দেবীভাগবত পুরাণ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[File:The goddess durga on her lion kills the demon mahishasura, 1880, kalighat school.jpg|thumb|মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা, কালীঘাট পটচিত্র, ১৮৮০]] |
[[File:The goddess durga on her lion kills the demon mahishasura, 1880, kalighat school.jpg|thumb|মহিষাসুরমর্দিনী দুর্গা, কালীঘাট পটচিত্র, ১৮৮০]] |
||
'''দেবীভাগবত পুরাণ''' ([[সংস্কৃত]]: देवी भागवतपुराण) [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]] [[শাক্তধর্ম|শাক্তধর্মের]] অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থ '''শ্রীমদ দেবীভাগবতম্''' বা '''দেবীভাগবতম্''' নামেও পরিচিত। শাক্তধর্মে এই গ্রন্থের স্থান [[দেবীমাহাত্ম্যম্]] গ্রন্থের পরেই।<ref>''The Triumph of the Goddess - The Canonical Models and Theological Visions of the Devi-Bhagavata PuraNa,'' Brwon Mackenzie. ISBN 0-7914-0363-7 </ref> দেবীভাগবত পুরাণ একটি [[উপপুরাণ]] হলেও অনেক পণ্ডিত এটিকে মহাপুরাণ বলে উল্লেখ করেছেন। মূল গ্রন্থেও একে মহাপুরাণ বলা হয়েছে।<ref>"Thus ends the eighth chapter of the first Skandha in the Mahapurana Srimad Devi Bhagavatam of 18,000 verses by Maharsi Veda Vyasa" [http://www.astrojyoti.com/devibhagavatamindex.htm Srimad Devi Bhagavatam at Astrojyoti]</ref> "বঙ্গীয় শাক্তসম্প্রদায় দেবীভাগবত নামান্তরে শ্রীভাগবত মহাপুরাণকে প্রকৃত ভাগবত পুরাণ বলে দাবী করেন এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল ভাগবত পুরাণকে উপপুরাণের পর্যায়ে গণ্য করেন।"<ref name = sanskritsahityeritihas>"সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস", ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ২০০০ (২০০৯ মুদ্রণ), পৃ. ১২২-২৩</ref> |
'''দেবীভাগবত পুরাণ''' ([[সংস্কৃত]]: देवी भागवतपुराण) [[হিন্দুধর্ম|হিন্দু]] [[শাক্তধর্ম|শাক্তধর্মের]] অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থ '''শ্রীমদ দেবীভাগবতম্''' বা '''দেবীভাগবতম্''' নামেও পরিচিত। শাক্তধর্মে এই গ্রন্থের স্থান [[দেবীমাহাত্ম্যম্]] গ্রন্থের পরেই।<ref>''The Triumph of the Goddess - The Canonical Models and Theological Visions of the Devi-Bhagavata PuraNa,'' Brwon Mackenzie. ISBN 0-7914-0363-7 </ref> দেবীভাগবত পুরাণ একটি [[উপপুরাণ]] হলেও অনেক পণ্ডিত এটিকে মহাপুরাণ বলে উল্লেখ করেছেন। মূল গ্রন্থেও একে মহাপুরাণ বলা হয়েছে।<ref>"Thus ends the eighth chapter of the first Skandha in the Mahapurana Srimad Devi Bhagavatam of 18,000 verses by Maharsi Veda Vyasa" [http://www.astrojyoti.com/devibhagavatamindex.htm Srimad Devi Bhagavatam at Astrojyoti]</ref> "বঙ্গীয় শাক্তসম্প্রদায় দেবীভাগবত নামান্তরে শ্রীভাগবত মহাপুরাণকে প্রকৃত ভাগবত পুরাণ বলে দাবী করেন এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল ভাগবত পুরাণকে উপপুরাণের পর্যায়ে গণ্য করেন।"<ref name = sanskritsahityeritihas> "সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস", ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ২০০০ (২০০৯ মুদ্রণ), পৃ. ১২২-২৩</ref> তবে এই মতের সপক্ষে বিশেষ যুক্তি বা প্রমাণ পাওয়া যায় না।<ref name = bharatkosh>"দেবীভাগবত", কল্যাণী দত্ত, ''ভারতকোষ'' চতুর্থ খণ্ড, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৯৭০, পৃ. ৮৯-৯০</ref> |
||
আনুমানিক খ্রিষ্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে [[বঙ্গ|বঙ্গদেশের]] স্মার্ত শাক্ত সম্প্রদায় এই পুরাণ রচনা করেন।<ref name = sanskritsahityeritihas/> স্বামী বিজ্ঞানানন্দের মতে, খ্রিষ্টীয় নবম-একাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই পুরাণ রচিত হয়।<ref name = bharatkosh/> ১২টি স্কন্দ, ৩১৮টি পরিচ্ছেদ এবং প্রায় ১২,০০০ শ্লোকে বিন্যস্ত এই পুরাণের উদ্দেশ্য "তন্ত্রমতে আরাধ্যা মণিদ্বীপবাসিনী পাশাঙ্কুশধারিণী বরাভয়প্রদায়িনী পরব্রহ্মস্বরূপিণী কুমারী মহামায়া মহাশক্তির মাহাত্ম্যবর্ণনা"।<ref name = sanskritsahityeritihas/> ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, "আলোচ্য পুরাণে বর্ণিত শক্তিসাধনায় বেদবাহ্য তন্ত্রের প্রভাব স্পষ্ট নয়, পুরাণকার শ্রুতি, স্মৃতি ও তান্ত্রিক ধর্মের সমন্বয়সাধনের চেষ্টা করেছেন।"<ref name = sanskritsahityeritihas/> |
|||
== পাদটীকা == |
== পাদটীকা == |
০৮:৩৫, ৪ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
দেবীভাগবত পুরাণ (সংস্কৃত: देवी भागवतपुराण) হিন্দু শাক্তধর্মের অন্যতম প্রধান ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থ শ্রীমদ দেবীভাগবতম্ বা দেবীভাগবতম্ নামেও পরিচিত। শাক্তধর্মে এই গ্রন্থের স্থান দেবীমাহাত্ম্যম্ গ্রন্থের পরেই।[১] দেবীভাগবত পুরাণ একটি উপপুরাণ হলেও অনেক পণ্ডিত এটিকে মহাপুরাণ বলে উল্লেখ করেছেন। মূল গ্রন্থেও একে মহাপুরাণ বলা হয়েছে।[২] "বঙ্গীয় শাক্তসম্প্রদায় দেবীভাগবত নামান্তরে শ্রীভাগবত মহাপুরাণকে প্রকৃত ভাগবত পুরাণ বলে দাবী করেন এবং বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের মূল ভাগবত পুরাণকে উপপুরাণের পর্যায়ে গণ্য করেন।"[৩] তবে এই মতের সপক্ষে বিশেষ যুক্তি বা প্রমাণ পাওয়া যায় না।[৪]
আনুমানিক খ্রিষ্টীয় একাদশ-দ্বাদশ শতাব্দীতে বঙ্গদেশের স্মার্ত শাক্ত সম্প্রদায় এই পুরাণ রচনা করেন।[৩] স্বামী বিজ্ঞানানন্দের মতে, খ্রিষ্টীয় নবম-একাদশ শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ে এই পুরাণ রচিত হয়।[৪] ১২টি স্কন্দ, ৩১৮টি পরিচ্ছেদ এবং প্রায় ১২,০০০ শ্লোকে বিন্যস্ত এই পুরাণের উদ্দেশ্য "তন্ত্রমতে আরাধ্যা মণিদ্বীপবাসিনী পাশাঙ্কুশধারিণী বরাভয়প্রদায়িনী পরব্রহ্মস্বরূপিণী কুমারী মহামায়া মহাশক্তির মাহাত্ম্যবর্ণনা"।[৩] ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, "আলোচ্য পুরাণে বর্ণিত শক্তিসাধনায় বেদবাহ্য তন্ত্রের প্রভাব স্পষ্ট নয়, পুরাণকার শ্রুতি, স্মৃতি ও তান্ত্রিক ধর্মের সমন্বয়সাধনের চেষ্টা করেছেন।"[৩]
পাদটীকা
- ↑ The Triumph of the Goddess - The Canonical Models and Theological Visions of the Devi-Bhagavata PuraNa, Brwon Mackenzie. ISBN 0-7914-0363-7
- ↑ "Thus ends the eighth chapter of the first Skandha in the Mahapurana Srimad Devi Bhagavatam of 18,000 verses by Maharsi Veda Vyasa" Srimad Devi Bhagavatam at Astrojyoti
- ↑ ক খ গ ঘ "সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাস", ধীরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য পুস্তক পর্ষৎ, কলকাতা, ২০০০ (২০০৯ মুদ্রণ), পৃ. ১২২-২৩
- ↑ ক খ "দেবীভাগবত", কল্যাণী দত্ত, ভারতকোষ চতুর্থ খণ্ড, বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ, কলকাতা, ১৯৭০, পৃ. ৮৯-৯০