পারমাণবিক ডুবোজাহাজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
SieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: pl:Okręty podwodne z napędem atomowym
Xqbot (আলোচনা | অবদান)
রোবট পরিবর্তন সাধন করছে: pl:Okręt podwodny z napędem atomowym; cosmetic changes
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন হলো এমন এক ধরনের ডুবোজাহাজ যা তার ভিতরের নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটরে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে। অনেকে মনে করেন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মানেই হলো পারমানবিক বোমাবাহী ডুবোজাহাজ। এ ধারণা ভুল। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে পারমানবিক বোমা বা মিজাইল থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। USS Nautilus (SSN-571) হল প্রথম নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে। বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যের কাছেই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আছে।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন হলো এমন এক ধরনের ডুবোজাহাজ যা তার ভিতরের নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটরে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে। অনেকে মনে করেন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মানেই হলো পারমানবিক বোমাবাহী ডুবোজাহাজ। এ ধারণা ভুল। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে পারমানবিক বোমা বা মিজাইল থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। USS Nautilus (SSN-571) হল প্রথম নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে। বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যের কাছেই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আছে।


==আকার==
== আকার ==
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অন্য ডিজেলচালিত সাবমেরিন থেকে আয়তনে বড় হয় (সাধারণত ৫০০০ টনের উপরে)।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অন্য ডিজেলচালিত সাবমেরিন থেকে আয়তনে বড় হয় (সাধারণত ৫০০০ টনের উপরে)।


==শ্রেণীবিভাগ==
== শ্রেণীবিভাগ ==


এখানে এই শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে মূলত সাবমেরিনের অস্ত্র বা বোমার উপর ভিত্তি করে।
এখানে এই শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে মূলত সাবমেরিনের অস্ত্র বা বোমার উপর ভিত্তি করে।


====এটাক সাবমেরিন====
==== এটাক সাবমেরিন ====
এই প্রজাতিকে হান্টার/কিলার সাবমেরিনও বলে। এর মূল কাজ পানিতে অন্য জাহাজ বা সাবমেরিন ধ্বংস করা। এই রকমের সাবমেরিনই সবচেয়ে বেশি।
এই প্রজাতিকে হান্টার/কিলার সাবমেরিনও বলে। এর মূল কাজ পানিতে অন্য জাহাজ বা সাবমেরিন ধ্বংস করা। এই রকমের সাবমেরিনই সবচেয়ে বেশি।
নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের মধ্যে সাইজে এগুলাই ছোট, বর্তমানে ৫০০০-১০০০০ টন। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। আগে এই সাবমেরিনে অস্ত্র হিসেবে মূলতঃ টর্পেডো ও মাইন থাকতো। বর্তমানে এটাক সাবমেরিনে টর্পেডো ও মাইনের পাশাপাশি ক্রজ মিজাইল, এন্টি শিপ মিজাইল এবং এন্টি এয়ারক্রাফট মিজাইলও থাকে। যেমন রাশিয়ান Akula class submarine,আমেরিকান Los Angeles class submarine, ব্রিটিশ Trafalgar class submarine, ফ্রেন্চ Rubis class , চিনা Han-class।<ref>[http://www.naval-technology.com/projects/astute/ এটাক সাবমেরিন]</ref>
নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের মধ্যে সাইজে এগুলাই ছোট, বর্তমানে ৫০০০-১০০০০ টন। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। আগে এই সাবমেরিনে অস্ত্র হিসেবে মূলতঃ টর্পেডো ও মাইন থাকতো। বর্তমানে এটাক সাবমেরিনে টর্পেডো ও মাইনের পাশাপাশি ক্রজ মিজাইল, এন্টি শিপ মিজাইল এবং এন্টি এয়ারক্রাফট মিজাইলও থাকে। যেমন রাশিয়ান Akula class submarine,আমেরিকান Los Angeles class submarine, ব্রিটিশ Trafalgar class submarine, ফ্রেন্চ Rubis class , চিনা Han-class।<ref>[http://www.naval-technology.com/projects/astute/ এটাক সাবমেরিন]</ref>


====ব্যালিস্টিক মিজাইল সাবমেরিন====
==== ব্যালিস্টিক মিজাইল সাবমেরিন ====
এই সাবমেরিনের মূল কাজ পারমাণবিক বোমাবাহী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে। মিজাইলের রেঞ্জ ৩০০০ থেকে ১২০০০ কিমি পর্যন্ত। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। তবে সংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য আছে। সকল সাবমেরিনের মধ্যে এগুলোই সবচেয়ে বড়। যেমন আমেরিকান Ohio class submarine, রাশিয়ান Delta IV class, Typhoon class submarine (সবচেয়ে বড়), ব্রিটিশ Vanguard Class Submarine ইত্যাদি।
এই সাবমেরিনের মূল কাজ পারমাণবিক বোমাবাহী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে। মিজাইলের রেঞ্জ ৩০০০ থেকে ১২০০০ কিমি পর্যন্ত। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। তবে সংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য আছে। সকল সাবমেরিনের মধ্যে এগুলোই সবচেয়ে বড়। যেমন আমেরিকান Ohio class submarine, রাশিয়ান Delta IV class, Typhoon class submarine (সবচেয়ে বড়), ব্রিটিশ Vanguard Class Submarine ইত্যাদি।


====গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন====
==== গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন ====


এই সাবমেরিনের মূল কাজ গাইডেড ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে।এগুলো সুধুই আমেরিকা - রাশিয়ার আছে। তাও ২ দেশের গাইডেড মিজাইল সাবমেরিনে পার্থক্য আছে। রাশিয়ার Oscar class submarine ই একমাত্র সাবমেরিন যা গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন হিসেবে তৈরি হয়েছে। এগুলোতে ছোট সাইজের পারমানবিক বোমাও থাকে যার মূল টার্গেট আমেরিকান বিমানবাহী জাহাজ।
এই সাবমেরিনের মূল কাজ গাইডেড ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে।এগুলো সুধুই আমেরিকা - রাশিয়ার আছে। তাও ২ দেশের গাইডেড মিজাইল সাবমেরিনে পার্থক্য আছে। রাশিয়ার Oscar class submarine ই একমাত্র সাবমেরিন যা গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন হিসেবে তৈরি হয়েছে। এগুলোতে ছোট সাইজের পারমানবিক বোমাও থাকে যার মূল টার্গেট আমেরিকান বিমানবাহী জাহাজ।


==তথ্যসূত্র==
== তথ্যসূত্র ==


{{reflist}}
{{reflist}}


{{অসম্পূর্ণ}}
{{অসম্পূর্ণ}}

[[Category:যোগাযোগ]]
[[বিষয়শ্রেণী:যোগাযোগ]]
[[Category:নৌযান]]
[[বিষয়শ্রেণী:নৌযান]]


[[ar:غواصة نووية]]
[[ar:غواصة نووية]]
৩৮ নং লাইন: ৩৯ নং লাইন:
[[ja:原子力潜水艦]]
[[ja:原子力潜水艦]]
[[nl:Kernonderzeeër]]
[[nl:Kernonderzeeër]]
[[pl:Okręty podwodne z napędem atomowym]]
[[pl:Okręt podwodny z napędem atomowym]]
[[pt:Submarino nuclear]]
[[pt:Submarino nuclear]]
[[ru:Атомная подводная лодка]]
[[ru:Атомная подводная лодка]]

১৪:১৮, ৭ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

নিউক্লিয়ার সাবমেরিন হলো এমন এক ধরনের ডুবোজাহাজ যা তার ভিতরের নিউক্লিয়ার রিয়্যাকটরে উৎপাদিত বিদ্যুৎ শক্তিতে চলে। অনেকে মনে করেন নিউক্লিয়ার সাবমেরিন মানেই হলো পারমানবিক বোমাবাহী ডুবোজাহাজ। এ ধারণা ভুল। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনে পারমানবিক বোমা বা মিজাইল থাকতেও পারে আবার নাও থাকতে পারে। USS Nautilus (SSN-571) হল প্রথম নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মাণ করে। বর্তমানে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ৫ সদস্যের কাছেই নিউক্লিয়ার সাবমেরিন আছে।

আকার

নিউক্লিয়ার সাবমেরিন অন্য ডিজেলচালিত সাবমেরিন থেকে আয়তনে বড় হয় (সাধারণত ৫০০০ টনের উপরে)।

শ্রেণীবিভাগ

এখানে এই শ্রেণীবিভাগ করা হয়েছে মূলত সাবমেরিনের অস্ত্র বা বোমার উপর ভিত্তি করে।

এটাক সাবমেরিন

এই প্রজাতিকে হান্টার/কিলার সাবমেরিনও বলে। এর মূল কাজ পানিতে অন্য জাহাজ বা সাবমেরিন ধ্বংস করা। এই রকমের সাবমেরিনই সবচেয়ে বেশি। নিউক্লিয়ার সাবমেরিনের মধ্যে সাইজে এগুলাই ছোট, বর্তমানে ৫০০০-১০০০০ টন। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। আগে এই সাবমেরিনে অস্ত্র হিসেবে মূলতঃ টর্পেডো ও মাইন থাকতো। বর্তমানে এটাক সাবমেরিনে টর্পেডো ও মাইনের পাশাপাশি ক্রজ মিজাইল, এন্টি শিপ মিজাইল এবং এন্টি এয়ারক্রাফট মিজাইলও থাকে। যেমন রাশিয়ান Akula class submarine,আমেরিকান Los Angeles class submarine, ব্রিটিশ Trafalgar class submarine, ফ্রেন্চ Rubis class , চিনা Han-class।[১]

ব্যালিস্টিক মিজাইল সাবমেরিন

এই সাবমেরিনের মূল কাজ পারমাণবিক বোমাবাহী ইন্টারকন্টিনেন্টাল ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে। মিজাইলের রেঞ্জ ৩০০০ থেকে ১২০০০ কিমি পর্যন্ত। আমেরিকা, রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, চীন সবার কাছেই এই সাবমেরিন আছে। তবে সংখ্যায় ব্যাপক তারতম্য আছে। সকল সাবমেরিনের মধ্যে এগুলোই সবচেয়ে বড়। যেমন আমেরিকান Ohio class submarine, রাশিয়ান Delta IV class, Typhoon class submarine (সবচেয়ে বড়), ব্রিটিশ Vanguard Class Submarine ইত্যাদি।

গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন

এই সাবমেরিনের মূল কাজ গাইডেড ক্রুজ বা ব্যালিস্টিক মিজাইল বহন করা। এছারা নিরাপত্তার জন্য টর্পেডো ও অন্যান্য অস্ত্রও থাকে।এগুলো সুধুই আমেরিকা - রাশিয়ার আছে। তাও ২ দেশের গাইডেড মিজাইল সাবমেরিনে পার্থক্য আছে। রাশিয়ার Oscar class submarine ই একমাত্র সাবমেরিন যা গাইডেড মিজাইল সাবমেরিন হিসেবে তৈরি হয়েছে। এগুলোতে ছোট সাইজের পারমানবিক বোমাও থাকে যার মূল টার্গেট আমেরিকান বিমানবাহী জাহাজ।

তথ্যসূত্র