নীহাররঞ্জন রায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বানান শুদ্ধিকরণ: ইংরেজী > ইংরেজি
WikitanvirBot I (আলোচনা | অবদান)
বট বানান ঠিক করছে: গ্রহন > গ্রহণ
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহে সম্পন্ন হয়। শ্রীহট্টের [[মুরারীচাঁদ কলেজ]] থেকে ইতিহাসে অনার্স সহ বি, এ পাস করেন ১৯২৪ সালে। পরে [[কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ১৯২৬ সালে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের শিল্পকলা শাখায় এম এ পাস করে রেকর্ড মার্ক সহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯২৭ সালে [[কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]-এ রিসার্চ ফেলো হিসাবে নিযুক্ত হয়ে গবাষণায় ব্রতী হন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৩৫ সালে [[ইউরোপ]] যান এবং [[হল্যান্ড]]-এর [[লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী এবং লন্ডন থেকে [[গ্রন্থাগার]] পরিচালনা বিষয়ে ডিপ্লোমা নেন।
প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহে সম্পন্ন হয়। শ্রীহট্টের [[মুরারীচাঁদ কলেজ]] থেকে ইতিহাসে অনার্স সহ বি, এ পাস করেন ১৯২৪ সালে। পরে [[কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ১৯২৬ সালে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের শিল্পকলা শাখায় এম এ পাস করে রেকর্ড মার্ক সহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯২৭ সালে [[কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]]-এ রিসার্চ ফেলো হিসাবে নিযুক্ত হয়ে গবাষণায় ব্রতী হন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৩৫ সালে [[ইউরোপ]] যান এবং [[হল্যান্ড]]-এর [[লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী এবং লন্ডন থেকে [[গ্রন্থাগার]] পরিচালনা বিষয়ে ডিপ্লোমা নেন।
==কর্মজীবন==
==কর্মজীবন==
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক নিযুক্ত হন। ১৯৪৬ সালে শিল্পকলা বিষয়ে রানী বাগেশ্বরী অধ্যাপক পদে বৃত হন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই। ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহনের পর তাঁকে প্রফেসর এমিরেটস করা হয়। সিমালয় প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব এ্যডভান্স স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানের প্রথম পতিচালক হয়ে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঐ পদ অলঙ্কৃত করে ছিলেন। [[ইউনেস্কো]]-র প্রতিনিধি রূপে [[ব্রহ্মদেশ]] সরকারের সংস্কৃতি ও ইতিহাস-বিষয়ক উপদেশক ছিলেন ১৯৭৩-৭৬ সাল পর্যন্ত।
প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক নিযুক্ত হন। ১৯৪৬ সালে শিল্পকলা বিষয়ে রানী বাগেশ্বরী অধ্যাপক পদে বৃত হন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই। ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহণের পর তাঁকে প্রফেসর এমিরেটস করা হয়। সিমালয় প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব এ্যডভান্স স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানের প্রথম পতিচালক হয়ে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঐ পদ অলঙ্কৃত করে ছিলেন। [[ইউনেস্কো]]-র প্রতিনিধি রূপে [[ব্রহ্মদেশ]] সরকারের সংস্কৃতি ও ইতিহাস-বিষয়ক উপদেশক ছিলেন ১৯৭৩-৭৬ সাল পর্যন্ত।
==রাজনৈতিক জীবন==
==রাজনৈতিক জীবন==
ছাত্রবস্থা থেকেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এক সময়ে রাজনীতি ও সাংবাদিকতা করেছেনঃ আকৃষ্ট হয়েছিলেন [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] প্রতি, [[অসহযোগ আন্দোলন]]-এ অংশ নিয়েছিলেন, [[সুভাষচন্দ্র বসু]] প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি লিবার্টি পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনা করেছেন। আর এস পি(Revolutionary Socialist party) দলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং দলের মুখপত্র ক্রান্তির পরিচালনা মন্ডলীতে ছিলেন। ১৯৪২ সালে [[ভারত ছাড় আন্দোলন]]-এ অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন।
ছাত্রবস্থা থেকেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এক সময়ে রাজনীতি ও সাংবাদিকতা করেছেনঃ আকৃষ্ট হয়েছিলেন [[অনুশীলন সমিতি|অনুশীলন সমিতির]] প্রতি, [[অসহযোগ আন্দোলন]]-এ অংশ নিয়েছিলেন, [[সুভাষচন্দ্র বসু]] প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি লিবার্টি পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনা করেছেন। আর এস পি(Revolutionary Socialist party) দলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং দলের মুখপত্র ক্রান্তির পরিচালনা মন্ডলীতে ছিলেন। ১৯৪২ সালে [[ভারত ছাড় আন্দোলন]]-এ অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন।

১৯:০৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নীহাররঞ্জন রায় (১৪ই জানুয়ারি, ১৯০৩ - ৩০শে আগস্ট, ১৯৮১) ছিলেন বাঙালি ইতিহাসবিদ, সাহিত্য সমালোচক ও শিল্পকলা-গবেষক পন্ডিত। দেশবরেণ্য ও আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন মনীষী ছিলেন।

জন্ম

১৯০৩ সালের ১৪ই জানুয়ারী ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মহেন্দ্রচন্দ্র রায়।

শিক্ষাজীবন

প্রাথমিক শিক্ষা ময়মনসিংহে সম্পন্ন হয়। শ্রীহট্টের মুরারীচাঁদ কলেজ থেকে ইতিহাসে অনার্স সহ বি, এ পাস করেন ১৯২৪ সালে। পরে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯২৬ সালে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের শিল্পকলা শাখায় এম এ পাস করে রেকর্ড মার্ক সহ প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান লাভ করেন। ১৯২৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়-এ রিসার্চ ফেলো হিসাবে নিযুক্ত হয়ে গবাষণায় ব্রতী হন। বৃত্তি নিয়ে ১৯৩৫ সালে ইউরোপ যান এবং হল্যান্ড-এর লাইডেন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রী এবং লন্ডন থেকে গ্রন্থাগার পরিচালনা বিষয়ে ডিপ্লোমা নেন।

কর্মজীবন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপনা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৭ সালে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান গ্রন্থাগারিক নিযুক্ত হন। ১৯৪৬ সালে শিল্পকলা বিষয়ে রানী বাগেশ্বরী অধ্যাপক পদে বৃত হন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়েই। ১৯৬৫ সালে অবসর গ্রহণের পর তাঁকে প্রফেসর এমিরেটস করা হয়। সিমালয় প্রতিষ্ঠিত ইনস্টিটিউট অব এ্যডভান্স স্টাডিজ প্রতিষ্ঠানের প্রথম পতিচালক হয়ে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত ঐ পদ অলঙ্কৃত করে ছিলেন। ইউনেস্কো-র প্রতিনিধি রূপে ব্রহ্মদেশ সরকারের সংস্কৃতি ও ইতিহাস-বিষয়ক উপদেশক ছিলেন ১৯৭৩-৭৬ সাল পর্যন্ত।

রাজনৈতিক জীবন

ছাত্রবস্থা থেকেই তিনি প্রগতিশীল রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। এক সময়ে রাজনীতি ও সাংবাদিকতা করেছেনঃ আকৃষ্ট হয়েছিলেন অনুশীলন সমিতির প্রতি, অসহযোগ আন্দোলন-এ অংশ নিয়েছিলেন, সুভাষচন্দ্র বসু প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি লিবার্টি পত্রিকার সাহিত্য বিভাগ পরিচালনা করেছেন। আর এস পি(Revolutionary Socialist party) দলের সঙ্গে যুক্ত হন এবং দলের মুখপত্র ক্রান্তির পরিচালনা মন্ডলীতে ছিলেন। ১৯৪২ সালে ভারত ছাড় আন্দোলন-এ অংশ নেওয়ায় কারাবরণ করেন।

সাহিত্য সম্পাদনা

  • বাঙ্গালীর ইতিহাসঃ আদি পর্ব(১৯৪১)
  • রবীন্দ্রসাহিত্যের ভূমিকা(১৯৪১)
  • সংস্কৃতি
  • Brahminical Gods in Burma(1933)
  • Sanskrit Buddhism in Burma(1936)
  • Maurya Sunga Art(1945)
  • Theravada Buddhism in Burma(1946)
  • Idea and Image in Indian Art(1972)
  • An Approach to Indian Art(1974)

পুরস্কার ও সম্মাননা

মৃত্যু

১৯৮১ সালের ৩০শে আগষ্ট কলকাতায় তাঁর বাসভবনে লোকান্তরিত হন।