কবর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
2409:4061:815:70b8::1f5c:10a5 (আলাপ)-এর করা 1টি সম্পাদনা বাতিল। (টুইং)
ট্যাগ: পূর্বাবস্থায় ফেরত
→‎যা করণীয় নয়: ভুল তথ্য দেয়া ছিল
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত ইমোজি মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
১৮ নং লাইন: ১৮ নং লাইন:


=== যা করণীয় নয় ===
=== যা করণীয় নয় ===
কবর পাড়ানো উচিত নয়। মুসলিম সমাজে কবর বাঁধাই করা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে।
কবর ইট-সিমেন্ট দিয়ে বাঁধানো ঠিক নয়।

⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️
কবরস্থান এ খাদ্য খাওয়া উচিত নয়।


== কফিন ==
== কফিন ==

২২:০৬, ২৪ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

খালি কফিন সহকারে একটি কবর
স্যালিনাস কবরস্থানের হ্যামিল্টন প্লটে স্টেইনবেক পরিবারের কবর

কবর হলো মৃতদেহ মাটিতে পুতেঁ রাখার গর্ত। মৃত মানুষকে কবরে শায়িত করাকে বলা হয় "দাফন করা"। মুসলিম, খ্রিস্টান ও ইহুদীদের মৃতদেহ নিজ নিজ ধর্মীয় অনুশাসন মেনে মাটিতে দাফন করা হয়। অন্যদিকে অধিকাংশ ক্ষেত্রে হিন্দুদের মৃতদেহ আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।

প্রকারভেদ

কবর দুই প্রকার:- যথা "সিন্ধুকী কবর" এবং "বগ্‌লী কবর"। মধ্যপ্রাচ্যের শক্ত মাটিতে বগ্‌লী কবর খোদাই করা হয়। আবার বাংলাদেশের মাটি নরম বিধায় সাধারণত সিন্ধুকী কবর করা হয়। মৃত দেহের উচ্চতা অনুসারে কবরের দৈর্ঘ্য হবে। এর গভীরতা হবে কমপক্ষে মৃতব্যক্তির উচ্চতার অর্ধেক। সাধারণত কোদাল, বেলচা ইত্যাদি দিয়ে মাটি খুঁড়ে কবর তৈরি করা হয়। মাটি কেটে গভীর গর্ত করার পর্যায়ে পানি বের হতে পারে। এই পানি যতটা সম্ভব সেচে ফেলা হয়। তারপর কাফন পরানো মরদেহ (অথবা, ক্ষেত্রবিশেষে, মৃতদেহ সংবলিত কফিন) কবরের মধ্যে স্থাপন করা হয়। লাশের কিছু ওপরে আড়াআড়িভাবে বাঁশ দিয়ে তার ওপর চাটাই বিছিয়ে দেয়া হয়। অতঃপর মাটি দিয়ে কবর ঢেকে দেয়া হয়। লক্ষ্য রাখা হয় এই মাটি যেন মরদেহের গায়ে না-পড়ে।[১]

লাশ দাফনের নিয়ম

মুসলমানদের লাশ দাফনের পদ্ধতি বিশদভাবে ইসলামী শরিয়তে নির্দেশিত আছে। মরদেহকে যথাযথ নিয়মে গোসল দেয়ার পর কাফন পরানো হয়। তারপর তা কবরে নিয়ে যাওয়া হয়। ২-৩ জন ব্যক্তি কবরে নেমে লাশ গ্রহণ করে এবং মাটিতে শুইয়ে দেয়। কবরে লাশ নামানোর সময় বলতে হয়: "বিসমিল্লাহি ওয়ালা মিল্লাতি রাসূলিল্লাহ"।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

বাংলাদেশে লাশের মাথা উত্তরে এবং পা দক্ষিণে রেখে লাশ মাটিতে শোয়ানো হয়। মরহুমের মুখমণ্ডল পশ্চিমমুখী ক'রে দেয়া হয়, চোখ খোলা থাকলে তা চেপে বন্ধ করে দেয়া হয়। কাফনের কাপড় আটকে রাখার জন্য মাথার কাছে, পায়ের কাছে এবং পেট বরাবার লাগানো ফিতায় দেয়া গেরোসমূহ খুলে দেয়া হয়। এরপর আড়াআড়ি ভাবে বাঁশের টুকরা দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। তার ওপর বাশেঁর চাটাই বিছিয়ে লাশের গায়ে মাটি পড়ার সুযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়। এর পর ধীরে ধীরে মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়।

কবরস্থান বা সমাধিক্ষেত্র

কবরস্থানসমূহ সাধারণত এলাকার বিশেষ স্থানে তৈরি করা হয়। ঐতিহাসিকভাবে কবর প্রত্নতাত্ত্বিকদের কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। দাফনকৃত দেহটির অবস্থা এবং এর সাথে প্রাপ্ত বস্তুসমূহ প্রকাশ করে মৃতব্যক্তির ঐতিহাসিক গুরুত্ব। ব্যক্তিটি কোন যুগে জীবিত ছিলেন এবং কোন সংস্কৃতির ছিলেন তাও নির্দেশ করে।

লাশ দাফনের ব্যয়

ঢাকা শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত আজিমপুর কবরস্থানে একটি লাশ দাফন করার জন্য প্রায় ৭-৮ শত টাকা ব্যয় হয়। কবর খোদাই, বাঁশ এবং চাটাইয়ের খরচ বাবদ এই ব্যয়। শিশুদের কবরের জন্য ব্যয় কম হয়। আবার কোন কারণে দীর্ঘ কবর প্রয়োজন হলে ব্যয় ১-২ শত টাকা বৃদ্ধি পেতে পারে। এটি ২০১১ খ্রিষ্টাব্দের হিসাব।

যা করণীয় নয়

কবর পাড়ানো উচিত নয়। মুসলিম সমাজে কবর বাঁধাই করা নিয়ে অনেক মতভেদ রয়েছে।

⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️⚰️ কবরস্থান এ খাদ্য খাওয়া উচিত নয়।

কফিন

মৃতদেহ কাঠের বাক্সে ভরে কবরে রাখা হয়। এই বাক্সকে বলা হয় কফিনখ্রিস্টানরা কফিনে ভরে মৃত দেহ কবরে দাফন করে। মৃত ব্যক্তিকে কাফন পরানো হয় না। কফিন দড়িতে ঝুলিয়ে কবরে নামানো হয়।

জান্নাতুল বাকী

মদিনা নগরীতে মসজিদে নববী সংলগ্ন কবরস্থানের নাম জান্নাতুল বাকীহাদীস অনুসারে এই কবরস্থানের কবরবাসীরা বেহেশতী হবে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এখানে মুহাম্মাদ-এর সন্তান ও স্ত্রীদের কবর রয়েছে। ইসলামের তৃতীয় খলিফা উসমান (রা:)-এর কবর পর্যন্ত জান্নাতুল বাকীর সীমানা বিস্তৃত।

কবর জিয়ারত

কবরস্থান জিয়ারত কালে মৃত ব্যক্তির মস্তক বরাবর পশ্চিমমুখী হয়ে এই দোয়া পড়তে হয়: "মোমিন ও মুসলমানদের বাসভূমির অধিবাসীদের ওপর শান্তি বর্ষিত হোক। আমাদের মধ্যে থেকে যারা আগে আগে চলে গেছে এবং যারা পেছনে রয়েছে আল্লাহ তাদের সবার ওপর করুণা বর্ষণ করুন। ইনশাআল্লাহ আমরা তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব।‌"

মাজার

মাজার শব্দটি আরবি দরগাহ শব্দের প্রতিশব্দ। এর অর্থ জিয়ারতের স্থান। বাংলাদেশ ও ভারতবর্ষে মাজার বলতে সাধারণত দরবেশ-আউলিয়াগণের সমাধিক্ষেত্র বোঝায়।

মাজারে কাসেমি

মাজারে কাসেমি হল দারুল উলুম দেওবন্দের প্রাঙ্গণে অবস্থিত একটি কবরস্থান যেখানে উল্লেখযোগ্য দেওবন্দি ব্যক্তিত্বদের সমাহিত করা হয়।

মাযার জিয়ারত

ইসলাম ধর্মে মাযার জিয়ারতের আদেশ নেই। কোন মাযার জিয়ারদের উদ্দেশ্যে ভ্রমণও জায়েয নয়। তবে ভ্রমণকালে কোন কবরস্থান বা মাজারের নিকটবর্তী হলে তা জিয়ারত করা যায়। কবরকে সিজদাহ করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।

তথ্যসূত্র

  1. Ghamidi (2001), Customs and Behavioral Laws ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে

বহি:সংযোগ