অবস্থান্তর ধাতু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Luckas-bot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: bg:Преходни метали
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: cy:Elfen drosiannol; cosmetic changes
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
রসায়নশাস্ত্রে '''অবস্থান্তর ধাতু''' বা অবস্থান্তর বস্তুর দুই ধরণের ব্যাখ্যা আছে:
রসায়নশাস্ত্রে '''অবস্থান্তর ধাতু''' বা অবস্থান্তর বস্তুর দুই ধরণের ব্যাখ্যা আছে:


*এটি সাধারণভাবে [[পর্যায় সারণী|পর্যায় সারণীর]] [[d-ব্লক|d-ব্লকের]] যে কোন উপাদানকে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে [[জিঙ্ক]], [[ক্যাডমিয়াম]] ও [[পারদ]] অন্তর্ভূক্ত। এটি পর্যায় সারণীতে গ্রুত ৩ থেকে ১২ পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করে।
* এটি সাধারণভাবে [[পর্যায় সারণী|পর্যায় সারণীর]] [[d-ব্লক|d-ব্লকের]] যে কোন উপাদানকে বুঝাতে ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে [[জিঙ্ক]], [[ক্যাডমিয়াম]] ও [[পারদ]] অন্তর্ভূক্ত। এটি পর্যায় সারণীতে গ্রুত ৩ থেকে ১২ পর্যন্ত প্রতিনিধিত্ব করে।


*আরো বিশদভাবে [[ইউপ্যাক]] [http://www.iupac.org/goldbook/T06456.pdf IUPAC সংজ্ঞানুসারে] অবস্থান্তর ধাতু হল, কোন উপাদান যার অনুতে অসম্পূর্ণ d উপস্তর থাকে, অথবা যার কোন সুস্থিত ক্যাটায়নে অসম্পূর্ণ d-উপস্তর থাকে। এই সংজ্ঞানুসারে জিঙ্ক, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারি অবস্থান্তর ধাতু নয়। কেননা তাদের কনফিগারেশন ''d''<sup>10</sup> এই উপাদানগুলোর মাত্র কয়েকটি অবস্থান্তর প্রজাতির আয়নে আংশিকভাবে পূর্ণ ''d'' উপস্তর থাকে এবং কেবল মার্কারির ক্ষেত্রে Hg<sub>2</sub><sup>2+</sup> দেখা যায় যা আংশিকভাবে পূর্ণ উপস্তর ঠিকভাবে গঠন করে না যা শেষোক্ত সংজ্ঞার বিরোধী।<ref>Cotton, F. Albert; Wilkinson, G.; Murillo, C. A. (1999). ''Advanced Inorganic Chemistry'' (6th ed.). New York: Wiley.</ref>
* আরো বিশদভাবে [[ইউপ্যাক]] [http://www.iupac.org/goldbook/T06456.pdf IUPAC সংজ্ঞানুসারে] অবস্থান্তর ধাতু হল, কোন উপাদান যার অনুতে অসম্পূর্ণ d উপস্তর থাকে, অথবা যার কোন সুস্থিত ক্যাটায়নে অসম্পূর্ণ d-উপস্তর থাকে। এই সংজ্ঞানুসারে জিঙ্ক, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারি অবস্থান্তর ধাতু নয়। কেননা তাদের কনফিগারেশন ''d''<sup>10</sup> এই উপাদানগুলোর মাত্র কয়েকটি অবস্থান্তর প্রজাতির আয়নে আংশিকভাবে পূর্ণ ''d'' উপস্তর থাকে এবং কেবল মার্কারির ক্ষেত্রে Hg<sub>2</sub><sup>2+</sup> দেখা যায় যা আংশিকভাবে পূর্ণ উপস্তর ঠিকভাবে গঠন করে না যা শেষোক্ত সংজ্ঞার বিরোধী।<ref>Cotton, F. Albert; Wilkinson, G.; Murillo, C. A. (1999). ''Advanced Inorganic Chemistry'' (6th ed.). New York: Wiley.</ref>


প্রথম সংজ্ঞাটি সাধারণ এবং প্নচলিত। অবস্থান্তর মৌলগুলোর অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট তাদের আংশিক পূর্ণ d-সাবশেলের কারণে হয়ে থাকে। পর্যায় সারণীর অন্যান্য অংশ থেকে d-ব্লক মৌলসমূহ কম পর্যায় ধর্মবিশিষ্ট। এদের ক্ষেত্রে ভ্যালেন্সের পরিবর্তন না হওয়ায় অণূতে যুক্ত ইলেকট্রনটি সর্ববহিঃস্থ শেলে না গিয়ে ভেতরের শেলে গমন করে। ফলে এর শিল্ড শক্তিশালী হয়।<ref>http://www.jce.divched.org/Journal/Issues/2005/Nov/abs1660.html</ref>
প্রথম সংজ্ঞাটি সাধারণ এবং প্নচলিত। অবস্থান্তর মৌলগুলোর অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট তাদের আংশিক পূর্ণ d-সাবশেলের কারণে হয়ে থাকে। পর্যায় সারণীর অন্যান্য অংশ থেকে d-ব্লক মৌলসমূহ কম পর্যায় ধর্মবিশিষ্ট। এদের ক্ষেত্রে ভ্যালেন্সের পরিবর্তন না হওয়ায় অণূতে যুক্ত ইলেকট্রনটি সর্ববহিঃস্থ শেলে না গিয়ে ভেতরের শেলে গমন করে। ফলে এর শিল্ড শক্তিশালী হয়।<ref>http://www.jce.divched.org/Journal/Issues/2005/Nov/abs1660.html</ref>
৭২ নং লাইন: ৭২ নং লাইন:
|}
|}


==বৈশিষ্ট্য==
== বৈশিষ্ট্য ==
অবস্থান্তর পদার্থসমূহ উচ্চ প্রসারণ শক্তি, ঘনত্ব, গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট। এর মূলে ''d'' অরবিটালের মেটাল ল্যাটিসের ভিতরে ইলেকট্রনগুলোর ডিলোকালাইজ হবার ক্ষমতা। অবস্থান্তর ধাতুর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:
অবস্থান্তর পদার্থসমূহ উচ্চ প্রসারণ শক্তি, ঘনত্ব, গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট। এর মূলে ''d'' অরবিটালের মেটাল ল্যাটিসের ভিতরে ইলেকট্রনগুলোর ডিলোকালাইজ হবার ক্ষমতা। অবস্থান্তর ধাতুর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:


*প্রায়শঃ রঙিন যৌগ গঠন করে।
* প্রায়শঃ রঙিন যৌগ গঠন করে।
*পরিবর্তনশীল যোজনী থাকে।
* পরিবর্তনশীল যোজনী থাকে।
*অন্তত একটি যৌগে অসম্পূর্ণ d-সাবশেল থাকে।
* অন্তত একটি যৌগে অসম্পূর্ণ d-সাবশেল থাকে।
*সাধারণত ভাল বিরঞ্জক।
* সাধারণত ভাল বিরঞ্জক।
*সাধারণ তাপমাত্রায় তামাটে-নীল (কপার ও গোল্ড ব্যতীত)।
* সাধারণ তাপমাত্রায় তামাটে-নীল (কপার ও গোল্ড ব্যতীত)।
*সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন।
* সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন।
*জটিল আয়ন গঠন করে।
* জটিল আয়ন গঠন করে।
*প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম প্রদর্শন করে।
* প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম প্রদর্শন করে।


==অনুঘটক বৈশিষ্ট্য==
== অনুঘটক বৈশিষ্ট্য ==
অবস্থান্তর ধাতু গুলো ভাল [[হোমোজিনিয়াস]] ও [[হেটেরোজিনিয়াস]] অনুঘটক তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রন হেবার পদ্ধতিতে ও ভ্যানডিয়াম (V) অক্সাইড কণ্ট্যাক্ট পদ্ধতির জন্য ব্যবহার হয়। মার্জারিন তৈরিতে নিকেল এবং নাইট্রিক এসিডের প্রস্তুতি দ্রুততর করতে প্লাটিনাম ব্যবহার ঘটে। এর কারণ হল পরিবর্তনশীল যোজনী থাকার কারণে এরা কোন বিক্রিয়ার মাঝপথে বিভিন্ন যৌগ গঠন করে যার ফলে কমশক্তি খরচ হয় ও বিক্রিয়াটি সংক্ষিপ্তভাবে বিকল্প পথে সংঘটিত হতে পারে।
অবস্থান্তর ধাতু গুলো ভাল [[হোমোজিনিয়াস]] ও [[হেটেরোজিনিয়াস]] অনুঘটক তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রন হেবার পদ্ধতিতে ও ভ্যানডিয়াম (V) অক্সাইড কণ্ট্যাক্ট পদ্ধতির জন্য ব্যবহার হয়। মার্জারিন তৈরিতে নিকেল এবং নাইট্রিক এসিডের প্রস্তুতি দ্রুততর করতে প্লাটিনাম ব্যবহার ঘটে। এর কারণ হল পরিবর্তনশীল যোজনী থাকার কারণে এরা কোন বিক্রিয়ার মাঝপথে বিভিন্ন যৌগ গঠন করে যার ফলে কমশক্তি খরচ হয় ও বিক্রিয়াটি সংক্ষিপ্তভাবে বিকল্প পথে সংঘটিত হতে পারে।


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==
<references />
<references />


[[Category:পর্যায় সারণী]]
[[বিষয়শ্রেণী:পর্যায় সারণী]]
[[Category:অবস্থান্তর ধাতু]]
[[বিষয়শ্রেণী:অবস্থান্তর ধাতু]]


{{Link FA|lmo}}
{{Link FA|lmo}}
১০৩ নং লাইন: ১০৩ নং লাইন:
[[cs:Přechodný kov]]
[[cs:Přechodný kov]]
[[cv:Куçăмлă металсем]]
[[cv:Куçăмлă металсем]]
[[cy:Elfen drosiannol]]
[[da:Overgangsmetal]]
[[da:Overgangsmetal]]
[[de:Übergangsmetalle]]
[[de:Übergangsmetalle]]

০৭:৩৫, ২৪ জুলাই ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রসায়নশাস্ত্রে অবস্থান্তর ধাতু বা অবস্থান্তর বস্তুর দুই ধরণের ব্যাখ্যা আছে:

  • আরো বিশদভাবে ইউপ্যাক IUPAC সংজ্ঞানুসারে অবস্থান্তর ধাতু হল, কোন উপাদান যার অনুতে অসম্পূর্ণ d উপস্তর থাকে, অথবা যার কোন সুস্থিত ক্যাটায়নে অসম্পূর্ণ d-উপস্তর থাকে। এই সংজ্ঞানুসারে জিঙ্ক, ক্যাডমিয়াম ও মার্কারি অবস্থান্তর ধাতু নয়। কেননা তাদের কনফিগারেশন d10 এই উপাদানগুলোর মাত্র কয়েকটি অবস্থান্তর প্রজাতির আয়নে আংশিকভাবে পূর্ণ d উপস্তর থাকে এবং কেবল মার্কারির ক্ষেত্রে Hg22+ দেখা যায় যা আংশিকভাবে পূর্ণ উপস্তর ঠিকভাবে গঠন করে না যা শেষোক্ত সংজ্ঞার বিরোধী।[১]

প্রথম সংজ্ঞাটি সাধারণ এবং প্নচলিত। অবস্থান্তর মৌলগুলোর অনেক বিশেষ বৈশিষ্ট তাদের আংশিক পূর্ণ d-সাবশেলের কারণে হয়ে থাকে। পর্যায় সারণীর অন্যান্য অংশ থেকে d-ব্লক মৌলসমূহ কম পর্যায় ধর্মবিশিষ্ট। এদের ক্ষেত্রে ভ্যালেন্সের পরিবর্তন না হওয়ায় অণূতে যুক্ত ইলেকট্রনটি সর্ববহিঃস্থ শেলে না গিয়ে ভেতরের শেলে গমন করে। ফলে এর শিল্ড শক্তিশালী হয়।[২]

প্রথম সংজ্ঞানুসারে অবস্থান্তর ধাতু হল ৪০ টি রাসায়নিক উপাদান যা পর্যায় সারণীর ২১ থেকে ৩০, ৩৯ থেকে ৪৮, ৭১ থেকে ৮০ এবং ১০৩ থেকে ১১২ নম্বর অবস্থানে অবস্থিত। “অবস্থান্তর” শব্দটি পর্যায় সারণীতে তাদের অবস্থানের কারণে এসেছে। চারবার আবির্ভূত হবার প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই উপাদানগুলির d অরবিটালে একটি করে ইলেকট্রন যোগ করার প্রতিনিধিত্ব করে। এভাবে করে অবস্থান্তর ধাতু গ্রুপ ২ উপাদানগ্রুপ ১৩ উপাদানগুলোর পরিবর্তনের প্রতিনিধিত্ব করে।

Group 3 (III B) 4 (IV B) 5 (V B) 6 (VI B) 7 (VII B) 8 (VIII B) 9 (VIII B) 10 (VIII B) 11 (I B) 12 (II B)
Period 4 Sc 21 Ti 22 V 23 Cr 24 Mn 25 Fe 26 Co 27 Ni 28 Cu 29 Zn 30
Period 5 Y 39 Zr 40 Nb 41 Mo 42 Tc 43 Ru 44 Rh 45 Pd 46 Ag 47 Cd 48
Period 6 Lu 71 Hf 72 Ta 73 W 74 Re 75 Os 76 Ir 77 Pt 78 Au 79 Hg 80
Period 7 Lr 103 Rf 104 Db 105 Sg 106 Bh 107 Hs 108 Mt 109 Ds 110 Rg 111 Uub 112

বৈশিষ্ট্য

অবস্থান্তর পদার্থসমূহ উচ্চ প্রসারণ শক্তি, ঘনত্ব, গলনাঙ্ক ও স্ফুটনাঙ্ক বিশিষ্ট। এর মূলে d অরবিটালের মেটাল ল্যাটিসের ভিতরে ইলেকট্রনগুলোর ডিলোকালাইজ হবার ক্ষমতা। অবস্থান্তর ধাতুর কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য নিম্নরুপ:

  • প্রায়শঃ রঙিন যৌগ গঠন করে।
  • পরিবর্তনশীল যোজনী থাকে।
  • অন্তত একটি যৌগে অসম্পূর্ণ d-সাবশেল থাকে।
  • সাধারণত ভাল বিরঞ্জক।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় তামাটে-নীল (কপার ও গোল্ড ব্যতীত)।
  • সাধারণ তাপমাত্রায় কঠিন।
  • জটিল আয়ন গঠন করে।
  • প্যারাম্যাগনেটিক ধর্ম প্রদর্শন করে।

অনুঘটক বৈশিষ্ট্য

অবস্থান্তর ধাতু গুলো ভাল হোমোজিনিয়াসহেটেরোজিনিয়াস অনুঘটক তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, আয়রন হেবার পদ্ধতিতে ও ভ্যানডিয়াম (V) অক্সাইড কণ্ট্যাক্ট পদ্ধতির জন্য ব্যবহার হয়। মার্জারিন তৈরিতে নিকেল এবং নাইট্রিক এসিডের প্রস্তুতি দ্রুততর করতে প্লাটিনাম ব্যবহার ঘটে। এর কারণ হল পরিবর্তনশীল যোজনী থাকার কারণে এরা কোন বিক্রিয়ার মাঝপথে বিভিন্ন যৌগ গঠন করে যার ফলে কমশক্তি খরচ হয় ও বিক্রিয়াটি সংক্ষিপ্তভাবে বিকল্প পথে সংঘটিত হতে পারে।

তথ্যসূত্র

  1. Cotton, F. Albert; Wilkinson, G.; Murillo, C. A. (1999). Advanced Inorganic Chemistry (6th ed.). New York: Wiley.
  2. http://www.jce.divched.org/Journal/Issues/2005/Nov/abs1660.html

টেমপ্লেট:Link FA