সাবাশ বাংলাদেশ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
বানান ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
DeloarAkram (আলোচনা | অবদান) সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৬০ নং লাইন: | ৬০ নং লাইন: | ||
==তথ্য সূত্র== |
==তথ্য সূত্র== |
||
{{সূত্র তালিকা|2}} |
{{সূত্র তালিকা|2}}{{বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য}} |
||
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য]] |
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের ভাস্কর্য]] |
||
[[বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]] |
[[বিষয়শ্রেণী:রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়]] |
০৮:০৮, ২৬ মে ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
সাবাশ বাংলাদেশ | |
---|---|
শিল্পী | নিতুন কুণ্ডু[১] |
বছর | ১৯৯১ |
বিষয় | বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ |
অবস্থা | সচল |
অবস্থান | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, মতিহার, রাজশাহী[২] |
২৪°১৩′ উত্তর ৮৮°২২′ পূর্ব / ২৪.২২° উত্তর ৮৮.৩৬° পূর্ব | |
মালিক | রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় |
সাবাশ বাংলাদেশ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত ভাস্কর্যগুলোর মধ্যে অন্যতম। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণকারী তরুণ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতীকী ভাস্কর্যটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ ভাস্কর্য। শিল্পী নিতুন কুণ্ডু এর তৈরি এই ভাস্কর্যটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থিত।[৩][৪]
স্থাপত্য তাৎপর্য
স্বাধীনতার জ্বলন্ত প্রমাণকে ধরে রাখার জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থাপন করা হয়েছে স্মারক ভাস্কর্য সাবাশ বাংলাদেশ। ১৯৬৯ সালের গণ আন্দোলনের সময় এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র –শিক্ষক- কর্মকর্তা- কর্মচারীদের বলিষ্ঠ সাহসী ভূমিকা ছিল। সে সময় এমন ঘটনার আবর্ত সৃষ্টি হয় যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলই তাতে জড়িয়ে পড়েন এবং অধ্যাপক ড. শামসুজ্জোহা শাহাদাৎবরণ করেন।[৫] এরপর ১৯৭১ সালের ২৫মার্চ পাকিস্তান সেনাবাহিনী অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে বাঙালি জাতীয়তাবাদ নিশ্চিহ্ন করার যে ব্যর্থ প্রয়াসের সূচনা করে তাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ও আক্রান্ত হয়। কয়েকদিনের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর যে দল রাজশাহীতে সক্রিয় ছিল তা দুর্বল হয়ে পড়ে এবং অবশেষে স্থানীয় ক্যান্টনমেন্টে আশ্রয় গ্রহণ করতে বাধ্য হয়। রাজশাহী শহর তৎকালীন ই.পি.আর. নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু এপ্রিল মাসের মাঝামাঝি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটি বিপুল অংশ শহরে প্রবেশ করে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী ঘাঁটি স্থাপন করে। জাতীয়তাবাদী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবপূর্ণ অবদান পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। তাদের বিতাড়িত করতে শাহাদৎবরণ করেন অধ্যাপক হবিবুর রহমান, অধ্যাপক সুখরঞ্জন সমাদ্দার, অধ্যাপক মীর আবদুল কাউয়ুম, কর্মকর্তা- কর্মচারী ও ছাত্র।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক শিক্ষক-ছাত্র শহীদ হওয়ায় এর স্মৃতিকে চির অম্লান করে রাখার জন্য উদ্যোগ নেয় কর্তৃপক্ষ। তারপর নির্মাণের জায়গা নির্ধারণ হয় সিনেট ভবনের দক্ষিণে। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হওয়ার পর ১৯৯১ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের উদ্যোগে শিল্পী নিতুন কুন্ডুর উপস্থাপনায় নির্মাণ কাজ শুরু হয়।[৬] নির্মাণ কাজ শেষে হলে এর ফলক উম্মোচন করেন শহীদজননী জাহানারা ইমাম।[১] ভাস্কর্যে স্থান পেয়েছে তরুণ কবি সুকান্ত ভট্টাচার্যের কবিতার কয়েকটি লাইন। যা হলো
“ | সাবাস বাংলাদেশ এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয় জ্বলে পুড়ে মরে ছারখার তবু মাথা নোয়াবার নয়। |
” |
লেখক বায়েজিদ আহমেদ এর মতে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের যে প্রতীকী ভাস্কর্যগুলো রয়েছে তার মধ্যে প্রকাশভঙ্গির সরলতা, গতিময়তা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার তেজস্বী প্রকাশ এবং নন্দনতাত্ত্বিক দিক থেকে এই ভাস্কর্যটি অনবদ্য।[৭]
চিত্রশালা
আরও দেখুন
তথ্য সূত্র
- ↑ ক খ "সাবাশ বাংলাদেশ - Radio Cina Internazionale"। cri.cn।
- ↑ "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তারুণ্যের 'সাবাস বাংলাদেশ'"। ekushey-tv.com। ২১ অক্টোবর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০।
- ↑ "মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিময় স্থাপনা"। dw.com। ১১ ডিসেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০।
- ↑ "News Details"। bssnews.net। ২০১৫-০৪-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৫-০৬-২৫।
- ↑ শাহিনুর খালিদ (১৬ ডিসেম্বর ২০১৯)। "মুক্তিযুদ্ধে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়"। risingbd.com। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০।
- ↑ নুরুজ্জামান খান (১৬ ডিসেম্বর ২০১৮)। "হাজারো শহীদের রক্তের পূণ্যভূমি রাবি ক্যাম্পাস"। odhikar.news। সংগ্রহের তারিখ মে ৭, ২০২০।
- ↑ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, লেখক- বায়েজিদ আহমেদ, পৃষ্ঠা নং ৬৪-৬৫