জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
JKKNIU_Campus.jpeg সরানো হলো। এটি JuTa কর্তৃক কমন্স থেকে অপসারিত হয়েছে, কারণ: No license since 10 July 2021।
Sculpture_of_Bangabandhu.jpeg সরানো হলো। এটি JuTa কর্তৃক কমন্স থেকে অপসারিত হয়েছে, কারণ: No license since 10 July 2021।
১৪৫ নং লাইন: ১৪৫ নং লাইন:


==ভাস্কর্যসমূহ==
==ভাস্কর্যসমূহ==
১/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য [[চিত্র:Sculpture of Bangabandhu.jpeg|থাম্ব|বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ]]
১/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য


২/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভাস্কর্য
২/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভাস্কর্য

২৩:৫৯, ১৯ জুলাই ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় লোগো
ধরনসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়
স্থাপিত২০০৬
আচার্যরাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন
উপাচার্যঅধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান
শিক্ষার্থী৭,২৯৬
স্নাতকবিএসসি, বিএসসি ইঞ্জিঃ, বিবিএ, বিএসএস, বিএ, বিএফএ, এলএলবি
স্নাতকোত্তরএমএসসিইঞ্জিঃ, এমবিএ, ইএমবিএ, এমএসএস, এমএ, এমডিএস, এমএফএ, এলএলএম।
৩৯ (এম ফিল, পিএইচডি) (বাংলা, ইংরেজি, সঙ্গীত, চারুকলা, কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল, অর্থনীতি, হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগে)
অবস্থান
নামাপাড়া, বটতলা, ত্রিশাল উপজেলা
, ,
শিক্ষাঙ্গনশহুরে, ৫৭ একর
সংক্ষিপ্ত নামJKKNIU
অধিভুক্তিবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন
ওয়েবসাইটjkkniu.edu.bd
মানচিত্র

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (জাককানইবি) বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলায় অবস্থিত কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত ত্রিশাল উপজেলার নামাপাড়ার বটতলায় অবস্থিত একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে বর্তমানে প্রায় ৭ হাজার শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

অবস্থান

এটি ময়মনসিংহ শহর হতে প্রায় ২২ কিলোমিটার দূরে, ত্রিশাল উপজেলা সদর হতে ২ কিলোমিটার দূরে নামাপাড়া বটতলায় অবস্থিত। এই বিশ্ববিদ্যালয়টি ২০০৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ঢাকা হতে এর দূরত্ব ১০০ কিলোমিটার। কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্মৃতি বিজড়িত বটতলা ঘেঁষে বিশ্ববিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত।

নামকরণ

পাখির চোখে জাককানইবি

কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের জাতীয় কবি। তার স্মরণে কবি নজরুলের স্মৃতি বিজরিত বটতলাতে এই বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়। কবি নজরুল ছোট বেলায় এই বটগাছের নিচে বসে বাঁশি বাজাতেন। কবি ত্রিশালের দরিরামপুর হাইস্কুলে পড়াশুনা করতেন। তাই তার স্মৃতিবিজড়িত এলাকায় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় কবি'র নিজের নামে।

ইতিহাস

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম ১৯৯০-এর দশক থেকে বেসরকারি খাতে ত্রিশালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের নামে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য একটি কমিটি গঠন করে। এই কমিটির সভাপতি ছিলেন ড. আশরাফ সিদ্দিকী, সহ-সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদা আলী এবং কোষাধ্যক্ষ বদিউজ্জামান, অবসরপ্রাপ্ত মহাপরিচালক, বাংলাদেশ ডাক বিভাগ। ফোরাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে দুই ধরনের সাহায্যদাতা সংগ্রহ করে। ১. অর্থদাতা, ২. জমিদাতা। অর্থদাতাদের মধ্যে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন তৎকালীন ভূমি প্রতিমন্ত্রী রাশেদ মোশাররফ, বেশকিছু সংখ্যক প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, চিকিৎসক এবং বিদ্যানুরাগী।

২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্যে একনেকের বৈঠকে একটি প্রকল্প অনুমোদিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০০৫ সালের পহেলা মার্চ এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। ২০০৭ এর ২৪ মে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে বেগম খালেদা জিয়া দুটি অনুষদের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন এবং ৩ জুন ২০০৭ এ প্রথম ব্যচের ক্লাস শুরু হয়। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শামসুর রহমান ছিলেন প্রথম উপাচার্য।[১] প্রথম ব্যাচে কলা অনুষদের অধীনে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ, সংগীত বিভাগ এবং বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদের অধীনে কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে ১৮৫ জন ছাত্র ভর্তি হয়।

অনুষদসমূহ

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৫ টি অনুষদের অধীনে মোট ২৩ টি বিভাগ রয়েছে।

অনুষদের নাম বিভাগ সমূহ
বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
তড়িৎ এবং ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগ
পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ
পরিসংখ্যান বিভাগ
ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ হিসাববিজ্ঞান ও তথ্যপদ্ধতি বিভাগ
ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগ
মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগ
ব্যবস্থাপনা বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ অর্থনীতি বিভাগ
লোকপ্রশাসন ও সরকার পরিচালনা বিদ্যা বিভাগ
ফোকলোর বিভাগ
নৃবিজ্ঞান বিভাগ
পপুলেশন সায়েন্স বিভাগ
স্থানীয় সরকার এবং নগর উন্নয়ন বিভাগ
সমাজবিজ্ঞান বিভাগ
কলা অনুষদ বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগ
সঙ্গীত বিভাগ
চারুকলা বিভাগ
থিয়েটার এন্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ
ফিল্ম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ
দর্শন বিভাগ
আইন অনুষদ আইন ও বিচার বিভাগ

[২]

বিজ্ঞান ভবন
কলা ভবন


শিক্ষাঙ্গন

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য রয়েছে তিনটি একাডেমিক ভবন; শিক্ষার্থীদের নিরিবিলি পরিবেশে পড়ার জন্য রয়েছে আধুনিক ও সুসজ্জিত গ্রন্থাগার।


উল্লেখযোগ্য গবেষণা

বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল গবেষক কক্সবাজারে উচ্চামাত্রার ইউরেনিয়ামের সন্ধান পান।[৩][৪]

আবাসিক হল

অগ্নিবীণা হল

বিদ্যালয়ে দুটি আবাসিক হল রয়েছে। ছাত্রদের জন্য অগ্নিবীণা হল এবং ছাত্রীদের জন্য দোলনচাঁপা হল। বর্তমানে দশতলা বিশিষ্ট দুটি হল- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (ছাত্রদের জন্য) এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল (ছাত্রীদের জন্য) নির্মাণাধীন রয়েছে। ২০১৮ সালে নির্মানাধীন হল দুটি চালু হওয়ার কথা থাকলেও এখন পর্যন্ত চালু না হওয়ায় তীব্র আবাসন সংকটে ভুগছে শিক্ষার্থীরা।

দোলনচাঁপা হল

ভাস্কর্যসমূহ

১/ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ভাস্কর্য

২/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম ভাস্কর্য

চিত্র:Sculpture of National poet Kazi Nazrul Islam.jpeg
কবি নজরুল ভাস্কর্য

৩/ জয় বাংলা ভাস্কর্য

চিত্র:Joy Bangla Sculpture.jpeg
জয় বাংলা ভাস্কর্য

ক্যাফেটেরিয়া

কলা ভবনের সদূরেই রয়েছে চক্রবাক ক্যাফেটেরিয়া। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের আশেপাশে অনেক ক্যাফেটেরিয়া রয়েছে।

চিত্র:চক্রবাক ক্যাফেটেরিয়া.jpeg
চক্রবাক ক্যাফেটেরিয়া

উপাচার্যের তালিকা

নাম দায়িত্ব গ্রহণ দায়িত্ব হস্থান্তর
এম. শামসুর রহমান[৫] ৭ জুন ২০০৬ ১৯ এপ্রিল ২০০৯
অধ্যাপক ড. সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ ২২-এপ্রিল-২০০৯[৬] ১৩আগস্ট ২০১৩
অধ্যাপক ড. খোন্দকার আশরাফ হোসেন ২২ এপ্রিল ২০১৩ জুন ২০১৩
অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম ১৩ আগস্ট ২০১৩ ১২ আগস্ট, ২০১৭
অধ্যাপক ড. এ এইচ এম মোস্তাফিজুর রহমান ১৩ নভেম্বর ২০১৭ [৭]

সংগঠন সমূহ

চিত্র:কুয়াশা উৎসব.jpeg
বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের স্থিরচিত্র

বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন সংগঠন সহ শিক্ষামূলক কাজে সক্রিয়; এখানে বছরের অধিকাংশ দিন বিভিন্ন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা বা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়, যেমনঃ চাকরি মেলা, উচ্চশিক্ষা বিষয়ক সেমিনার, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, টুর্নামেন্ট, জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ফটোগ্রাফি প্রতিযোগিতা, নাট্যোৎসব, স্কিলস হান্ট ইত্যাদি।

সাংবাদিক সংগঠন: ১/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব ২/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি

অন্যান্য সংগঠন: ১/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যারিয়ার ক্লাব ২/ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় স্কিল ডেভেলপমেন্ট ক্লাব ৩/ রংধনু ৪/ অরণ্য ৫/ কালের কণ্ঠ শুভ সংঘ ৬/ প্রথম আলো বন্ধুসভা ৭/ ডিবেটিং সোসাইটি

রাজনৈতিক সংগঠন

তথ্যসূত্র

  1. রহমান, শামসুর (২ সেপ্টেম্বর ২০১৩)। "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় : স্মৃতিকথা"আমার দেশ। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ অক্টোবর ২০১৮ 
  2. http://jkkniu.edu.bd/attach/Revised%20Admission%20Advertisement%202018-19.pdf[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "কক্সবাজারে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান!"সময় টিভি। ২৩ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  4. "কক্সবাজারে উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়ামের সন্ধান পেয়েছেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকীর নেতৃত্বে একদল গবেষক"আমাদের নতুন সময়। ২২ জানুয়ারি ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-২৮ 
  5. "Kabi Nazrul University a tribute to the rebel poet"দ্য ডেইলি স্টার। ২৪ মে ২০০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৬-০৩ 
  6. "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন উপাচার্য হলেন সৈয়দ গিয়াস উদ্দিন"bdnews24.com। ২২ এপ্রিল ২০০৯। ১৭ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৪-২৪ 
  7. "কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য নিয়োগ"প্রথম আলো। ১৩ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-১১-১৩ 

বহিঃসংযোগ