রাজনারায়ণ বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
→‎রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: বানান ঠিক করা হয়েছে
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
Sufe (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৬১ নং লাইন: ৬১ নং লাইন:
* ''বৃদ্ধ হিন্দুর আশা'' (১৮৮৭)
* ''বৃদ্ধ হিন্দুর আশা'' (১৮৮৭)
* ''রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত'' (১৯০৯)
* ''রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত'' (১৯০৯)

[[File:রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা.jpg|thumb|রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা ১ম ভাগ]]


==মৃত্যু==
==মৃত্যু==

০৮:১২, ৯ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রাজনারায়ণ বসু
রাজনারায়ণ বসু
জন্ম৭ সেপ্টেম্বর ১৮২৬
মৃত্যু১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৯
পরিচিতির কারণচিন্তাবিদ, সাহিত্যিক
উত্তরসূরীরাজা বসু

রাজনারায়ণ বসু (৭ সেপ্টেম্বর ১৮২৬ - ১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৯) ছিলেন উনিশ শতকের ভারতীয় বাঙালি চিন্তাবিদ এবং সাহিত্যিক।[২] বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক মহাকাব্য মাইকেল মধুসূদন দত্ত রচিত "মেঘনাদবধ" কাব্য ইংরেজিতে অনুবাদ করেন।

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

রাজনারায়ণ বসুর জন্ম ১৮২৬ সালের ৭ সেপ্টেম্বর বর্তমান পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগণা জেলার বোড়াল গ্রামে।[৩] তাঁর পূর্বপুরুষদের আদিনিবাস ছিল গড় গোবিন্দপুর, কলিকাতা৷[১]

কর্মজীবন

তিনি ব্রাহ্ম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন বলে গোঁড়া হিন্দু সমাজপতিরা তাঁকে তাঁর জন্মস্থান বোড়াল ছাড়তে বাধ্য করেন। তার বক্তৃতার মধ্য দিয়ে অনেককেই জাতীয়তাবাদে উদ্বুদ্ধ করতে পেরেছিলেন। সাথে সাথে তিনি ১৮৭৩ সালে হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠতা নামে একটি বক্তৃতা দেন যেখানে তিনি হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠত্ত্বসহ পাশ্চাত্য-বিরোধী মনোভাব প্রকাশ করেন। রাজনারায়ণ ১৮৮০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বৃদ্ধ হিন্দুর আশা নামে একটি পুস্তিকার মাধ্যমে তিনি ভারতীয় উপমহাদেশের হিন্দুদের একত্রিত হয়ে একটি সংগঠনের অধীনে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর ১৯০৬ সালে তার অনুসারীগণ হিন্দু মহাসভা নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন।[৪]

সমাজসংস্কারক হিসেবে তিনি ১৮৫০-এর দশকে বিধবাবিবাহকেও উৎসাহ দিয়েছেন। ১৮৬০ সালে মদ্যপানের বিরোদ্ধে সচেতনতা তৈরির উদ্দেশ্যে তিনি মদ্যপান নিবারণী সভা’ নামে একটি সংগঠন তৈরি করেন। মেদিনীপুর জেলায় তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ, গ্রন্থাগারও প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

ভ্রাতুষ্পুত্র সত্যেন্দ্র নাথ বসু

রাজনারায়ণ বসুর এক ভ্রাতুষ্পুত্র ছিলেন বিপ্লবী সত্যেন্দ্রনাথ বসু, যার প্রেসিডেন্সি জেলে ফাঁসি হয়েছিল। রাজসাক্ষী নরেন গোঁসাইকে গুলি করে হত্যা করার জন্য ২৩ নভেম্বর, ১৯০৮ সনে সত্যেন্দ্র নাথ বসুর ফাঁসি হয়।[৫] একাজে তার সহযোগী ছিলেন অপর এক বিপ্লবী কানাইলাল দত্ত

রচিত উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ

রাজনারায়ণ বসু কঠ, কেন, মুণ্ডক ও শ্বেতাশ্বেতর উপনিষদ ও মেঘনাদবধ কাব্য ইংরেজিতে অনুবাদ করেন। তার কিছু উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ:

  • রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা (১ম ভাগ-১৮৫৫, ২য় ভাগ-১৮৭০)
  • ব্রাহ্ম সাধন (১৮৬৫)
  • ধর্মতত্ত্বদীপিকা (১ম ভাগ-১৮৬৬, ২য় ভাগ-১৮৬৭)
  • আত্মীয় সভার সদস্যদের বৃত্তান্ত (১৮৬৭)
  • হিন্দু ধর্মের শ্রেষ্ঠতা (১৮৭৩)
  • সেকাল আর একাল (১৮৭৪)
  • ব্রাহ্মধর্মের উচ্চ আদর্শ ও আমাদিগের আধ্যাত্মিক অভাব (১৮৭৫)
  • হিন্দু অথবা প্রেসিডেন্সি কলেজের ইতিবৃত্ত (১৮৭৬)
  • বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক বক্তৃতা (১৮৭৮)
  • বিবিধ প্রবন্ধ (১ম খন্ড-১৮৮২)
  • তাম্বুলোপ হার (১৮৮৬)
  • সারধর্ম (১৮৮৬)
  • বৃদ্ধ হিন্দুর আশা (১৮৮৭)
  • রাজনারায়ণ বসুর আত্মচরিত (১৯০৯)
রাজনারায়ণ বসুর বক্তৃতা ১ম ভাগ

মৃত্যু

১৮ সেপ্টেম্বর ১৮৯৯ সালে রাজনারায়ণ মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র

  1. রাজনারায়ণ বসুর আত্ম-চরিত, বসু, রাজনারায়ণ, কুন্তলীন প্রেস, ১৯০৯, পৃষ্ঠা ১
  2. "আনন্দবাজার পত্রিকা - মেদিনীপুর"archives.anandabazar.com 
  3. "রাজনারায়ণ বসু" 
  4. "বসু, রাজনারায়ণ - বাংলাপিডিয়া"bn.banglapedia.org 
  5. ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, জেলে ত্রিশ বছর, পাক-ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রাম, ধ্রুপদ সাহিত্যাঙ্গন, ঢাকা, ঢাকা বইমেলা ২০০৪, পৃষ্ঠা ১৯০।

বহি:সংযোগ