এস এম সোলায়মান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
Rabbanituhin (আলোচনা | অবদান) নতুন পৃষ্ঠা: {{Infobox person |name= এস এম সোলায়মান |image= |caption= |dead= |birth_name= শেখ মোহাম্মদ সোলায়মা... |
(কোনও পার্থক্য নেই)
|
১৪:৫৬, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এস এম সোলায়মান | |
---|---|
জন্ম | শেখ মোহাম্মদ সোলায়মান ২৯শে সেপ্টেম্বর,১৯৫৩ সাল |
মৃত্যু | ২২শে সেপ্টেম্বর,২০১১ |
পেশা | অভিনয় |
পরিচিতির কারণ | অভিনেতা, মঞ্চ নাটক পরিচালক এবং সঙ্গীত পরিচালক। |
শেখ মোহাম্মদ সোলায়মান একজন বাংলাদেশী অভিনেতা যিনি ১৯৫৩ সালের ২৯শে সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।তিনি মঞ্চ নাটক পরিচালনা করতেন এবং তাতে সঙ্গীত পরিচালনাও করতেন।তাঁকে বাংলাদেশের থিয়েটারের জগতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্বরণ করা হয়।
প্রাথমিক জীবন
এস এম সোলায়মান খুব অল্প বয়সেই সংগীতের প্রতি আকৃষ্ট হন।তিনি মঞ্চ নাটকের সাথে জড়িয়ে যান তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে।তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সিতে তখন রাত দিন নাটক নিয়ে পড়ে থাকতেন।সাথে থাকত হারমোনিয়াম।তিনি আসলে বুঝতে পেরেছিলেন নাটকে শুধু শিল্প বুঝলে হয় না, সাথে সাংগঠনিক দক্ষতাও লাগে।
কর্মজীবন
সোলায়মান প্রায় ৩০টির মতো মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন।তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য নাটক হলো ইলেকশন ক্যারিকেচার,ইঙ্গিফ, গণি মিয়ার একদিন, এই দেশে এই বেশে, কোর্ট মার্শাল,গোলাপজান যা এই দেশের সামাজিক বৈষম্যকে প্রতিফলিত করেছে।তিনি বাংলাদেশের গ্রামীণ পটভূমিতে আলোকপাত করেছেন তাঁর আমিনা সুন্দরী,সোনাই কন্যার পালা এবং আলাল দুলালের পালা নামক নাটকগুলোতে।সোলায়মান কিছু বছর আমেরিকাতে কাটিয়েছেন এবং তিনি সেখানে কিছু বাংলা মঞ্চ নাটকে অভিনয়ও করেছেন।তিনি তাঁর একটি নাটককে নিউইয়র্কের অফ অফ ব্রডওয়েতে মঞ্চস্থ করতে সক্ষম হন।[১] গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশানের সেক্রেটারি জেনারেল হিসেবে তিনি দুইবার নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর সব কাজ কর্ম তাঁর সহযাত্রী অনেকেই মেনে নেয়নি।তারা এস এম সোলায়মানকে এড়িয়ে চলতেন।তাই তিনি নিজেকে অনেকটা অভিমান বশত গুটিয়ে নিয়েছিলেন শেষের দিকে।তিনি বাংলাদেশের প্রতিটি রাজনৈতিক সংকটের সময় ছিলেন প্রথম কাতারের অংশগ্রহণকারী। [২]
সংগীত
সোলায়মান তাঁর বিশেষ সংগীত বৈশিষ্ট্যকে নাটকে ব্যবহার করেন।তিনি অভূতপূর্ব কম্পোজিশন সৃষ্টি করেছিলেন, এমনকি প্যারোডিও।[১]
উৎসব
বাংলাদেশে প্রতিবছর সোলায়মান মেলা নামের একটি উৎসব পালিত হয় এস এম সোলায়মানকে স্বরণ করে।এতে ঢাকার প্রতিটি মঞ্চ নাটকের দল অংশ গ্রহণ করে।[৩] এস এম সোলায়মানের স্মৃতি রক্ষার্থে থিয়েটার আর্ট ইউনিট এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি প্রদান শুরু করে ২০০৬ সাল থেকে।[৪] এই পুরষ্কারটি দেওয়া হয় তরুণ নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার জন্য । এই পদকপ্রাপ্ত ব্যাক্তি নগদ ১০ হাজার টাকা ও একটি ক্রেস্ট লাভ করেন।[৫]রামেন্দু মজুমদার তাঁর সম্পর্কে বলেনঃ‘এস এম সোলায়মান একজন অসাধারণ ব্যক্তি। নাটকে সংগীত প্রয়োগে তাঁর সাফল্য ছিল বিশাল। নাটকে সংগীত প্রয়োগ করার মধ্য দিয়ে তিনি বাংলার মঞ্চে একটি নতুন ধারা তৈরি করেছিলেন। তাঁর চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের থিয়েটার অনেক কিছুই হারিয়েছে।’[৬]
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ মজুমদার, রামেন্দু (৪ অক্টোবর, ২০০৭)। "আমার প্রিয় নাট্যসঙ্গী" ,আনন্দ,দৈনিক প্রথম আলো (মাহফুজ আনাম),পৃষ্ঠা-২
- ↑ শাহরিয়ার, হাসান (২২-০৯-২০১০)। "খ্যাপা পাগলাকে নিয়ে প্যাঁচাল"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২২শে ফেব্রুয়ারি,২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ রশীদ,মামুনুর (৪ অক্টোবর ২০০৭), "সোলায়মান মেলা: ক্ষ্যাপা তারুণ্যের সৃজনের গান" ,আনন্দ,দৈনিক প্রথম আলো, মাহফুজ আনাম:পৃষ্ঠা-১
- ↑ "এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি"। দৈনিক ইত্তেফাক। অক্টোবর ০৫, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২শে ফেব্রুয়ারি,২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি"। দৈনিক কালের কন্ঠ। ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২শে ফেব্রুয়ারি,২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "এস এম সোলায়মান প্রণোদনা বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান"। দৈনিক প্রথম আলো। ১৪-১০-২০১০। সংগ্রহের তারিখ ২২শে ফেব্রুয়ারি,২০১১। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=, |সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)