কৃষ্ণনগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′ উত্তর ৮৮°৩০′ পূর্ব / ২৩.৪° উত্তর ৮৮.৫° পূর্ব / 23.4; 88.5
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Siman96 (আলোচনা | অবদান)
তথ্য সম্প্রসারণ
Siman96-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে HirokBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
৬৭ নং লাইন: ৬৭ নং লাইন:
== ইতিহাস ও সংস্কৃতি ==
== ইতিহাস ও সংস্কৃতি ==
সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। অতীতে এই জায়গার নাম ছিল রেউই। [[নদিয়া রাজপরিবার|নদিয়া রাজপরিবারে]]<nowiki/>র শ্রেষ্ঠ পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর। তিনি বিদ্বান[[সংস্কৃত]] ও [[ফার্সি]]<nowiki/>ভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার [[রামপ্রসাদ সেন]], [[অন্নদামঙ্গল কাব্য]] প্রণেতা [[ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর]], হাস্যরসিক [[গোপাল ভাঁড়]] প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। তার চেষ্টায় এই স্থানে গুনী ব্যক্তিদের সমাবেশ হয় এবং কৃষ্ণনগর বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। ১৮৫৬ সালে সারস্বত চর্চ্চার কেন্দ্র রূপে গড়ে [[কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার]]। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও [[জগদ্ধাত্রী]] পূজার প্রচলন তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। অতীতে এই জায়গার নাম ছিল রেউই। [[নদিয়া রাজপরিবার|নদিয়া রাজপরিবারে]]<nowiki/>র শ্রেষ্ঠ পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর। তিনি বিদ্বান[[সংস্কৃত]] ও [[ফার্সি]]<nowiki/>ভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার [[রামপ্রসাদ সেন]], [[অন্নদামঙ্গল কাব্য]] প্রণেতা [[ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর]], হাস্যরসিক [[গোপাল ভাঁড়]] প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। তার চেষ্টায় এই স্থানে গুনী ব্যক্তিদের সমাবেশ হয় এবং কৃষ্ণনগর বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। ১৮৫৬ সালে সারস্বত চর্চ্চার কেন্দ্র রূপে গড়ে [[কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার]]। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও [[জগদ্ধাত্রী]] পূজার প্রচলন তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

দেশভাগের করাল গ্রাসে বাংলা ভেঙে দু-টুকরো হল যখন শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে ভাগাভাগি হয়েছিল জেলা-মহকুমা-সদর সবই। নদীয়াও এই বিভাজনে বাদ যায়নি, নদীয়া ভেঙে দু-খান হল। প্রথমে নদীয়া জেলা চলে গিয়েছিল পাকিস্তানের মানচিত্রে। কিন্তু এখানকার মেহেরপুর, কুষ্টিয়া আর চুয়াডাঙায় মুসলমান সংখ্যাগুরু হলেও একমাত্র কৃষ্ণনগর আর রাণাঘাটে হিন্দুদের বসবাস ছিল। তাই কৃষ্ণনগর আর রানাঘাটের হিন্দু রাজারা কখনোই নিজেদের পাকিস্তানের অন্তভুর্ক্ত করতে চায়নি। সেই উত্তাল সময় কৃষ্ণনগরের রাজা সৌরীশচন্দ্র রায় নিজে লর্ড মাউন্টব্যাটেনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং তার ফলেই দেশভাগের পরিবর্তিত সিদ্ধান্তে রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর ভারতের মানচিত্রে অক্ষত রয়ে যায়।<ref name=":0">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://sobbanglay.com/sob/krishnanagar/|শিরোনাম=কৃষ্ণনগর|তারিখ=2021-09-24|ওয়েবসাইট=সববাংলায়|ভাষা=bn-BD|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-30}}</ref>


== বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ==
== বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব ==
৯৮ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:


এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

=== ধর্মবিশ্বাস ===


{{Pie chart
{{Pie chart
১২৩ নং লাইন: ১২৩ নং লাইন:
==যোগাযোগ ব্যবস্থা==
==যোগাযোগ ব্যবস্থা==
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থাপনকারী রাস্তা [[জাতীয় সড়ক ১২ (ভারত)]] বা পূর্বতন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক কৃষ্ণনগর শহরের ওপর দিয়ে গেছে। সড়কপথে কৃষ্ণনগর পশ্চিমনবঙ্গের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত। [[কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন]]টি পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের [[শিয়ালদহ রেলওয়ে বিভাগ|শিয়ালদহ রেল বিভাগে]]<nowiki/>র অন্তর্গত একটি রেলওয়ে স্টেশন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://indiarailinfo.com/departures/krishnanagar-city-junction-knj/1164|শিরোনাম=53 COVID-19 Special Departures from Krishnanagar City ER/Eastern Zone - Railway Enquiry|শেষাংশ=roy|প্রথমাংশ=Joydeep|ওয়েবসাইট=indiarailinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-10}}</ref>
উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থাপনকারী রাস্তা [[জাতীয় সড়ক ১২ (ভারত)]] বা পূর্বতন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক কৃষ্ণনগর শহরের ওপর দিয়ে গেছে। সড়কপথে কৃষ্ণনগর পশ্চিমনবঙ্গের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত। [[কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন]]টি পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের [[শিয়ালদহ রেলওয়ে বিভাগ|শিয়ালদহ রেল বিভাগে]]<nowiki/>র অন্তর্গত একটি রেলওয়ে স্টেশন।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://indiarailinfo.com/departures/krishnanagar-city-junction-knj/1164|শিরোনাম=53 COVID-19 Special Departures from Krishnanagar City ER/Eastern Zone - Railway Enquiry|শেষাংশ=roy|প্রথমাংশ=Joydeep|ওয়েবসাইট=indiarailinfo.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-10}}</ref>

== দর্শনীয় স্থান ==
কৃষ্ণনগর রাজবাড়ি কিংবা ঘূর্ণির পুতুলপট্টি এই জনপদের অবশ্য-দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে পড়ে। ভ্রমণে এলে এখানকার বেথুয়াডহরী অরণ্য বা বাহাদুরপুর অরণ্যও ঘুরে দেখা যায়। তবে বেথুয়াডহরীতে ঘন জঙ্গল পেলেও বাহাদুরপুর প্রায় পুরোটাই জলাশয়-সম্বলিত। শীতকালে এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখিদের আনাগোনা আছে। আনন্দময়ীতলা কালীবাড়ি, রোমান ক্যাথলিক গির্জাটিও এখানে দেখে নেওয়া যায়। <ref name=":0" />


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

০৫:৫৩, ২২ অক্টোবর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কৃষ্ণনগর
রেউই
শহর
রাজপ্রাসাদের বহির্ভাগ
রাজপ্রাসাদের বহির্ভাগ
কৃষ্ণনগর পশ্চিমবঙ্গ-এ অবস্থিত
কৃষ্ণনগর
কৃষ্ণনগর
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′ উত্তর ৮৮°৩০′ পূর্ব / ২৩.৪° উত্তর ৮৮.৫° পূর্ব / 23.4; 88.5
দেশ ভারত
রাজ্যপশ্চিমবঙ্গ
জেলানদিয়া
সরকার
 • সংসদ সদস্যমহুয়া মৈত্র
উচ্চতা১৪ মিটার (৪৬ ফুট)
জনসংখ্যা (২০০১)
 • মোট১,৩৯,০৭০
ভাষাবাংলা
 • অফিসিয়ালবাংলা, ইংরেজি
সময় অঞ্চলআইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০)
কৃষ্ণনগর রাজবাটীর জগদ্ধাত্রী পুজো
কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলওয়ে স্টেশন
ঘূর্ণি, কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মাটির পুতুল

কৃষ্ণনগর ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নদিয়া জেলার সদর শহর ও পৌরসভা এলাকা। কৃষ্ণনগরের ঘূর্ণীর মাটির পুতুল ও মূর্তি পশ্চিমবঙ্গের শ্রেষ্ঠ কুটির শিল্পগুলির অন্যতম। এটি বর্তমানে নদিয়া জেলার প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ও প্রাচীন বাংলার অন্যতম শিক্ষা ও সংস্কৃতির শহর বলে পরিচিত। কৃষ্ণনগরের বারদোলের মেলা বাংলার অতি প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী মেলা। নদিয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্র এই মেলার প্রবর্তক হিসাবে জানা যায়।[১]

ইতিহাস ও সংস্কৃতি

সংস্কৃতি ও বিদ্যোৎসাহী রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের নামানুসারে এই স্থান কৃষ্ণনগর নামে খ্যাত। অতীতে এই জায়গার নাম ছিল রেউই। নদিয়া রাজপরিবারের শ্রেষ্ঠ পুরুষ রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজধানী ছিল কৃষ্ণনগর। তিনি বিদ্বানসংস্কৃত ও ফার্সিভাষায় শিক্ষিত, সংগীতরসিক ছিলেন। রাজা কৃষ্ণচন্দ্র ছিলেন শাক্তপদাবলিকার রামপ্রসাদ সেনঅন্নদামঙ্গল কাব্য প্রণেতা ভারতচন্দ্র রায়গুণাকর, হাস্যরসিক গোপাল ভাঁড় প্রমুখ বাংলার প্রবাদপ্রতিম গুণী ব্যক্তিদের পৃষ্ঠপোষক। তার চেষ্টায় এই স্থানে গুনী ব্যক্তিদের সমাবেশ হয় এবং কৃষ্ণনগর বাংলার সংস্কৃতিচর্চার পীঠস্থান হয়ে ওঠে। ১৮৫৬ সালে সারস্বত চর্চ্চার কেন্দ্র রূপে গড়ে কৃষ্ণনগর সাধারণ গ্রন্থাগার। কৃষ্ণনগরের জগদ্বিখ্যাত মৃৎশিল্পের সূত্রপাত ও জগদ্ধাত্রী পূজার প্রচলন তার সময়ে তারই উদ্যোগে ঘটেছিল। কৃষ্ণনগর পৌরসভা ১৮৬৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।

বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব

ভৌগোলিক উপাত্ত

শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৩°২৪′ উত্তর ৮৮°৩০′ পূর্ব / ২৩.৪° উত্তর ৮৮.৫° পূর্ব / 23.4; 88.5[২] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ১৪ মিটার (৪৫ ফুট)।

জনসংখ্যার উপাত্ত

ভারতের ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুসারে কৃষ্ণনগর শহরের জনসংখ্যা হল ১৩৯,০৭০ জন।[৩] এর মধ্যে পুরুষ ৫১% এবং নারী ৪৯%।

এখানে সাক্ষরতার হার ৭৯%। পুরুষদের মধ্যে সাক্ষরতার হার ৮৩% এবং নারীদের মধ্যে এই হার ৭৫%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৫৯.৫%, তার চাইতে কৃষ্ণনগর এর সাক্ষরতার হার বেশি।

এই শহরের জনসংখ্যার ৯% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

ধর্মবিশ্বাস

কৃষ্ণনগরের ধর্মবিশ্বাস (২০১১)[৪]

  হিন্দুধর্ম (৯০.৮২%)
  ইসলাম (৫.৯৮%)
  শিখধর্ম (০.০৪%)
  জৈন ধর্ম (০.০১%)
  অন্যান্য (০.০৬%)

ক্রীড়া

দ্বিজেন্দ্রলাল রায় মেমোরিয়াল স্টেডিয়াম বা ডিস্ট্রিক্ট স্টেডিয়াম হচ্ছে শহরের প্রধান ক্রীড়াঙ্গন। এখানে ১৯৭১ সালে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল-এর প্রথম ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়।

যোগাযোগ ব্যবস্থা

উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম প্রধান সংযোগস্থাপনকারী রাস্তা জাতীয় সড়ক ১২ (ভারত) বা পূর্বতন ৩৪ নং জাতীয় সড়ক কৃষ্ণনগর শহরের ওপর দিয়ে গেছে। সড়কপথে কৃষ্ণনগর পশ্চিমনবঙ্গের অন্যান্য শহরের সাথে যুক্ত। কৃষ্ণনগর সিটি জংশন রেলওয়ে স্টেশনটি পূর্ব রেলওয়ে অঞ্চলের শিয়ালদহ রেল বিভাগের অন্তর্গত একটি রেলওয়ে স্টেশন।[৫]

তথ্যসূত্র

  1. "শুরু হল কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যবাহী বারোদোলের মেলা– News18 Bangla"News18 Bengali। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 
  2. "Krishnanagar"Falling Rain Genomics, Inc। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬ 
  3. "ভারতের ২০০১ সালের আদম শুমারি"। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬ 
  4. "Krishnanagar Religion 2011"। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মার্চ ২০১৭ 
  5. roy, Joydeep। "53 COVID-19 Special Departures from Krishnanagar City ER/Eastern Zone - Railway Enquiry"indiarailinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১০ 

বহিঃসংযোগ