আব্দুল মালেক উকিল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Sayyed Al Kiram (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
Sayyed Al Kiram (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৩৭ নং লাইন: ৩৭ নং লাইন:


== শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তার উক্তি ==
== শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তার উক্তি ==
আবদুল মালেক উকিল ১৫ আগস্টের পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'ফেরাউনের পতন হয়েছে। দেশ একজন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।'<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/special-kalerkantho/2015/08/15/256620|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু সবার সব বাঙালির {{!}} কালের কণ্ঠ|তারিখ=-001-11-30T00:00:00+06:01.000Z|ওয়েবসাইট=Kalerkantho|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/06/15/151092|শিরোনাম=মুজিবকে বঙ্গবন্ধুও বলত না জাসদ {{!}} বাংলাদেশ প্রতিদিন|ওয়েবসাইট=Bangladesh Pratidin|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://northamerica.prothomalo.com/বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ড-ও-আজকের-বাংলাদেশ|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও আজকের বাংলাদেশ|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=Prothomalo|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref>
আবদুল মালেক উকিল ১৫ আগস্টের পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু [[শেখ মুজিবুর রহমান]] হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'ফেরাউনের পতন হয়েছে। দেশ একজন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।'<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.kalerkantho.com/print-edition/special-kalerkantho/2015/08/15/256620|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু সবার সব বাঙালির {{!}} কালের কণ্ঠ|তারিখ=-001-11-30T00:00:00+06:01.000Z|ওয়েবসাইট=Kalerkantho|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.bd-pratidin.com/first-page/2016/06/15/151092|শিরোনাম=মুজিবকে বঙ্গবন্ধুও বলত না জাসদ {{!}} বাংলাদেশ প্রতিদিন|ওয়েবসাইট=Bangladesh Pratidin|ভাষা=en|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://northamerica.prothomalo.com/বঙ্গবন্ধু-হত্যাকাণ্ড-ও-আজকের-বাংলাদেশ|শিরোনাম=বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও আজকের বাংলাদেশ|শেষাংশ=প্রতিবেদক|প্রথমাংশ=নিজস্ব|ওয়েবসাইট=Prothomalo|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://www.banglatribune.com/531977/%E2%80%98%E0%A6%8F%E0%A6%B0-%E0%A6%9A%E0%A7%87%E0%A7%9F%E0%A7%87-%E0%A6%AD%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%B9-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%95%E0%A6%A5%E0%A6%BE-%E0%A6%86%E0%A6%AE%E0%A6%BF-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A7%81%E0%A6%A8%E0%A6%AC%E0%A7%8B-%E0%A6%A8%E0%A6%BE-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%A8%E0%A7%8B-%E0%A6%A6%E0%A6%BF%E0%A6%A8%E2%80%99|শিরোনাম=‘এর চেয়ে ভয়াবহ কোনো কথা আমি আর শুনবো না কোনো দিন’|ওয়েবসাইট=Bangla Tribune|ভাষা=bn|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref><ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://bangla.bdnews24.com/politics/article1336538.bdnews|শিরোনাম=সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখন আপনার সঙ্গে কেন: হাসিনাকে রিজভী|শেষাংশ=ডটকম|প্রথমাংশ=জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর|ওয়েবসাইট=bangla.bdnews24.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-08-12}}</ref>


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৬:৪৭, ১২ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আব্দুল মালেক উকিল
আব্দুল মালেক উকিল
সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ
কাজের মেয়াদ
১৯৭৮ – ১৯৮১
পূর্বসূরীআবুল হাসনাত মোহাম্মদ কামারুজ্জামান
উত্তরসূরীশেখ হাসিনা
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মঅক্টোবর ১, ১৯২৪
রাজাপুর গ্রাম, নোয়াখালী, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
(বর্তমান বাংলাদেশ)
মৃত্যুঅক্টোবর ১৭, ১৯৮৭
ঢাকা
নাগরিকত্বব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
বাংলাদেশ
জাতীয়তাবাঙালি
সন্তান
পেশাআইনজীবী ও রাজনীতিবিদ

আব্দুল মালেক উকিল (১ অক্টোবর ১৯২৪ - ১৭ অক্টোবর ১৯৮৭) বাংলাদেশের বিশিষ্ট আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি ইস্ট বেঙ্গল মুসলিম ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন এবং নেতৃস্থানীয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।[১]

প্রারম্ভিক জীবন

আব্দুল মালেক উকিল নোয়াখালী জেলার রাজাপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার শিক্ষা জীবন নোয়াখালী আহমদিয়া উচ্চ মাদ্রাসায় শুরু হয়, যেখানে তিনি সাধারণ গণিতে লেটার মার্ক নিয়ে মাদ্রাসা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন এবং তিনি ছাত্রবৃত্তি পেয়েছিলেন। তিনি কলকাতার কিছু বৎসর শিক্ষা থেকে বিরতি নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে তিনি যশোর জেলার তৎকালিন মহকুমা মাগুরা কলেজ বর্তমানে সরকারি হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, মাগুরা থেকে আইএ‌ পরীক্ষা সম্পন্ন করেন। এর দুই বছর পরে ১৯৪৯ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি.এ. পাশ করেন। পরের বছর তিনি তার এম.এ. ডিগ্রী লাভ করে এবং একই প্রতিষ্ঠান থেকে এলএলবি কোর্স সম্পন্ন করেন। ১৯৫২ সালে নোয়াখালী জেলা বারে অ্যাডভোকেট হিসাবে তিনি তার পেশাদার জীবন শুরু করেন। পরবর্তীকালে ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা হাই কোর্ট বারের সদস্যপদ লাভ করেন।

ব্যক্তিগত জীবন

আব্দুল মালেক উকিল বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তিনি পাকিস্তান শিল্প কাউন্সিল এবং নোয়াখালী জেলার পাবলিক লাইব্রেরীর সচিব ছিলেন। নোয়াখালী কলেজ, মাইজদি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মাইজদি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় এবং বাধের হাট আবদুল মালেক কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। তিনি বিখ্যাত ব্যক্তিদের আত্মজীবনীসমূহের একজন নিয়মিত পাঠক ছিলেন এবং এগুলো তিনি সংগ্রহে রাখতেন।

১৭ অক্টোবর, ১৯৮৭ তারিখে ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ৬৩ বছর বয়সে তার দেহাবসান ঘটে।

রাজনৈতিক পেশাজীবন

ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হয়েছিলেন। ছাত্র হিসেবে তিনি ছিলেন ইস্ট বেঙ্গল মুসলিম ছাত্র লীগের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন। ভারতীয় উপমহাদেশ স্বাধীনতার আন্দোলনে তার সক্রিয় ভূমিকা ছিল। ১৯৪৬ সালে তিনি পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলা, বিহার এবং আসামে একনিষ্ঠভাবে প্রচারণা চালান।

আবদুল মালেক উকিল তার রাজনৈতিক জীবনে বহুবার কারাবাস সম্মুখীন হয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলনের সময় ১১ মার্চ ১৯৪৮ সালে তাকে প্রথম গ্রেফতার করা হয় এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে তাকেও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। পরবর্তীতে ২২ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ এবং ১৯৫৪ সালের জুন মাসে ইস্ট বেঙ্গল পাবলিক সেফটি অধ্যাদেশ অধীনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু পরিবারের হত্যার পর সেনাবাহিনী তাকে আবারও গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়।

তিনি ১৯৫৩ সালে নোয়াখালী সদর মহকুমা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬২-৬৪ সময়কালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে ছিলেন এবং ১৯৭২ সালে এখানে থেকে পদত্যাগ করেন। উপরন্তু, মালেক উকিল ১৯৫৬, ১৯৬২ এবং ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৬৫ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের নেতা এবং সংযুক্ত প্রাদেশিক পরিষদ ও বিরোধী দলের নেতা ছিলেন। ছয় দফা আন্দোলন সময় মালেক উকিলকে গ্রেফতার করা হয় এবং তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। ১৯৬৯ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদীয় কমিটির নয়টি সদস্যদের একজন হিসাবে নির্বাচিত হন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে লাহোরে অনুষ্ঠিত গোল টেবিল বৈঠকে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পরে তারা একসাথে করাচীতে ভ্রমণ যান। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদ নোয়াখালী থেকে সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হন। ১৯৭২ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মন্ত্রিসভায় স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ছিলেন। ১৯৭৩ সালের প্রথম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৎকালীন নোয়াখালী-১২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন এবং নতুন মন্ত্রিসভায় তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।[২] ১৯৭৫ সালে তিনি জাতীয় সংসদের স্পীকার নির্বাচিত হন।

শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর তার উক্তি

আবদুল মালেক উকিল ১৫ আগস্টের পর লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে বলেছিলেন, 'ফেরাউনের পতন হয়েছে। দেশ একজন স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত হয়েছে।'[৩][৪][৫][৬][৭]

তথ্যসূত্র

  1. "উকিল, আবদুল মালেক - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-২৯ 
  2. "১ম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ-সদস্যদের নামের তালিকা" (পিডিএফ)জাতীয় সংসদবাংলাদেশ সরকার। ৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 
  3. "বঙ্গবন্ধু সবার সব বাঙালির | কালের কণ্ঠ"Kalerkantho। -001-11-30T00:00:00+06:01.000Z। সংগ্রহের তারিখ 2021-08-12  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  4. "মুজিবকে বঙ্গবন্ধুও বলত না জাসদ | বাংলাদেশ প্রতিদিন"Bangladesh Pratidin (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১২ 
  5. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ড ও আজকের বাংলাদেশ"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১২ 
  6. "'এর চেয়ে ভয়াবহ কোনো কথা আমি আর শুনবো না কোনো দিন'"Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১২ 
  7. ডটকম, জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। "সেই ষড়যন্ত্রকারীরা এখন আপনার সঙ্গে কেন: হাসিনাকে রিজভী"bangla.bdnews24.com। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৮-১২ 

বহিঃসংযোগ