ভারতীয় শাস্ত্রীয় সংগীত: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Jatak (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
Jatak (আলোচনা | অবদান)
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:


==হিন্দুস্তানী সঙ্গীত==
==হিন্দুস্তানী সঙ্গীত==
হিন্দুস্তানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা বৈদিক যুগ হতে চলে আসলেও কেবলমাত্র [[হিন্দু]] সঙ্গীতের ঐতিহ্যই এতে নিবদ্ধ থাকেনি। বৈদিক দর্শন, ভারতের দেশজ শব্দ সুর এবং [[পারস্য |পারস্যের]] সাঙ্গীতিক প্রভাবে ঋদ্ধ হয়েছে উত্তর ভারতের এই হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাব এসেছে মূলতঃ আফগান ও [[মুঘল]] সম্রাটদের মাধ্যমে।
হিন্দুস্তানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা বৈদিক যুগ হতে চলে আসলেও কেবলমাত্র [[হিন্দু]] সঙ্গীতের ঐতিহ্যই এতে নিবদ্ধ থাকেনি। বৈদিক দর্শন, ভারতের দেশজ শব্দ সুর এবং [[পারস্য |পারস্যের]] সাঙ্গীতিক প্রভাবে ঋদ্ধ হয়েছে উত্তর ভারতের এই হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাব এসেছে মূলতঃ আফগান ও [[মুঘল সাম্রাজ্য | মুঘল]] সম্রাটদের মাধ্যমে।


হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের মূল প্রেরণা এসেছে হিন্দু ধর্মে [[নব রস]] হতে। রাগ আশ্রিত এই সাঙ্গীতিক প্রকাশ বর্তমান অব্দি অতি জনপ্রিয়তায় আসীন হয়ে আছে। সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহন অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগসমূহ পরিবেশন করা হয়। ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতব্দীতে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা সমমায়িক ধর্মীয়, লোকগীতি এবং নাট্যকলার সাঙ্গীতিক প্রকাশ হতে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। [[ধ্রুপদ]], [[ধামার]], [[খেয়াল]] হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রকাশভঙ্গী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে [[খেয়াল]]।
হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের মূল প্রেরণা এসেছে হিন্দু ধর্মে [[নব রস]] হতে। রাগ আশ্রিত এই সাঙ্গীতিক প্রকাশ বর্তমান অব্দি অতি জনপ্রিয়তায় আসীন হয়ে আছে। সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহন অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগসমূহ পরিবেশন করা হয়। ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতব্দীতে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা সমমায়িক ধর্মীয়, লোকগীতি এবং নাট্যকলার সাঙ্গীতিক প্রকাশ হতে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। [[ধ্রুপদ]], [[ধামার]], [[খেয়াল]] হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রকাশভঙ্গী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে [[খেয়াল]]।

০৬:১৮, ২৬ নভেম্বর ২০০৬ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের চর্চা ভারতের বৈদিক যুগ হতেই চলে আসছে। প্রায় ২০০০ বছরের পুরোনো এই চর্চা মূলতঃ মন্দিরে পরিবেশিত স্তোত্র হতেই সৃষ্টি হয়েছে। সামবেদে সঙ্গীতকে একটি পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বিষয় হিসেবে আলোচলা করা হয়েছে।

বর্তমানে ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের প্রধান দুটি ধারা বিদ্যমানঃ-

হিন্দুস্তানী ও কর্ণাটকী সঙ্গীতের কিছু কাঠমোগত বৈশিষ্ট ও রীতি রয়েছে। উভয় ধরণের সঙ্গীতেই রয়েছে তাল নির্ভর মেলোডি মোড যা রাগ হিসেবে পরিচিত। রাগ সাতটি সুর সা রে গা মা পা ধা নি এবং ২২ টি শ্রুতির সমন্বয়ে সৃষ্টি হয়। ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের পরিবেশনা হয় মূলতঃ দুভাবে, কন্ঠে ও বাদ্যযন্ত্রে । ভারতীয় শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের এককভাবে পরিবেশনকারী যন্ত্রসমূহ হচ্ছে সরোদ, সেতার, সুরবাহার, বীণা, সারেঙ্গী, বাঁশী, বেহালা, সন্তুর, তবলা, মৃদঙ্গ । এছাড়াও সহায়ক যন্ত্রসমূহ হচ্ছে তানপুরা, এস্রাজ, পাখোয়াজ ইত্যাদি।

হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের প্রচলন মূলতঃ উত্তর ভারতে এবং কর্ণাটকী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত মূলতঃ দক্ষিণ ভারতে দেখা যায়।

হিন্দুস্তানী সঙ্গীত

হিন্দুস্তানী সঙ্গীত বা হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের চর্চা বৈদিক যুগ হতে চলে আসলেও কেবলমাত্র হিন্দু সঙ্গীতের ঐতিহ্যই এতে নিবদ্ধ থাকেনি। বৈদিক দর্শন, ভারতের দেশজ শব্দ সুর এবং পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাবে ঋদ্ধ হয়েছে উত্তর ভারতের এই হিন্দুস্তানী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত। পারস্যের সাঙ্গীতিক প্রভাব এসেছে মূলতঃ আফগান ও মুঘল সম্রাটদের মাধ্যমে।

হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের মূল প্রেরণা এসেছে হিন্দু ধর্মে নব রস হতে। রাগ আশ্রিত এই সাঙ্গীতিক প্রকাশ বর্তমান অব্দি অতি জনপ্রিয়তায় আসীন হয়ে আছে। সাত সুর ও ২২টি শ্রুতির সমন্বয়ে আরোহন অবরোহন বিন্যাস, বাদী ও সমবাদী স্বরের প্রয়োগ এবং মীড়, গমক ও অন্যান্য সাঙ্গীতিক কৌশলের মাধ্যমে উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীত রাগসমূহ পরিবেশন করা হয়। ত্রয়োদশ এবং চতুর্দশ শতব্দীতে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের ধারা সমমায়িক ধর্মীয়, লোকগীতি এবং নাট্যকলার সাঙ্গীতিক প্রকাশ হতে স্বতন্ত্র রূপ লাভ করেছে। ধ্রুপদ, ধামার, খেয়াল হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের হিন্দুস্তানী সঙ্গীতের প্রকাশভঙ্গী। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে খেয়াল

পন্ডিত বিষ্ণুনারায়ণ ভাতখন্ডে (১৮৬০-১৯৩৬) বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের রাগ সমূহকে দশটি ঠাট বা গ্রুপে ভাগ করেছেন। এর আগে এগুলো বিভাজিত ছিল রাগ (পুরুষ), রাগিণী (স্ত্রী) এবং পুত্রা (সন্তান) হিসেবে। কেউ কেউ মনে করেন ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে সময় ও কাল নির্ভর রাগ রয়েছে প্রায় ৬,০০০ টি।

কর্ণাটকী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত

কর্ণাটকী উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত বা কর্ণাটকী সঙ্গীত হচছে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ শাস্ত্রীয় সঙ্গীতের সবচেয়ে আদি রূপ । দক্ষিণ ভারতে উদ্ভূত কর্ণাটকী সঙ্গীত হচ্ছে পৃথিবীর প্রচীনতম সঙ্গীতসমূহের একটি। এটিতেও রাগ ও তালের প্রকাশ ঘটেছে ভিন্ন মাত্রায়। কর্ণাটকী সঙ্গীততে ৭২টি মেলোডিক কোড রয়েছে যেগুলোকে মেলাকারটা রাগ বলা হয়। এর সাথে সঙ্গত করবার জন্য রয়েছে ১০৮ ধরনের তাল।

পূরণধারা দাসকে (১৪৮০-১৫৬৪) কর্ণাটকী সঙ্গীতের পিতা বলা হয়। তিনি প্রায় ৪,৭৫,০০০ সঙ্গীত রচনা করেছেন যার বেশীর ভাগই হারিয়ে গেছে। তিনিই পরবর্তী যুগের কর্ণাটকী সঙ্গীতের রচয়িতাদের প্রেরণা ছিলেন।

তথ্য উৎসঃ