মামুনুল হক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
[পরীক্ষিত সংশোধন][পরীক্ষিত সংশোধন]
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
সংশোধন
৬৪ নং লাইন: ৬৪ নং লাইন:
}}
}}
{{দেওবন্দি}}
{{দেওবন্দি}}
'''আল্লামা মামুনুল হক''' (জন্ম: নভেম্বর ১৯৭৩) একজন [[বাংলাদেশি]] [[দেওবন্দি]] ইসলামি পণ্ডিত, [[অধ্যাপক]], রাজনীতিবিদ, এবং ইসলামি বক্তা ও সমাজ সংস্কারক। তিনি [[হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ|হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের]] যুগ্ম-মহাসচিব, [[বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস|বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের]] মহাসচিব, [[জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা]]র শায়খুল হাদিস{{efn|হাদিসের প্রধান শিক্ষক, যিনি হাদিসের সর্বোচ্চ গ্রন্থ ''[[সহিহ বুখারী]]র'' শিক্ষাদান করেন।}}, বাবরি মসজিদ বাংলাদেশ, মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া{{efn|উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।}} ও তারবিয়্যাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, ''মাসিক রহমানী পয়গামের'' সম্পাদক, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের{{efn|[[বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস|বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের]] যুব শাখা।}} সভাপতি ও বায়তুল মামুর জামে মসজিদের [[খতিব]]। তিনি [[এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ|এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের]] অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি [[বাংলাদেশের]] ইসলামি বক্তাদের সংগঠন [[রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ|রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের]] উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন। [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] সহ পাঁচটি ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}} ইসলামি নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী পরিচিত। [[নাস্তিক্যবাদ|নাস্তিক]], [[ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ|ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী]] ও [[ইসলামবিদ্বেষী|ইসলাম বিদ্বেষীদের]] বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়ে তিনি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। [[ইসলামি মৌলবাদ]] প্রচারের অভিযোগে তাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] নিষিদ্ধ, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] সহযোগী সংগঠন [[ছাত্রলীগ]], [[যুবলীগ]], [[স্বেচ্ছাসেবক লীগ]]সহ ৬৫টি সংগঠন দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন করেছে।
'''আল্লামা মামুনুল হক''' (জন্ম: নভেম্বর ১৯৭৩) একজন [[বাংলাদেশি]] [[দেওবন্দি]] ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, এবং ইসলামি বক্তা ও সমাজ সংস্কারক। তিনি [[হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ|হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের]] যুগ্ম-মহাসচিব, [[বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস|বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের]] মহাসচিব, [[জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা]]র শায়খুল হাদিস{{efn|হাদিসের প্রধান শিক্ষক, যিনি হাদিসের সর্বোচ্চ গ্রন্থ ''[[সহিহ বুখারী]]র'' শিক্ষাদান করেন।}}, বাবরি মসজিদ বাংলাদেশ, মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া{{efn|উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।}} ও তারবিয়্যাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, ''মাসিক রহমানী পয়গামের'' সম্পাদক, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের{{efn|[[বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস|বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের]] যুব শাখা।}} সভাপতি ও বায়তুল মামুর জামে মসজিদের [[খতিব]]। তিনি [[এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ|এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের]] অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি [[বাংলাদেশের]] ইসলামি বক্তাদের সংগঠন [[রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশ|রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের]] উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন। [[ইংরেজি ভাষা|ইংরেজি]] সহ পাঁচটি ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে।{{তথ্যসূত্র প্রয়োজন}} ইসলামি নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী পরিচিত। [[নাস্তিক্যবাদ|নাস্তিক]], [[ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ|ধর্মনিরপেক্ষতাবাদী]] ও [[ইসলামবিদ্বেষী|ইসলাম বিদ্বেষীদের]] বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়ে তিনি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। [[ইসলামি মৌলবাদ]] প্রচারের অভিযোগে তাকে [[বাংলাদেশ|বাংলাদেশে]] নিষিদ্ধ, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে [[বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ|বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের]] সহযোগী সংগঠন [[ছাত্রলীগ]], [[যুবলীগ]], [[স্বেচ্ছাসেবক লীগ]]সহ ৬৫টি সংগঠন দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন করেছে।


==জন্ম ও বংশ==
==জন্ম ও বংশ==

১৭:৩৭, ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

শায়খুল হাদিস

আল্লামা মামুনুল হক

দামাত বারাকাতুহুম
চিত্র:Mamunul Haque.jpg
২০২০ সালে মামুনুল হক
যুগ্ম-মহাসচিব, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১৫ নভেম্বর ২০২০
মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
১০ অক্টোবর ২০২০
পূর্বসূরীমাহফুজুল হক
শায়খুল হাদিস, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০০
পূর্বসূরীআজিজুল হক
সম্পাদক, মাসিক রহমানী পয়গাম
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২০০১
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্মনভেম্বর ১৯৭৩ (বয়স ৫০)
ধর্মইসলাম
জাতীয়তাবাংলাদেশি
সন্তান
  • জিমামুল হক
  • ইমাদুল হক
  • মিদাদুল হক
পিতামাতা
জাতিসত্তাবাঙালি
যুগআধুনিক
আখ্যাসুন্নি
ব্যবহারশাস্ত্রহানাফি
আন্দোলনদেওবন্দি
প্রধান আগ্রহহাদিস, ফিকহ, লেখালেখি, তাসাউফ, রাজনীতি, ইসলামের ইতিহাস, ইসলামি আন্দোলন, অর্থনীতি
উল্লেখযোগ্য কাজ
  • মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া
  • মাসিক রহমানী পয়গাম
  • কারাগার থেকে বলছি (২০১৩)
  • তারবিয়্যাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশন
  • বাবরি মসজিদ বাংলাদেশ
যেখানের শিক্ষার্থী
আত্মীয়
মুসলিম নেতা
যাদের প্রভাবিত করেন

আল্লামা মামুনুল হক (জন্ম: নভেম্বর ১৯৭৩) একজন বাংলাদেশি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, রাজনীতিবিদ, এবং ইসলামি বক্তা ও সমাজ সংস্কারক। তিনি হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব, জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকার শায়খুল হাদিস[ক], বাবরি মসজিদ বাংলাদেশ, মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া[খ] ও তারবিয়্যাতুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা, মাসিক রহমানী পয়গামের সম্পাদক, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের[গ] সভাপতি ও বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব। তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের ইসলামি বক্তাদের সংগঠন রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতৃস্থানীয় পদে রয়েছেন। ইংরেজি সহ পাঁচটি ভাষায় তার দক্ষতা রয়েছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ইসলামি নেতা হিসেবে তিনি দেশব্যাপী পরিচিত। নাস্তিক, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদীইসলাম বিদ্বেষীদের বিরুদ্ধে কঠোর বক্তব্য দিয়ে তিনি বিশেষভাবে আলোচিত হয়েছেন এবং এ সংক্রান্ত আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন। ইসলামি মৌলবাদ প্রচারের অভিযোগে তাকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ, গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগসহ ৬৫টি সংগঠন দেশব্যাপী ব্যাপক আন্দোলন করেছে।

জন্ম ও বংশ

মামুনুল হক ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে আজিমপুর, ঢাকার একটি মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১] তার পিতা আজিজুল হক ছিলেন একজন পরিচিত বাংলাদেশি ইসলামি পণ্ডিত ও সহিহ বুখারীর প্রথম বাংলা অনুবাদক, যিনি ‘শায়খুল হাদিস’ নামে সমাধিক পরিচিত।[২] তার ভাইবোনের সংখ্যা ১৩ জন। মাহফুজুল হক তার অগ্রজ, একজন প্রভাবশালী ইসলামি পণ্ডিত ও বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের মহাসচিব।[৩]

শিক্ষাজীবন

প্রাথমিক জীবনে মামুনুল হক তার পিতা আজিজুল হকের নিকট লেখাপড়া শুরু করেন। ১৯৮৫ সালে ১২ বছর বয়সে তিনি লালবাগ চানতারা জামে মসজিদ মাদ্রাসায় কুরআনের হেফজ (মুখস্থ) সমাপ্ত করেন। ১৯৮৬ সালে ভর্তি হন জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকায়। ১৯৯৩ সালে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকা থেকে কওমি মাদ্রাসার শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অধীনে কেন্দ্রীয় পরীক্ষায় উচ্চ মাধ্যমিক[ঘ] শ্রেণিতে প্রথম স্থান, ১৯৯৫ সালে স্নাতক[ঙ] শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান এবং ১৯৯৬ সালে দাওরায়ে হাদিস (মাস্টার্স) পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেন। পাশাপাশি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সমাপ্ত করেন।[১]

কর্মজীবন

তিনি পাঁচ বছর সিরাজগঞ্জ জামিয়া নিজামিয়া বেথুয়া মাদ্রাসা এবং দুই বছর মিরপুর জামিউল উলুমে শিক্ষকতা করেন। তারপর ২০০০ সাল থেকে জামিয়া রাহমানিয়া আরাবিয়া, ঢাকার শায়খুল হাদিস হিসেবে দায়িত্বরত আছেন। ২০১৫ সালে তিনি মাহাদুত তারবিয়্যাতুল ইসলামিয়া নামে একটি উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। এছাড়াও তিনি বায়তুল মামুর জামে মসজিদের খতিব।[১]

২০২০ সালের ১০ অক্টোবরে তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহাসচিব[৪][৫] ও ১৫ নভেম্বর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব নির্বাচিত হন।[৬] ২৬ ডিসেম্বর হেফাজতের এক সভায় তাকে ঢাকা মহানগরীর মহাসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়।[৭]

২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর তিনি বাংলাদেশের ইসলামি বক্তাদের সংগঠন রাবেতাতুল ওয়ায়েজীন বাংলাদেশের উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।[৮] ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে তিনি ঢাকায় বাবরি মসজিদ বাংলাদেশের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।[৯]

পরিবার

পারিবারিক জীবনে তিনি বিবাহিত ও তিন ছেলের জনক। তার স্ত্রী কুরআনের হাফেজ এবং শ্বশুর অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও তাবলিগ জামাতের সদস্য।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]

গ্রেফতার

২০১৩ সালের ৫ ও ৬ মে ঢাকার শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত হেফাজত আন্দোলনে নেতৃত্বের জন্য ১২ মে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।[১০] এসময় তিনি ‘কারাগার থেকে বলছি’ নামক একটি বই রচনা করেন, যা ওই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে প্রকাশিত হয়।[১১] ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের দু’দিন আগে তাকে পুনরায় গ্রেফতারের অভিযোগ উঠে।[১২]

আক্রমণ

২০২১ সালের ৩ এপ্রিল মামুনুল হককে সোনারগাঁওয়ের একটি রিসোর্টে স্ত্রীসহ অবরুদ্ধ করে রেখে লাঞ্ছিত করে ছাত্রলীগযুবলীগের নেতা-কর্মীরা।[১৩] এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার সমর্থকরা গিয়ে তাকে ছিনিয়ে আনে।[১৪] পাশ্ববর্তী মহাসড়ক অবরোধ ও রিসোর্টে ভাঙচুরও করা হয়। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রী পরিষদের অনেক সদস্য ওটি মামুনুল হকের স্ত্রী নয় বলে দাবি করেছেন।[১৫][১৬] এই ঘটনায় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।[১৭]

৪ এপ্রিল মামুনুল হকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্ট দেওয়ায় সুনামগঞ্জে এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।[১৮] ৫ এপ্রিল ফেসবুক লাইভে এসে মামুনুল হকের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করা পুলিশের এক এএসআইকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।[১৯] একইদিন সোনারগাঁওয়ের ওসিকে বদলি করা হয়।[২০]

সমালোচনা

২০১৯ সালের ৬ এপ্রিল বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাকে “আপত্তিকর বক্তা” হিসেবে চিহ্নিত করে।[২১] ২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর তিনি ঢাকায় একটি সম্মেলন করে ভাস্কর্য ও মূর্তি নির্মাণকে অনৈসলামিক কর্মকাণ্ড হিসেবে হিসেবে উপস্থাপন করেন, শেখ মুজিবুর রহমানসহ কারো ভাস্কর্য নির্মাণ করা যাবে না, বলে মন্তব্য করেন এবং এই মূর্তি সংস্কৃতিকে রুখে দেওয়ার জন্য প্রয়োজনে আবার শাপলা চত্বরে যাওয়ার হুমকি দেন।[২২] তার এই মন্তব্যে আওয়ামী লীগসহ ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ১৫ নভেম্বর শ্যামা পূজা উপলক্ষে চট্টগ্রামের গোল পাহাড় কালী মন্দিরে আয়োজিত আলোচনা সভায় মামুনুল হককে ইঙ্গিত করে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল বলেন, “সাবধান হন, না হলে ঘাড় মটকাতে সময় লাগবে না।”[২৩] ১৬ নভেম্বর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করায় মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের একটি সংগঠন কর্তৃক ৭২ ঘন্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতারের আলটিমেটাম দেওয়া হয়।[২৪] গ্রেফতার না হওয়ায় এই সংগঠনটি ২১ নভেম্বর আরেকটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে তার কুশপুত্তলিকা দাহ করে এবং মামুনুল হককে গ্রেফতারসহ সরকারকে ৭ দফা দাবি জানায়।[২৫] ২৬ নভেম্বর ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ঢাকায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে তাকে জঙ্গিবাদী আখ্যায়িত করেন এবং লেজ কেটে বুড়িগঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।[২৬] একই দিন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, শ্রমিক লীগ ও কৃষক লীগ চট্টগ্রামে একটি সমাবেশ করে চট্টগ্রাম জেলায় যেকোন মূল্যে মামুনুল হককে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন এবং তার একটি কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। পরদিন, ২৭ নভেম্বর, হাটহাজারীতে মামুনুল হকের সমাবেশ ছিল।[২৭] সেদিন আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো চট্টগ্রামের বিমানবন্দর ও শহরের প্রবেশপথগুলো ঘেরাও করে বিক্ষোভ মিছিল করে।[২৮] ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কর্মীরা কয়েক ঘণ্টার জন্য রাস্তা অবরোধ করে রাখেন এবং মাঝখানে আগুন জ্বালিয়ে দেন।[২৯] মামুনুল হক বাধা উপেক্ষা করেই হাটহাজারীতে আসেন। পরবর্তীতে বিশৃঙ্খলা এড়াতে প্রশাসনের অনুরোধে তিনি ঢাকায় ফিরে আসেন।[৩০] বাধাদানে ক্ষুব্ধ হয়ে মামুনুল হকের কয়েক হাজার সমর্থক ফেসবুকে গ্রুপ খুলে এবং ঢাকার বায়তুল মোকাররমে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে। মিছিলে পুলিশ বাধা দিলে উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়, বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয় এবং মিছিল ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।[৩১] ২৮ নভেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামের সংগঠনটি মামুনুল হককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের দাবিতে ১ ঘণ্টার জন্য শাহবাগ অবরোধ করে রাখে।[৩২] ৩০ নভেম্বর ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী তাকে “খেলা হবে” বলে চ্যালেঞ্জ করেন এবং সাহস থাকলে যুবলীগের সঙ্গে মাঠে নামতে বলেন।[৩৩] ১ ডিসেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে দেশের প্রায় ৬৫টি সংগঠন মামুনুল হককে গ্রেফতারের দাবি করে।[৩৪] এই সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম. মোজাম্মেল হক ভাস্কর্য ইস্যুতে মামুনুল হকের বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে “পরিণতি ভাল হবে না” বলে মন্তব্য করেন।[৩৫] ৩ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের আপত্তিতে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় তার সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৩৬] এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া, খুলনা, নড়াইলসহ কয়েকটি জায়গাতেও তার সমাবেশ বন্ধ করে দেওয়া হয়।[৩৭] ৪ ডিসেম্বর তার সমর্থনে পল্টনে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিলের চেষ্টা করা হলে পুলিশের লাঠিচার্জে তা পণ্ড হয়ে যায়।[৩৮] ৫ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ মামুনুল হকের নামে “রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা” করার ঘোষণা দেয়।[৩৯] সেই রাতে কুষ্টিয়ায় শেখ মুজিবুর রহমানের একটি নির্মাণাধীন ভাস্কর্যে ভাঙচুর করা হয়। পরবর্তীতে অভিযুক্তরা মামুনুল হকের বক্তব্যে উৎসাহিত হয়ে এই কাজ করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করে।[৪০] ৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামুনুল হকের বিরুদ্ধে দুইটি মামলা করা হয়। আদালত ৭ জানুয়ারির মধ্যে তদন্ত করে পিবিআইকে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এ প্রসঙ্গে বিবিসি বাংলাকে মামুনুল হক বলেন, “তিনি তার কথা বলেই যাবেন।”[৪১] ৯ ডিসেম্বর ভাস্কর্যবিরোধী ষড়যন্ত্র ও মামুনুল হকের বক্তব্যে সহযোগিতার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করা হলে, তা আদালতে খারিজ হয়ে যায়।[৪২][৪৩] ১০ ডিসেম্বর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাস্কর্য বিরোধী বক্তব্য ছড়ানোর অভিযোগে তার বিরুদ্ধে “ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে” মামলার আবেদন করা হয়।[৪৪] আদালত এই আবেদন আমলে না নিয়ে আবেদনকারীদের থানায় যাওয়ার আদেশ দেয়।[৪৫]

মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় জামায়াত ঘনিষ্ঠতার নানা অভিযোগ আনা হয়; কিন্তু তিনি এগুলো অস্বীকার করেন ও অভিযোগ "ভিত্তিহীন" বলে আখ্যায়িত করেন।[৪৬][৪৭]

২০২০ সালের ১২ ডিসেম্বর ফরিদপুর ৩ আসনের সংসদ সদস্য নিক্সন চৌধুরী এক বক্তব্যে মামুনুল হককে জঙ্গি আখ্যায়িত করে বলেন, “এ মঞ্চে এসে নিজেকে ছোট মনে হচ্ছে। প্রশাসনের লোক আমাদেরকে ঘিরে রেখেছে। আমরা কি ভীতু যে আমাদের প্রশাসনের লোক নিরাপত্তা দেবে? আমাদেরকে পাহারা দিতে হবে না। যদি পাহারা দিতে হয় জঙ্গি মামুনুল হকদের দেন। কারণ মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম প্রস্তুত হচ্ছে আরেকটি যুদ্ধের জন্য।”[৪৮]

একইদিন বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টির সভাপতি ইসমাইল হোসাইন এক মানববন্ধনে শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় মামুনুল হককে অভিযুক্ত করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ইসলাম ও আলেম সমাজের জন্য যা কিছু করেছেন, অন্য কোনো সরকার তা করে নাই। মাদ্রাসাছাত্রদের দিয়ে ভাস্কর্য ভাঙচুর করে সারাদেশের সব মাদ্রাসাছাত্রকে অপমান করছে মামুনুল হকরা।”[৪৯]

ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় তার ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হলে, তিনি এই ঘটনাকে অনভিপ্রেত আখ্যায়িত করে বলেন, আমি কাউকে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে বলি নি।[৫০]

১৭ ডিসেম্বর কুমিল্লায় একটি মাহফিলে গোপনে যোগদান করে বক্তব্য রাখার অভিযোগে মামুনুল হক ও খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবীসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ।[৫১]

২ ফেব্রুয়ারি ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় তার একটি মাহফিলে যোগদানে প্রশাসন কর্তৃক বাঁধা দেওয়া হয়। এ খবরে ব্রাক্ষণবাড়িয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতা শহরের কাউতলী ও ভাদুঘর এলাকায় মহাসড়কে অগ্নিসংযোগ করে লাঠিসোঁটা নিয়ে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে অবস্থান নেয়। বিক্ষুব্ধরা মহাসড়কের বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে। এতে মধ্যরাতে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে তিনি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।[৫২]

২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বরদী ইউনিয়নের ময়েনদিয়া গ্রামের এক যুবক মামুনুল হককে নিয়ে একটি পোস্টে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। এ মন্তব্যের কারণে গ্রামবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে যুবককে লাঞ্ছিত করে এবং জুতার মালা পরিয়ে রাস্তায় ঘুরিয়ে ময়েনদিয়া বাজারে একটি ঘরে আটকে রাখে। জুতার মালা পরিহিত ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় ৭০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল।[৫৩]

শাল্লায় হিন্দু পল্লীতে হামলা

এক হিন্দু যুবক তাকে কটুক্তির অভিযোগে ১৭ মার্চ ২০২১ খ্রিষ্টাব্দে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের হবিবপুর নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের ৮৮টি বাড়িঘর এবং ৭/৮টি পারিবারিক মন্দির ভাংচুর চালায়। এই ঘটনায় দেশব্যাপী সমালোচনার মুখে শামছুদ্দিন চৌধুরী মানিক, শাহরিয়ার কবির সহ অনেকেই তাকে গ্রেফতারের দাবি জানায়। কিন্তু এখানো এই ঘটনায় তার এবং তার সংগঠনের কোনো সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পাওয়া যায় নি।[৫৪][৫৫]

বিলাসবহুল গাড়ি বিতর্ক

২০২১ সালের ৬ মার্চ তাকে বিতর্কিত করতে বাংলাদেশের জাতীয় টেলিভিশন ডিবিসি নিউজ সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছবিসহ একটি সংবাদ ভাইরাল করা হয়, যাতে দেখা যায় মামুনুল হককে বহনে দেড় কোটি টাকা মূল্যের একটি ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো গাড়ী ব্যবহৃত হচ্ছে। তার এত সম্পদের উৎস জানতে চেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা হলেও পরবর্তীতে সংবাদটি অপপ্রচার হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।[৫৬]

দৃষ্টিভঙ্গি

ভাস্কর্য ও মূর্তি

তিনি ইসলামের দৃষ্টিতে ভাস্কর্যমূর্তিকে এক হিসেবে উপস্থাপন করেন এবং এগুলো নির্মাণ করার অনুমতি ইসলামে নেই বলে মন্তব্য করেন। আইনগতভাবে, নৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে সামর্থ্য থাকলে শেখ মুজিবুর রহমান, জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যসহ সব ভাস্কর্যই মুসলমানদের জনপদ থেকে অপসারণ করার উদ্যোগ নেবেন বলে জানান। প্রাণীর অবয়ব অংকন কারীদের তিনি কঠোরভাবে সমালোচনা করেন এবং এ বিষয়ে কুরআন-হাদিসের দলীল প্রদান করেন।[৫৭][৫৮]

জামায়াতে ইসলামী

জামায়াতে ইসলামী দুটি বিষয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করলে এবং ভুল থেকে বেরিয়ে আসলে তাদের সাথে যেকোনো দল ঐক্য করতে পারবে বলে তিনি মত দেন। বিষয় দুটির ব্যাপারে তিনি বলেন, একটি হল জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা মওদুদীর বিভিন্ন বক্তব্য ইসলামের মূলভিত্তির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। অন্যটি একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে তাদের ভূমিকা।[৫৯]

১৯৭২’র সংবিধান ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র

১৯৭২ সালে প্রণীত বাংলাদেশের সংবিধানের মাধ্যমে ধর্মনিরপেক্ষ চেতনা জনগণের উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বিনির্মাণের উদ্দেশ্যে কেউ মুক্তিযুদ্ধ করেনি বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি কোনদিন ক্ষমতায় যেতে পারলে দেশের সব ভাস্কর্য অপসারণ ও ইসলামের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।[৬০]

প্রকাশনা

তার সম্পাদিত ও প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা মোট ১৪ টি। ২০০১ সাল থেকে তিনি মাসিক রহমানী পয়গামের সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বরত আছেন।[৬১] এছাড়াও সমসাময়িক বিষয়াবলিতে তিনি জাতীয় ও দৈনিক পত্রিকায় নিবন্ধ লিখে থাকেন।[৬২]

বইসমূহ
  • কারাগার থেকে বলছি (২০১৩)
  • মেহরাব ও মিম্বারের কথা
  • সময়ের পয়গাম
  • স্বাধীনতা সংগ্রামে আলেম সমাজের ভূমিকা
  • সত্যের পথে সংগ্রাম
  • নারী অধিকার : ব্যাখ্যা ও ভ্রান্তি নিরসন
  • পহেলা বৈশাখ : ইসলাম কি বলে?
  • সফল মুমিনের পরিচয়
  • একটি দ্বীনি দাওয়াত
  • খেলাফত রাষ্ট্রব্যবস্থা : পরিচিতি ও নীতিমালা
  • ইসলামি আন্দোলনে চাই জিন্দাদিল কর্মী
  • ইসলামি সংগঠনে নেতৃত্ব ও আনুগত্য
  • নেতৃত্ব, আনুগত্য ও ইসলামি জীবন
  • ইসলামি সংগঠন কি এবং কেন?

আরও দেখুন

টীকা

  1. হাদিসের প্রধান শিক্ষক, যিনি হাদিসের সর্বোচ্চ গ্রন্থ সহিহ বুখারীর শিক্ষাদান করেন।
  2. উচ্চতর ইসলামি শিক্ষা, গবেষণা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান।
  3. বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুব শাখা।
  4. কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘শরহে বেকায়া জামাত’ বলা হয়।
  5. কওমি মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থায় ‘মেশকাত জামাত’ বলা হয়।

তথ্যসূত্র

  1. এহসানুল হক, মাওলানা (১৫ নভেম্বর ২০২০)। "মাওলানা মুহাম্মদ মামুনুল হকের সংক্ষিপ্ত জীবনী"কওমিপিডিয়া 
  2. তুহিন মালিক, ডক্টর (২ ডিসেম্বর ২০১৯)। "শায়খুল হাদিসের বিরুদ্ধে এ কেমন অপপ্রচার!"দৈনিক নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১১ 
  3. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "কওমি মাদ্রাসা বোর্ডের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, মহাসচিব মাহফুজুল হক"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-১৩ 
  4. প্রতিবেদক, নিজস্ব (১০ অক্টোবর ২০২০)। "খেলাফতের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মামুনুল"বাংলাদেশ প্রতিদিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  5. ডেস্ক, নিজস্ব (১১ অক্টোবর ২০২০)। "বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক"নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  6. ডেস্ক, অনলাইন (১৫ নভেম্বর ২০২০)। "হেফাজতের নতুন আমির বাবুনগরী, শফীর অনুসারীদের বিরোধিতা | রাজনীতি"ইত্তেফাক। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  7. "হেফাজতের ঢাকা মহানগরীর সভাপতি জুনায়েদ আল হাবীব, সেক্রেটারি মামুনুল হক"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১ 
  8. "ওয়াজের ওপর নজরদারির নামে আলেমদের কণ্ঠরোধ চলবে না, কর্মশালায় বক্তারা"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  9. ডেস্ক, ধর্ম (২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০)। "ঢাকায় বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করলেন আল্লামা শফী"জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  10. "হেফাজত নেতা মামুনুল হক খুলনায় গ্রেফতার" |ইউআরএল= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)বাংলানিউজ২৪.কম। ১২ মে ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  11. "কারাগার থেকে বলছি by মাওলানা মামুনুল হক"। রকমারী.কম। সংগ্রহের তারিখ ১১ ডিসেম্বর ২০২০ 
  12. "বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নেতা মামুনুল হককে আটকের অভিযোগ"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  13. "যুবলীগ-ছাত্রলীগের হাতে মাওলানা মামুনুল হক স্ত্রীসহ লাঞ্ছিত"নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  14. "অবরুদ্ধ হেফাজত নেতা মামুনুল হককে 'ছিনিয়ে নেয়' সমর্থকরা"বিবিসি নিউজ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  15. "মামুনুলকে নিয়ে শেখ হাসিনা যা বললেন ও হেফাজত যে জবাব দিল"বিবিসি নিউজ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  16. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "মামুনুলের বিষয়ে আরও ঘটনা জেনে জানানো হবে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী | প্রথম আলো"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  17. "মামুনুল হককে অবরুদ্ধ করায় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা | কালের কণ্ঠ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৪ 
  18. "মামুনুল হককে নিয়ে আপত্তিকর পোস্ট, যুবলীগ নেতা আটক"জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫ 
  19. "ফেসবুক লাইভে মামুনুলের গুণকীর্তন করা সেই পুলিশ সদস্য সাসপেন্ড | কালের কণ্ঠ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫ 
  20. "সোনারগাঁও থানার ওসিকে বদলি | কালের কণ্ঠ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৫ 
  21. সংবাদ, সময় (৬ এপ্রিল ২০১৯)। "বাংলাদেশের যে ১৫ বক্তার ওয়াজে কড়াকড়ি আরোপ"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 
  22. "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধের আহ্বান মামুনুল হকের"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৫ 
  23. ব্যুরো, চট্টগ্রাম। "সাবধান হন, না হলে ঘাড় মটকাতে সময় লাগবে না: নওফেল"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৬ 
  24. "খেলাফত মজলিস নেতা মামনুল হককে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি"যমুনা টেলিভিশন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-২১ 
  25. "রেজাউল করিম ও মামুনুল হকের কুশপুতুল দাহ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৫ 
  26. "মামুনুলদের লেজ কাটার সময় চলে এসেছে: ছাত্রলীগ সভাপতি"সময় নিউজ টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  27. ব্যুরো, চট্টগ্রাম। "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য: মামুনুলকে চট্টগ্রামে প্রতিহতের ঘোষণা"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  28. ব্যুরো, চট্টগ্রাম। "ছাত্র-যুবলীগ মাঠে, মামুনুলের 'খোঁজ নেই'"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  29. "মামুনুলকে রুখতে হাটহাজারিতে চবি ছাত্রলীগের সড়ক অবরোধ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  30. "মাহফিলের মঞ্চে না উঠে ফেরত গেলেন মামুনুল হক!"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  31. প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ। "ফেইসবুকে গ্রুপ খুলে ঢাকায় জড়ো হন মামুনুল সমর্থকরা: পুলিশ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  32. "ফয়জুল-মামুনুল হককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার দাবি"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  33. "মামুনুল হককে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে নিক্সন চৌধুরী বললেন 'খেলা হবে'"জাগোনিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  34. "বাবুনগরী ও মামুনুল হককে গ্রেফতারের দাবি"নয়া দিগন্ত। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  35. "'বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে মামুনুল হকের পরিণতি ভালো হবে না'"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  36. "আ'লীগের আপত্তিতে মামুনুল হকের ওয়াজ মাহফিল বাতিল"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৪ 
  37. "ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সমাবেশে যোগ দেননি মামুনুল হক"রাইজিংবিডি.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  38. "পল্টনে ভাস্কর্যবিরোধী মিছিলের চেষ্টা, পুলিশের লাঠিচার্জে পণ্ড"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৫ 
  39. প্রতিনিধি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। "মামুনুল-ফয়জুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা করবে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ"বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৫ 
  40. "মামুনুল-ফয়জুলের বক্তব্যে 'উৎসাহিত হয়ে' বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর"ডয়েচে ভেলে। ৬ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৮ 
  41. "মুজিব ভাস্কর্য: বাবুনগরী ও মামুনুলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা"বিবিসি নিউজ বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৮ 
  42. "খালেদা, তারেক, ফখরুল, বাবুনগরী, মামুনুল ও ফয়জুলের বিরুদ্ধে মামলা"দ্যা ডেইলি স্টার। ২০২০-১২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  43. "বাবুনগরী মামুনুল ও ফয়জুলের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার আবেদন খারিজ"যুগান্তর। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  44. "মামুনুল হকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা"এনটিভি অনলাইন। ২০২০-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  45. "হেফাজত নেতা মামুনুলের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা নেননি আদালত"ডেইলি স্টার বাংলা। ২০২০-১২-১০। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  46. "জামায়াত ঘনিষ্ঠতার অভিযোগ হেফাজত নেতা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে"ডিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৯ 
  47. "শফির শূন্যস্থান দখলে মামুনুলের ভাস্কর্য রাজনীতি"চ্যানেল আই অনলাইন। ২০২০-১২-০৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  48. "মামুনুল হককে হুঁশিয়ারি নিক্সন চৌধুরীর"সময় নিউজ টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১২ 
  49. "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুর করে সব মাদ্রাসাছাত্রকে অপমান করছে মামুনুল হকরা"সময় নিউজ টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১২ 
  50. "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙচুরের নিন্দায় মামুনুল হক"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১৭ 
  51. "গোপনে এসে মাহফিলে বক্তব্য: মাওলানা মামুনুলের নামে মামলা"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-৩১ 
  52. "মামুনুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেতে বাধা দেওয়ায় মহাসড়ক অবরোধ"সময় টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০২-০৪ 
  53. "মামুনুল হককে কটুক্তি করায় যুবককে পরানো হলো জুতার মালা | কালের কণ্ঠ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০১ 
  54. "বেরিয়ে এলো হিন্দু গ্রামে হামলার আসল রহস্য (ভিডিও)"যুগান্তর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০৩ 
  55. "মামুনুল হককে নিয়ে কটূক্তির জেরে শাল্লায় বাড়িতে হামলা"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৩-২৯ 
  56. "মামুনুল হকের দেড় কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল গাড়ির রহস্য উন্মোচন"আমাদের সময়। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৪-০১ 
  57. "বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপন বন্ধের আহ্বান মামুনুল হকের"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-০৬ 
  58. প্রতিবেদক, নিজস্ব। "সামর্থ্য হলে সব ভাস্কর্য অপসারণ করবেন মামুনুল"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  59. আহমদ, মোশতাক। "'ভাস্কর্য ঠেকাব না, তবে হলে দুঃখ পাব' | কালের কণ্ঠ"কালের কণ্ঠ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  60. "ক্ষমতায় গেলে অপসারণ করা হবে বাহাত্তরের সংবিধান-সব ভাস্কর্য: মামুনুল হক"ডিবিসি নিউজ। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১২ 
  61. "বাংলা চর্চায় এগিয়ে যাচ্ছেন কওমি আলেমরা"বাংলানিউজ২৪.কম। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  62. "আল্লামা আহমদ শফীর পাশে একজন‌ও কি ভালোবাসার মানুষ নেই?"মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১১-১৬ 

গ্রন্থপঞ্জি

বহিঃসংযোগ