ইক্বামাহ্‌: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ইলিয়াস শাহ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ইলিয়াস শাহ (আলোচনা | অবদান)
বাক্যের সংখ্যা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{উৎসহীন|date=এপ্রিল ২০২০}}
{{উৎসহীন|date=এপ্রিল ২০২০}}


'''ইক্বামাহ্‌''' ({{lang-ar|إقامة}}) বা '''ইকামত''' হলো সামান্য পরিবর্তিত [[আযান]], যা ফরয [[নামাজ|নামাজের]] জন্য দাঁড়িয়ে [[নামাজের নিয়ত|নিয়তের]] পূর্বে উচ্চারণ করতে হয়। পার্থক্য এই ইকামতের শেষভাগে "হাইয়া আলাল ফালাহ" একবার বার বলার পর "ক্বদ ক্বামাতিস সালাহ" বাক্যটি দুইবার বলতে হয়। ইক্বামাহ্‌ শেষে নিয়ত করতঃ "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করতে হয়।
'''ইক্বামাহ্‌''' ({{lang-ar|إقامة}}) বা '''ইকামত''' হলো সামান্য পরিবর্তিত [[আযান]], যা ফরয [[নামাজ|নামাজের]] জন্য দাঁড়িয়ে [[নামাজের নিয়ত|নিয়তের]] পূর্বে উচ্চারণ করতে হয়। পার্থক্য এই ইকামতের শেষভাগে "হাইয়া আলাল ফালাহ" দুইবার বলার পর "ক্বদ ক্বামাতিস সালাহ" বাক্যটি দুইবার বলতে হয়। ইক্বামাহ্‌ শেষে নিয়ত করতঃ "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করতে হয়।


আলী ইবনু আবদুল্লাহ‌ .. আনাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল -কে আযানের বাক্যগুলো দু’ দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো বেজোড় বলার নির্দেশ দেওয়া হল। ইসমায়ীল বলেন, আমি এ হাদীস আইয়্যূবের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, তবে ‘কাদ্‌কামাতিস্‌ সালাত’ ব্যতীত। {সহীহ বুখারী (ইফাঃ)অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নাম্বার: '''৫৮০'''}
আলী ইবনু আবদুল্লাহ‌ .. আনাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল -কে আযানের বাক্যগুলো দু’ দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো বেজোড় বলার নির্দেশ দেওয়া হল। ইসমায়ীল বলেন, আমি এ হাদীস আইয়্যূবের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, তবে ‘কাদ্‌কামাতিস্‌ সালাত’ ব্যতীত। {সহীহ বুখারী (ইফাঃ)অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নাম্বার: '''৫৮০'''}

০৫:৩৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ইক্বামাহ্‌ (আরবি: إقامة) বা ইকামত হলো সামান্য পরিবর্তিত আযান, যা ফরয নামাজের জন্য দাঁড়িয়ে নিয়তের পূর্বে উচ্চারণ করতে হয়। পার্থক্য এই ইকামতের শেষভাগে "হাইয়া আলাল ফালাহ" দুইবার বলার পর "ক্বদ ক্বামাতিস সালাহ" বাক্যটি দুইবার বলতে হয়। ইক্বামাহ্‌ শেষে নিয়ত করতঃ "আল্লাহু আকবার" বলে নামাজ শুরু করতে হয়।

আলী ইবনু আবদুল্লাহ‌ .. আনাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল -কে আযানের বাক্যগুলো দু’ দু’বার এবং ইকামতের শব্দগুলো বেজোড় বলার নির্দেশ দেওয়া হল। ইসমায়ীল বলেন, আমি এ হাদীস আইয়্যূবের নিকট বর্ণনা করলে তিনি বলেন, তবে ‘কাদ্‌কামাতিস্‌ সালাত’ ব্যতীত। {সহীহ বুখারী (ইফাঃ)অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নাম্বার: ৫৮০}

সুলাইমান ইব্‌ন হারব্‌ ... আনাস থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, বিলাল কে আযানের শব্দ দু’বার এবং قد قامت الصلاة ব্যতীত ইকামাতের শব্দগুলো বেজোড় করে বলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। { সহীহ বুখারী (ইফাঃ) অধ্যায়ঃ ১০/ আযান (كتاب الأذان) হাদিস নাম্বার: ৫৭৮ }

আনাস ইবনু মালিক থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, সাহাবীগণ সালাতের ওয়াক্তের সংকেতবাহী কোন পন্থা খুঁজছিলেন। তখন বিলাল কে আযানের শব্দাবলী দুবার করে এবং ইকামতের শব্দাবলী একবার করে বলার নির্দেশ দেয়া হয়। { সুনানে ইবনে মাজাহ , অধ্যায়ঃ ৩/ আযান ও তার সুন্নাত , হাদিস নাম্বার:৭২৯ }

ইক্বামাতের বাণী

আরবি আবৃত্তি আযানের ক্ষেত্রে ইক্বামাতের ক্ষেত্রে প্রতিবর্ণীকরণ অনুবাদ
الله اكبر ৪ বার* ৪ বার আল্লাহু আকবার আল্লাহ সর্বশক্তিমান
اشهد ان لا اله الا الله ২ বার ২ বার আশহাদু-আল লা- ইলাহা ইল্লাল্লাহ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন মাবুদ নেই
اشهد ان محمد الرسول الله ২ বার ২ বার আশহাদু-আন্না মুহাম্মাদার রাসুলুল্লাহ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, মুহাম্মাদ আল্লাহর প্রেরিত দূত
حي على الصلاة ২ বার ২ বার হাইয়া আলাস সালা নামাজের জন্য এসো
حي على الفلاح ২ বার ২ বার হাইয়া আলাল ফালা সাফল্যের জন্য এসো
قد قامت الصلاةُ ২ বার ২ বার ক্বদ ক্বামাতিস্‌ সালাহ নামাজ আরম্ভ হলো
الله اكبر ২ বার ২ বার আল্লাহু আকবার আল্লাহ্ মহান
لا اله الا الله ১ বার ১ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ আল্লাহ্ ছাড়া অন্য কোন উপাস্য নেই

মহিলাদের নামাজে ইক্বামাত

মহিলাদের নামাজে আযান এবং ইক্বামাতের বিষয় নিয়ে ফক্বীহগণদের মধ্যে নানা মতভেদ রয়েছে। তবে সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মতামত হলো, ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) ফতোয়া দিয়েছেন যে, মহিলারা জামাতে নামাজ আদায় করলেও আযান দিবে না তবে নির্দ্বিধায় ইক্বামাত বলতে পারে।