ব্যবহারকারী:Dr. Bir/মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
এগুলি প্রাথমিক উৎস ছিল। আরও সূত্র যোগের চেষ্টা করুন।
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:


== প্রথম জীবন ==
== প্রথম জীবন ==
বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে প্রায় দু-মাইল দূরে মুখুড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় (ছদ্মনাম: মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়)-এর জন্ম। সরকারি জন্ম সাল ১৯৪০, পয়লা সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক পড়াশুনা সেখানকার গ্রামের স্কুলে। শৈশব কৈশোর গ্রামের মুক্ত পরিবেশের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার জলে ডুবে যেতে যতে বেঁচে গেছেন।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://epaper.thestatesman.com/c/61067714|শিরোনাম=প্রয়াত সাহিত্যিক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় | লেখক= সৈয়দ হাসমত জালাল|ওয়েবসাইট=epaper.thestatesman.com|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-21}}</ref> বাবা চাকরি করতেন পূর্ববঙ্গে, দেশভাগের পর এপারে চলে আসেন তিনি। বীরভূমের পর মণিরত্নের পরবর্তী কৈশোর কেটেছে হুগলির চুঁচুড়াতে। দেশভাগের প্রভাব তাদের সংসারে বেশ গভীর ছিল। তাঁর এক বোন এই সময় মারা যান। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। তারপর হুগলি কলেজে ফ্রি স্টুডেন্টশিপ পেয়ে ভর্তি হন।<ref name=":1"/> সেখান থেকে আই এস সি-তে স্কলারশিপ, বি এস সি-তে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পাশ করেন। এম এস সি ভর্তি হন কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা|প্রসিডেন্সি কলেজে]] । প্রেসিডেন্সি কলেজে পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে তিনি জামালপুর রেল কারখানায় অ্যাপ্রেন্টিস রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারারিং কোর্স এ যোগ দেন।<ref name=":2">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=দিল্লির বাঙালি|বছর=২০১৬|প্রকাশক=সৃষ্টিসুখ|অবস্থান=হাওড়া|পাতাসমূহ=১০৮ , অধ্যায়: বাংলা ভাষাচর্চা এবং কিছু বিশিষ্ট লেখক|at=|আইএসবিএন=978-1-943438-24-2}}</ref>
বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে প্রায় দু-মাইল দূরে মুখুড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় (ছদ্মনাম: মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়)-এর জন্ম। সরকারি জন্ম সাল ১৯৪০, পয়লা সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক পড়াশুনা সেখানকার গ্রামের স্কুলে। শৈশব কৈশোর গ্রামের মুক্ত পরিবেশের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার জলে ডুবে যেতে যতে বেঁচে গেছেন।<ref name=":1">{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=https://epaper.thestatesman.com/c/61067714|শিরোনাম=প্রয়াত সাহিত্যিক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় | লেখক= সৈয়দ হাসমত জালাল|ওয়েবসাইট=[[দৈনিক স্টেটসম্যান]]|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-21}}</ref> বাবা চাকরি করতেন পূর্ববঙ্গে, দেশভাগের পর এপারে চলে আসেন তিনি। বীরভূমের পর মণিরত্নের পরবর্তী কৈশোর কেটেছে হুগলির চুঁচুড়াতে। দেশভাগের প্রভাব তাদের সংসারে বেশ গভীর ছিল। তাঁর এক বোন এই সময় মারা যান। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। তারপর হুগলি কলেজে ফ্রি স্টুডেন্টশিপ পেয়ে ভর্তি হন।<ref name=":1"/> সেখান থেকে আই এস সি-তে স্কলারশিপ, বি এস সি-তে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পাশ করেন। এম এস সি ভর্তি হন কলকাতার [[প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, কলকাতা|প্রসিডেন্সি কলেজে]] । প্রেসিডেন্সি কলেজে পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে তিনি জামালপুর রেল কারখানায় অ্যাপ্রেন্টিস রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারারিং কোর্স এ যোগ দেন।<ref name=":2">{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=দিল্লির বাঙালি|বছর=২০১৬|প্রকাশক=সৃষ্টিসুখ|অবস্থান=হাওড়া|পাতাসমূহ=১০৮ , অধ্যায়: বাংলা ভাষাচর্চা এবং কিছু বিশিষ্ট লেখক|at=|আইএসবিএন=978-1-943438-24-2}}</ref>


== কর্মজীবন ==
== কর্মজীবন ==
প্রথম কর্মজীবন শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯৬৪ সালে। পরে দিল্লির ইঞ্জিয়ার্স ইন্ডিয়াতে চাকরি। চাকরির সূত্রে সারা ভারত ও বিদেশে যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি<ref>'লুপ্ত সরস্বতী' গ্রন্থের দ্বিতীয় ব্লার্ব, [[আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড|আনন্দ পাবলিশার্স]] দ্বিতীয় মুদ্রণ ২০১৫, ISBN 978-93-5040-310-5</ref>, ব্রাজিল<ref name=":1"/>। অবসরের পর দিল্লিতেই স্থায়ী ভাবে বাস করতেন।<ref name=":2" />
প্রথম কর্মজীবন শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯৬৪ সালে। পরে দিল্লির ইঞ্জিয়ার্স ইন্ডিয়াতে চাকরি। চাকরির সূত্রে সারা ভারত ও বিদেশে যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল<ref name=":1"/>। অবসরের পর দিল্লিতেই স্থায়ী ভাবে বাস করতেন।<ref name=":2" />


== সাহিত্য কর্ম ==
== সাহিত্য কর্ম ==
মণিরত্ন মূলত কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি রচনা করেছেন। কলকাতার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা থেকে তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে<ref name=":2" />, অন্য ভাষাতেও অনুবাদ হয়েছে। ব্রাজিল ভ্রমণ নিয়ে তাঁর ভ্রমণ উপন্যাস 'অবরিগাদো ব্রাজিল' প্রকাশিত হয়।<ref name=":1"/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bengalassociation.com/sambad/march2021.pdf|শিরোনাম=অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ, বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|তারিখ=মার্চ ২০২১|কর্ম=বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|সংগ্রহের-তারিখ=২০২১-০৭-২৭|at=পৃষ্ঠা ৩,৪}}</ref> [[লুপ্ত সরস্বতী|'লুপ্ত সরস্বতী]]' গ্রন্থটি অনুসন্ধান মূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ লেখার পশ্চাদ্ভূমিতে রয়েছে লেখকের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। হিমালয়ের শৃঙ্গ, হিমবাহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মরুভূমি, গুজরাটের খাম্বাট উপসাগর, দ্বারকা এবং কচ্ছের রনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী গবেষণা হয়েছে ও বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘুরে এই বই এর উপাদান সংগ্রহ করেছেন। '[[সরস্বতী নদী]]র দেবীত্বে উত্তরণের আশ্চর্য কাহিনির সঙ্গে আবিষ্কারকদের জীবনের কথা মিলেমিশে আছে এই দুর্লভ গ্রন্থে।'<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=লুপ্ত সরস্বতী|বছর=ডিসেম্বর ২০১৩|প্রকাশক=আনন্দ পাবলিশার্স|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=প্রথম ব্লার্ব|আইএসবিএন=978-93-5040-310-5}}</ref>' [[অন্য মরুস্থলী]]' গ্রন্থটিও সরস্বতী নদীর অনুসন্ধানের সঙ্গে। বইটির প্রকাশক [[আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড|আনন্দ পাবলিশার্স]]। একটি গবেষক দল সরস্বতী নদীর হারিয়ে যাওয়া খাতের সন্ধানে বেরিয়েছে। তাদের গবেষণা ও মরুভূমির মধ্য দিয়ে অভিযানের নানান কথা কথাসাহিত্যের রসে জারিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://desh.co.in/storydetail/-/deshstory/krishnendu-mukhopadhyay-boier-desh-169423|শিরোনাম=লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে|ওয়েবসাইট=desh.co.in|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-27 |উক্তি=‘অন্য মরুস্থলী’ আসলে শুধু লুপ্ত সরস্বতীর খাত বেয়ে মিঠে জলের অনুসন্ধানে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা অভিযাত্রীরা যেন পশ্চিম রাজস্থানে থর মরুভূমি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভারতবর্ষের বিশালত্ব, ঐতিহ্য, পুরাণ, ইতিহাস তথা সমকালের ছোট ছোট গল্পের এক-একটা রঙিন পাথরের টুকরো মরুস্থলীর ওপর ফেলতে ফেলতে গিয়েছেন, যা তৈরি করেছে ম্যাপের সেই ডটেড লাইন, লুপ্ত সরস্বতীর সম্ভাব্য প্রবাহধারা। এই রঙিন পাথরের টুকরোগুলো নিপুণভাবে সাজিয়ে লেখক নির্মাণ করেছেন একটি কোলাজ। যে-কোলাজের গায়ে কান পাতলে শোনা যাবে লুপ্ত সরস্বতীর কুলকুল করে বয়ে যাওয়ার শব্দ। এটিই সার্থক করে তুলেছে বইটিকে।  - লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়}}</ref> বইটি 'একটি সত্যি কাহিনি, কিছুটা সাজিয়ে নিতে হয়েছে এই যা'- এরকম ভাবে বলা হয়েছে গ্রন্থটির ব্লার্বে।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=অন্য মরুস্থলী|বছর=জানুয়ারি ২০১৯|প্রকাশক=আনন্দ পাবলিশার্স|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=প্রথম ব্লার্ব|আইএসবিএন=978-93-88014-64-9}}</ref>
মণিরত্ন মূলত কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি রচনা করেছেন। কলকাতার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা থেকে তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে<ref name=":2" />, অন্য ভাষাতেও অনুবাদ হয়েছে। ব্রাজিল ভ্রমণ নিয়ে তাঁর ভ্রমণ উপন্যাস 'অবরিগাদো ব্রাজিল' প্রকাশিত হয়।<ref name=":1"/><ref>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://bengalassociation.com/sambad/march2021.pdf|শিরোনাম=অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ, বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|তারিখ=মার্চ ২০২১|কর্ম=বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি|সংগ্রহের-তারিখ=২০২১-০৭-২৭|at=পৃষ্ঠা ৩,৪}}</ref> [[লুপ্ত সরস্বতী|'লুপ্ত সরস্বতী]]' গ্রন্থটি অনুসন্ধান মূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ লেখার পশ্চাদ্ভূমিতে রয়েছে লেখকের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। হিমালয়ের শৃঙ্গ, হিমবাহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মরুভূমি, গুজরাটের খাম্বাট উপসাগর, দ্বারকা এবং কচ্ছের রনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী গবেষণা হয়েছে ও বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘুরে এই বই এর উপাদান সংগ্রহ করেছেন। '[[সরস্বতী নদী]]র দেবীত্বে উত্তরণের আশ্চর্য কাহিনির সঙ্গে আবিষ্কারকদের জীবনের কথা মিলেমিশে আছে এই দুর্লভ গ্রন্থে।' [[অন্য মরুস্থলী]]' গ্রন্থটিও সরস্বতী নদীর অনুসন্ধানের সঙ্গে। বইটির প্রকাশক [[আনন্দ পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেড|আনন্দ পাবলিশার্স]]। একটি গবেষক দল সরস্বতী নদীর হারিয়ে যাওয়া খাতের সন্ধানে বেরিয়েছে। তাদের গবেষণা ও মরুভূমির মধ্য দিয়ে অভিযানের নানান কথা কথাসাহিত্যের রসে জারিত হয়েছে।<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://desh.co.in/storydetail/-/deshstory/krishnendu-mukhopadhyay-boier-desh-169423|শিরোনাম=লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে|ওয়েবসাইট=desh.co.in|সংগ্রহের-তারিখ=2021-07-27 |উক্তি=‘অন্য মরুস্থলী’ আসলে শুধু লুপ্ত সরস্বতীর খাত বেয়ে মিঠে জলের অনুসন্ধানে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা অভিযাত্রীরা যেন পশ্চিম রাজস্থানে থর মরুভূমি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভারতবর্ষের বিশালত্ব, ঐতিহ্য, পুরাণ, ইতিহাস তথা সমকালের ছোট ছোট গল্পের এক-একটা রঙিন পাথরের টুকরো মরুস্থলীর ওপর ফেলতে ফেলতে গিয়েছেন, যা তৈরি করেছে ম্যাপের সেই ডটেড লাইন, লুপ্ত সরস্বতীর সম্ভাব্য প্রবাহধারা। এই রঙিন পাথরের টুকরোগুলো নিপুণভাবে সাজিয়ে লেখক নির্মাণ করেছেন একটি কোলাজ। যে-কোলাজের গায়ে কান পাতলে শোনা যাবে লুপ্ত সরস্বতীর কুলকুল করে বয়ে যাওয়ার শব্দ। এটিই সার্থক করে তুলেছে বইটিকে।  - লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়}}</ref> বইটি 'একটি সত্যি কাহিনি, কিছুটা সাজিয়ে নিতে হয়েছে এই যা'- এরকম ভাবে বলা হয়েছে গ্রন্থটির ব্লার্বে।


মিনকিয়ানি নামক গিরিশিরা টেকিং নিয়ে লেখা '[[মিনকিয়ানি]]' গ্রন্থটি।<ref>{{বই উদ্ধৃতি|শিরোনাম=মিনকিয়ানি|বছর=জানুয়ারি ২০০২|প্রকাশক=আনন্দ|অবস্থান=কলকাতা|পাতাসমূহ=প্রথম ব্লার্ব|আইএসবিএন=81-7756-211-8}}</ref> '[[অবরিগাদো ব্রাজিল]]' গ্রন্থে [[ব্রাজিল|ব্রাজিলের]] মানুষ, সমাজ, ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনি। 'নিছক ভ্রমণ কাহিনি নয়, কথা সাহিত্যের ভিন্নতর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।<ref name=":1"/> জহরলাল নেহেরুর ''The Discovery of India''-র অনুবাদ করেছেন '[[ভারতবর্ষ আবিষ্কার]]' নামে বাংলায় । দাস ব্যাবসা নিয়ে লিখেছেন 'মানুষ যখন পণ্য'। '[[অম্বা উপন্যাস|অম্বা]]' উপন্যাস মহাভারতের উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র [[অম্বা (মহাভারত)|অম্বা]]-র জীবনের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।
মিনকিয়ানি নামক গিরিশিরা টেকিং নিয়ে লেখা '[[মিনকিয়ানি]]' গ্রন্থটি। '[[অবরিগাদো ব্রাজিল]]' গ্রন্থে [[ব্রাজিল|ব্রাজিলের]] মানুষ, সমাজ, ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনি। 'নিছক ভ্রমণ কাহিনি নয়, কথা সাহিত্যের ভিন্নতর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।<ref name=":1"/> জহরলাল নেহেরুর ''The Discovery of India''-র অনুবাদ করেছেন '[[ভারতবর্ষ আবিষ্কার]]' নামে বাংলায় । দাস ব্যাবসা নিয়ে লিখেছেন 'মানুষ যখন পণ্য'। '[[অম্বা উপন্যাস|অম্বা]]' উপন্যাস মহাভারতের উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র [[অম্বা (মহাভারত)|অম্বা]]-র জীবনের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।


{| class="wikitable"
{| class="wikitable"

১৮:৪৯, ২৮ জুলাই ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

মণিরত্ন মুখোপাধায় ( প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়)
জন্মপ্রণবকুমার মুখোপাধ্যায়
সেপ্টম্বর ১, ১৯৪০
সিউড়ি (মামার বাড়ি)
মৃত্যুজুন ২০২১
দিল্লি
ছদ্মনামমণিরত্ন মুখোপাধায়
পেশাইঞ্জিনিয়ার
ভাষাবাংলা, ইংরেজি
জাতীয়তাভারতীয়
নাগরিকত্বভারতীয়
শিক্ষাবি এস সি পদার্থবিদ্যা, এম এস সি ( প্রেসিডেন্সি কলেজ, অসম্পূর্ণ), ইঞ্জিনিয়ারিং (জামালপুর)

মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় ( ManiRatna Mukhapahyay) ছদ্মনামে ( মূল নাম: প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় / Pranab Kumar Mukhapadhyay) বাংলা সাহিত্যের উল্লেখযোগ্য সাহিত্যিক[১]। জন্ম ১৯৪০ সালের ১ সেপ্টেম্বর সিউড়ি, মামার বাড়িতে। মূলত কথাসাহিত্যক। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠিত পত্রপত্রিকায় ও লিটল ম্যাগাজিনে তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি রচনায় তিনি স্বছন্দ ছিলেন। গবেষণামূলক লেখালেখিতেও তাঁর পারদর্শিতা উল্লেখযোগ্য। তাঁর জীবনের বেশি সময় কেটছে দিল্লিতে। দিল্লিতেই তাঁর মৃত্যু[২] ১১ জুন ২০২১ তারিখে।

প্রথম জীবন

বীরভূম জেলার সিউড়ি শহর থেকে প্রায় দু-মাইল দূরে মুখুড়িয়া গ্রামে মামার বাড়িতে প্রণবকুমার মুখোপাধ্যায় (ছদ্মনাম: মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়)-এর জন্ম। সরকারি জন্ম সাল ১৯৪০, পয়লা সেপ্টেম্বর। প্রাথমিক পড়াশুনা সেখানকার গ্রামের স্কুলে। শৈশব কৈশোর গ্রামের মুক্ত পরিবেশের মধ্যে অতিবাহিত হয়েছে। বেশ কয়েকবার জলে ডুবে যেতে যতে বেঁচে গেছেন।[২] বাবা চাকরি করতেন পূর্ববঙ্গে, দেশভাগের পর এপারে চলে আসেন তিনি। বীরভূমের পর মণিরত্নের পরবর্তী কৈশোর কেটেছে হুগলির চুঁচুড়াতে। দেশভাগের প্রভাব তাদের সংসারে বেশ গভীর ছিল। তাঁর এক বোন এই সময় মারা যান। হুগলি কলিজিয়েট স্কুলে ভর্তি হন। তারপর হুগলি কলেজে ফ্রি স্টুডেন্টশিপ পেয়ে ভর্তি হন।[২] সেখান থেকে আই এস সি-তে স্কলারশিপ, বি এস সি-তে ফিজিক্স অনার্স নিয়ে পাশ করেন। এম এস সি ভর্তি হন কলকাতার প্রসিডেন্সি কলেজে । প্রেসিডেন্সি কলেজে পাঠ অসম্পূর্ণ রেখে তিনি জামালপুর রেল কারখানায় অ্যাপ্রেন্টিস রেলওয়ে ইঞ্জিনিয়ারারিং কোর্স এ যোগ দেন।[৩]

কর্মজীবন

প্রথম কর্মজীবন শিয়ালদহ ডিভিশনে ১৯৬৪ সালে। পরে দিল্লির ইঞ্জিয়ার্স ইন্ডিয়াতে চাকরি। চাকরির সূত্রে সারা ভারত ও বিদেশে যেমন আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানি, ব্রাজিল[২]। অবসরের পর দিল্লিতেই স্থায়ী ভাবে বাস করতেন।[৩]

সাহিত্য কর্ম

মণিরত্ন মূলত কথাসাহিত্যিক। গল্প, উপন্যাস ও ভ্রমণকাহিনি রচনা করেছেন। কলকাতার উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা থেকে তাঁর গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে[৩], অন্য ভাষাতেও অনুবাদ হয়েছে। ব্রাজিল ভ্রমণ নিয়ে তাঁর ভ্রমণ উপন্যাস 'অবরিগাদো ব্রাজিল' প্রকাশিত হয়।[২][৪] 'লুপ্ত সরস্বতী' গ্রন্থটি অনুসন্ধান মূলক গ্রন্থ। এই গ্রন্থ লেখার পশ্চাদ্ভূমিতে রয়েছে লেখকের দীর্ঘদিনের প্রস্তুতি। হিমালয়ের শৃঙ্গ, হিমবাহ হরিয়ানা, পাঞ্জাব, রাজস্থানের মরুভূমি, গুজরাটের খাম্বাট উপসাগর, দ্বারকা এবং কচ্ছের রনে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দলের সঙ্গে পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কী গবেষণা হয়েছে ও বিভিন্ন সংগ্রহশালা ঘুরে এই বই এর উপাদান সংগ্রহ করেছেন। 'সরস্বতী নদীর দেবীত্বে উত্তরণের আশ্চর্য কাহিনির সঙ্গে আবিষ্কারকদের জীবনের কথা মিলেমিশে আছে এই দুর্লভ গ্রন্থে।' অন্য মরুস্থলী' গ্রন্থটিও সরস্বতী নদীর অনুসন্ধানের সঙ্গে। বইটির প্রকাশক আনন্দ পাবলিশার্স। একটি গবেষক দল সরস্বতী নদীর হারিয়ে যাওয়া খাতের সন্ধানে বেরিয়েছে। তাদের গবেষণা ও মরুভূমির মধ্য দিয়ে অভিযানের নানান কথা কথাসাহিত্যের রসে জারিত হয়েছে।[৫] বইটি 'একটি সত্যি কাহিনি, কিছুটা সাজিয়ে নিতে হয়েছে এই যা'- এরকম ভাবে বলা হয়েছে গ্রন্থটির ব্লার্বে।

মিনকিয়ানি নামক গিরিশিরা টেকিং নিয়ে লেখা 'মিনকিয়ানি' গ্রন্থটি। 'অবরিগাদো ব্রাজিল' গ্রন্থে ব্রাজিলের মানুষ, সমাজ, ইতিহাস নিয়ে রচিত হয়েছে এই কাহিনি। 'নিছক ভ্রমণ কাহিনি নয়, কথা সাহিত্যের ভিন্নতর মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে।[২] জহরলাল নেহেরুর The Discovery of India-র অনুবাদ করেছেন 'ভারতবর্ষ আবিষ্কার' নামে বাংলায় । দাস ব্যাবসা নিয়ে লিখেছেন 'মানুষ যখন পণ্য'। 'অম্বা' উপন্যাস মহাভারতের উল্লেখযোগ্য নারী চরিত্র অম্বা-র জীবনের বিস্তৃত প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে।

উপন্যাস-এর বিস্তারিত তথ্য
রচনার শ্রেনি রচনার নাম প্রকাশক প্রকাশ সাল উৎসর্গ আই এস বি এন
উপন্যাস নবিশ নবপত্র ১৯৯৯ - ৮১-৮৫৩২৫-৮২০-০
ভ্রমণ উপন্যাস মিনকিয়ানি আনন্দ ২০০২ চেলারাম ৮১-৭৭৫৬-২১১-৮
গল্প সংগ্রহ ছোটোগল্প দীপক ২০১১ ব্রজমাধব ভট্টাচার্য -
ইংরেজি গল্প The Ternion দীপক ২০১১ গোপীদুললাল মুখোপাধ্যায় -
গবেষণা গ্রন্থ লুপ্ত সরস্বতী আনন্দ ২০১৩ ড. মণি রায় ৯৭৮-৯৩-৫০৪০-৫
গবেষণা গ্রন্থ

(অসমিয়া অনুবাদ)

লুপ্ত নদী সরস্বতী জ্যোতি ২০১৫ ড. মালিনী গোস্বামী -
নভেলেট কিছু গোপন করব না প্রয়াগ ২০১৪ অশোক চক্রবর্তী -
পৌরাণিক উপন্যাস অম্বা প্রয়াগ ২০১৭ শীলা মুখোপাধ্যায়
অনুবাদ গ্রন্থ ভারতবর্ষ আবিষ্কার মিত্র ও ঘোষ ২০১৯ অনিমেষ গোস্বামী ও ইন্দিরা চক্রব্রর্তী
উপন্যাস ঠিকানা জোড়ামন্দিরতলা শাম্ভবী ২০১৯ গোপীদুললাল মুখোপাধ্যায় 978-93-87883-44-4
ভ্রমণ উপন্যাস অন্য মরুস্থলী আনন্দ ২০১৯ রাহুল মুখোপাধ্যায়
গবেষণাগ্রন্থ মানুষ যখন পণ্য

দাস-ব্যবসার ইতিবৃত্ত

গাংচিল ২০১৯ ড. মাহেশ্বরী ড. মুকুল
রহস্য উপন্যাস

(পাঁচটি)

সখা সারমেয় গাংচিল ২০২০ শম্পা ডি ব্যানার্জী
ভ্রমণ উপন্যাস অবরিগাদো ব্রাজিল মুখাবয়ব ২০২০ পঙ্কজ মুখোপাধ্যায়
কয়েকজন সমসাময়িক বাংলা কথাসাহিত্যক। পাঠকের বাম দিক থেকে- সুবল দত্ত, তপন বন্দ্যোপাধ্যায়, মণিরত্ন মুখোপাধ্যায় ও দেবব্রত দেব

গল্পকার হিসাবে মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়ের পরিচিতি যথেষ্ট[৬]। বিশিষ্ট পত্র-পত্রিকায় ও সংকলনে তাঁর বহু গল্প প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল দেশ, শারদীয়া দেশ, আনন্দবাজার পত্রিকা, সানন্দা, এ'বেলা, কথাসাহিত্য, নবকল্লোল, বসুমতী, উনিশ কুড়ি, প্রসাদ প্রভৃতি পত্রিকায়। তাঁর গল্প বিষয়-বৈচিত্রে ভরপুর।

কিছু উল্লেখযোগ্য গল্পের নাম ও প্রকাশ-তথ্য
রচনার শ্রেনি রচনার নাম পত্রিকার নাম প্রকাশ সাল
গল্প জোছনাময়ী দেশ মে ২০০৬
গল্প মায়াবী সারস দেশ শারদীয়া ২০১৩
গল্প সাতটি মুখ দেশ মার্চ ২০০১
গল্প কে যে নাচে দেশ জুলাই ২০০৭
গল্প তিসু এবং অন্যেরা দেশ জানুয়ারি ২০০৭
গল্প কুমারী কুমারী দেশ মার্চ ২০০২
গল্প মালা মালিকা দেশ মার্চ ২০১৪
গল্প দেহ বিদেহ দেশ মার্চ ২০১২
গল্প কত চর চরাচর দেশ নভেম্বর ২০১০
গল্প নির্জন নীরব বৃত্তে দেশ শারদীয়া ২০১৪
গল্প অন্য অন্বেষণ দেশ ফেব্রুয়ারি ২০১০
গল্প খোলা মাঠের ছায়া দেশ শারদীয়া ২০১২
গল্প মৌনব্রত দেশ আগস্ট ২০০৯
গল্প এত মশা এত মাছি দেশ শারদীয়া ২০০৯
গল্প চোখের দেখা দেশ নভেম্বর ২০১৬
গল্প ভারদার বা ভাদ্রমাস দেশ নভেম্বর ২০১৫
গল্প তিন দিনের সুখ দেশ শারদীয়া ২০০৭
গল্প সামান্যতর দেশ জুন ২০১৫
গল্প একটি শব বাহনের বৃত্তান্ত দেশ এপ্রিল ২০০৭
গল্প মধুপুরের মেয়ে দেশ জানুয়ারি ২০০২
গল্প কৃষ্ণতিল দেশ নভেম্বর ২০০৫
গল্প করুণার র-চা দেশ শারদীয়া ২০০৬
গল্প ইকুয়েশন সানন্দা সেপ্টেম্বর ১৯৯৯
গল্প সেলাই সানন্দা অক্টোবর ২০০৩
গল্প ফিরে পাওয়া এ'বেলা সেপ্টেম্বর ২০১৩
গল্প সে ও চিলি আনন্দবাজার পত্রিকা ফেব্রুয়ারি ২০১৩
গল্প মধু মাধবী সংক্রান্ত আনন্দবাজার পত্রিকা জুন ২০১১
গল্প নায়কোচিত উনিশ কুড়ি অক্টোবর ২০১৫
গল্প একটি টর্চ সম্বন্ধিত কথাসাহিত্য সেপ্টেম্বর ২০১১
গল্প সতের পাক প্রসাদ শারদীয়া ২০১৬
গল্প এই মাতৃ শরীর বসুমতী শারদীয়া ২০১৬
গল্প কালবউস মাছ নবকল্লোল জুলাই ২০০৬

উদ্বোধন, উন্মুক্ত উচ্ছ্বাস, আরাত্রিক, দিগঙ্গন প্রভৃতি পত্রিকাতে নানান বিষয়ে তাঁর প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়েছে। কিছু অন্য ভাষার গল্প বাংলায় অনুবাদ করেছেন তিনি।[৭]

সম্মাননা

২০১৬ খ্রিস্টাব্দে আরাত্রিক পত্রিকা তাঁকে বিশেষ গল্পকার হিসাবে সাহিত্য-সম্মান প্রদান করে।[৮]

মৃত্যু

দিল্লিতে নিজের বাড়িতেই ১১ জুন ২০২১ তারিখে ৮১ বছর বয়েসে অল্প কিছু দিনের অসুস্থতায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।[২]

অতিরিক্ত তথ্যসূত্র

স্বাধীনতা-পরবর্তী দিল্লির বাংলা সাহিত্যচর্চা: রূপকুমার আড়ি, শম্ভাবী প্রকাশণী, কলকাতা, ২০১৮, ISBN: 9788193614563

তথ্যসূত্র

  1. বহির্বঙ্গ লেখক অভিধান। মধ্যপ্রদেশ: দুর্বাসা। ২০০৮। পৃষ্ঠা পৃষ্ঠা ৪৩। 
  2. সৈয়দ হাসমত জালাল। "প্রয়াত সাহিত্যিক মণিরত্ন মুখোপাধ্যায়"দৈনিক স্টেটসম্যান। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২১ 
  3. দিল্লির বাঙালি। হাওড়া: সৃষ্টিসুখ। ২০১৬। পৃষ্ঠা ১০৮ , অধ্যায়: বাংলা ভাষাচর্চা এবং কিছু বিশিষ্ট লেখক। আইএসবিএন 978-1-943438-24-2 
  4. "অ্যাসোসিয়েশন সংবাদ, বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি" (পিডিএফ)বেঙ্গলি অ্যাসসিয়েশন দিল্লি। মার্চ ২০২১। পৃষ্ঠা ৩,৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭ 
  5. "লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে"desh.co.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৭-২৭‘অন্য মরুস্থলী’ আসলে শুধু লুপ্ত সরস্বতীর খাত বেয়ে মিঠে জলের অনুসন্ধানে সীমাবদ্ধ থাকেনি। বিভিন্ন প্রদেশ থেকে আসা অভিযাত্রীরা যেন পশ্চিম রাজস্থানে থর মরুভূমি দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে ভারতবর্ষের বিশালত্ব, ঐতিহ্য, পুরাণ, ইতিহাস তথা সমকালের ছোট ছোট গল্পের এক-একটা রঙিন পাথরের টুকরো মরুস্থলীর ওপর ফেলতে ফেলতে গিয়েছেন, যা তৈরি করেছে ম্যাপের সেই ডটেড লাইন, লুপ্ত সরস্বতীর সম্ভাব্য প্রবাহধারা। এই রঙিন পাথরের টুকরোগুলো নিপুণভাবে সাজিয়ে লেখক নির্মাণ করেছেন একটি কোলাজ। যে-কোলাজের গায়ে কান পাতলে শোনা যাবে লুপ্ত সরস্বতীর কুলকুল করে বয়ে যাওয়ার শব্দ। এটিই সার্থক করে তুলেছে বইটিকে।  - লুপ্ত সরস্বতীর সন্ধানে, কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় 
  6. ভারতের বাংলা গল্প। ত্রিপুরা: স্রোত। ২০১৬। পৃষ্ঠা ৬৭১ লেখক পরিচিতি। আইএসবিএন 978-93-80904-78-8 
  7. অনুবাদ পত্রিকা, উন্মুক্ত উচ্ছ্বাস পত্রিকায় তাঁর একাধিক অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
  8. আরাত্রিক, শ্রাবণ সংখ্যা, ১৪২৬ বঙ্গাব্দ (আগস্ট ২০১৯)। পৃষ্ঠা ১৩৪। ISSN: 2347-7954