কম্পরাম সিং: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্প্রসারণ
সম্প্রসারণ
৮৭ নং লাইন: ৮৭ নং লাইন:


'''কম্পরাম সিং''' (১৮৮৭ - ২৪ এপ্রিল, ১৯৫০) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]র [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন]], [[তেভাগা আন্দোলন]], [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]] কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং একজন শহীদ বিপ্লবী। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল [[রাজশাহী]]র [[খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যা|খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যায়]] পুলিশ জেলের ভেতরে আরো ছয়জন রাজবন্দীর সঙ্গে তাকেও হত্যা করে।<ref name="একাডেমী">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি |সম্পাদক-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক-সংযোগ=সেলিনা হোসেন |সম্পাদক২-শেষাংশ=ইসলাম |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=নুরুল |বিশ্বকোষ=বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান |পাতা=১০৮ |শিরোনাম=কম্পরাম সিং |বিন্যাস=ছাপা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ |সংস্করণ=পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বিতীয় সংস্করণ |প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমী]] |অবস্থান=ঢাকা |সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-16 }}</ref>
'''কম্পরাম সিং''' (১৮৮৭ - ২৪ এপ্রিল, ১৯৫০) একজন [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]]র [[ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন]], [[তেভাগা আন্দোলন]], [[সাম্যবাদ|সাম্যবাদী]] কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং একজন শহীদ বিপ্লবী। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল [[রাজশাহী]]র [[খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যা|খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যায়]] পুলিশ জেলের ভেতরে আরো ছয়জন রাজবন্দীর সঙ্গে তাকেও হত্যা করে।<ref name="একাডেমী">{{বিশ্বকোষ উদ্ধৃতি |সম্পাদক-শেষাংশ=হোসেন |সম্পাদক-প্রথমাংশ=সেলিনা |সম্পাদক-সংযোগ=সেলিনা হোসেন |সম্পাদক২-শেষাংশ=ইসলাম |সম্পাদক২-প্রথমাংশ=নুরুল |বিশ্বকোষ=বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান |পাতা=১০৮ |শিরোনাম=কম্পরাম সিং |বিন্যাস=ছাপা |তারিখ=ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ |সংস্করণ=পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বিতীয় সংস্করণ |প্রকাশক=[[বাংলা একাডেমী]] |অবস্থান=ঢাকা |সংগ্রহের-তারিখ=2020-04-16 }}</ref>

==পারিবারিক জীবন==
কম্পরাম সিংয়ের স্ত্রীর নাম পয়ানশ্বরী সিং। কম্পরাম দেখতে ছিলেন বেঁটে ও শক্তসামর্থ; মাঝারি গড়নের অদম্য সাহসের অধিকারী।


==রাজনৈতিক জীবন==
==রাজনৈতিক জীবন==
৯৩ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:
১৯৪৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক পার্টি সম্মেলনে প্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত হন।<ref name="সুস্নাত">{{cite book |last=দাশ |first1=সুস্নাত |title=অবিভক্ত বাঙলার কৃষক সংগ্রাম: তেভাগা আন্দলোলনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-পর্যালোচনা-পুনর্বিচার |chapter=সংযোজন ২ |edition=প্রথম প্রকাশ |location=কলকাতা |publisher=নক্ষত্র প্রকাশন |date=জানুয়ারি ২০০২ |page=২৮৫ }}</ref>
১৯৪৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক পার্টি সম্মেলনে প্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত হন।<ref name="সুস্নাত">{{cite book |last=দাশ |first1=সুস্নাত |title=অবিভক্ত বাঙলার কৃষক সংগ্রাম: তেভাগা আন্দলোলনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-পর্যালোচনা-পুনর্বিচার |chapter=সংযোজন ২ |edition=প্রথম প্রকাশ |location=কলকাতা |publisher=নক্ষত্র প্রকাশন |date=জানুয়ারি ২০০২ |page=২৮৫ }}</ref>


তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র [[উত্তরবঙ্গ|উত্তরবঙ্গে]] বর্গা চাষীদের তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয় এবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি [[বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা|বালিয়াডাঙ্গী]], [[রাণীশংকৈল উপজেলা|রাণীশংকৈল]], [[আটোয়ারী উপজেলা|আটোয়ারী]] থানায় তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই সময় তার উপর সরকারি হুলিয়া থাকায় দুই বছর আত্মগোপন করেন।<ref name="একাডেমী"/>
তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র [[উত্তরবঙ্গ|উত্তরবঙ্গে]] বর্গা চাষীদের তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয় এবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি [[বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা|বালিয়াডাঙ্গী]], [[রাণীশংকৈল উপজেলা|রাণীশংকৈল]], [[আটোয়ারী উপজেলা|আটোয়ারী]] থানায় তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই সময় তার উপর সরকারি হুলিয়া থাকায় দুই বছর আত্মগোপন করেন।<ref name="একাডেমী"/> ইনি জীবনের সমস্ত সঞ্চয় কমিউনিস্ট পার্টিকে দান করে সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে যান।


==পাকিস্তানকালীন রাজনীতি==
==পাকিস্তানকালীন রাজনীতি==

০৪:৫০, ১৬ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কম্পরাম সিং
জন্ম১৮৮৭
মৃত্যু২৪ এপ্রিল, ১৯৫০
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার, পূর্ব পাকিস্তান, (বর্তমান বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)
 পাকিস্তান (১৯৫০ সাল পর্যন্ত)
পেশারাজনীতিবিদ
পরিচিতির কারণখাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যার শিকার
রাজনৈতিক দলস্বাধীনতার পুর্বে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি, স্বাধীনোত্তর কালে পাকিস্তানের কমিউনিস্ট পার্টি
আন্দোলনতেভাগা আন্দোলন, সাম্যবাদী আন্দোলন
দাম্পত্য সঙ্গীপয়ানশ্বরী সিং

কম্পরাম সিং (১৮৮৭ - ২৪ এপ্রিল, ১৯৫০) একজন বাংলাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন, তেভাগা আন্দোলন, সাম্যবাদী কৃষক আন্দোলনের নেতা এবং একজন শহীদ বিপ্লবী। ১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহীর খাপড়া ওয়ার্ড গণহত্যায় পুলিশ জেলের ভেতরে আরো ছয়জন রাজবন্দীর সঙ্গে তাকেও হত্যা করে।[১]

পারিবারিক জীবন

কম্পরাম সিংয়ের স্ত্রীর নাম পয়ানশ্বরী সিং। কম্পরাম দেখতে ছিলেন বেঁটে ও শক্তসামর্থ; মাঝারি গড়নের অদম্য সাহসের অধিকারী।

রাজনৈতিক জীবন

কম্পরাম সিং ১৯৪০-এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে লাহিড়ীহাটে জমিদারদের স্বেচ্ছাচারমূলক তোলা আদায়ের বিরুদ্ধে কৃষকদের সংগঠিত করেন, যা রাজনৈতিক ইতিহাসে "তোলাবাটি" আন্দোলন নামে খ্যাত হয়। এই আন্দোলনে নেতৃত্বদানের দায়ে গ্রেফতারবরন করেন এবং তিনমাস বন্দী জীবন কাটান।

১৯৪৭ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক পার্টি সম্মেলনে প্রতিনিধিরূপে নির্বাচিত হন।[২]

তোলাবটি আন্দোলন শেষ না হতেই সমগ্র উত্তরবঙ্গে বর্গা চাষীদের তেভাগা আন্দোলন সংগঠিত হয় এবং কম্পরাম সিং সেই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি বালিয়াডাঙ্গী, রাণীশংকৈল, আটোয়ারী থানায় তেভাগা আন্দোলনে নেতৃত্ব প্রদান করেন। এই সময় তার উপর সরকারি হুলিয়া থাকায় দুই বছর আত্মগোপন করেন।[১] ইনি জীবনের সমস্ত সঞ্চয় কমিউনিস্ট পার্টিকে দান করে সর্বক্ষণের কর্মী হয়ে যান।

পাকিস্তানকালীন রাজনীতি

পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর মুসলিম লীগ শাসনামলে ১৯৪৯-এ পুনরায় গ্রেফতার হন। অন্যান্য কৃষক নেতা কর্মীর সাথে রাজবন্দি হিসেবে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে খাপড়া ওয়ার্ডে অন্তরীণ ছিলেন। এই সময় রাজবন্দিদের উপর মুসলিম লীগ সরকারের অত্যাচার উৎপীড়নের প্রতিবাদে এবং রাজবন্দি ও সাধারণ বন্দিদের মানবেতর পরিবেশ থেকে মানবিক পরিবেশে উন্নীত করার দাবিতে রাজবন্দিরা যে আন্দোলন করেন, রাজশাহী কারাগারে তিনি তার নেতৃত্ব প্রদান করেন।[১][৩]

মৃত্যু

১৯৫০ সালের ২৪ এপ্রিল রাজশাহী সেন্ট্রাল জেলে আটজন রাজবন্দীকে কনডেমড সেল বা ফাঁসির আসামীর নির্জন সেলে আটকে রাখলে তীব্র বিক্ষোভে সামিল হন বাকি বন্দীরা। তাদের কুখ্যাত খাপরা ওয়ার্ডে পাঠানো হয়। জেলার বিলের নির্দেশে বাইরে থেকে নির্মমভাবে গুলি চালায় কারারক্ষীরা। এর ফলে শহীদ হন সাম্যবাদী কর্মী কম্পরাম সিং। তার সাথে শহীদ হন আরো ছয়জন। শ্রমিক নেতা বিজন সেন, সুধীন ধর, হানিফ সেখ, দিলওয়ার হোসেন, ছাত্র নেতা আনোয়ার হোসেন এবং ছাত্র সংগঠক সুখেন ভট্টাচার্য।বাকি সমস্ত বন্দীরা মারা না গেলেও মারাত্মকভাবে আহত হন। পুলিশ রক্তাপ্লুত বন্দীদের ওপর পূনরায় লাঠিচার্জ করে।[৪][৫]

তথ্যসূত্র

  1. হোসেন, সেলিনা; ইসলাম, নুরুল, সম্পাদকগণ (ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭)। "কম্পরাম সিং" (ছাপা)বাংলা একাডেমী চরিতাভিধান (পরিমার্জিত ও পরিবর্ধিত বিতীয় সংস্করণ সংস্করণ)। ঢাকা: বাংলা একাডেমী। পৃষ্ঠা ১০৮। 
  2. দাশ, সুস্নাত (জানুয়ারি ২০০২)। "সংযোজন ২"। অবিভক্ত বাঙলার কৃষক সংগ্রাম: তেভাগা আন্দলোলনের আর্থ-রাজনৈতিক প্রেক্ষিত-পর্যালোচনা-পুনর্বিচার (প্রথম প্রকাশ সংস্করণ)। কলকাতা: নক্ষত্র প্রকাশন। পৃষ্ঠা ২৮৫। 
  3. বসু, অঞ্জলি (নভেম্বর ২০১৩)। বসু, অঞ্জলি; সেনগুপ্ত, সুবোধচন্দ্র, সম্পাদকগণ। সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান (পঞ্চম সংস্করণ, দ্বিতীয় মুদ্রণ সংস্করণ)। কলকাতা: সাহিত্য সংসদ। পৃষ্ঠা ৬১। আইএসবিএন 978-8179551356 
  4. "The Khapra Ward Day: The Moment and the Movement"। The Daily Star। 23 April 2016। সংগ্রহের তারিখ 28.01.17  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  5. "ঐতিহাসিক খাপড়া ওয়ার্ড শহীদ দিবস রোববার"। বাংলা নিউজ। ২৪ এপ্রিল ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৮.০১.২০১৭  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)