মাহবুব-উল আলম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
এই হলো অভীক (আলোচনা | অবদান)
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{তথ্যছক লেখক
{{তথ্যছক লেখক
|নাম=মাহবুব-উল আলম|জন্ম_তারিখ={{জন্ম তারিখ|1898|5|1|df=y}}|জন্ম_স্থান=ফতেয়াবাদ, চট্টগ্রাম, [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]|মৃত্যু_তারিখ={{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1981|8|7|1898|5|1}}|পেশা=সৈনিক, ইতিহাসবিদ, লেখক}}
|নাম=মাহবুব-উল আলম|চিত্র=মাহবুব-উল আলম.jpg|জন্ম_তারিখ={{জন্ম তারিখ|1898|5|1|df=y}}|জন্ম_স্থান=ফতেয়াবাদ, চট্টগ্রাম, [[বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি]], [[ব্রিটিশ ভারত]]|মৃত্যু_তারিখ={{মৃত্যু তারিখ ও বয়স|1981|8|7|1898|5|1}}|পেশা=সৈনিক, ইতিহাসবিদ, লেখক}}


'''মাহবুব-উল আলম''' (১ মে ১৮৯৮ - ৭ আগস্ট ১৯৮১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক এবং ইতিহাসবিদ।<ref name=":0" /> তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ''মো’মেনের জবানবন্দী'' (১৯৪৬) সংবর্ধিত একটি রচনা যা [[উর্দু ভাষা|উর্দু]] ও [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজিতে]] অনূদিত হয়ে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://dainikpurbokone.net/literature-and-culture/30161/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0/|শিরোনাম=মাহবুব উল আলমের ‘মোমেনের জবানবন্দী’ তে স্রষ্টা-ধারণা|শেষাংশ=বানু|প্রথমাংশ=জয়নব তাবাসসুম|তারিখ=৯ আগস্ট, ২০১৯|ওয়েবসাইট=দৈনিক পূর্বকোণ}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/bd/732840.details|শিরোনাম=‘বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে থাকবেন মাহবুব উল আলম’|তারিখ=2019-08-08|ওয়েবসাইট=banglanews24.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-13}}</ref>
'''মাহবুব-উল আলম''' (১ মে ১৮৯৮ - ৭ আগস্ট ১৯৮১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক এবং ইতিহাসবিদ।<ref name=":0" /> তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ''মো’মেনের জবানবন্দী'' (১৯৪৬) সংবর্ধিত একটি রচনা যা [[উর্দু ভাষা|উর্দু]] ও [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজিতে]] অনূদিত হয়ে [[চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়]] ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://dainikpurbokone.net/literature-and-culture/30161/%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%B9%E0%A6%AC%E0%A7%81%E0%A6%AC-%E0%A6%89%E0%A6%B2-%E0%A6%86%E0%A6%B2%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A7%8B%E0%A6%AE%E0%A7%87%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%B0/|শিরোনাম=মাহবুব উল আলমের ‘মোমেনের জবানবন্দী’ তে স্রষ্টা-ধারণা|শেষাংশ=বানু|প্রথমাংশ=জয়নব তাবাসসুম|তারিখ=৯ আগস্ট, ২০১৯|ওয়েবসাইট=দৈনিক পূর্বকোণ}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglanews24.com/daily-chittagong/news/bd/732840.details|শিরোনাম=‘বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে থাকবেন মাহবুব উল আলম’|তারিখ=2019-08-08|ওয়েবসাইট=banglanews24.com|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-09-13}}</ref>

১৫:৩২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মাহবুব-উল আলম
চিত্র:মাহবুব-উল আলম.jpg
জন্ম(১৮৯৮-০৫-০১)১ মে ১৮৯৮
ফতেয়াবাদ, চট্টগ্রাম, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু৭ আগস্ট ১৯৮১(1981-08-07) (বয়স ৮৩)
পেশাসৈনিক, ইতিহাসবিদ, লেখক

মাহবুব-উল আলম (১ মে ১৮৯৮ - ৭ আগস্ট ১৯৮১) ছিলেন একজন বাংলাদেশি কথাসাহিত্যিক, সৈনিক এবং ইতিহাসবিদ।[১] তাঁর রচিত আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস মো’মেনের জবানবন্দী (১৯৪৬) সংবর্ধিত একটি রচনা যা উর্দুইংরেজিতে অনূদিত হয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।[২][৩]

জন্ম

মাহবুব-উল আলম চট্টগ্রামের ফতেয়াবাদ গ্রামে ১ মে ১৮৯৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তাঁর পিতা মৌলভী নাসির উদ্দিন, মাতা আজিমুন্নেসা বেগম। তিনি তাঁর পিতা মাতার দ্বিতীয় সন্তান।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

কর্মজীবন

১৯১৭ সালে তিনি ব্রিটিশ ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৪৯ তম বাঙালি পল্টনে যোগ দেন, তিনি সিগন্যাল কর্পসে দায়িত্ব পালন করেন এবং মেসোপটেমিয়া (বর্তমানে ইরাক)-এর বিভিন্ন স্টেশনগুলিতে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করেন, পরে ১৯২০ সালে পল্টন ভেঙ্গে গেলে তিনি দেশে ফিরে আসেন। মাহবুব-উল আলম সরকারি নিবন্ধন বিভাগে চাকরি করতেন এবং ১৯৫৪ সালে অবসর গ্রহণ করেন।

সাহিত্য কর্ম

২৮ অক্টোবর, ১৯৫৪ তারিখ হতে চট্টগ্রাম থেকে মাহবুবের সম্পাদনায় জামানা সাপ্তাহিক প্রকাশিত হতে থাকে।

উপন্যাস

  • মফিজন (১৯৪৬) উপন্যাসিকা
  • মো’মেনের জবানবন্দী (১৯৪৬) আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ, এতে সমাজ ও বাস্তবজীবনের নিখুঁত চিত্র প্রকাশ পায়।[১] উপন্যাসটি ইংরেজি ও উর্দু ভাষায় অনূদিত হয়। ইংরেজিতে অনুবাদ করেন লীলা রায়[৪] এই বইটি তৎকালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও পেশোয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়। মাওলা ব্রাদার্স থেকে বর্তমান সংস্করণ প্রকাশিত।[৫]

ছোট গল্প

  • তাজিয়া (১৯৪৬) - ছোট গল্পগুলির একটি সংগ্রহ, যা প্রধানত ধর্মীয় কুসংস্কারের সাথে সম্পর্কিত।
  • পঞ্চ অন্ন (১৯৫৩) - আরেকটি ভলিউম, যার মধ্যে অতিপ্রাকৃতবাদ, দুর্ভিক্ষ, গার্হস্থ্য বিষয় এবং বিবাহ সম্পর্কিত ছোট গল্প রয়েছে।

তাঁর মৃত্যুর পর, চারটি মজাদার হাস্যরসাত্মক গল্প প্রকাশ করা হয় যা হল: রঙবেরঙ (১৯৯৮), পল্টনে (১৯৯৮), প্রধান অতিথি ও তাজা শিঙ্গি মাছের ঝোল (২০০২) এবং সাত সতেরো

অন্য কর্ম

  • পল্টন জীবনের স্মৃতি - বইটি ১৯৩৫ সালে প্রকাশিত হয়। এর মাধ্যমে লেখক হিসেবে মাহবুব-উল আলমের আত্মপ্রকাশ ঘটে। বইটি কলকাতা থেকে প্রকাশিত মাসিক মোহাম্মদীতে প্রথম ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, এবং এর মাধ্যমে তিনি পাঠকদের মনোযোগ আকর্ষণ করেন।
  • গোঁফসন্দেশ (১৯৫৩) - রম্যরচনা
  • চট্টগ্রামের ইতিহাস (১৯৫২)
  • বাঙ্গালি মুক্তিযুদ্ধের ইতিবৃত্ত - বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ওপর ভিত্তি করে চার খন্ডে রচিত একটি দালিলিক বই। বইটির জন্য তথ্য সংগ্রহ শুরু করেন বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পরপরই। তিনি বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সশরীরে উপস্থিত হয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী লােকজনের সাক্ষাৎকার নিয়ে তথ্য ও উপাত্ত সংগ্রহ করেন।

এছাড়া, ইউনেস্কো প্রকল্পের অধীনে, তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের উদ্ভিদ ও প্রাণীর বর্ণনা ও আবাসস্থল সংবলিত অসংখ্য বই প্রকাশ করেছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন

চট্টগ্রাম কলেজে পড়াশোনা করার সময় আলম তার দূরবর্তী আত্মীয় জুলেখাকে বিয়ে করেছিলেন, যিনি সাত সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এবং মারা যান (যার মধ্যে তিনজন শিশু কালে মারা যান)। মাহবুব-উল আলম পরে রাহেলা খাতুনকে বিয়ে করেন, যিনি ১১ সন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন এবং ২৬ বছর ধরে বেঁচে ছিলেন। অবসর গ্রহণে পর, তিনি সামাজিক কর্মে আগ্রহী হন এবং ১৯৫৩ সালে ‘জমানা’ নামে একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা বের করেন। পরবর্তীতে ১৯৫৬ সালে তা ‘দৈনিক জমানা’য় রূপান্তর ও প্রতিষ্ঠিত করেন। মাহবুব-উল আলম ১৯৮১ সালের ৭ আগস্ট চট্টগ্রামের কাজির দেউরীতে তার নিজ বাড়িতে মারা যান। তার মার্কিন লেখক-বন্ধু রবার্ট সি হ্যামক তার বই বেলো দ্য ললানো এস্তাকাদোতে তাকে নিয়ে একটি অধ্যায় লিখেন।

পুরস্কার

তথ্যসূত্র

  1. বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান। ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭। পৃষ্ঠা ২৮০। 
  2. বানু, জয়নব তাবাসসুম (৯ আগস্ট, ২০১৯)। "মাহবুব উল আলমের 'মোমেনের জবানবন্দী' তে স্রষ্টা-ধারণা"দৈনিক পূর্বকোণ  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  3. "'বাংলা সাহিত্যে অমর হয়ে থাকবেন মাহবুব উল আলম'"banglanews24.com। ২০১৯-০৮-০৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৩ 
  4. "Remembering Lila Ray: How a daughter of Texas pioneers found freedom in Santiniketan-- An Essay by Anandarup Ray [Parabaas Translation]"www.parabaas.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৩ 
  5. "মো'মেনের জবানবন্ধী"Kicu Lagbe? (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-১৩ 

বহিঃসংযোগ