগুলিকে নিমজ্জিত করলে।" মনে করা হয় এই ক্ষুদ্র উল্লেখটি থেকে নৃসিংহের পূর্ণ কাহিনিটি বিকাশ লাভ করেছে।[২]

নৃসিংহ ও প্রহ্লাদ

নৃসিংহ হিরণ্যকশিপু দানবকে হত্যা করছেন, প্রহ্লাদ ও তাঁর মা নৃসিংহদেবকে প্রণাম করছেন।

ভাগবত পুরাণ-এ বর্ণিত নৃসিংহের কাহিনিটি নিম্নরূপ:

নৃসিংহের পূর্ববর্তী অবতার বরাহ হিরণ্যাক্ষ নামে এক রাক্ষসকে বধ করেন। হিরণ্যাক্ষের ভাই হিরণ্যকশিপু এই কারণে প্রবল বিষ্ণুবিদ্বেষী হয়ে ওঠেন। দাদার হত্যার প্রতিশোধ মানসে তিনি বিষ্ণুকে হত্যা করার পথ খুঁজতে থাকেন। তিনি মনে করেন, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা এই জাতীয় প্রবল ক্ষমতা প্রদানে সক্ষম। তিনি বহু বছর ব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করেন। ব্রহ্মাও হিরণ্যকশিপুর তপস্যায় সন্তুষ্ট হন।[৮] তিনি হিরণ্যকশিপুর সম্মুখে উপস্থিত হয়ে তাঁকে বর দিতে চান। হিরণ্যকশিপু বলেন:

হে প্রভু, হে শ্রেষ্ঠ বরদাতা, আপনি যদি আমাকে সত্যই বর দিতে চান, তবে এমন বর দিন যে বরে আপনার সৃষ্ট কোনো জীবের হস্তে আমার মৃত্যু ঘটবে না।

আমাকে এমন বর দিন যে বরে আমার বাসস্থানের অন্দরে বা বাহিরে আমার মৃত্যু ঘটবে না; দিবসে বা রাত্রিতে, ভূমিতে বা আকাশে আমার মৃত্যু হবে না। আমাকে এমন বর দিন যে বরে শস্ত্রাঘাতে, মনুষ্য বা পশুর হাতে আমার মৃত্যু হবে না।

আমাকে এমন বর দিন যে বরে কোনো জীবিত বা মৃত সত্তার হাতে আমার মৃত্যু হবে না; কোনো উপদেবতা, দৈত্য বা পাতালের মহানাগ আমাকে হত্যা করতে পারবে না; যুদ্ধক্ষেত্রে আপনাকে কেউই হত্যা করতে পারে না; তাই আপনার কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী নেই। আমাকেও বর দিন যাতে আমারও কোনো প্রতিযোগী না থাকে। এমন বর দিন যাতে সকল জীবসত্তা ও প্রভুত্বকারী দেবতার উপর আমার একাধিপত্য স্থাপিত হয় এবং আমাকে সেই পদমর্যাদার উপযুক্ত সকল গৌরব প্রদান করুন। এছাড়া আমাকে তপস্যা ও যোগসাধনার প্রাপ্তব্য সকল সিদ্ধাই প্রদান করুন, যা কোনোদিনও আমাকে ত্যাগ করবে না।[৯]

নৃসিংহ মূর্তি

হিরণ্যকশিপু যখন মন্দার পর্বতে তপস্যা করছিলেন, তখন ইন্দ্র ও অন্যান্য দেবগণ তাঁর প্রাসাদ আক্রমণ করেন।[১০] দেবর্ষি নারদ হিরণ্যকশিপুর স্ত্রী কায়াদুকে রক্ষা করেন। দেবর্ষি দেবগণের নিকট কায়াদুকে ‘পাপহীনা’ বলে উল্লেখ করেছিলেন।[১১] নারদ কায়াদুকে নিজ আশ্রমে নিয়ে যান। সেখানে কায়াদু প্রহ্লাদ নামে একটি পুত্রসন্তানের জন্ম দেন। নারদ প্রহ্লাদকে শিক্ষিত করে তোলেন। নারদের প্রভাবে প্রহ্লাদ হয়ে ওঠেন পরম বিষ্ণুভক্ত। এতে তাঁর পিতা হিরণ্যকশিপু অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হন।[১২]

ক্রমে প্রহ্লাদের বিষ্ণুভক্তিতে হিরণ্যকশিপু এতটাই ক্ষুব্ধ ও বিরক্ত হন যে তিনি নিজ পুত্রকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন।[১৩] কিন্তু যতবারই তিনি বালক প্রহ্লাদকে বধ করতে যান, ততবারই বিষ্ণুর মায়াবলে প্রহ্লাদের প্রাণ রক্ষা পায়। হিরণ্যকশিপু প্রহ্লাদকে বলেন তাঁকে ত্রিভুবনের অধিপতি রূপে স্বীকার করে নিতে। প্রহ্লাদ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন একমাত্র বিষ্ণুই এই ব্রহ্মাণ্ডের সর্বোচ্চ প্রভু। ক্রুদ্ধ হিরণ্যকশিপু তখন একটি স্তম্ভ দেখিয়ে প্রহ্লাদকে জিজ্ঞাসা করেন যে ‘তার বিষ্ণু’ সেখানেও আছেন কিনা:

"ওরে হতভাগা প্রহ্লাদ, তুই সব সময়ই আমার থেকেও মহৎ এক পরম সত্তার কথা বলিস। এমন এক সত্তা যা সর্বত্র অধিষ্ঠিত, যা সকলকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং যা সর্বত্রব্যাপী। কিন্তু সে কোথায়? সে যদি সর্বত্র থাকে তবে আমার সম্মুখের এই স্তম্ভটিতে কেন নেই?"[১৪]

নৃসিংহ হিরণ্যকশিপুকে নখরাঘাত করছেন, ব্যানটেই স্রেই, কম্বোডিয়া

প্রহ্লাদ উত্তর দিলেন, তিনি [এই স্তম্ভে] ছিলেন, আছে ও থাকবেন। উপাখ্যানের অন্য একটি পাঠান্তর অনুযায়ী, প্রহ্লাদ বলেছিলেন, তিনি এই স্তম্ভে আছেন, এমনকি ক্ষুদ্রতম যষ্টিটিতেও আছেন। হিরণ্যকশিপু ক্রোধ সংবরণ করতে না পেরে গদার আঘাতে স্তম্ভটি ভেঙে ফেলেন। তখনই সেই ভগ্ন স্তম্ভ থেকে প্রহ্লাদের সাহায্যার্থে নৃসিংহের মূর্তিতে আবির্ভূত হন বিষ্ণু। ব্রহ্মার বর যাতে বিফল না হয়, অথচ হিরণ্যকশিপুকেও হত্যা করা যায়, সেই কারণেই বিষ্ণু নরসিংহের বেশ ধারণ করেন: হিরণ্যকশিপু দেবতা, মানব বা পশুর মধ্য নন, তাই নৃসিংহ পরিপূর্ণ দেবতা, মানব বা পশু নন; হিরণ্যকশিপুকে দিবসে বা রাত্রিতে বধ করা যাবে না, তাই নৃসিংহ দিন ও রাত্রির সন্ধিস্থল গোধূলি সময়ে তাঁকে বধ করেন; হিরণ্যকশিপু ভূমিতে বা আকাশে কোনো শস্ত্রাঘাতে বধ্য নন, তাই নৃসিংহ তাঁকে নিজ জঙ্ঘার উপর স্থাপন করে নখরাঘাতে হত্যা করেন; হিরণ্যকশিপু নিজ গৃহ বা গৃহের বাইরে বধ্য ছিলেন না, তাই নৃসিংহ তাঁকে বধ করেন তাঁরই গৃহদ্বারে।[১৫]

কূর্মপুরাণ-এর বর্ণনা অনুসারে, এরপর পুরুষ ও দৈত্যদের মধ্যে এক প্রবল সংগ্রাম শুরু হয়। এই যুদ্ধে তিনি পাশুপত নামে এক মহাস্ত্রকে প্রতিহত করেন। পরে প্রহ্লাদের ভাই অনুহ্রদের নেতৃত্বাধীন দৈত্যবাহিনীকে নৃসিংহ অবতারের দেহ হতে নির্গত এক মহাসিংহ যমালয়ে প্রেরণ করেন।[২] মৎস্যপুরাণ (১৭৯) গ্রন্থেও নৃসিংহ অবতারের বর্ণনার পর এই ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে।[২]

ভাগবত পুরাণ-এ আরও বলা হয়েছে: হিরণ্যকশিপুকে বধ করার পর সকল দেবতাই নৃসিংহদেবের ক্রোধ নিবারণে ব্যর্থ হন। বিফল হন স্বয়ং শিবও। সকল দেবগণ তখন তাঁর পত্নী লক্ষ্মীকে ডাকেন; কিন্তু লক্ষ্মীও স্বামীর ক্রোধ নিবারণে অক্ষম হন। তখন ব্রহ্মার অনুরোধে প্রহ্লাদ এগিয়ে আসেন। ভক্ত প্রহ্লাদের স্তবগানে অবশেষে নৃসিংহদেব শান্ত হন।[১৬] নৃসিংহদেব "প্রহ্লাদকে কোলে লইয়া গা চাটিতে লাগিলেন।"[১৭] প্রত্যাবর্তনের পূর্বে নৃসিংহদেব প্রহ্লাদকে রাজা করে দেন।[২]

নৃসিংহের সঙ্গে শরভ (ডানে)

শিবপুরাণ গ্রন্থে নৃসিংহ উপাখ্যানের একটি শৈব পাঠান্তর বর্ণিত হয়েছে, যা প্রথাগত কাহিনিটির থেকে একটু ভিন্ন: নৃসিংহকে শান্ত করতে শিব প্রথমে বীরভদ্রকে প্রেরণ করেন। কিন্তু বীরভদ্র ব্যর্থ হলে শিব স্বয়ং মনুষ্য-সিংহ-পক্ষী রূপী শরভের রূপ ধারণ করেন। এই কাহিনির শেষভাগে বলা হয়েছে, শরভ কর্তৃক বদ্ধ হয়ে বিষ্ণু শিবের ভক্তে পরিণত হন। লিঙ্গপুরাণ গ্রন্থেও শরভের কাহিনি রয়েছে।[১৮] যদিও বিজয়েন্দ্র তীর্থ প্রমুখ বৈষ্ণব দ্বৈতবাদী পণ্ডিতগণ সাত্ত্বিক পুরাণশ্রুতি শাস্ত্রের ভিত্তিতে নৃসিংহের উপাখ্যানটির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিতে বিতর্কের অবকাশ রেখেছেন।[১৯]

এই উপাখ্যান অনুসারে এবং ভক্তদের বিশ্বাস অনুযায়ী, নৃসিংহদেব তাঁর সত্য ভক্তদের চরমতম বিপদের সময় রক্ষা করেন। একটি কিংবদন্তি অনুসারে, এক কাপালিক দেবী কালীর নিকট আদি শংকরকে বলি দিতে গেলে নৃসিংহদেব তাঁকে রক্ষা করেছিলেন; এরপরই আদি শংকর তাঁর প্রসিদ্ধ লক্ষ্মী-নরসিংহ স্তোত্রটি রচনা করেন।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Bhag-P 1.3.18 "In the fourteenth incarnation, the Lord appeared as Nrisimha and bifurcated the strong body of the atheist Hiranyakasipu with His nails, just as a carpenter pierces cane."
  2. Soifer, Deborahof Narasiṁha and Vāmana: two avatars in cosmological perspective (১৯৯১)। Albany, N.Y: State University of New York Press। আইএসবিএন 0-7914-0799-3  |শিরোনাম= অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "Soifer" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে
  3. Hindu Gods and Goddesses, Swami Harshananda, Sri Ramakrishna Math, Chennai, p. 30
  4. Bhag-P 7.8.19-22
  5. পৌরাণিকা: বিশ্বকোষ হিন্দুধর্ম, অমলকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়, ফার্মা কেএলএম প্রাঃ লিঃ, কলকাতা, ২০০১, পৃ. ৭৯১
  6. Steven J. Rosen, Narasimha Avatar, The Half-Man/Half-Lion Incarnation, p5
  7. Steven J. Rosen, Narasimha Avatar, The Half-Man/Half-Lion Incarnation, p1
  8. Bhag-P 7.4.1 "Lord Brahma was very much satisfied by Hiranyakasipu's austerities, which were difficult to perform"
  9. Bhag-P, Canto 7 7.3.35-38
  10. Bhag-P 7.7.6 "The victorious demigods plundered the palace of Hiranyakasipu, the king of the demons, and destroyed everything within it. Then Indra, King of heaven, arrested Prahalada's mother and Hiranyakasipu's wife Kayadu, the Queen"
  11. Bhag-P 7.7.8 "Narada Muni said: O Indra, King of the demigods, this woman is certainly sinless. You should not drag her off in this merciless way. This chaste woman is the wife of another. You must immediately release her."
  12. Bhag-P 7.8.6
  13. Bhag-P 7.8.3-4 "Thus he finally decided to kill his son Prahlada. Hiranyakasipu was by nature very cruel
  14. Bhag-P 7.8.12
  15. Bhag-P 7.8.29 "Lord Narasimhadeva placed the demon on his lap, supporting him with his thighs, and in the doorway of the assembly hall the lord very easily tore the demon to pieces with the nails of his hand."
  16. Bhag-P 7.9
  17. দশাবতার চরিত, ইন্দ্রদয়াল ভট্টাচার্য, উদ্বোধন কার্যালয়, কলকাতা, ২০০৯ মুদ্রণ, পৃ. ৪৮
  18. Soifer, Deborah A. (১৯৯১)। The myths of Narasiṁha and Vāmana: two avatars in cosmological perspective। SUNY Press। পৃষ্ঠা 90-91। আইএসবিএন 9780791407998 
  19. Sharma, B. N. Krishnamurti (২০০০)। A history of the Dvaita school of Vedānta and its literature: from the earliest beginnings to our own times। Motilal Banarsidass Publ.। পৃষ্ঠা 412। 

বহিঃসংযোগ