ফিলিস্তিন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
→‎গুগল মানচিত্রে ফিলিস্তিনের নাম না থাকার কারণ: বানান ঠিক করা হয়েছে, ব্যাকরণ ঠিক করা হয়েছে, লিংক সংযোজন, public
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল অ্যাপ সম্পাদনা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ সম্পাদনা
৮৯ নং লাইন: ৮৯ নং লাইন:
দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যা সমাধান করে সেসময় পশ্চিমতীর এবং গাজা উপত্যকাকে মানচিত্রে ফিরিয়ে আনে গুগল।
দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যা সমাধান করে সেসময় পশ্চিমতীর এবং গাজা উপত্যকাকে মানচিত্রে ফিরিয়ে আনে গুগল।
গুগল ম্যাপে কেন ফিলিস্তিন নেই?
গুগল ম্যাপে কেন ফিলিস্তিন নেই?
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় দুই দেশের মধ্যে ভূখণ্ড ভাগাভাগি করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের অবৈধ দখল চালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ফিলিস্তিন ২ হাজার ৪০০ বর্গমাইলের কয়েক টুকরো ভূমি মাত্র। দীর্ঘ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমানাও নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত পুরো অঞ্চলের সীমানা ধরা হয়। এখন বড় প্রশ্ন হল, কে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। বাস্তবতা হল, অধিকাংশ ফিলিস্তিনিই এখন পশ্চীমতীরের ছোট কিছু বসতিতে থাকেন। আর গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় দুই দেশের মধ্যে ভূখণ্ড ভাগাভাগি করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের অবৈধ দখল চালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ফিলিস্তিন ২ হাজার ৪০০ বর্গমাইলের কয়েক টুকরো ভূমি মাত্র। দীর্ঘ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমানাও নির্ধারণ করা সম্ভব
* ''''নি। ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত পুরো অঞ্চলের সীমানা ধরা হয়। এখন বড় প্রশ্ন হল, কে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। বাস্তবতা হল, অধিকাংশ ফিলিস্তিনিই এখন পশ্চীমতীরের ছোট কিছু বসতিতে থাকেন। আর গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।
সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমতীরের আরো কিছু অংশ ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। দ্রুতই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করবে ইসরাইল। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে এটি নিয়ে। টুইটারে অনেকেই বলছে, মার্কিন জায়ান্ট অ্যাপল এবং গুগল তাদের বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলেছে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমেও এটি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমতীরের আরো কিছু অংশ ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। দ্রুতই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করবে ইসরাইল। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে এটি নিয়ে। টুইটারে অনেকেই বলছে, মার্কিন জায়ান্ট অ্যাপল এবং গুগল তাদের বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলেছে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমেও এটি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে।
তবে মূল কথা হল, গুগল কিংবা অ্যাপলের বিশ্বমানচিত্রে ফিলিস্তিন বলে নির্দিষ্ট কোন দেশের অস্তিত্ব কখনোই ছিলো না। Palestine বা ফিলিস্তিন লিখে সার্চ দিলেও শুধু পশ্চীমতীর এবং গাজা উপত্যকাকেই দেখানো হতো। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের সীমানাই তো এখনো নির্ধারণ করা যায়নি!
তবে মূল কথা হল, গুগল কিংবা অ্যাপলের বিশ্বমানচিত্রে ফিলিস্তিন বলে নির্দিষ্ট কোন দেশের অস্তিত্ব কখনোই ছিলো না। Palestine বা ফিলিস্তিন লিখে সার্চ দিলেও শুধু পশ্চীমতীর এবং গাজা উপত্যকাকেই দেখানো হতো। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের সীমানাই তো এখনো নির্ধারণ করা যায়নি!

০৭:৪৬, ৫ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ফিলিস্তিন

دولة فلسطين
Dawlat Filasṭīn
'জাতীয় সঙ্গীত: "فدائي"
"Fida'i"[১][২]
"My Redemption"
চিত্র:National Anthem of Palestine (Vocal).ogg
ফিলিস্তিন
ফিলিস্তিন
রাজধানীজেরুজালেম
বৃহত্তম নগরীবীরশেবা
সরকারি ভাষাআরবি
জাতীয়তাসূচক বিশেষণফিলিস্তিনি
সরকারবিধিসম্মত সংসদীয় গণতন্ত্র কার্যরত চিহ্নস্বরূপ একটি আধা-রাষ্ট্রপতি গণতন্ত্র[৩]
মাহমুদ আব্বাস
মোহাম্মদ শিতায়হে
ইয়াহিয়া সিনওয়ার
আইন-সভাজাতীয় পরিষদ
গঠন
১৪ মে ১৯৪৮ - বর্তমান
আয়তন
• মোট
২৭,০১২ কিমি (১০,৪২৯ মা)
• পানি (%)
৩.৫[৪]
জনসংখ্যা
• ২০২০* আনুমানিক
৫০,৫১,৯৫৩ জন (১২৩তম)
• ঘনত্ব
৮০০/কিমি (২,০৭২.০/বর্গমাইল)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৪[৫] আনুমানিক
• মোট
$১১.৯৫ বিলিয়ন ()
• মাথাপিছু
$২৮১০.৬ ()
জিনি (২০১৩)35.5[৬]
মাধ্যম · ১০৭তম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৪)বৃদ্ধি 0.677[৭]
মধ্যম · ১১৩তম
মুদ্রা
সময় অঞ্চলইউটিসি+২ (ইইটি)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি+৩ (ইইএসটি)
তারিখ বিন্যাসdd/mm/yyyy
গাড়ী চালনার দিকডানদিকে
কলিং কোড+৯৭০
আইএসও ৩১৬৬ কোডPS
ইন্টারনেট টিএলডি.ps
  1. Population and economy statistics and rankings are based data of the PCBS.
  2. Also the leader of the state's government.[iv]
  3. The territories claimed are under Israeli occupation.

ফিলিস্তিন বা প্যালেস্টাইন [i] (আরবি: فلسطين, ফিলাসস্ত্বীন),[১০])[১১] সরকারিভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র (আরবি: دولة فلسطين, দাউলাৎ ফিলাস্‌ত্বীন্‌)[৩] ১৫ নভেম্বর ১৯৮৮ সালে আলজিয়ার্স শহরে নির্বাসনে ঘোষিত একটি রাষ্ট্র, যেখানে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অরগানাইজেশন (পিএলও) ও প্যালেস্টাইন জাতীয় পরিষদ (পিএনসি) একপাক্ষিক ভাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিল । ১৯৮৮ ঘোষণার সময়ে কোনো অঞ্চলেই পিএলওর নিয়ন্ত্রণ ছিল না,[১২] যদিও তারা যে অঞ্চলগুলি দাবি করেছিল আন্তর্জাতিকভাবে সেইগুলি ইসরাইলের দখলে ছিল। [১৩] আরবরা দাবি করেছি, ১৯৪৭ সালে জাতি সংঘ দ্বারা প্রস্তাবিত ফিলিস্তিন বিভাগ যেভাবে প্রস্তাবিত হয়েছিল, যেখানে ফিলিস্তিন ভূখন্ড (গাজা ভূখন্ডওয়েস্ট ব্যাংক) ছাড়াও ইসরায়েল শাসনাধিন অঞ্চলও ছিল এবং জেরুজালেমকে ঘোষিত রাষ্টের রাজধানী আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। [ii][১১][১৪]

১৯৭৪ আরব লীগ শীর্ষ বৈঠকে স্থির হয়েছিল, পিএলও ফিলিস্তিনের জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি এবং ও তাদের জন্য জরুরি ভিত্তিতে একটি স্বাধীন দেশ প্রতিষ্ঠিত আহবান জানিয়েছিল । "[১৫] ২২ নভেম্বর ১৯৭৪, থেকে একটি হিসেবে জাতি >পিএলও কে " রাষ্ট্রহীন-সত্তা " রুপে পর্যবেক্ষক অবস্থা রাখা হয়েছিল। [১৬][১৭] যারা কেবলমাত্র জাতি সংঘে তাদের বক্তব্য রাখতে পারতেন, কিন্তু ভোট দেবারর কোনো ক্ষমতা ছিল না।

গুগল মানচিত্রে ফিলিস্তিনের নাম না থাকার কারণ

জাতিসংঘের ১৩৮টি দেশ ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র বলে স্বীকৃতি দিয়েছে। যদিও পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশের স্বীকৃতিই এখনো পায়নি ফিলিস্তিন। ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় মূল ভূখণ্ড দুই দেশের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়। তবে ইসরাইল স্বাধীন রাষ্ট্র পরিচালনা করলেও রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায়নি ফিলিস্তিন। বরং তাদের পূর্ণ স্বাধীনতার স্বপ্ন দিনে দিনে ধূসর হচ্ছে। মার্কিন প্রযুক্তি মোড়ল গুগল এবং অ্যাপলের বিশ্বমানচিত্রেও নেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের অস্তিত্ব। সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে সামাজিকমাধ্যম এবং কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমেও ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। ২০১১ সালেও এ বিষয়টি সামনে এসেছিলো। ওই সময় গুগলকে উদ্দেশ্য করে ফিলিস্তিনের সাংবাদিকরা একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। ২০১৬ সালে একটি ওয়েবসাইটকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গুগলের একজন মুখপাত্র জানিয়েছিলেন, একটি 'বাগের' কারণে কিছু সমস্যা হচ্ছিল; আর তাই পশ্চীমতীর এবং গাজা উপত্যকা দেখা যাচ্ছিলো না। তবে তাদের ম্যাপে কখনোই নির্দিষ্টভাবে 'ফিলিস্তিন' ছিলো না বলে ওই সময় জানায় তারা। গুগলের ওই মুখপাত্র বলেছিলেন, গুগল ম্যাপে কখনোই 'ফিলিস্তিন' লেবেল ছিলো না। তবে একটি বাগ পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকাকে মানচিত্র থেকে সরিয়ে দিয়েছিলো।

দ্রুত সময়ের মধ্যেই সমস্যা সমাধান করে সেসময় পশ্চিমতীর এবং গাজা উপত্যকাকে মানচিত্রে ফিরিয়ে আনে গুগল। গুগল ম্যাপে কেন ফিলিস্তিন নেই? ইসরাইল প্রতিষ্ঠার সময় দুই দেশের মধ্যে ভূখণ্ড ভাগাভাগি করে সমাধানের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইলের অবৈধ দখল চালিয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ফিলিস্তিন ২ হাজার ৪০০ বর্গমাইলের কয়েক টুকরো ভূমি মাত্র। দীর্ঘ দিন ধরে দুই দেশের মধ্যে চলমান সংঘাতের কারণে সীমানাও নির্ধারণ করা সম্ভব

  • 'নি। ভূমধ্যসাগর থেকে জর্ডান নদী পর্যন্ত পুরো অঞ্চলের সীমানা ধরা হয়। এখন বড় প্রশ্ন হল, কে ওই এলাকা নিয়ন্ত্রণ করে। বাস্তবতা হল, অধিকাংশ ফিলিস্তিনিই এখন পশ্চীমতীরের ছোট কিছু বসতিতে থাকেন। আর গাজা উপত্যকা সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ।

সম্প্রতি ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমতীরের আরো কিছু অংশ ইসরাইলের অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। দ্রুতই সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন শুরু করবে ইসরাইল। এ নিয়ে বিশ্বজুড়েই সমালোচনার ঝড় উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রচুর সমালোচনা হচ্ছে এটি নিয়ে। টুইটারে অনেকেই বলছে, মার্কিন জায়ান্ট অ্যাপল এবং গুগল তাদের বিশ্বমানচিত্র থেকে ফিলিস্তিনকে মুছে ফেলেছে। কিছু কিছু সংবাদমাধ্যমেও এটি নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়েছে। তবে মূল কথা হল, গুগল কিংবা অ্যাপলের বিশ্বমানচিত্রে ফিলিস্তিন বলে নির্দিষ্ট কোন দেশের অস্তিত্ব কখনোই ছিলো না। Palestine বা ফিলিস্তিন লিখে সার্চ দিলেও শুধু পশ্চীমতীর এবং গাজা উপত্যকাকেই দেখানো হতো। রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনের সীমানাই তো এখনো নির্ধারণ করা যায়নি!

ফিলিস্তিন সমস্যার প্রেক্ষাপট

ভূমধ্যসাগরের পূর্বে ১০,৪২৯ বর্গমাইলব্যাপী ফিলিস্তিন দেশটি ছিল উসমানীয় খেলাফতের অধীন, প্রথম বিশ্বযুদ্ধে যারা ছিল বৃটেন বিরোধী জোটে৷ তখন যুদ্ধ জয়ে ফিলিস্তিনদের সহযোগিতা পাওয়ার আশায় ১৯১৭ সালে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড বেলফোর যুদ্ধে জয়ী হলে এই ভূমিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হবে বলে আশ্বাস দেন৷ যা ইতিহাসে বেলফোর ঘোষণা হিসেবে পরিচিত৷ যেহেতু আরবরা ছিল ইহুদিদের তুলনায় কয়েকগুণ বেশি, সেহেতু ঘোষণাটি তাদের অনুকূল বলেই তারা ধরে নেয়৷ কিন্তু এর মাঝে যে মহা ধোকাটি লুকিয়ে ছিল তা তারা বুঝতে পারেনি৷ ব্রিটিশ শাসনের শুরু থেকে৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় বৃটেনের প্রয়োজনে দুর্লভ বোমা তৈরির উপকরণ কৃত্রিম ফসফরাস তৈরি করতে সক্ষম হন ইহুদি বিজ্ঞানী ড. হেইস বাইজম্যান৷ ফলে আনন্দিত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী জানতে চাইলেন কি ধরনের পুরস্কার তিনি চান৷ উত্তর ছিল অর্থ নয় আমার স্বজাতির জন্য এক টুকরো ভূমি আর তা হবে ফিলিস্তিন৷ ফলে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডটি ইহুদিদের হাতে তুলে দেয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নেয় বৃটেন৷ প্রথম বিশ্বযুদ্ধ জয়ের পর বৃটেন স্বাধীনতা দেয়ার অঙ্গীকারে ১৯১৮ সাল থেকে ৩০ বছর দেশটিকে নিজেদের অধীন রাখে৷ মূলত এই সময়টিই ফিলিস্তিনকে আরব শূন্য করার জন্য ভালোভাবে কাজে লাগায় ইহুদি বলয় দ্বারা প্রভাবিত ইঙ্গ-মার্কিন শক্তি৷ [১৮]

আরবদের উচ্ছেদকরণ ও ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা

ব্রিটিশরা একদিকে ইহুদিদের জন্য খুলে দেয় ফিলিস্তিনের দরজা, অন্যদিকে ব্রিটিশ বাহিনীর সহযোগিতায় ইহুদিরা ফিলিস্তিনদের বিতাড়িত করে নিজেদের অবস্থান সুদৃঢ় করার জন্য গড়ে তোলে অনেক প্রশিক্ষিত গোপন সন্ত্রাসী সংগঠন৷ তার মধ্যে তিনটি প্রধান সংগঠন ছিল হাগানাহ, ইরগুনস্ট্যার্ন গ্যাং যারা হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ আর ধ্বংসযজ্ঞ সৃষ্টির মাধ্যমে নিরীহ ফিলিস্তিনদের বাধ্য করে নিজ মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যেতে৷ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর গণহত্যার কথা যখন আন্তর্জাতিকভাবে প্রচারিত হচ্ছিল তখন পরিস্থিতকে নিজেদের অনুকূলে আনার জন্য গুপ্ত সংগঠন হাগানাহ বেছে নেয় আত্মহনন পন্থা৷ ১৯৪০ সালে এসএস প্যাটৃয়া নামক একটি জাহাজকে হাইফা বন্দরে তারা উড়িয়ে দিয়ে ২৭৬ জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ ১৯৪২ সালে আরেকটি জাহাজকে উড়িয়ে দিয়ে ৭৬৯ জন ইহুদিকে হত্যা করে৷ উভয় জাহাজে করে ইহুদিরা ফিলিস্তিনে আসছিল আর ব্রিটিশরা সামরিক কৌশলগত কারণে জাহাজ দুটিকে ফিলিস্তিনের বন্দরে ভিড়তে দিচ্ছিল না৷ হাগানাহ এভাবে ইহুদিদের হত্যা করে বিশ্ব জনমতকে নিজেদের পক্ষে আনার চেষ্টা করলো৷ পাশাপাশি ইহুদিদের বসতি স্থাপন ও আরবদের উচ্ছেদকরণ চলতে থাকে খুব দ্রুত৷ এর ফলে ২০ লাখ বসতির মধ্যে বহিরাগত ইহুদির সংখ্যা দাড়ালো ৫ লাখ ৪০ হাজার৷ এ সময়ই ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর ইহুদি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ইঙ্গ-মার্কিন চাপে জাতিসংঘে ভোট গ্রহণ হয় তাতে ৩৩টি রাষ্ট্র পক্ষে, ১৩টি বিরুদ্ধে এবং ১০টি ভোট দানে বিরত থাকে৷ প্রস্তাব অনুযায়ী মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ হয়েও ইহুদিরা পেল ভূমির ৫৭% আর ফিলিস্তিনীরা পেল ৪৩% তবে প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্রটির উত্তর-পশ্চিম সীমানা ছিল অনির্ধারিত ফলে ভবিষ্যতে ইহুদিরা সীমানা বাড়াতে পারে৷ ফলে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠা চূড়ান্ত হলেও উপেক্ষিত থেকে যায় ফিলিস্তিন। জাতিসংঘের মাধ্যমে পাস হয়ে যায় একটি অবৈধ ও অযৌক্তিক প্রস্তাব৷ প্রহসনের নাটকে জিতে গিয়ে ইহুদিরা হয়ে ওঠে আরো হিংস্র৷ তারা হত্যা সন্ত্রাসের পাশাপাশি ফিলিস্তিনদের উচ্ছেদ করার উদ্দেশে রাতে তাদের ফোন লাইন, বিদ্যুৎ লাইন কাটা, বাড়িঘরে হ্যান্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ, জোর করে জমি দখল এবং বিভিন্নভাবে নারী নির্যাতন করে মৃত্যু বিভীষিকা সৃষ্টি করতে লাগলো৷ ফলে লাখ লাখ আরব ত্যাগ করতে দেশ বাধ্য হলো ৷ এরপরই ১৯৪৮ সালের ১২ মে রাত ১২টা এক মিনিটে ইসরায়েল রাষ্ট্র ঘোষণা করলো ইহুদিরা ৷ ১০ মিনিটের ভেতর যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিল, অতঃপর সোভিয়েত ইউনিয়ন-বৃটেন স্বীকৃতি দিল [১৮]

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশের নাম

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া দেশসমূহের মানচিত্র
ইউনেস্কো সদস্যপদের ভোটদানের ফলাফল:   পক্ষপাতী   বিরুদ্ধে   নিবৃত্তি   অনুপস্থিত   ভোট দিতে সদস্য নন / অযোগ্য

গ্যালারি

পাদটীকা

i.   ^ Note that the name Palestine can commonly be interpreted as the entire territory of the former British Mandate, which today also incorporates Israel. The history was expressed by Mahmoud Abbas in his September 2011 speech to the United Nations: "... we agreed to establish the State of Palestine on only 22% of the territory of historical Palestine - on all the Palestinian Territory occupied by Israel in 1967."[১৯] The name is also officially used as the short-form reference to the State of Palestine[২০] and this should be distinguished from other homonymous uses for the term including the Palestinian Authority,[১১] the Palestine Liberation Organization,[২১] and the subject of otherproposals for the establishment of a Palestinian state.
ii.   ^ The Palestinian Declaration of Independence proclaims the "establishment of the State of Palestine on our Palestinian territory with its capital Jerusalem (Al-Quds Ash-Sharif)."[৩] The same decision was taken also by the PLC in May 2002 when it approved the PNA Basic Law, which states unambiguously "Jerusalem is the Capital of Palestine".[২২] Ramallah is the administrative capital where government institutions and foreign representative offices are located. Jerusalem's final status awaits future negotiations between Israel and the Palestinian Authority (see "Negotiating Jerusalem", University of Maryland). The United Nations and most countries do not accept Israel's annexation of East Jerusalem through the Jerusalem Law of 1980 (see Kellerman 1993, পৃ. 140) and maintain their embassies to Israel in Tel Aviv (see the The World Factbook. Central Intelligence Agency).
iii.   ^ Israel allows the PNA to execute some functions in the Palestinian territories, depending on the area classification. It maintains minimal interference (retaining control of borders: air,[২৩] sea beyond internal waters,[২৩][২৪] land[২৫]) in the Gaza Strip, and varying degrees of interference elsewhere.[২৬][২৭][২৮][২৯][৩০] See also Israeli-occupied territories.

তথ্যসূত্র

  1. "Palestinian National Authority"World Statesmen.org। Ben Cahoon। ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৪ 
  2. "Palestine"nationalanthems.info। ৩১ মার্চ ২০১৪ তারিখে মূল (includes audio) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৪ 
  3. "Declaration of Independence (1988) (UN Doc)"State of Palestine Permanent Observer Mission to the United Nations। United Nations। ১৮ নভেম্বর ১৯৮৮। ৮ জুন ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জুন ২০১৪ 
  4. "The World Factbook: Middle East: West Bank"cia.gov। Central Intelligence Agency। ২৬শে অক্টোবর, ২০১৬। ৬ মে ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ 8 June 2014  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  5. "GINI Index: State of Palestine"UNData। ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ২৬শে অক্টোবর, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  6. "2013 Human Development Report"। United Nations Development Programme। 2013। সংগ্রহের তারিখ ২৬শে অক্টোবর, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  7. "2015 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। 2015। সংগ্রহের তারিখ ২৬শে অক্টোবর, ২০১৬  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |সংগ্রহের-তারিখ= (সাহায্য)
  8. According to Article 4 of the 1994 Paris Protocol. The Protocol allows the Palestinian Authority to adopt multiple currencies. In the West Bank, the Israeli new sheqel and Jordanian dinar are widely accepted; while in the Gaza Strip, the Israeli new sheqel and Egyptian pound are widely accepted.
  9. "PCBS: On the Eve of the International Day of Refugees (20/06/2013). ..."Palestinian Central Bureau of Statistics। State of Palestine। ২৬শে অক্টোবর, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ 8 June 2014  এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন: |তারিখ= (সাহায্য)
  10. Bissio, 1995, p. 433.
  11. Baroud, Ramzy (২০০৪)। Kogan Page, সম্পাদক। Middle East Review (27th সংস্করণ)। London: Kogan Page। পৃষ্ঠা 161। আইএসবিএন 978-0-749-44066-4 
  12. Bercovitch and Zartman, 2008, 43 (via Google Books).
  13. Staff (২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Palestinians 'May Declare State'"BBC News। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৭But another negotiator and senior official, Saeb Erekat, disagreed arguing that the Palestine Liberation Organisation had already declared independence in 1988. 'Now we need real independence, not a declaration. We need real independence by ending the occupation. We are not Kosovo. We are under Israeli occupation and for independence we need to acquire independence', Mr Erekat said. 
  14. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Bissiop433 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  15. al Madfai, Madiha Rashid (১৯৯৩)। Jordan, the United States and the Middle East Peace Process, 1974–1991। Cambridge Middle East Library। 28। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 21। আইএসবিএন 978-0-521-41523-1 
  16. UN General Assembly (২২ নভেম্বর ১৯৭৪)। "UN General Assembly Resolution 3237"UN General Assembly (via The Jerusalem Fund)। ২০১১-১১-১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৯ 
  17. Geldenhuys, Deon (১৯৯০)। Isolated States: A Comparative Analysis। Cambridge Studies in International Relations। 15। Cambridge: Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 155। আইএসবিএন 978-0-521-40268-2 
  18. দৈনিক যায়যায়দিন, ২৯ নভেম্বর, ফোকাস পাতা
  19. Abbas speech transcript
  20. Bissio, Robert Remo, সম্পাদক (১৯৯৫)। The World: A Third World Guide 1995–96। Montevideo: Instituto del Tercer Mundo। পৃষ্ঠা 443। আইএসবিএন 978-0-85598-291-1 
  21. UN General Assembly (৯ ডিসেম্বর ১৯৮৮)। "United Nations General Assembly Resolution 43/177"UN Information System on the Question of Palestine। ২০১১-১১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৯ 
  22. "2002 Basic Law"। The Palestinian Basic Law। ২০১০-০৩-১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৮-০২ 
  23. control of the airspace and the territorial waters of the Gaza Strip.
  24. Map of Gaza fishing limits, "security zones".
  25. Disengagement Plan: Renewing the Peace Process: "Israel will guard the perimeter of the Gaza Strip, continue to control Gaza air space, and continue to patrol the sea off the Gaza coast. ... Israel will continue to maintain its essential military presence to prevent arms smuggling along the border between the Gaza Strip and Egypt (Philadelphi Route), until the security situation and cooperation with Egypt permit an alternative security arrangement."
  26. "Israel: 'Disengagement' Will Not End Gaza Occupation"Human Rights Watch। ২৯ অক্টোবর ২০০৪। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১৬ 
  27. Gold, Dore; Institute for Contemporary Affairs (২৬ আগস্ট ২০০৫)। "Legal Acrobatics: The Palestinian Claim that Gaza Is Still 'Occupied' Even After Israel Withdraws"Jerusalem Issue BriefJerusalem Center for Public Affairs5 (3)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১৬ 
  28. Bell, Abraham (২৮ জানুয়ারি ২০০৮)। "International Law and Gaza: The Assault on Israel's Right to Self-Defense"Jerusalem Issue BriefJerusalem Center for Public Affairs7 (29)। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-১৬ 
  29. Transcript (২২ জানুয়ারি ২০০৮)। "Address by FM Livni to the 8th Herzliya Conference"Israeli Ministry of Foreign Affairs। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৬ 
  30. Salih, Zak M. (১৭ নভেম্বর ২০০৫)। "Panelists Disagree Over Gaza's Occupation Status"University of Virginia School of Law। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-২৬ 

বহিঃসংযোগ