খাজা সলিমুল্লাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
১৯ নং লাইন: ১৯ নং লাইন:
|}}
|}}


'''খাজা সলিমুল্লাহ''' বা নবাব সলিমুল্লাহ ([[৭ জুন]] ১৮৭১-[[১৬ জানুয়ারি]] ১৯১৫)<ref>[http://www.dhakadiv.gov.bd/site/page/69ece0a9-2013-11e7-8f57-286ed488c766/site/view/info_officers/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]</ref> [[ঢাকা|ঢাকার]] নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাব [[খাজা আহসানউল্লাহ]] ও পিতামহ নবাব [[খাজা আব্দুল গনি]]। তিনি [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|নিখিল ভারত মুসলিম লীগের]] অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা । [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ঢাকাঃ স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী|শেষাংশ=মুন্তাসির, মামুন|প্রথমাংশ=|তারিখ=1993|বছর=|প্রকাশক=অন্যন্য|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=984-412-104-3|oclc=45260385|সংস্করণ=প্রথমা প্রকাশ}}</ref> যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি।
'''খাজা সলিমুল্লাহ''' বা নবাব সলিমুল্লাহ ([[৭ জুন]] ১৮৭১-[[১৬ জানুয়ারি]] ১৯১৫)<ref>[http://www.dhakadiv.gov.bd/site/page/69ece0a9-2013-11e7-8f57-286ed488c766/site/view/info_officers/%E0%A6%AA%E0%A7%8D%E0%A6%B0%E0%A6%96%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%BE%E0%A6%A4%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%8D%E0%A6%AC বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন]</ref> [[ঢাকা|ঢাকার]] নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাব [[খাজা আহসানউল্লাহ]] ও পিতামহ নবাব [[খাজা আব্দুল গনি]]। তিনি [[নিখিল ভারত মুসলিম লীগ|নিখিল ভারত মুসলিম লীগের]] অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ঢাকাঃ স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী|শেষাংশ=মুন্তাসির, মামুন|প্রথমাংশ=|তারিখ=1993|বছর=|প্রকাশক=অন্যন্য|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=|আইএসবিএন=984-412-104-3|oclc=45260385|সংস্করণ=প্রথমা প্রকাশ}}</ref> যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি।


প্রচলিত আছে যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান করেছেন, যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শ্রুতি বা মিথ। দান করার মতো জমি নবাব পরিবারের ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি খাসজমিতে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ|শেষাংশ=করিম|প্রথমাংশ=সরদার ফজলুল|বছর=১৯৯৩|প্রকাশক=সাহিত্য প্রকাশ|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১৬-১৭|আইএসবিএন=984-465-025-9}}</ref>
প্রচলিত আছে যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান করেছেন, যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শ্রুতি বা মিথ। দান করার মতো জমি নবাব পরিবারের ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি খাসজমিতে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ|শেষাংশ=করিম|প্রথমাংশ=সরদার ফজলুল|বছর=১৯৯৩|প্রকাশক=সাহিত্য প্রকাশ|অবস্থান=ঢাকা|পাতাসমূহ=১৬-১৭|আইএসবিএন=984-465-025-9}}</ref>
৩৬ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==
{{সূত্র তালিকা}}
{{সূত্র তালিকা}}
{{s-start}}
{{s-hou|[[ঢাকার নবাব পরিবার]]|১৯০১||১৯১৫|}}
{{succession box|before=নবাব স্যার [[খাজা আহসানুল্লাহ]]|title=[[ঢাকার নবাব]]|after=নবাব স্যার [[খাজা হাবিবুল্লাহ]]|years=১৯০১&ndash;১৯১৫}}
{{s-end}}


[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭১-এ জন্ম]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৮৭১-এ জন্ম]]

১৬:৪৩, ২ আগস্ট ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর
ঢাকার নবাব
নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহ বাহাদুর জি.সি.এস.আই
রাজত্ব১৯০১ - ১৯১৫
পূর্বসূরিনবাব স্যার খাজা আহসানুল্লাহ
উত্তরসূরিনবাব খাজা হাবিবুল্লাহ
জন্ম(১৮৭১-০৬-০৭)৭ জুন ১৮৭১
আহসান মঞ্জিল, ঢাকা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
মৃত্যু১৬ জানুয়ারি ১৯১৫(1915-01-16) (বয়স ৪৩)
চৌরঙ্গী, কলকাতা, বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
সমাধি
বেগম বাজার, ঢাকা
প্রাসাদঢাকা নবাব পরিবার
পিতানবাব স্যার খাজা আহসানুল্লাহ

খাজা সলিমুল্লাহ বা নবাব সলিমুল্লাহ (৭ জুন ১৮৭১-১৬ জানুয়ারি ১৯১৫)[১] ঢাকার নবাব ছিলেন। তার পিতা নবাব খাজা আহসানউল্লাহ ও পিতামহ নবাব খাজা আব্দুল গনি। তিনি নিখিল ভারত মুসলিম লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন।[২] যদিও তিনি জীবদ্দশায় এই বিশ্ববিদ্যালয় দেখে যেতে পারেননি।

প্রচলিত আছে যে, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য নিজের জমি দান করেছেন, যদিও প্রকৃতপক্ষে এটি একটি শ্রুতি বা মিথ। দান করার মতো জমি নবাব পরিবারের ছিলো না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সরকারি খাসজমিতে।[৩]

বঙ্গভঙ্গ এবং খাজা সলিমুল্লাহ

১৯০৩ সালে বড় লাট লর্ড কার্জন ঢাকায় সফরে এলে নওয়াব সলিমুল্লাহ পূর্ব বাংলার সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। ওদিকে আসামের উৎপাদিত চা ও অন্যান্য পণ্য বিদেশে রপ্তানীর ব্যাপারে পরিবহন ব্যয় হ্রাসের উদ্দেশ্যে কলকাতার বদলে চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের চিন্তা করে বৃটিশরা, এই সাথে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণের ভাবনাও চলতে থাকে। বৃটিশদের বাণিজ্যিক স্বার্থ এবং নবাবের আবেদন যুক্ত হয়ে খুব অল্প সময়ের ব্যবধানে বাংলা বিভাজনের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর প্রেক্ষিতে কলকাতা কেন্দ্রিক বুদ্ধজীবী ব্যবসায়ীদের তীব্র প্রতিবাদ সত্ত্বেও ১৯০৫ সালে পূর্ব বঙ্গ ও আসাম নিয়ে একটি স্বতন্ত্র প্রদেশ গঠন করা হল। বঙ্গ ভঙ্গ নিয়ে বাঙ্গালী হিন্দুদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে ১৯১১ সালে বঙ্গ ভঙ্গ রদ হয়ে যায়।

মুসলিম লীগ গঠন

১৮৭৭ সালে সৈয়দ আমীর আলীর উদ্যোগে 'সেন্ট্রাল মোহামেডান এ্যাসোসিয়েশন' গঠনের সাথে স্যার সৈয়দ আহমদ খান দ্বিমত পোষণ করেন। তিনি মুসলমানদেরকে রাজনীতি থেকে বিরত থাকার উপদেশ দিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস আত্মপ্রকাশ করার পর হিন্দি এবং উর্দু'র বিরোধ সৃষ্টি হলে মুসলমানদের স্বার্থের ব্যাপারে সৈয়দ আহমদ সচেতন হয়ে উঠেন এবং ১৮৮৯ সালে রাজনৈতিক সংগঠনের ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে 'ইউনাইটেড ন্যাশনাল ডিফেন্স এ্যাসোসিয়েশন' গঠন করেন। ১৮৯৩ সালে উত্তর ভারতে 'মোহমেডান এ্যাংলো ওরিয়েন্টাল ডিফেন্স অরগানাইজেশন অব আপার ইন্ডিয়া' গঠিত হয়। ১৯০৩ সালে সাহরানপুরে মুসলিম রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়। ১৯০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে পাঞ্জাবে 'নিখিল ভারত মুসলিম লীগ' নামে একটি রাজনৈতিক সংস্থা গঠিত হয়। এদিকে বঙ্গভঙ্গের প্রতিক্রিয়ায় সমগ্র ভারত জুড়ে হিন্দু জনগোষ্ঠীর প্রতিবাদ এবং মুসলিম বিদ্বেষের ঝড় বয়ে যাওয়ায় স্যার সলিমুল্লাহকে দারুণভাবে ভাবিয়ে তোলে। তিনি সর্বভারতীয় পর্যায়ে মুসলিম ঐক্যের কথা ভাবতে শুরু করেন।

১৯০৬ সালের নভেম্বরে সলিমুল্লাহ সমগ্র ভারতের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দের নিকট পত্রালাপে নিজের অভিপ্রায় তুলে ধরেন এবং সর্বভারতীয় মুসলিম সংঘের প্রস্তাব রাখেন। ১৯০৬ সালের ২৮-৩০শে ডিসেম্বর সর্বভারতীয় শিক্ষা সম্মেলন আহুত হয়। শাহবাগে অনুষ্ঠিত এই সম্মেলনে সমগ্র ভারতের প্রায় ৮ হাজার প্রতিনিধি যোগ দেন। নবাব সলিমুল্লাহ 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম কনফেডারেন্সী' অর্থাৎ সর্বভারতীয় মুসলিম সংঘ গঠনের প্রস্তাব দেন; হাকিম আজমল খান, জাফর আলী এবং আরো কিছু প্রতিনিধি প্রস্তাবটিকে সমর্থন করেন। কিছু প্রতিনিধির আপত্তির প্রেক্ষিতে কনফেডারেন্সী শব্দটি পরিত্যাগ করে লীগ শব্দটিকে গ্রহণ করা হয়। অবশেষে সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে 'অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ' বা নিখিল ভারত মুসলিম লীগ গঠিত হয়। ঢাকায় এই ঐতিহাসিক সম্মেলনে বঙ্গভঙ্গ সমর্থন এবং বঙ্গভঙ্গ বিরোধী আন্দোলনের নিন্দা করা হয়। এ সংগঠনের ব্যাপারে শুরু থেকেই হিন্দু জনগোষ্ঠী বিরূপ অবস্থান নেয়। সুরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী সম্পাদিত দি বেঙ্গলি পত্রিকা নবগঠিত নিখিল ভারত মুসলিম লীগ কে সলিমুল্লাহ লীগ হিসেবে অভিহিত করে।

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন
  2. মুন্তাসির, মামুন (১৯৯৩)। ঢাকাঃ স্মৃতি বিস্মৃতির নগরী (প্রথমা প্রকাশ সংস্করণ)। ঢাকা: অন্যন্য। আইএসবিএন 984-412-104-3ওসিএলসি 45260385 
  3. করিম, সরদার ফজলুল (১৯৯৩)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও পূর্ববঙ্গীয় সমাজ। ঢাকা: সাহিত্য প্রকাশ। পৃষ্ঠা ১৬–১৭। আইএসবিএন 984-465-025-9 
খাজা সলিমুল্লাহ
পূর্বসূরী
নবাব স্যার খাজা আহসানুল্লাহ
ঢাকার নবাব
১৯০১–১৯১৫
উত্তরসূরী
নবাব স্যার খাজা হাবিবুল্লাহ