তালেবান: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][অপরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎১৯৯৪: সম্প্রসারণ, en wiki অনুসারে সংশোধন
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সম্প্রসারণ ও তথ্যসূত্র
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৪১ নং লাইন: ৪১ নং লাইন:


====শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা====
====শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা====
১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোল্লা [[মোহাম্মদ ওমর]] তার শহর [[কান্দাহার|কান্দাহারে]] ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯২ সাল থেকে তিনি [[মাইওয়ান্দ]] (উত্তর [[কান্দাহার প্রদেশ]]) এর সাং-ই-হিসারে [[মাদ্রাসা]]তে অধ্যয়নরত ছিলেন। কমিউনিস্ট শাসন উৎখাতের পর আফগানিস্তানে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তার দলের সাথে আফগানিস্তানকে যুদ্ধবাজ ও অপরাধীদের হাত থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।
১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোল্লা [[মোহাম্মদ ওমর]] তার শহর [[কান্দাহার|কান্দাহারে]] ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।<ref name=":0">Matinuddin, Kamal. The Taliban Phenomenon, Afghanistan 1994–1997. Oxford University Press, (1999). pp. 25–26</ref> ১৯৯২ সাল থেকে তিনি [[মাইওয়ান্দ]] (উত্তর [[কান্দাহার প্রদেশ]]) এর সাং-ই-হিসারে [[মাদ্রাসা]]তে অধ্যয়নরত ছিলেন। কমিউনিস্ট শাসন উৎখাতের পর আফগানিস্তানে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তার দলের সাথে আফগানিস্তানকে যুদ্ধবাজ ও অপরাধীদের হাত থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।

কয়েক মাসের মধ্যে, মাদ্রাসার ১৫,০০০ শিক্ষার্থী (একটি সূত্র মাদ্রাসাগুলোকে "জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসা" বলে অভিহিত করে) পাকিস্তানে এই দলে যোগ দেয়।<ref name=":0" />


==লক্ষ্য==
==লক্ষ্য==

১৫:১৫, ২৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তালেবান
طالبان (পশতু)
নেতামোহাম্মদ ওমর # (প্রতিষ্ঠাতা, ১৯৯৪–২০১৩)
আবদুল গনি বারাদার (সহ-প্রতিষ্ঠাতা)
আখতার মনসুর  (২০১৫–২০১৬)
হাইবাতুল্লাহ আখুনজাদা (২০১৬–বর্তমান)
অপারেশনের তারিখ
  • ১৯৯৪–১৯৯৬ (সশস্ত্রবাহিনী)
  • ১৯৯৪–২০০১ (প্রথম সরকার)
  • ২০০২–২০২১ (বিদ্রোহ)
  • ২০২১–বর্তমান (দ্বিতীয় সরকার)
গোষ্ঠীপ্রাথমিকভাবে পশতুন;[১][২] উত্তর আফগানিস্থানের কিছু তাজিক[৩]
সদরদপ্তরকান্দাহার, আফগানিস্তান (১৯৯৬–২০০১)
সক্রিয়তার অঞ্চল
  তালেবান, আল কায়েদা ও তাদের মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে
  তালেবান বিরোধী বাহিনী, ন্যাটো ও তাদের মিত্রদের নিয়ন্ত্রণে
মতাদর্শজিহাদবাদ
দেওবন্দি
ইসলামি মৌলবাদ
ইসলামবাদ
ধর্মীয় জাতীয়তাবাদ
পশতুন জাতীয়তাবাদ
মিত্র আল-কায়িদা
হাক্কানি নেটওয়ার্ক
চীন
কাতার
ইরান
সৌদি আরব
পাকিস্থান
রাশিয়া
তুরস্ক
হিজ্‌ব-ই-ইসলামি গুলবুদ্দিন
ওয়াজিরিস্তানের ইসলামী আমিরাত
উজবেকিস্তানের ইসলামী আন্দোলন
বিপক্ষ
 আফগানিস্তান[৪]
আফগানিস্তান নর্দান অ্যালায়েন্স
ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্ট
ভারত
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
যুক্তরাজ্য
ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাসিস্টেন্স ফোর্স (ন্যাটো[৫] পরিচালিত)
অপারেশন এন্ডিউরিং ফ্রিডম
খণ্ডযুদ্ধ ও যুদ্ধ
ওয়েবসাইটalemarahenglish.net (ইংরেজি)

তালেবান বা তালিবান (পশতু: طالبان, অনুবাদ 'ছাত্র') আফগানিস্তানের একটি দেওবন্দি ইসলামি আন্দোলন এবং সামরিক সংগঠন।[৬][৭] ২০১৬ সাল থেকে মৌলভি হাইবাতুল্লাহ আখুন্দজাদা তালেবান নেতা।‌[৮] ২০২১ সালের হিসাবে তালেবানের আনুমানিক ২,০০,০০০ যোদ্ধা রয়েছে।[৯]

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের প্রায় তিন-চতুর্থাংশ অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল এবং তারা সেখানে ইসলামি আইন (শরিয়ত) প্রণয়ন করেছিলো।[১০] ১৯৯৪ সালে আফগান গৃহযুদ্ধের অন্যতম প্রধান দল হিসেবে তালেবানের আবির্ভাব ঘটে। এই দলটি মূলত পূর্ব ও দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন এলাকার ছাত্রদের (তালিব) নিয়ে গঠিত হয় যারা ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলো এবং সোভিয়েত–আফগান যুদ্ধের সময় যুদ্ধ করেছিলো।[১১][১২] মোহাম্মদ ওমরের নেতৃত্বে, এই আন্দোলন আফগানিস্তানের বেশিরভাগ অংশে ছড়িয়ে পড়ে। ১৯৯৬ সালে আফগানিস্তান ইসলামি আমিরাত প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আফগান রাজধানী কান্দাহারে স্থানান্তরিত হয়। ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর ২০০১ সালের ডিসেম্বরে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে আক্রমণের পর ক্ষমতাচ্যুত না হওয়া পর্যন্ত দেশের বেশিরভাগ অংশ তালেবানের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিয়েছিলো মাত্র তিনটি দেশ: পাকিস্তান, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত। পরে এই দলটি আফগানিস্তান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত কারজাই প্রশাসন এবং ন্যাটো নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা সহায়তা বাহিনীর (আইএসএএফ) বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য একটি বিদ্রোহ আন্দোলন হিসেবে পুনরায় একত্রিত হয়।

আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও আফগান সরকার ব্যাপকভাবে অভিযোগ করে, তালেবানের প্রতিষ্ঠা ও ক্ষমতায় থাকাকালীন পাকিস্তান ইন্টার-সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স ও সামরিক বাহিনী তাদের সহায়তা প্রদান করেছে এবং বিদ্রোহের সময় তালেবানদের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রেখেছে। পাকিস্তান জানায়, ১১ সেপ্টেম্বরের হামলার পর তারা এই দলকে আর সমর্থন করছে না।[১৩] জানা যায়, ২০০১ সালে আল-কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের অধীনে থাকা ২,৫০০ আরব তালেবানের পক্ষে যুদ্ধ করে।

২০২১ সালের ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের পর তালেবান আফগানিস্তানের শাসনব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ ফিরে পায়।

ইতিহাস

১৯৯৪

তালেবান পূর্ব ও দক্ষিণ আফগানিস্তানের পশতুন এলাকার ধর্মীয় শিক্ষার্থীদের (তালিব) একটি আন্দোলন যারা পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী ইসলামি বিদ্যালয়ে শিক্ষা লাভ করেছিলো। এদের সাথে তাজিক এবং উজবেক ছাত্ররাও যোগদান করে। তাই অন্যান্য নৃ-গোষ্ঠীভিত্তিক মুজাহিদী দলগুলো হতে এর বৈশিষ্ট্যগত পার্থক্য রয়েছে "যা তালেবানের দ্রুত বৃদ্ধি এবং সাফল্যে মূল ভূমিকা পালন করেছিলো।"

শিক্ষা ও অনুপ্রেরণা

১৯৯৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোল্লা মোহাম্মদ ওমর তার শহর কান্দাহারে ৫০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে এই দলটি প্রতিষ্ঠা করেন।[১৪] ১৯৯২ সাল থেকে তিনি মাইওয়ান্দ (উত্তর কান্দাহার প্রদেশ) এর সাং-ই-হিসারে মাদ্রাসাতে অধ্যয়নরত ছিলেন। কমিউনিস্ট শাসন উৎখাতের পর আফগানিস্তানে ইসলামি আইন প্রতিষ্ঠিত না হওয়ায় তিনি অসন্তুষ্ট ছিলেন এবং তার দলের সাথে আফগানিস্তানকে যুদ্ধবাজ ও অপরাধীদের হাত থেকে মুক্ত করার অঙ্গীকার করেন।

কয়েক মাসের মধ্যে, মাদ্রাসার ১৫,০০০ শিক্ষার্থী (একটি সূত্র মাদ্রাসাগুলোকে "জামিয়াত উলেমা-ই-ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত মাদ্রাসা" বলে অভিহিত করে) পাকিস্তানে এই দলে যোগ দেয়।[১৪]

লক্ষ্য

তালেবান বলেছে, আফগানিস্তানে শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনাই তাদের লক্ষ্য,পশ্চিমা সৈন্যদের চলে যাওয়া, এবং ক্ষমতায় থাকাকালীন তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যায় শরিয়ত আইন বা ইসলামি আইন প্রনয়ণ।[১৫][১৬][১৭]

নিন্দিত কর্মকাণ্ড

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তাদের শাসনামলে, তালেবান এবং তাদের সহযোগীরা আফগান নাগরিকদের বিরুদ্ধে গণহত্যা করেছে, ১৬০,০০০ অনাহারী নাগরিকের জন্য জাতিসংঘের খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করেছে, উর্বর ভূমির বিস্তীর্ণ এলাকা পুড়িয়ে দিয়েছে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছে।[১৮][১৯][২০]

গণহত্যা

জাতিসংঘের ৫৫ পৃষ্ঠার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তালেবানরা উত্তর ও পশ্চিম আফগানিস্তানে নিয়ন্ত্রণ সুসংহত করার চেষ্টা করার সময় বেসামরিক লোকদের বিরুদ্ধে পদ্ধতিগতভাবে গণহত্যা করেছে। জাতিসংঘের কর্মকর্তারা বলেছেন যে ১৯৯৬ এবং ২০০১ এর মধ্যে "১৫ টি গণহত্যা" হয়েছিল। প্রতিবেদনটি এই হত্যাকাণ্ডে আরব ও পাকিস্তানি সহায়তাকারী সৈন্যদের ভূমিকাও প্রকাশ করে। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উদ্ধৃত করা হয়েছে "অনেক গ্রামে প্রত্যক্ষদর্শীরা বর্ণনা করেছেন যে আরব যোদ্ধারা গলা কাটা এবং চামড়া কাটার জন্য ব্যবহৃত দীর্ঘ ছুরি বহন করে"। পাকিস্তানে তালেবানের প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মোল্লা আবদুল সালাম জাইফ ২০১১ সালের শেষের দিকে বলেছিলেন যে তালেবানদের অধীনে এবং তাদের দ্বারা নিষ্ঠুর আচরণ "প্রয়োজনীয়" ছিল।[২১][২০][২২][২৩]

মানব পাচার

বেশ কয়েকজন তালেবান ও আল-কায়েদা কমান্ডার মানব পাচারের একটি নেটওয়ার্ক চালায়, জাতিগত সংখ্যালঘু নারীদের অপহরণ করে এবং আফগানিস্তান ও পাকিস্তানে যৌন দাসী হিসাবে বিক্রি করে।[২৪] টাইম ম্যাগাজিনে লিখা হয়: "তালেবানরা প্রায়ই যুক্তি দিত যে তারা নারীদের উপর যে বিধিনিষেধ আরোপ করেছিল তা আসলে নারীদের রক্ষা করার একটি উপায়"।

মানব পাচারের টার্গেট হয় বিশেষ করে তাজিক, উজবেক, হাজারা এবং আফগানিস্তানের অন্যান্য অ-পশতুন জাতিগোষ্ঠীর নারীরা। কিছু নারী দাসত্বের চেয়ে আত্মহত্যা করতে বেছে নিয়ে, আত্মহত্যা করে। ১৯৯৯ সালে শুধুমাত্র শোমালি সমভূমিতেই তালেবান ও আল-কায়েদার আক্রমণে ৬০০ এরও বেশি নারীকে অপহরণ করা হয়েছিল।[২৪] স্থানীয় তালেবান বাহিনীর সঙ্গে আরব ও পাকিস্তানি আল-কায়েদার জঙ্গিরা তাদের ট্রাক ও বাসে জোর করে নিয়ে যায়।[২৪] প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে,তাদের মধ্যে সুন্দরীদের বাছাই করা হয়েছিল এবং নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ত্রাণ সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, নিখোঁজ নারীদের অনেকেরেই পাকিস্তানের যৌনপল্লী ও বাসাবাড়িতে দাসী হিসাবে থাকার সন্ধান মিলেছে।

তবে সব তালেবান কমান্ডার মানব পাচারের সাথে জড়িত নয়। অনেক তালেবান আল-কায়েদা এবং অন্যান্য তালেবান কমান্ডারদের দ্বারা পরিচালিত মানব পাচার অভিযানের বিরোধী ছিল। জালালাবাদে, স্থানীয় তালেবান কমান্ডাররা আল-কায়েদার আরব সদস্যদের দ্বারা একটি ক্যাম্পে আটকে রাখা মহিলাদের মুক্ত করে দেয়।[২৪]

নারীর প্রতি অত্যাচার

পিএইচআর এর জানামতে, বিশ্বের অন্য কোন শাসনব্যাবস্থা তার অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে রীতিমতো গৃহবন্দী করতে হিংস্রভাবে, শারীরিক যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির মাধ্যমে বাধ্য করে না ।[২৫]

— ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস, ১৯৯৮
রাজধানী কাবুলে তালেবান ২০০১ সালের ২৬ আগস্ট মহিলাদের মারার একটি চিত্র।[২৬]

তালেবানদের অধীনে নারীদের উপর নিষ্ঠুর আচরন ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রচুর আন্তর্জাতিক নিন্দার সম্মুখীন হয়।[২৭][২৮][২৯][৩০][৩১][৩২][৩৩][৩৪][৩৫]তালেবানরা নারীদের শিক্ষিত হতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, মেয়েদের স্কুল -কলেজ ছাড়তে বাধ্য করে।[৩৬][৩৭] ঘর থেকে বের হওয়া মহিলাদের বোরকা পড়া ও সাথে একজন পুরুষ আত্মীয় থাকা বাধ্যতামূলক করা হয়। নিয়ম অমান্য করলে প্রকাশ্যে মারধর করা হয়। একটি ঘটনায়, সোহাইলা নামক এক মেয়েকে আত্মীয় নয় এমন একজন পুরুষের সাথে হাটার কারণে ব্যভিচারের অভিযোগে তাকে গাজী স্টেডিয়ামে প্রকাশ্যে ১০০ বেত্রাঘাত করা হয়।[৩৮]

নারীর কর্মসংস্থান মেডিকেল সেক্টরে সীমাবদ্ধ করা হয়, যেখানে পুরুষ চিকিৎসা কর্মীদের নারী ও মেয়েদের চিকিৎসা করা নিষিদ্ধ হয়।[৩৬] মহিলাদের কর্মসংস্থানের উপর এই ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলি ব্যাপকভাবে বন্ধ হয়ে যায়, কারণ তালেবানের উত্থানের পূর্বে প্রায় সব শিক্ষকই ছিলেন নারী।

নাগরিকদের বিরুদ্ধে সহিংসতা

জাতিসংঘের মতে, তালেবান ও তাদের মিত্ররা ২০০৯ সালে আফগানিস্তানে ৭৬% বেসামরিক হতাহতের জন্য দায়ী যা ২০১০ সালে ৭৫% এবং ২০১১ সালে ৮০%।[৩৯][৪০] হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতে, তালেবানের বোমা হামলা এবং অন্যান্য হামলায় বেসামরিক মানুষ হতাহত হওয়া "২০০৬ সালে ব্যপকভাবে বৃদ্ধি পায়" যখন "কমপক্ষে ৬৬৯ জন আফগান বেসামরিক নাগরিক, প্রায় ৩৫০ টি সশস্ত্র হামলায় নিহত হয়, যার অধিকাংশই ইচ্ছাকৃতভাবে সাধারন মানুষের উপর চালানো হয়েছে বলে মনে হয়।"[৪১][৪২]

হিন্দু ও শিখদের প্রতি বৈষম্য

আফগানিস্তানে তালেবান শাসন দখলের পর, তারা একটি কঠোর শরিয়া আইন জারি করে এবং তারপরে তাদের বিরুদ্ধে বৈষম্য শুরু হয় এবং হিন্দু এবং শিখদের জনসংখ্যা খুব দ্রুত হারে হ্রাস পায়।[৪৩] তালেবানরা আদেশ জারি, যা অমুসলিমদের উপাসনালয় নির্মাণ করতে নিষেধজ্ঞা প্রদান করে। কিন্তু তাদেরকে বিদ্যমান পবিত্র স্থানে পূজা করার অনুমতি দেওয়া হয়।, অমুসলিমদের মুসলমানদের সমালোচনা করতে নিষেধজ্ঞা প্রদান করা হয়, অমুসলিমদের তাদের ছাদে হলুদ কাপড় লাগিয়ে তাদের বাড়ি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেয়া হয়, অমুসলিমদের মুসলমানদের একই সাথে বসবাস করতে নিষেধজ্ঞা দেওয়া হয়, এবং অমুসলিম মহিলাদের একটি বিশেষ চিহ্ন দিয়ে হলুদ পোশাক পরতে বলা হয় যাতে মুসলমানরা তাদের দূরত্ব বজায় রাখতে পারে। (মূলত হিন্দুশিখদের বলা হয়েছিলো) [৪৪]

সাহায্য কর্মী এবং খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে সহিংসতা

২০০৮ সালে ২৯ জন ত্রান/সাহায্য কর্মীকে হত্যা করা হয় যাদের মধ্যে ৫ জন বিদেশীও ছিলো। ২০১০ সালে ১০ জন চিকিৎসা সাহায্য কর্মীকেও খ্রীষ্টান ধর্ম প্রচার করছে দাবি করে হত্যা করা হয়। ২০১২ সালে, পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তানে পাকিস্তানি তালেবান কমান্ডার পোলিও টিকা নিষিদ্ধ করা হয়। তালেবানের ধারণা টিকাকর্মীরা গুপ্তচর এবং খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার করে।[৪৫]

আধুনিক শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করা

আফগানিস্তানের প্রায় অর্ধেক স্কুল ধ্বংস করা হয়।[৪৬] তালেবানরা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর নৃশংস হামলা চালায় এবং অভিভাবক ও শিক্ষকদের হুমকি দেয়।[৪৭] ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে, জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় কার্যালয় (ওসিএইচএ) রিপোর্ট মতে তালেবানরা এক হাজারেরও বেশি স্কুল ধ্বংস, ক্ষতিগ্রস্ত বা দখল করেছে এবং শত শত শিক্ষক ও শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।[৪৮]

সাংস্কৃতি নষ্ট

১১ আগস্ট ১৯৯৮, তালেবান পুলি খুমরি পাবলিক লাইব্রেরি ধ্বংস করে। লাইব্রেরিতে ৫৫,০০০ এরও বেশি বই এবং পুরাতন পাণ্ডুলিপি ছিল এবং এটি আফগানদের জাতি এবং তাদের সংস্কৃতির সবচেয়ে মূল্যবান এবং সুন্দর সংগ্রহ হিসাবে বিবেচত ছিলো।[৪৯][৫০] ২০০১ সালের অক্টোবরে, তালেবান আফগানিস্তানের জাতীয় জাদুঘরের অন্তত ২৭৫০ টি শিল্পকর্ম ধ্বংস করে। [৫১]ক্ষমতায় আসার পর থেকে এবং ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরও, তালেবানরা সাংস্কৃতিক লোকসংগীত সহ সমস্ত সঙ্গীত নিষিদ্ধ করে এবং বেশ কয়েকজন সংগীতশিল্পীকে আক্রমণ ও হত্যাও করেছে।[৫২][৫৩][৫৪][৫৫]

বিনোদন এবং বিনোদনমূলক কার্যক্রম নিষিদ্ধ

১৯৯৬-২০০১ -এর তালেবান শাসনামলে, তারা ফুটবল, ঘুড়ি ওড়ানো এবং দাবা সহ অনেক বিনোদনমূলক কাজকর্ম এবং খেলা নিষিদ্ধ করেছিল। টেলিভিশন, চলচিত্র, গান এবং স্যাটেলাইট ডিশের মতো সাধারণ বিনোদনও নিষিদ্ধ করা হয়েছিল।[৫৬] বাচ্ছাদের ঘুড়ি ওড়ানো সময় ধরতে পারলে মারধোর করা হত। নিষিদ্ধ জিনিসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল বাদ্যযন্ত্র এবং জীবন্ত প্রাণীর ছবি বা শোপিস।[৫২]

পতাকা

আফগান গৃহযুদ্ধের সময় তালেবানরা শুধুমাত্র সাদা পতাকা ব্যবহার করতো। ১৯৯৬ সালে কাবুলের ওপর নিয়ন্ত্রণভার গ্রহণ করে ও আফগানিস্তানকে ইসলামিক প্রজাতন্ত্র ঘোষণা করে। সাদা পতাকাকে জাতীয় পতাকা হিসেবে চিত্রিত করে। 'তাদের বিশ্বাসবোধ এবং সরকারের বিশুদ্ধতার প্রতীক'রূপে তুলে ধরা হয়। ১৯৯৭ সালের পর ঐ পতাকায় শাহাদাহ চিহ্ন যুক্ত করা হয়।

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Giustozzi, Antonio (২০০৯)। Decoding the new Taliban: insights from the Afghan field। Columbia University Press। পৃষ্ঠা 249আইএসবিএন 978-0-231-70112-9 
  2. Clements, Frank A. (২০০৩)। Conflict in Afghanistan: An Encyclopedia (Roots of Modern Conflict)। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 219আইএসবিএন 978-1-85109-402-8 
  3. "The Non-Pashtun Taleban of the North: A case study from Badakhshan – Afghanistan Analysts Network"www.Afghanistan-Analysts.org। ৩ জানুয়ারি ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৮ 
  4. "Rare look at Afghan National Army's Taliban fight"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৪ 
  5. "Taliban attack NATO base in Afghanistan – Central & South Asia"। Al Jazeera English। সংগ্রহের তারিখ ১৮ আগস্ট ২০১৪ 
  6. "Deobandi Islam: The Religion of the Taliban" (পিডিএফ)Globalsecurity.org 
  7. "ISIL won't get very far in Afghanistan - for now"cic.nyu.edu। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৬ 
  8. "Afghan Taliban announce successor to Mullah Mansour - BBC News"BBC। ২০১৬-০৫-২৬। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৬ 
  9. "Afghanistan's Security Forces Versus the Taliban: A Net Assessment"Combating Terrorism Center at West Point (ইংরেজি ভাষায়)। ১৪ জানুয়ারি ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ১৪ আগস্ট ২০২১ 
  10. Matinuddin, Kamal (১৯৯৯)। The Taliban phenomenon : Afghanistan 1994-1997। Karachi, Pakistan: Oxford University Press। আইএসবিএন 0-19-577903-7ওসিএলসি 40962985 
  11. Ogata, Sadako N. (২০০৫)। The turbulent decade : confronting the refugee crises of the 1990s (1st ed সংস্করণ)। New York: W.W. Norton। আইএসবিএন 0-393-05773-9ওসিএলসি 57134404 
  12. Raja, Masood A. (২০১৬)। The religious right and the Talibanization of America। New York। আইএসবিএন 978-1-137-58490-8ওসিএলসি 949274028 
  13. Giraldo, Jeanne K. (২০০৭)। Terrorism financing and state responses : a comparative perspective। Stanford, Calif.: Stanford University Press। পৃষ্ঠা ৯৬আইএসবিএন 978-1-4356-0897-9ওসিএলসি 181544408 
  14. Matinuddin, Kamal. The Taliban Phenomenon, Afghanistan 1994–1997. Oxford University Press, (1999). pp. 25–26
  15. "Who are the Taliban?"BBC News (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৮-১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২০ 
  16. "Interview with Taliban Spokesperson"fas.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২০ 
  17. "What Does the Taliban Want? | Wilson Center"www.wilsoncenter.org (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-২০ 
  18. Rashid, Ahmed (২০০২)। Taliban : Islam, oil and the new great game in central Asia (New ed সংস্করণ)। London: Tauris। আইএসবিএন 1-86064-830-4ওসিএলসি 49639359 
  19. newspaper, Edward A. Gargan, Special to the Tribune Edward A. Gargan is a staff writer for Newsday, a Tribune। "Taliban massacres outlined for UN"chicagotribune.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১৯ 
  20. "Confidential UN report details mass killings of civilian villagers"Newsday। newsday.org। ২০০১। ১৮ নভেম্বর ২০০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ অক্টোবর ২০০১ 
  21. Gargan, Edward A (অক্টোবর ২০০১)। "Taliban massacres outlined for UN"Chicago Tribune 
  22. "Afghanistan resistance leader feared dead in blast"। London: Ahmed Rashid in the Telegraph। ১১ সেপ্টেম্বর ২০০১। 
  23. "Taliban spokesman: Cruel behavior was necessary"। Tolonews.com। ৩১ ডিসেম্বর ২০১১। ২৩ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  24. "Lifting The Veil On Taliban Sex Slavery"Time। ১০ ফেব্রুয়ারি ২০০২। ২০১১-০৬-০২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২১ 
  25. "The Taliban's War on Women" (পিডিএফ)। ২০০৭-০৭-০২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৩-০৪ , ফিজিশিয়ানস ফর হিউম্যান রাইটস, August 1998.
  26. "ভিডিও"। Revolutionary Association of the Women of Afghanistan (RAWA)। ২৫ মার্চ ২০০৯ তারিখে মূল (MPG) থেকে আর্কাইভ করা। 
  27. Forsythe, David P. (২০০৯)। Encyclopedia of human rights (Volume 1 সংস্করণ)। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 2। আইএসবিএন 978-0-19-533402-9In 1994 the Taliban was created, funded and inspired by Pakistan 
  28. Dupree Hatch, Nancy. "Afghan Women under the Taliban" in Maley, William. Fundamentalism Reborn? Afghanistan and the Taliban. London: Hurst and Company, 2001, pp. 145–166.
  29. Wertheime, Molly Meijer (২০০৪)। Leading Ladies of the White House: Communication Strategies of Notable Twentieth-Century First Ladies। Rowman & Littlefield। পৃষ্ঠা 253। আইএসবিএন 978-0-7425-3672-2 
  30. Cooke, Miriam (২০০৬)। Sherman, Daniel J., সম্পাদক। Terror, Culture, Politics: 9/11 Reconsidere। Indiana University Press। পৃষ্ঠা 177আইএসবিএন 978-0-253-34672-8 
  31. Moghadam, Valentine M. (২০০৩)। Modernizing women: gender and social change in the Middle East (2nd Revised সংস্করণ)। Lynne Rienner। পৃষ্ঠা 266আইএসবিএন 978-1-58826-171-7 
  32. Massoumi, Mejgan (২০১০)। AlSayyad, Nezar, সম্পাদক। The fundamentalist city?: religiosity and the remaking of urban space। Routledge। পৃষ্ঠা 223। আইএসবিএন 978-0-415-77935-7 
  33. Skaine, Rosemarie (২০০৯)। Women of Afghanistan in the Post-Taliban Era: How Lives Have Changed and Where They Stand Today। McFarland। পৃষ্ঠা 57। আইএসবিএন 978-0-7864-3792-4 
  34. Rashid, Ahmed. Taliban. Yale Nota Bene Books, 2000, p.106.
  35. Rashid, Ahmed. Taliban. Yale Nota Bene Books, 2000, p. 70.
  36. "Women in Afghanistan: the back story"Amnesty International। ২৫ নভেম্বর ২০১৪। ১৪ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২০ 
  37. "Report on the Taliban's War Against Women"U.S. Department of State। Bureau of Democracy, Human Rights and Labor। ১৭ নভেম্বর ২০০১। ১১ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২০ 
  38. "Woman flogged for adultery"The Irish Times। ২৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৮। ১৬ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুলাই ২০২০ 
  39. "Citing rising death toll, UN urges better protection of Afghan civilians"United Nations Assistance Mission in Afghanistan। ৯ মার্চ ২০১১। ২৬ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। 
  40. Kegley, Charles W.; Shannon L Blanton (২০১১)। World Politics: Trend and Transformation। Cengage। পৃষ্ঠা 230। আইএসবিএন 978-0-495-90655-1 
  41. "Human Rights News, Afghanistan: Civilians Bear Cost of Escalating Insurgent Attacks"। Human Rights Watch। ১৭ এপ্রিল ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  42. "The Consequences of Insurgent Attacks in Afghanistan, April 2007, Volume 19, No. 6(C)"। Human Rights Watch। ১৬ এপ্রিল ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর ২০১২ 
  43. KABIR, NAHID A. (২০০৫)। "The Economic Plight of the Afghans in Australia, 1860—2000"Islamic Studies44 (2): 229–250। আইএসএসএন 0578-8072জেস্টোর 20838963 
  44. Rashid 2000, পৃ. 231–234।
  45. Walsh, D. (১৮ জুন ২০১২)। "Taliban Block Vaccinations in Pakistan"The New York Times। সংগ্রহের তারিখ ২৭ মে ২০১৩ 
  46. "Case Study: Education in Afghanistan"BBC 
  47. "Lessons in Terror Attacks on Education in Afghanistan"। Human Rights Watch। ১১ জুলাই ২০০৬। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২১ 
  48. "Education Under Attack 2018 – Afghanistan"। Global Coalition to Protect Education from Attack। ১১ মে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০২১ 
  49. Civallero, Edgardo (২০০৭)। "When memory is turn into ashes" (পিডিএফ)। Acta Academia। সংগ্রহের তারিখ ২ জানুয়ারি ২০২১ 
  50. Censorship of historical thought: a world guide, 1945–2000, Antoon de Baets
  51. "Taliban destroyed museum exhibits"। ২৩ নভেম্বর ২০০১ – www.telegraph.co.uk-এর মাধ্যমে। 
  52. Wroe, Nicholas (১৩ অক্টোবর ২০০১)। "A culture muted"The Guardian 
  53. "Afghanistan: Seven musicians killed by gunmen"Free Muse। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৫। 
  54. Rasmussen, Sune Engel (২৫ মে ২০১৫)। "He was the saviour of Afghan music. Then a Taliban bomb took his hearing"The Guardian 
  55. "Taliban Attacks Musicians At Afghan Wedding"Radio Free Europe। ১৫ জুন ২০০৯। 
  56. Rashid, Ahmed (২০ এপ্রিল ২০১০)। Taliban: Militant Islam, Oil and Fundamentalism in Central Asiaআইএসবিএন 9780300164848 

বহিঃসংযোগ