বহুমূত্ররোগ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Zaheen (আলোচনা | অবদান)
+en
Annilkhan (আলোচনা | অবদান)
+
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
{{Infobox disease
বহুমুত্র রোগ, রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতি জনিত অসামঞ্জস্যের জন্য দেখা দেয়।
| Name= ডায়াবেটিস ম্যালিটাস
দুই ধরনের দেখা যায়।
| Image=Blue circle for diabetes.svg
#টাইপ ১: ইনসুলিন বেজ, ১০-৩০ বছরের মধ্যে দেখা দেয়।
| Caption=Universal blue circle symbol for diabetes.<ref>{{cite web|title=Diabetes Blue Circle Symbol|url=http://www.diabetesbluecircle.org|date=17 March 2006|publisher=International Diabetes Federation}}</ref>
# টাইপ ২: নন ইনসুলিন বেজ, ৪০ বা তারপর দেখা দেয়।
| ICD10={{ICD10|E|10||e|10}}–{{ICD10|E|14||e|10}}
| ICD9={{ICD9|250}}
| MedlinePlus=001214
| eMedicineSubj=med
| eMedicineTopic=546
| eMedicine_mult={{eMedicine2|emerg|134}}
| MeshName=Diabetes
| MeshNumber=C18.452.394.750|
}}
দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতি জনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।


==ধরন==


বহুমুত্র রোগ প্রধানত দুই রকমের।


====টাইপ-১====


টাইপ-১<ref>[http://autoimmune.pathology.jhmi.edu/diseases.cfm?systemID=3&DiseaseID=23 Johns Hopkins Medical Institutions]</ref> বহুমুত্র হলো অটোইম্যুন রোগ। এ রোগে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তাই যাদের টাইপ-১ হয়, এদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় খুবই কম। এ জন্য রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প নিতে হয়। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বহুমুত্র হয় বেশি। ১০-৩০ বছরের মধ্যে দেখা দেয়।

====টাইপ-২====

টাইপ-২ বহুমুত্র রোগের পেছনে থাকে মূলত ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’। টাইপ-২ রোগীরা শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, একে ব্যবহার করতে পারে না। ব্যায়াম ও খাদ্যবিধির সাহায্যে একে প্রথমে মোকাবিলা করা হয়। তবে অনেক সময় প্রয়োজন হয় মুখে খাওয়ার ওষুধ, এমনকি ইনসুলিন ইনজেকশন। ৪০ বছর বা তারপরে এ ধরনের ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ দেখা দেয়।

বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। দুই ধরনের ডায়াবেটিসই গুরুতর এবং হতে পারে শিশু ও তরুণদেরও। এ জন্য ডায়াবেটিসের বিপদ-চিহ্নগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। ‘মৃদু ডায়াবেটিস’ বলে কিন্তু কিছু নেই।

==তথ্যসূত্র==
{{reflist}}

==বহির্সংযোগ==
* [http://www.dmoz.org/Health/Conditions_and_Diseases/Endocrine_Disorders/Pancreas/Diabetes/ Diabetes]at the [[Open Directory Project]]
* [http://www.diabetes.org/ American Diabetes Association]
* [http://ndep.nih.gov/ National Diabetes Education Program]





০৮:১৬, ১৩ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বহুমূত্ররোগ
বিশেষত্ববহুমূত্ররোগবিদ্যা উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

দেহযন্ত্র অগ্ন্যাশয় যদি যথেষ্ট ইনসুলিন তৈরি করতে না পারে অথবা শরীর যদি উৎপন্ন ইনসুলিন ব্যবহারে ব্যর্থ হয়, তাহলে যে রোগ হয় তা হলো ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র। তখন রক্তে চিনি বা শকর্রার উপস্থিতি জনিত অসামঞ্জস্য দেখা দেয়। ইনসুলিনের ঘাটতিই হলো এ রোগের মূল কথা। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত হরমোন ইনসুলিন, যার সহায়তায় দেহের কোষগুলো রক্ত থেকে গ্লুকোজকে নিতে সমর্থ হয় এবং একে শক্তির জন্য ব্যবহার করতে পারে। ইনসুলিন উৎপাদন বা ইনসুলিনের কাজ করার ক্ষমতা-এর যেকোনো একটি বা দুটোই যদি না হয়, তাহলে রক্তে বাড়তে থাকে গ্লুকোজ। আর একে নিয়ন্ত্রণ না করা গেলে ঘটে নানা রকম জটিলতা, দেহের টিস্যু ও যন্ত্র বিকল হতে থাকে।

ধরন

বহুমুত্র রোগ প্রধানত দুই রকমের।

টাইপ-১

টাইপ-১[২] বহুমুত্র হলো অটোইম্যুন রোগ। এ রোগে অগ্ন্যাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। তাই যাদের টাইপ-১ হয়, এদের দেহে ইনসুলিন উৎপাদিত হয় খুবই কম। এ জন্য রোগীকে বেঁচে থাকার জন্য ইনসুলিন ইনজেকশন বা ইনসুলিন পাম্প নিতে হয়। শিশু ও তরুণদের মধ্যে এ ধরনের বহুমুত্র হয় বেশি। ১০-৩০ বছরের মধ্যে দেখা দেয়।

টাইপ-২

টাইপ-২ বহুমুত্র রোগের পেছনে থাকে মূলত ‘ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স’। টাইপ-২ রোগীরা শরীরে যে ইনসুলিন উৎপন্ন হয়, একে ব্যবহার করতে পারে না। ব্যায়াম ও খাদ্যবিধির সাহায্যে একে প্রথমে মোকাবিলা করা হয়। তবে অনেক সময় প্রয়োজন হয় মুখে খাওয়ার ওষুধ, এমনকি ইনসুলিন ইনজেকশন। ৪০ বছর বা তারপরে এ ধরনের ডায়াবেটিস বা বহুমুত্র রোগ দেখা দেয়।

বিশ্বজুড়ে ২৪৬ মিলিয়ন ডায়াবেটিস রোগীর ৯০ শতাংশের বেশি হলো টাইপ-২ ডায়াবেটিস। দুই ধরনের ডায়াবেটিসই গুরুতর এবং হতে পারে শিশু ও তরুণদেরও। এ জন্য ডায়াবেটিসের বিপদ-চিহ্নগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। ‘মৃদু ডায়াবেটিস’ বলে কিন্তু কিছু নেই।

তথ্যসূত্র

  1. "Diabetes Blue Circle Symbol"। International Diabetes Federation। ১৭ মার্চ ২০০৬। 
  2. Johns Hopkins Medical Institutions

বহির্সংযোগ