সূরা কাহফ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
link সংযোগ
Hasan.zamil (আলোচনা | অবদান)
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:


== প্রশ্ন এবং এর উত্তর ==
== প্রশ্ন এবং এর উত্তর ==
প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুবদের সম্পর্কে। এ সূরায় যুবকদের ঘটনাও পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে। তাদেরকে "আসহাবে কাহফ" বা [[গুহাবাসী]] বলা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফরকারী ব্যক্তির সম্পর্কে। এ সূরায় পূর্ব ও পশ্চিমে সফরকারী [[যুলকারনাইন|যুলকারনাইনের]] ঘটনাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এবং তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল "রূহু" সম্পর্কে। তারও জওবাব দেওয়া হয়েছে।<ref>কুরতুবী, মাযহারী।</ref> কিন্তু রূহু সম্পর্কিত প্রশ্নের জওবাব সংহ্মেপে দেয়াই সমীচীন ছিল। তাই [[বনী-ইসরাঈল (সূরা)|সূরা বনী-ইসরাঈলের]] শেষে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ কারণেই সূরা কাহফকে সূরা বনী-ইসরাঈলের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।<ref>সুয়ুতী।</ref>
প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুবদের সম্পর্কে। এ সূরায় যুবকদের ঘটনাও পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে। তাদেরকে "আসহাবে কাহফ" বা [[গুহাবাসী]] বলা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফরকারী ব্যক্তির সম্পর্কে। এ সূরায় পূর্ব ও পশ্চিমে সফরকারী [[জুলকারনাইন|যুলকারনাইনের]] ঘটনাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এবং তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল "রূহু" সম্পর্কে। তারও জওবাব দেওয়া হয়েছে।<ref>কুরতুবী, মাযহারী।</ref> কিন্তু রূহু সম্পর্কিত প্রশ্নের জওবাব সংহ্মেপে দেয়াই সমীচীন ছিল। তাই [[বনী-ইসরাঈল (সূরা)|সূরা বনী-ইসরাঈলের]] শেষে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ কারণেই সূরা কাহফকে সূরা বনী-ইসরাঈলের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।<ref>সুয়ুতী।</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১২:৫৫, ২৮ জুন ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সূরা কাহফ
সূরা কাহফ
পরিসংখ্যান
← পূর্ববর্তী সূরাসূরা ইসরা
পরবর্তী সূরা →সূরা মারইয়াম
আরবি পাঠ্য · বাংলা অনুবাদ

আল কাহফ (আরবি ভাষায়: الكهف) মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ কুরআনের ১৮ নম্বর সূরা, এর আয়াত সংখ্যা ১১০ টি এবং এর রূকুর সংখ্যা ১১ টি। আল কাহফ সূরাটি মক্কায় অবতীর্ণ হয়েছে। এই সূরায় কোরাইশদের তিনটি প্রশ্নের কথা এবং প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে। এই সূরায় হযরত মুসা (আঃ) এবং হযরত খিযির (আঃ) এর ঘটনাটিও বর্ণনা করা হয়েছে।

বৈশিষ্ট্য

মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী ও মুসনাদে আহমদে হযরত আবুদ্দারদা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, যে ব্যক্তি সূরা কাহ্‌ফের প্রথম দশ আয়াত মুখস্থ করে, সে দাজ্জালের ফেৎনা থেকে নিরাপদ থাকবে। মুসনাদে আহমদে হযরত সাহ্‌ল ইবনে মু'আযের রেওয়ায়েতে আছে যে, রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ যে ব্যক্তি সূরা কাহ্‌ফের প্রথম ও শেষ আয়াতগুলো পাঠ করে, তার জন্যে তার পা থেকে মাথা পর্যন্ত একটি নূর হয়ে যায় এবং যে ব্যক্তি সম্পূর্ণ সূরা পাঠ করে, তার জন্যে যমীন থেকে আসমান পর্যন্ত নূর হয়ে যায়।

রূহুল-মা'আনীতে হযরত আনাস (রাঃ) -এর বর্ণিত রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) বলেনঃ সূরা কাহফ সম্পূর্ণটুকু এক সময় নাযিল হয়েছে এবং সত্তর হাজার ফেরেশতা এর সঙ্গে আগমন করেছেন। এতে এর মাহাত্ম্য প্রকাশ পায়।[১]

শানে নুযূল

ইমাম ইবনে জরীর তাবারী হযরত ইবনে-আব্বাসের রেওয়ায়েতে বর্ণনা করেনঃ যখন মক্কায় রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) -এর নবুওয়তের চর্চা শুরু হয় এবং কোরাইশরা তাতে বিব্রত বোধ করতে থাকে, তখন তারা নযর ইবনে হারেস ও ওকবা ইবনে আবী মুয়ী'তকে মদীনার ইহুদী পন্ডিতদের কাছে প্রেরণ করে। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) সম্পর্কে তারা কি বলে, জানার জন্যে। ইহুদী পন্ডিতরা তাদেরকে বলে দেয় যে, তোমরা তাঁকে তিনটি প্রশ্ন করো। তিনি এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিলে বুঝে নেবে যে, তিনি আল্লাহ্‌র রসূল। অন্যথায় বোঝবে, তিনি একজন বাগাড়ম্বরকারীরসূল নন।

(১) তাঁকে ঐসব যুবকের অবস্থা জিজ্ঞাস কর, যারা প্রাচীনকালে শহর ছেড়ে চলে গিয়েছিল। তাদের ঘটনা কি? কেননা, এটা অত্যন্ত বিস্ময়কর ঘটনা।
(২) তাঁকে সে ব্যক্তির অবস্থা জিজ্ঞেস কর, যে পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফর করেছিল। তার ঘটনা কি?
(৩) তাঁকে রূহু সম্পর্কে প্রশ্ন কর যে, এটা কি?

উভয় কোরাইশী মক্কায় ফিরে এসে ভ্রাতৃসমাজকে বললঃ আমরা একটি চূড়ান্ত ফয়সালার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফিরে এসেছি। অতঃপর তারা তাদেরকে ইহুদী আলেমদের কাহিনী শুনিয়ে দিল। কোরাইশরা রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) -এর কাছে এ প্রশ্নগুলো নিয়ে হাযির হল। তিনি শুনে বললেনঃ আগামীকাল উত্তর দেব। কিন্তু তিনি ইনশাআল্লাহ্‌ বলতে ভুলে গেলেন। কোরাইশরা ফিরে গেল। রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) ওহীর আলোকে জওয়াব দেবার জন্যে আল্লাহ্‌র তরফ থেকে ওহী আসার অপেহ্মায় রইলেন। কিন্তু ওয়াদা অনুয়াযী পর দিবস পর্যন্ত ওহী আগমন করল না; বরং পনের দিন এ অবস্থায় কেটে গেল। ইতিমধ্যে জিবরাঈলও এলেন না এবং কোন ওহীও নাযিল হল না। অবস্থাদৃষ্টে কোরাইশরা ঠাট্টা-বিদ্রূপ আরম্ভ করে দিল। এতে রসূলুল্লাহ্‌ (সাঃ) খুবই দুঃখিত ও চিন্তিত হলেন।

পনের দিন পর জিবরাঈল সূরা কাহফ নিয়ে অবতর করলেন। এতে ওহীর বিলম্বের কারণও বর্ণনা করে দেয়া হল যে, ভবিষ্যতে কোন কাজ করার ওয়াদা করা হলে ইনশাআল্লাহ্‌ বলা উচিত।[১]

প্রশ্ন এবং এর উত্তর

প্রথম প্রশ্নটি ছিল যুবদের সম্পর্কে। এ সূরায় যুবকদের ঘটনাও পুরোপুরি বর্ণনা করা হয়েছে। তাদেরকে "আসহাবে কাহফ" বা গুহাবাসী বলা হয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি ছিল পৃথিবীর পূর্ব ও পশ্চিম এবং সারা বিশ্ব সফরকারী ব্যক্তির সম্পর্কে। এ সূরায় পূর্ব ও পশ্চিমে সফরকারী যুলকারনাইনের ঘটনাও বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। এবং তৃতীয় প্রশ্নটি ছিল "রূহু" সম্পর্কে। তারও জওবাব দেওয়া হয়েছে।[২] কিন্তু রূহু সম্পর্কিত প্রশ্নের জওবাব সংহ্মেপে দেয়াই সমীচীন ছিল। তাই সূরা বনী-ইসরাঈলের শেষে আলাদাভাবে বর্ণনা করা হয়েছে এবং এ কারণেই সূরা কাহফকে সূরা বনী-ইসরাঈলের পরে স্থান দেয়া হয়েছে।[৩]

তথ্যসূত্র

  1. তফসীর মাআরেফুল কোরআন।
  2. কুরতুবী, মাযহারী।
  3. সুয়ুতী।

বহিঃসংযোগ