ইসলাম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[অপরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
MelancholieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: ext:Islam
MelancholieBot (আলোচনা | অবদান)
রোবট যোগ করছে: xal:Лал шаҗн
২৪০ নং লাইন: ২৪০ নং লাইন:
[[wo:Lislaam]]
[[wo:Lislaam]]
[[wuu:回教]]
[[wuu:回教]]
[[xal:Лал шаҗн]]
[[yi:איסלאם]]
[[yi:איסלאם]]
[[yo:Islam]]
[[yo:Islam]]

১৪:২৩, ২৭ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইসলাম (আরবি ভাষায়: الإسلام আল্‌-ইসলাম্‌) একটি একেশ্বরবাদী ধর্ম। "ইসলাম" শব্দের অর্থ "আত্মসমর্পণ", বা একক স্রষ্টার নিকট নিজেকে সমর্পন। খ্রিষ্টিয় সম্তম শতকে আরবের ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা মুহাম্মদ (সঃ) এই ধর্ম প্রচার করেন। কুরআন ইসলামের মূল ধর্মগ্রন্থ। এই ধর্মে বিশ্বাসীদের মুসলমান বা মুসলিম বলা হয়। কুরআন আল্লাহর বাণী এবং তার কর্তৃক মুহাম্মদের নিকট প্রেরিত বলে মুসলমানরা বিশ্বাস করেন। তাদের বিশ্বাস অনুসারে মুহাম্মদ শেষ নবী। হাদিসে প্রাপ্ত তাঁর নির্দেশিত কাজ ও শিক্ষার ভিত্তিতে কুরআনকে ব্যাখ্যা করা হয়।

ইহুদিখ্রিস্ট ধর্মের ন্যায় ইসলাম ধর্মও আব্রাহামীয়[১] মুসলমানের সংখ্যা আনুমানিক ১৪০ কোটি ও তারা পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মাবলম্বী গোষ্ঠী[২] মুহাম্মদ (সঃ) ও তার উত্তরসূরীদের প্রচার ও যুদ্ধ জয়ের ফলশ্রুতিতে ইসলাম দ্রুত বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে।[৩] বর্তমানে সমগ্র বিশ্ব জুড়ে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য, উত্তর আফ্রিকা, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় মুসলমানরা বাস করেন। আরবে এ ধর্মের গোড়া পত্তন হলেও অধিকাংশ মুসলমান |অনারব এবং আরব দেশের মুসলমানরা মোট মুসলমান সংখ্যার শতকরা মাত্র ২০ বিশভাগ।[৪] যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু ইউরোপীয় দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্ম ইসলাম।[৫][৬]

ধর্মবিশ্বাস

মুসলমানরা বিশ্বাস করেন আল্লাহ মানবজাতির জন্য তার বাণী ফেরেস্তা জিব্রাইল (আ) মাধ্যমে মুহাম্মদ (সঃ)এর নিকট অবতীর্ণ করেন। কুরআনে উক্ত "খতমে নবুয়ত" ও মুহাম্মদের নিজের দাবীর ভিত্তিতে মুসলমানরা তাকে শেষ নবী বলে বিশ্বাস করেন। তারা আরও বিশ্বাস করেন, তাদের পবিত্র গ্রন্থ কুরআন নিখুঁত, অবিকার্য ও মানবজাতির উদ্দেশ্যে অবতীর্ণ আল্লাহর শেষ বাণী, যা পুনরুত্থান দিবস পর্যন্ত বহাল ও কার্যকর থাকবে।

মুসলমানদের বিশ্বাস, আদম হতে শুরু করে ঈশ্বর-প্রেরিত সকল পুরুষ ইসলামের বাণীই প্রচার করে গেছেন। ইসলামের দৃষ্টিতে ইহুদি ও খ্রিস্ট উভয়ই আব্রাহামের শিক্ষার ঐতিহ্য পরম্পরা। উভয় ধর্মাবলম্বীকে কুরআনে "আহলে কিতাব" বলে সম্বোধন করা হয়েছে এবং বহুদেবতাবাদীদের থেকে আলাদা করা হয়েছে। এই ধর্ম দুটির গ্রন্থসমূহের বিভিন্ন ঘটনা ও বিষয়ের উল্লেখ কুরআনেও রয়েছে, তবে অনেকক্ষেত্রে রয়েছে পার্থক্য। ইসলামি বিশ্বাসানুসারে এই দুই ধর্মের অনুসারীগণ তাদের নিকট প্রদত্ত ঈশ্বরের বাণীর অর্থগত ও নানাবিধ বিকৃতসাধন করেছেন; ইহুদিগণ তৌরাতকে (তোরাহ) ও খ্রিস্টানগণ ইনজিলকে (নতুন বাইবেল)।

আল্লাহ

মুসলমানগণ তাদের ঈশ্বরকে আল্লাহ বলে সম্বোধন করেন। ইসলামের মূল বিশ্বাস হলো আল্লাহর একত্ব বা তৌহিদ। ইসলাম পরম একেশ্বরবাদ ও কোনোভাবেই আপেক্ষিক বা বহুত্ববাদী নয়। আল্লাহর একত্ব ইসলামের পাঁচটি মূল স্তম্ভের মধ্যে প্রথম, যাকে বলা হয় শাহাদাহ। এটি পাঠের মাধ্যমে একজন স্বীকার করেন যে ১-আল্লাহ ব্যতীত অন্য কোন উপাস্য নাই এবং ২-মুহাম্মদ তার প্রেরিত পুরুষ। সুরা এখলাছে আল্লাহর বর্ণনা দেয়া হয়েছে এভাবে

"বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।"১১২:১-৪ [৭]

ব্যুৎপত্তিগতভাবে আল্লাহ শব্দটি "ইলাহ" থেকে আগত। খ্রিস্টানগণ খ্রিস্ট ধর্মকে একেশ্বরবাদী বলে দাবী করলেও মুসলমানগণ খ্রিস্টানদের ত্রিত্ববাদ (trinity) বা এক ঈশ্বরের মধ্যে পিতা, পুত্র ও পবিত্র আত্মার মিলন, এই বিশ্বাসকে বহু-ঈশ্বরবাদী ধারণা বলে অস্বীকার করে। ইসলামি ধারণায় ঈশ্বর সম্পূর্ণ নিরাবয়ব, যার কোন প্রকার আবয়বিক বর্ণনা অসম্ভব ও পৌত্তলিকতার সমতুল্য। এধরনের অবয়বহীনতার ধারণা ইহুদি ও কিছু খ্রিস্টান বিশ্বাসেও দেখা যায়। মুসলমানরা তাদের ঈশ্বরকে বর্ণনা করেন তার বিভিন্ন নাম ও গুণাবলীর মাধ্যমে।

কুরআন

হাত্তাত আজিজ এফেন্দির হস্তলিখিত - কুরআনের প্রথম সুরা।

কুরআন মুসলমানদের মূল ধর্মগ্রন্থ। তাদের বিশ্বাসে কুরআন স্রষ্টার অবিকৃত, হুবহু বাণী। বাংলায় কুরআনকে আরো বলা হয় "আল-কুরআন" বা "কুরআন শরীফ"। কুরআনএর জায়গায় বানানভেদে কোরআন বা কোরানও লিখতে দেখা যায়।

ইসলাম ধর্মমতে, জিব্রাইল ফেরেস্তার মাধ্যমে মুহাম্মদের নিকট ৬১০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ৬ই জুলাই, ৬৩২তে তার মৃত্যু অবধি বিভিন্ন সময়ে স্রস্টা তার বাণী অবতীর্ণ করেন। এই বাণী তার অন্তস্থ ছিলো, সংরক্ষণের জন্য তার অনুসারীদের দ্বারা পাথর, পাতা ও চামড়ার উপর লিখেও রাখা হয়।

অধিকাংশ মুসলমান কুরআনের যেকোনো পাণ্ডুলিপিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করে, স্পর্শ করার পূর্বে ওজু করে নেয়। কুরান জীর্ণ ও ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়লে আবর্জনা হিসেবে ফেলে দেয়া হয় না, পুড়িয়ে ফেলা হয়।

অনেক মুসলমানই কুরানের কিছু অংশ এর মূল ভাষা আরবিতে মুখস্ত করে থাকেন, কমপক্ষে যেটুকু আয়াত নামাজ আদায়ের জন্য পড়া হয়। সম্পূর্ণ কুরান মুখস্তকারীদের হাফিজ বলা হয়। মুসলমানরা আরবি কুরানকেই কেবলমাত্র নিখুঁত বলে বিশ্বাস করেন। অনুবাদসমূহ মনুষ্যকর্ম বিধায় এতে ভুল-ত্রুটি থাকার সম্ভাবনা থেকে যায় এবং বিষয়বস্তুর মূল প্রেরণা ও সঠিক উপস্থাপনা অনুবাদ কর্মে অনুপস্থিত থাকতে পারে বিধায় অনুবাদসমূহকে আরবি কুরানের সমতুল্য ও সমান নিখুঁত গণ্য করা হয় না।

মুহাম্মদ

মুহাম্মদ আরবের একজন ধর্মীয় ও রাজনৈতিক নেতা ছিলেন। তিনি ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম ধর্মীয় সম্প্রদায় বা উম্মাহ প্রতিষ্ঠা করেন। তাকে ইসলামের শ্রেষ্ঠ নবী হিসেবে শ্রদ্ধা ও সম্মান করা হয়। মুসলমানরা তাকে একটি নতুন ধর্মের প্রবর্তক হিসেবে দেখেন না। তাদের কাছে মুহাম্মদ বরং ঈশ্বর প্রেরিত নবী-পরম্পরার শেষ নবী, যিনি আদম, ইব্রাহিম ও অন্যান্য নবী প্রচারিত একেশ্বরবাদী ধর্মেরই, যা বিভিন্ন সময় পরিবর্তিত ও বিকৃত হয়েছে, পুনর্প্রবর্তন করেন।

ইসলাম ধর্মমতে, তিনি চল্লিশ বছর বয়স হতে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ২৩ বছর যাবৎ ফেরেস্তা জিব্রাইল মারফত ঐশী বাণী লাভ করেন। এই বাণীসমূহের একত্ররূপ হলো কুরান, যা তিনি মুখস্ত করেন ও তার অনুসারীদের দিয়ে লিপিবদ্ধ করান।

সকল মুসলমান বিশ্বাস করেন মুহাম্মদ এই বাণী নির্ভুলভাবে প্রচার করেছেন:

"সে যদি আমার নামে কোন কথা রচনা করত, তবে আমি তার দক্ষিণ হস্ত ধরে ফেলতাম, অতঃপর কেটে দিতাম তার গ্রীবা। তোমাদের কেউ তাকে রক্ষা করতে পারতে না।" ৬৯:৪৪-৪৭ [৭]

মুহাম্মদ ও সর্বোপরি সকল নবী কখনো ভুল করেন নি, এমন বিশ্বাস সুন্নি মতে না থাকলেও শিয়ারা এমন বিশ্বাস সকল নবী ও তাদের ইমামদের ক্ষেত্রে পোষণ করে। মুহাম্মদের ভুল করা বা আল্লাহর নিকট অসন্তোষজনক কাজ করার উদাহরণ হিসেবে নিম্নলিখিত আয়াতটি আলোচনা করা হয় [৮]:

"হে নবী, আল্লাহ আপনার জন্যে যা হালাল করেছেন, আপনি আপনার স্ত্রীদেরকে খুশী করার জন্য তা নিজের উপর হারাম করছেন কেন? আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়াময়।" ৬৬:১ [৭]

এভাবে কুরআনের আরও কয়েক জায়গায় মুহাম্মদের কাজ শুধরে দেয়া হয়েছে। এই আয়াতগুলো আল্লাহর বাণী নির্ভুল এবং অপরিবর্তত ভাবে প্রচার করার ব্যাপারে প্রমান হিসেবে ব্যবহার করা হয়, কারণ নির্ভুল ভাবে প্রচারের ইচ্ছা না থাকলে নিজের অসম্মান হয় এমন কিছুই তিনি প্রচার করতেন না।

মুসলিমরা বিশ্বাস করে, মানুষ হিসেবে সিদ্ধান্ত দিতে হলে মুহাম্মদ (সা) ভুল করতেন, কিন্তু ঐশী বাণী প্রচারের ক্ষেত্রে তিনি কখনও ভুল করেন নি।


হাদিস

হাদীস আরবি শব্দ। এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে- কথা, বাণী, কথা-বার্তা, আলোচনা, কথিকা,সংবাদ, খবর, কাহিনী ইত্যাদি। [আধুনিক আরবি বাংলা অভিধান, ড.ফজলুর রহমান,রিয়াদ প্রকাশণী ২০০৫]ইসলামী পরিভাষায় মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কথা, কাজ ও অনুমোদন এবং তাঁর দৈহিক ও চারিত্রিক যাবতীয় বৈশিষ্টকে হাদীস বলে। [ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় তাঁর সহচররা তাঁর হাদীসসমূহ মুখস্থ করে সংরক্ষণ করতেন।

ইসলামের মূল স্তম্ভ সমূহ

ইসলামের ৫টি মূল স্তম্ভ রয়েছে। এগুলো হল-

ধর্মগ্রন্থ

মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থের নাম কুরআন। (আরবি: القرآن আল-ক্বুর'আন "আবৃত্তিটা")

তথ্যসূত্র

  1. Vartan Gregorian (২০০৩)। Islam: A Mosaic, Not a Monolith। Washington D.C.: Brookings Institution Press। পৃষ্ঠা p. ix। ISBN 0-8157-3283-X 
  2. Teece, Geoff (২০০৫)। Religion in Focus: Islam। Smart Apple Media। পৃষ্ঠা p. 10। 
  3. Nelson, Lynn Harry। "Islam and the Prophet Muhammad"। Kansas University। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৬-১৭  - "One must remember that we are talking about the Muslim expansion, not Arab conquests. The expansion of Islam was as much, or perhaps much more, a matter of religious conversion than it was of military conquest."
  4. John L Esposito (২০০২)। What Everyone Needs to Know About Islam। Oxford University Press US। পৃষ্ঠা p. 2। ISBN 0-19-515713-3 
  5. Office for National Statistics (2003-02-13)। "Religion In Britain"। সংগ্রহের তারিখ 2006-08-27  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  6. BBC (2005-12-23)। "Muslims in Europe: Country guide"। সংগ্রহের তারিখ 2006-09-28  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  7. পবিত্র কোনআনুল করীম (বাংলা অনুবাদ ও সংক্ষিপ্ত তফসীর)। খাদেমুল-হারমাইন বাদশাহ ফাহদ, কোরআন মুদ্রণ প্রকল্প। ১৪১৩ হিজরী। পৃষ্ঠা ১৪৮০ পাতা।  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  8. The Sinlessness of the Prophets in Light of the Qur'an, by R. Azzam, USC-MSA Compendium of Muslim Texts, March 27, 2000, retrieved March 27, 2006

ইসলাম বিষয়ক কিছু ওয়েবসাইট

টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA টেমপ্লেট:Link FA