সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
৫৪ নং লাইন: ৫৪ নং লাইন:
* ''বাঙালীকে কে বাঁচা''বে (১৯৮৩)
* ''বাঙালীকে কে বাঁচা''বে (১৯৮৩)
* ''বৃত্তের ভাঙা-গ''ড়া (১৯৮৪)
* ''বৃত্তের ভাঙা-গ''ড়া (১৯৮৪)
* ''টলস্টয় অনেক প্রসঙ্গের কযেকটি'' (১৯৮৫)
* ''টলস্টয় অনেক প্রসঙ্গের কয়েকটি'' (১৯৮৫)
* ''নেতা, জনতা ও রাজনীতি'' (১৯৮৬)
* ''নেতা, জনতা ও রাজনীতি'' (১৯৮৬)
* ''গণতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ'' (১৯৮৭)
* ''গণতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ'' (১৯৮৭)

০২:৪০, ৩ জানুয়ারি ২০২২ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী
জন্ম (1936-06-23) ২৩ জুন ১৯৩৬ (বয়স ৮৭)
বাড়ৈখালী, বিক্রমপুর, ঢাকা
ছদ্মনামগাছপাথর
পেশাবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন অধ্যাপক
জাতীয়তাবাংলাদেশি
নাগরিকত্ববাংলাদেশি
ধরনসাহিত্য, পরিবেশ
সাহিত্য আন্দোলনপরিবেশ আন্দোলন
উল্লেখযোগ্য রচনাবলিজাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি, দ্বিতীয় ভুবন, নিরাশ্রয় গৃহী
উল্লেখযোগ্য পুরস্কারবাংলা একাডেমি পুরস্কার, একুশে পদক

সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী (জন্ম ২৩ জুন, ১৯৩৬) একজন বাংলাদেশি লেখক, প্রাবন্ধিক ও শিক্ষক। দীর্ঘকাল তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি বিভাগটির ইমেরিটাস অধ্যাপক। তিনি মার্কসবাদী চিন্তা-চেতনায় উদ্বুদ্ধ এবং [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] নতুন দিগন্ত পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক। ১৯৮০-এর দশকে "গাছপাথর" ছদ্মনামে তিনি দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়ে সাপ্তাহিক প্রতিবেদন লিখে খ্যাতি অর্জন করেন।‌শিক্ষায় অবদানের জন্য তিনি ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত হন।

প্রাথমিক জীবন

তিনি ২৩ জুন, ১৯৩৬ খ্রিষ্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন মুন্সিগঞ্জ ( প্রাচীন নাম বিক্রমপুর) জেলার শ্রীনগর উপজেলার বাড়ৈখালী গ্রামে। তার বাবার নাম হাফিজ উদ্দিন চৌধুরী ও মা আসিয়া খাতুন।[১] বাবার চাকরিসূত্রে তার শৈশব কেটেছে রাজশাহীতেকলকাতায়। পড়াশোনা করেছেন ঢাকার সেন্ট গ্রেগরি স্কুল, নটরডেম কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইংরেজি সাহিত্যে উচ্চতর গবেষণা করেছেন যুক্তরাজ্যের লীডস বিশ্ববিদ্যালয় এবং লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে। পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন ১৯৫৭ খ্রিষ্টাব্দে।

কর্মজীবন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট কর্তৃক দুবার উপাচার্য হওয়ার জন্য মনোনীত হয়েছিলেন। কিন্তু তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত দুই মেয়াদে ইউজিসি অধ্যাপক হিসেবে মনোনীত হন।[২] তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক[৩] পত্রিকা সম্পাদনার সঙ্গেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। সম্পাদনা করেছেন ‘পরিক্রমা’, ‘সাহিত্যপত্র’, ‘সচিত্র সময়’, ‘সাপ্তাহিক সময়’, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পত্রিকা’, ‘ঢাকা ইউনিভার্সিটি স্টাডিস’ প্রভৃতি।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার সম্পাদনায় নিয়মিত প্রকাশিত হচ্ছে সাহিত্য-সংস্কৃতির পত্রিকা ‘নতুন দিগন্ত’। ‘নতুন দিগন্ত’ প্রগতিশীল, মুক্তচিন্তার মানুষের লেখালেখির জন্য পরিচিত।[৪] ভারতের টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের সিদ্ধান্তেরও প্রতিবাদ করেন অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।[৫]

প্রকাশিত গ্রন্থ

প্রবন্ধ-গবেষণা

  • অন্বেষা (১৯৬৪)
  • Introducing Nazrul Islam (১৯৬৫)
  • দ্বিতীয় ভুবন (১৯৭৩)
  • নিরাশ্রয় গৃহী (১৯৭৩)
  • আরণ্যক দৃশ্যাবলী (১৯৭৪)
  • অনতিক্রান্ত বৃত্ত (১৯৭৪)
  • The Moral Imagination of Joseph Conrad (১৯৭৪)
  • প্রতিক্রিয়াশীলতা, আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যে (১৯৭৫)
  • শরৎপন্দ্র ও সামন্তবাদ (১৯৭৫)
  • The Enemy Territory (১৯৭৬)
  • আমার পিতার মুখ (১৯৭৬)
  • বঙ্কিমচন্দ্রের জমিদার ও কৃষক (১৯৭৬)
  • কুমুর বন্ধন (১৯৭৭)
  • উপরকাঠামোর ভেতরই (১৯৭৭)
  • বেকনের মৌমাছিরা (১৯৭৮)
  • স্বাধীনতা ও সংস্কৃতি (১৯৭৯)
  • একই সমতলে (১৯৮০)
  • ঊনবিংশ শতাব্দীর বাংলা গদ্যের সামাজিক ব্যাকরণ (১৯৮০)
  • স্বাধীনতার স্পৃহা, সাম্যের ভয় (১৯৮১)
  • বাঙালী কাকে বলি (১৯৮২)
  • বাঙালীকে কে বাঁচাবে (১৯৮৩)
  • বৃত্তের ভাঙা-গড়া (১৯৮৪)
  • টলস্টয় অনেক প্রসঙ্গের কয়েকটি (১৯৮৫)
  • নেতা, জনতা ও রাজনীতি (১৯৮৬)
  • গণতন্ত্রের পক্ষ-বিপক্ষ (১৯৮৭)
  • শেষ মীমাংসার আগে (১৯৮৮)
  • উদ্যানে এবং উদ্যানের বাইরে (১৯৮৯)
  • শ্রেণী, সময় ও সাহিত্য (১৯৯০)
  • স্বপ্নের আলো ছায়া (১৯৯১)
  • কেউ বলে বৃক্ষ, কেউ বলে নদী (১৯৯০)
  • দ্বিজাতিতত্ত্বের সত্য-মিথ্যা (১৯৯২)
  • লেনিন কেন জরুরী (১৯৯২)
  • আপনজন (১৯৯৪)
  • অপরিচিত নেতা, পরিচিত দুর্বৃত্ত (১৯৯৪)
  • বাঙালীর জয়-পরাজয় (১৯৯৪)
  • লিঙ্কনের বিষণ্ণ মুখ (১৯৯৪)
  • এর পথ ওর প্রাচীর (১৯৯৫)
  • ভয় পেয়ো না, বেঁচে আছি (১৯৯৫)
  • মাঝখানের মানুষেরা (১৯৯৫)
  • দুই বাঙালীর লাহোর যাত্রা (১৯৯৬)
  • পতঙ্গ, ভৃত্য ও দৈত্য (১৯৯৬)
  • রাষ্ট্রের মালিকানা (১৯৯৭)
  • উপনিবেশের সংস্কৃতি (১৯৯৮)
  • শেক্সপীয়রের মেয়েরা (১৯৯৯)
  • বাঙালীর জাতীয়তাবাদ (২০০০)
  • বাঙালীর সময়-অসময় (২০০০)
  • ধ্রুপদী নায়িকাদের কয়েকজন (২০০০)
  • পুঁজিবাদের দুঃশাসন (২০০১)
  • আত্মপ্রতিকৃতি নয় (২০০২)
  • Middle Class and the Social Revolution in Bengal (২০০০)
  • An Unfimished Agenda; ইংরেজি সাহিত্যে ন্যায়-অন্যায় (২০০২)
  • ভূতের নয়, ভবিষ্যতের (২০০২)
  • বন্ধ করো না পাখা (২০০৪)
  • প্রভুর যত ইচ্ছা (২০০৫)
  • ভরসার জায়গাজমি (২০০৫)
  • বিচ্ছিন্নতার সত্য-মিথ্যা (২০০৬)
  • গণতন্ত্রের অমসৃণ পথ (২০০৬)
  • দ্বন্দ্বের মেরুকরণ (২০০৬)
  • গণতন্ত্রের সন্ধানে (২০০৬)
  • বিরূপ বিশ্বে সাহসী মানুষ
  • জাতীয়তাবাদ, সাম্প্রদায়িকতা ও জনগণের মুক্তি

ছোটগল্প

  • ভালো মানুষের জগৎ (১৯৯০)
  • দরজাটা খোলো (১৯৮৯)

উপন্যাস

  • শেষ নেই (২০০৪)
  • কণার অনিশ্চিত যাত্রা (২০০৫)
  • বাবুলের বেড়ে-ওঠা (১৯৯১)

অনুবাদ

  • এ্যারিস্টটলের কাব্যতত্ত্ব (১৯৭২)
  • ইবসেনের বুনো হাঁস (১৯৬৫)
  • হাউসম্যানের কাব্যের স্বভাব (১৯৬৫)
  • হোমারের ওডেসি (১৯৯০)।

সম্পাদনা

ক্রমিক নং সম্পাদনার বিবরণ সাল
(১) আনোয়ার পাশা রচনাবলী (তিন খণ্ড)
(২) Dhaka University Convocation Speeches (দুই খণ্ড)
(৩) ত্রৈমাসিক নতুন দিগন্ত ২০০৩[৬]

সম্মাননা

ক্রমিক নং পুরস্কারের বিবরণ সাল পুরস্কার প্রদানকারী সংস্থা
(১) লেখক সংঘ পুরস্কার ১৯৭৫
(২) বাংলা একাডেমি পুরস্কার ১৯৭৬ বাংলা একাডেমি
(৩) আবদুর রহমান চৌধুরী পদক ১৯৭৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
(৪) লেখিকা সংঘ পদক ১৯৮০
(৫) মাহবুবউল্লাহ ফাউন্ডেশন পদক ১৯৮৩
(৬) অলক্ত সাহিত্য পুরস্কার ১৯৮৮
(৭) একুশে পদক[৭] ১৯৯৬ বাংলাদেশ সরকার
(৮) আবদুর রউফ চৌধুরী পুরস্কার ২০০১
(৯) ঋষিজ পদক[৮] ২০০২
(১০) শেলটেক পদক[৯][১০] ২০১৭ শেলটেক
(১১) প্রথম আলো বর্ষসেরা বই ১৪২১ প্রথম আলো

তথ্যসূত্র

  1. http://www.uplbooks.com.bd/index.php/home/showSingleAuthor/496[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. "ইউজিসি প্রফেসর হিসেবে ইতিপূর্বে যারা মনোনীত হয়েছেন তাদের তালিকা" (পিডিএফ)বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জুলাই ২০২১ 
  3. "অনন্য সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী"প্রথম আলো। ২৩ জুন ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০২১ 
  4. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০২০-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-৩১ 
  5. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ২০২০-০৫-২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৩-১২-৩১ 
  6. http://gunijan.org.bd/GjProfDetails_action.php?GjProfId=265
  7. একুশে পদকপ্রাপ্ত সুধীবৃন্দ ও প্রতিষ্ঠান (পিডিএফ)সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। পৃষ্ঠা ১০। ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  8. [ বাংলা একাডেমী লেখক অভিধান, প্রধান সম্পাদক : সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ, প্রকাশকাল : সেপ্টেম্বর, ২০০৮]
  9. "সিরাজুল ইসলাম, রফিকুন নবী ও আইনুন নিশাত পেলেন শেলটেক পদক"দৈনিক ইত্তেফাক। ৫ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  10. "শেলটেক পদকে ভূষিত তিন গুণী"দৈনিক কালের কণ্ঠ। ৫ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ৯ ডিসেম্বর ২০১৭