পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হটক্যাটের মাধ্যমে + 7টি বিষয়শ্রেণী; ±বিষয়শ্রেণী:পদার্থবিজ্ঞানবিষয়শ্রেণী:আলো
সংশোধন, সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[চিত্র:Teljes fényvisszaverődés.jpg|থাম্ব|অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন|alt=|373x373পিক্সেল]]
{{multiple issues|

{{context|date=জুলাই ২০১৯}}
'''অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন''' ({{lang-en|Total internal reflection}}) হলো সেই ঘটনা যখন [[আলোকশক্তি|আলো]] ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশের সময়ে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে অভিলম্বের সাথে সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয় তখন আপতিত আলোকরশ্মির প্রায় সবটুকুই [[প্রতিফলন (পদার্থবিজ্ঞান)|প্রতিফলিত]] হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। আলোর এই ধর্মকে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে। আলোর আপতন কোণ সংকট কোণের চেয়ে কম হলে আলো প্রতিসরিত হয়, সমান হলে প্রতিফলিত রশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতল ঘেঁষে যায়, আর বেশি হলে আলো পরবর্তী মাধ্যমে প্রবেশ না করে পূনরায় পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসে।এটি আলোর একটি নিয়মিত ঘটনা ।
{{fiction|date=জুলাই ২০১৯}}

{{উৎসহীন|date=জুলাই ২০১৯}}
== বিবরণ ==
{{বর্ণনা ভঙ্গি|date=জুলাই ২০১৯}}
যদিও পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন যে কোনও ধরণের তরঙ্গের বেলায়ই ঘটতে পারে যা (উদাঃ) মাইক্রোওয়েভ {{r|feynman-1963}} এবং শব্দ তরঙ্গ সহ তির্যকভাবে আপতিত হলেই যেকোন তরঙ্গের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে, {{r|antich-et-al-1991}} হালকা তরঙ্গের ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক পরিচিত।
{{বিভ্রান্তিকর|date=জুলাই ২০১৯}}
{{সূত্র উন্নতি|date=জুলাই ২০১৯}}
}}
[[চিত্র:Total internal reflection.jpg|thumb|250px|অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন|alt=]]
ঘন মাধ্যম থেকে লঘু মাধ্যমে প্রতিসৃত হওয়ার সময় আলোক রশ্মি দুই মাধ্যমে বিভেদ তলে মাধ্যম দুটির সংকট কোণ অপেক্ষা বেশি কোণে আপতিত হলে আপতিত আলোকরশ্মির প্রায় সবটুকু অংশই বিভেদ তল থেকে প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। এই আলোকীয় ঘটনাকেই অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে।
'''অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন''' ({{lang-en|Total internal reflection}}) হলো সেই ঘটনা যখন [[আলোকশক্তি|আলো]] ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশের সময়ে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে অভিলম্বের সাথে সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয়ে সম্পূর্ণ আলো পূর্বের মাধ্যমে প্রতিফলিত হয়। যেহেতু আলোর আপতন কোণ সংকট কোণের সমান হলে প্রতিফলিত রশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতল ঘেঁষে যায়, সেহেতু আলো সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হলে তা পরবর্তী মাধ্যমে প্রবেশ না করে পূনরায় পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসবে।এটি আলোর একটি নিয়মিত ঘটনা ।


== পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কিছু শর্ত ==
== পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কিছু শর্ত ==
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন সংঘটিত হতে প্রধানত দুটি শর্ত রয়েছে, যথা:
পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন সংঘটিত হতে প্রধানত দুটি শর্ত রয়েছে, যথা:
* আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
* [[আলোকরশ্মি|আলোকরশ্মিকে]] অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
* আপতন কোণ ক্রান্তি বা সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।
* আপতন কোণ ক্রান্তি বা সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।


২২ নং লাইন: ১৭ নং লাইন:
== ব্যবহার ==
== ব্যবহার ==
{{মূল নিবন্ধ|অপটিক্যাল ফাইবার}}
{{মূল নিবন্ধ|অপটিক্যাল ফাইবার}}
[[চিত্র:TIR in PMMA.jpg|thumb|302x302px|PMMA-তে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|alt=]]অপটিকাল ফাইবার হল একধরনের অতিসূক্ষ্ম এবং নমনীয় কাচ তন্তু। এর মাধ্যমে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতফলনের ধর্মকে কাজে লাগিয়ে আলো বহনের কাজ করা হয়। আলোক রশ্মি যখন কাচ তন্তুর এক প্রান্তদিয়ে প্রবেশ করে তখন তন্তুর ভিতরের পৃষ্ঠে বারাবার এর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে ঠিক যতক্ষন না তা অপর প্রান্ত দিয়ে নির্গত হয়। এভাবে আলোকরশ্মি ফাইবারটির সম্পুর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে। চিকিৎসকরা মানবদেহের বিশেষ কোন অংশ পরীক্ষা করতে অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে থাকেন।
[[চিত্র:TIR in PMMA.jpg|thumb|348x348px|PMMA-তে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন|alt=]][[অপটিক্যাল ফাইবার]] হল একধরনের অতিসূক্ষ্ম এবং নমনীয় [[কাচ]] তন্তু। এর মাধ্যমে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ধর্মকে কাজে লাগিয়ে তথ্য পরিবহনের কাজ করা হয়। আলোক রশ্মি যখন কাচ তন্তুর এক প্রান্তদিয়ে প্রবেশ করে তখন তন্তুর ভিতরের পৃষ্ঠে বারাবার এর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে ঠিক যতক্ষন না তা অপর প্রান্ত দিয়ে নির্গত হয়। এভাবে আলোকরশ্মি ফাইবারটির সম্পুর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে। চিকিৎসকরা মানবদেহের বিশেষ কোন অংশ পরীক্ষা করতে অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে থাকেন।
ক্রিকেটে এইটা ব্যবহার করা হয়।
ক্রিকেটে এর ব্যবহার রয়েছে।


== মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম ==
== মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম ==
[[চিত্র:Desertmirage.jpg|থাম্ব|345x345px|Desertmirage]]
[[চিত্|থাম্ব|304x304পিক্সেল|মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম]]
মরীচিকা হচ্ছে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। মরুভূমির উপরের স্তরে বাতাসের ঘনত্ব বেশি, তাই প্রতিসরণাঙ্ক বেশি। নিচের স্তরে বাতাস উত্তপ্ত কম, তাই প্রতিসরণাঙ্কও কম। যদিও উত্তপ্ত বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, কিন্তু মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর কারণে তার কাছাকাছি বাতাস উপরের বাতাস থেকে উত্তপ্ত থাকে। মরুভূমির কোনো গাছ থেকে আলো প্রতিটি স্তরে প্রতিসরিত হওয়ার সময় প্রতিসরণ কোণ বেড়ে যায় এবং একেবারে শেষের স্তরে এসে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়ে যেতে পারে। বেশি প্রতিসরণাঙ্কের থেকে কম প্রতিসরণাঙ্কের মাধ্যমে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখা হলে আপতন কোণের মান বেশি হওয়ার কারণে ক্রান্তি কোণকে অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মরীচিকাকে দূর থেকে দেখা যায়, কাছে এলে দেখা যায় না। যেহেতু কোনো মানুষ দূরের একটি গাছের দিকে তাকালে সরাসরি গাছটি দেখতে পাবে এবং পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে কারণে গাছের একটি প্রতিবিম্ব গাছের নিচেও দেখতে পাবে। মনে হবে নিচে পানি আছে। কাছে গিয়ে দেখা যাবে কোনও পানি নেই।
[[মরীচিকা]] হচ্ছে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। মরুভূমির উপরের স্তরে বাতাসের ঘনত্ব বেশি, তাই প্রতিসরণাঙ্ক বেশি। নিচের স্তরে বাতাস উত্তপ্ত কম, তাই প্রতিসরণাঙ্কও কম। যদিও উত্তপ্ত বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, কিন্তু মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর কারণে তার কাছাকাছি বাতাস উপরের বাতাস থেকে উত্তপ্ত থাকে। মরুভূমির কোনো গাছ থেকে আলো প্রতিটি স্তরে প্রতিসরিত হওয়ার সময় প্রতিসরণ কোণ বেড়ে যায় এবং একেবারে শেষের স্তরে এসে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়ে যেতে পারে। বেশি প্রতিসরণাঙ্কের থেকে কম প্রতিসরণাঙ্কের মাধ্যমে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখা হলে আপতন কোণের মান বেশি হওয়ার কারণে ক্রান্তি কোণকে অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মরীচিকাকে দূর থেকে দেখা যায়, কাছে এলে দেখা যায় না। যেহেতু কোনো মানুষ দূরের একটি গাছের দিকে তাকালে সরাসরি গাছটি দেখতে পাবে এবং পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে কারণে গাছের একটি প্রতিবিম্ব গাছের নিচেও দেখতে পাবে। মনে হবে নিচে পানি আছে। কাছে গিয়ে দেখা যাবে কোনও পানি নেই।



== আরো দেখুন ==
* [[অপটিক্যাল ফাইবার]]
* [[সমবর্তন]]


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==
{{Reflist|refs=
{{সূত্র তালিকা}}
<ref name=feynman-1963>R.P. Feynman, R.B. Leighton, and M.&nbsp;Sands, 1963–2013, ''The Feynman Lectures on Physics'', California Institute of Technology, Volume&nbsp;{{serif|II}},{{tsp}} [http://www.feynmanlectures.caltech.edu/II_33.html#Ch33-S6 §{{nnbsp}}33-6].</ref>

<ref name=antich-et-al-1991>{{cite journal |doi=10.1002/jbmr.5650060414|title=Measurement of mechanical properties of bone material in vitro by ultrasound reflection: Methodology and comparison with ultrasound transmission|year=2009|last1=Antich|first1=Peter P.|last2=Anderson|first2=Jon A.|last3=Ashman|first3=Richard B.|last4=Dowdey|first4=James E.|last5=Gonzales|first5=Jerome|last6=Murry|first6=Robert C.|last7=Zerwekh|first7=Joseph E.|last8=Pak|first8=Charles Y. C.|journal=Journal of Bone and Mineral Research|volume=6|issue=4|pages=417–426|pmid=1858525}}.</ref>

}}

== গ্রন্থপঞ্জি ==
* S. Bochner (June&nbsp;1963), "The significance of some basic mathematical conceptions for physics", ''Isis'', '''54'''&nbsp;(2): 179–205; {{JSTOR|228537}}.
* M. Born and E. Wolf, 1970, ''[[Principles of Optics]]'', 4th&nbsp;Ed., Oxford: Pergamon Press.
* C.B. Boyer, 1959, ''The Rainbow: From Myth to Mathematics'', New York: Thomas Yoseloff.
* J.Z. Buchwald (December&nbsp;1980), "Experimental investigations of double refraction from Huygens to Malus", ''Archive for History of Exact Sciences'', '''21'''&nbsp;(4): 311–373.
* J.Z. Buchwald, 1989, ''The Rise of the Wave Theory of Light: Optical Theory and Experiment in the Early Nineteenth Century'', University of Chicago Press, {{ISBN|0-226-07886-8}}.
* O. Darrigol, 2012, ''A History of Optics: From Greek Antiquity to the Nineteenth Century'', Oxford, {{ISBN|978-0-19-964437-7}}.
* R. Fitzpatrick, 2013, ''Oscillations and Waves: An Introduction'', Boca Raton, FL: CRC&nbsp;Press, {{ISBN|978-1-4665-6608-8}}.
* R. Fitzpatrick, 2013a, [http://farside.ph.utexas.edu/teaching/315/Waves/node53.html "Total Internal Reflection"], University of Texas at Austin, accessed 14&nbsp;March 2018.
* A. Fresnel, 1866 (ed.{{tsp}} H.&nbsp;de Senarmont, E.&nbsp;Verdet, and L.&nbsp;Fresnel), ''Oeuvres complètes d'Augustin Fresnel'', Paris: Imprimerie Impériale (3&nbsp;vols., 1866–70), [https://books.google.com/books?id=1l0_AAAAcAAJ vol.{{tsp}}1&nbsp;(1866)].
* E. Hecht, 2002, ''Optics'', 4th Ed., Addison Wesley, {{ISBN|0-321-18878-0}}.
* C. Huygens, 1690, ''Traité de la Lumière'' (Leiden: Van der Aa), translated by S.P.&nbsp;Thompson as ''[http://www.gutenberg.org/ebooks/14725 Treatise on Light]'', University of Chicago Press, 1912; Project Gutenberg, 2005. (Cited page numbers match the 1912 edition and the Gutenberg HTML edition.)
* F.A. Jenkins and H.E. White, 1976, ''Fundamentals of Optics'', 4th&nbsp;Ed., New&nbsp;York: McGraw-Hill, {{ISBN|0-07-032330-5}}.
* T.H. Levitt, 2013, ''A Short Bright Flash: Augustin Fresnel and the Birth of the Modern Lighthouse'', New York: W.W.&nbsp;Norton, {{ISBN|978-0-393-35089-0}}.
* H. Lloyd, 1834, [https://books.google.com/books?id=mtU4AAAAMAAJ&pg=PA295 "Report on the progress and present state of physical optics"], ''Report of the Fourth Meeting of the British Association for the Advancement of Science'' (held at Edinburgh in 1834), London: J.&nbsp;Murray, 1835, pp.{{nnbsp}}295–413.
* I. Newton, 1730, [http://www.gutenberg.org/ebooks/33504 ''Opticks: or, a Treatise of the Reflections, Refractions, Inflections, and Colours of Light''], 4th&nbsp;Ed. (London: William Innys, 1730; Project Gutenberg, 2010); republished with Foreword by A.&nbsp;Einstein and Introduction by E.T.&nbsp;Whittaker (London: George Bell &amp; Sons, 1931); reprinted with additional Preface by I.B.&nbsp;Cohen and Analytical Table of Contents by D.H.D.&nbsp;Roller,&nbsp; Mineola, NY: Dover, 1952, 1979 (with revised preface), 2012. (Cited page numbers match the Gutenberg HTML edition and the Dover editions.)
* H.G.J. Rutten and M.A.M.{{tsp}}van Venrooij, 1988 (fifth printing, 2002), ''Telescope Optics: A&nbsp;Comprehensive Manual for Amateur Astronomers'', Richmond,VA: Willmann-Bell, {{ISBN|978-0-943396-18-7}}.
* J.A. Stratton, 1941, ''Electromagnetic Theory'', New York: McGraw-Hill.
* W. Whewell, 1857, ''History of the Inductive Sciences: From the Earliest to the Present Time'', 3rd&nbsp;Ed., London: J.W.&nbsp;Parker &amp; Son, [https://archive.org/details/bub_gb_cBSrVEkaR8EC vol.{{nnbsp}}2].
* [[E. T. Whittaker]], 1910, [https://archive.org/details/historyoftheorie00whitrich [[A History of the Theories of Aether and Electricity|''A History of the Theories of Aether and Electricity: From the Age of Descartes to the Close of the Nineteenth Century'']], London: Longmans, Green, &amp; Co.
== বহিঃসংযোগ ==

{{Commons|Total internal reflection}}

* Mr.&nbsp;Mangiacapre, [https://www.youtube.com/watch?v=P1-RQyELZEo "Fluorescence in a Liquid"] (video, {{nowrap|1m{{px2}}28s}}), uploaded 13&nbsp;March 2012.{{tsp}} (Fluorescence and TIR of a violet laser beam in quinine water.)
* PhysicsatUVM, [https://www.youtube.com/watch?v=q7Q8l3xKyr4 "Frustrated Total Internal Reflection"] (video, 37s), uploaded 21&nbsp;November 2011.{{tsp}} ("A&nbsp;laser beam undergoes total internal reflection in a fogged piece of plexiglass...")
* SMUPhysics, [https://www.youtube.com/watch?v=LqQlO9ORomQ "Internal Reflection"] (video, 12s), uploaded 20&nbsp;May 2010.{{tsp}} (Transition from refraction through critical angle to TIR in a 45°-90°-45° prism.)

{{Portal bar|Physics|History of science}}

{{Authority control}}





১৮:০২, ১ জুন ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন

অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন (ইংরেজি: Total internal reflection) হলো সেই ঘটনা যখন আলো ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রবেশের সময়ে দুই মাধ্যমের বিভেদতলে অভিলম্বের সাথে সংকট কোণের চেয়ে বেশি কোণে আপতিত হয় তখন আপতিত আলোকরশ্মির প্রায় সবটুকুই প্রতিফলিত হয়ে পুনরায় ঘন মাধ্যমে ফিরে আসে। আলোর এই ধর্মকে অভ্যন্তরীণ পূর্ণ প্রতিফলন বলে। আলোর আপতন কোণ সংকট কোণের চেয়ে কম হলে আলো প্রতিসরিত হয়, সমান হলে প্রতিফলিত রশ্মি দুই মাধ্যমের বিভেদতল ঘেঁষে যায়, আর বেশি হলে ঐ আলো পরবর্তী মাধ্যমে প্রবেশ না করে পূনরায় পূর্বের মাধ্যমে ফিরে আসে।এটি আলোর একটি নিয়মিত ঘটনা ।

বিবরণ

যদিও পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন যে কোনও ধরণের তরঙ্গের বেলায়ই ঘটতে পারে যা (উদাঃ) মাইক্রোওয়েভ [১] এবং শব্দ তরঙ্গ সহ তির্যকভাবে আপতিত হলেই যেকোন তরঙ্গের ক্ষেত্রেই ঘটতে পারে, [২] হালকা তরঙ্গের ক্ষেত্রে এটি সর্বাধিক পরিচিত।

পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কিছু শর্ত

পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন সংঘটিত হতে প্রধানত দুটি শর্ত রয়েছে, যথা:

  • আলোকরশ্মিকে অবশ্যই ঘন মাধ্যম থেকে ঘন ও তুলনামূলক হালকা মাধ্যমের বিভেদ তলে আপতিত হতে হবে।
  • আপতন কোণ ক্রান্তি বা সংকট কোণের চেয়ে বড় হতে হবে।

সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণ

নির্দিষ্ট রঙের আলোক রশ্মি ঘন মাধ্যম থেকে হালকা মাধ্যমে প্রতিসরিত হওয়ার সময় আপতন কোণের যে মানের জন্য প্রতিসরণ কোণের মান এক সমকোণ হয় অর্থাৎ প্রতিসরিত রশ্মি বিভেদ তল ঘেঁষে চলে যায় তাকে ঐ রঙের জন্য হালকা মাধ্যমের সাপেক্ষে ঘন মাধ্যমের সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণ (critical angle) বলে।

সংকট কোণ বা ক্রান্তি কোণকে θc দ্বারা প্রকাশ করা হয়। θc = sin-1 (n1/n2)

ব্যবহার

PMMA-তে পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন

অপটিক্যাল ফাইবার হল একধরনের অতিসূক্ষ্ম এবং নমনীয় কাচ তন্তু। এর মাধ্যমে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ধর্মকে কাজে লাগিয়ে তথ্য পরিবহনের কাজ করা হয়। আলোক রশ্মি যখন কাচ তন্তুর এক প্রান্তদিয়ে প্রবেশ করে তখন তন্তুর ভিতরের পৃষ্ঠে বারাবার এর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন ঘটে ঠিক যতক্ষন না তা অপর প্রান্ত দিয়ে নির্গত হয়। এভাবে আলোকরশ্মি ফাইবারটির সম্পুর্ণ দৈর্ঘ্য অতিক্রম করে। চিকিৎসকরা মানবদেহের বিশেষ কোন অংশ পরীক্ষা করতে অপটিকাল ফাইবার ব্যবহার করে থাকেন।

ক্রিকেটে এর ব্যবহার রয়েছে।

মরীচিকার দৃষ্টিবিভ্রম

Desertmirage

মরীচিকা হচ্ছে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের ফল। মরুভূমির উপরের স্তরে বাতাসের ঘনত্ব বেশি, তাই প্রতিসরণাঙ্ক বেশি। নিচের স্তরে বাতাস উত্তপ্ত কম, তাই প্রতিসরণাঙ্কও কম। যদিও উত্তপ্ত বাতাস হালকা হয়ে উপরে উঠে যায়, কিন্তু মরুভূমির উত্তপ্ত বালুর কারণে তার কাছাকাছি বাতাস উপরের বাতাস থেকে উত্তপ্ত থাকে। মরুভূমির কোনো গাছ থেকে আলো প্রতিটি স্তরে প্রতিসরিত হওয়ার সময় প্রতিসরণ কোণ বেড়ে যায় এবং একেবারে শেষের স্তরে এসে আলোর পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন হয়ে যেতে পারে। বেশি প্রতিসরণাঙ্কের থেকে কম প্রতিসরণাঙ্কের মাধ্যমে যাওয়ার সময় দূর থেকে দেখা হলে আপতন কোণের মান বেশি হওয়ার কারণে ক্রান্তি কোণকে অতিক্রম করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই মরীচিকাকে দূর থেকে দেখা যায়, কাছে এলে দেখা যায় না। যেহেতু কোনো মানুষ দূরের একটি গাছের দিকে তাকালে সরাসরি গাছটি দেখতে পাবে এবং পূর্ণ অভ্যন্তরীণ প্রতিফলনের কারণে কারণে গাছের একটি প্রতিবিম্ব গাছের নিচেও দেখতে পাবে। মনে হবে নিচে পানি আছে। কাছে গিয়ে দেখা যাবে কোনও পানি নেই।

আরো দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. R.P. Feynman, R.B. Leighton, and M. Sands, 1963–2013, The Feynman Lectures on Physics, California Institute of Technology, Volume II,টেমপ্লেট:Tsp § 33-6.
  2. Antich, Peter P.; Anderson, Jon A.; Ashman, Richard B.; Dowdey, James E.; Gonzales, Jerome; Murry, Robert C.; Zerwekh, Joseph E.; Pak, Charles Y. C. (২০০৯)। "Measurement of mechanical properties of bone material in vitro by ultrasound reflection: Methodology and comparison with ultrasound transmission"। Journal of Bone and Mineral Research6 (4): 417–426। ডিওআই:10.1002/jbmr.5650060414পিএমআইডি 1858525 .

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ