জঙ্গল সাঁওতাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
চিত্র |
সংশোধন |
||
১৯ নং লাইন: | ১৯ নং লাইন: | ||
}} |
}} |
||
{{ভারতে সাম্যবাদ}} |
{{ভারতে সাম্যবাদ}} |
||
'''জঙ্গল সাঁওতাল''' (জন্ম ১৯২৬ - মৃত্যু |
'''জঙ্গল সাঁওতাল''' (জন্ম ১৯২৬ - মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮)<ref name=ie1>{{সংবাদ উদ্ধৃতি|শেষাংশ=Debroy|প্রথমাংশ=Bibek|শিরোনাম=The last of the three|ইউআরএল=http://www.indianexpress.com/news/the-last-of-the-three/595405/0|সংগ্রহের-তারিখ=3 October 2013|সংবাদপত্র=Indian Express|তারিখ=25 March 2010}}</ref> ছিলেন [[নকশাল আন্দোলন]]-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।<ref name=outlook>{{ওয়েব উদ্ধৃতি |শিরোনাম=সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি |ইউআরএল=http://www.outlookindia.com/article.aspx?210639 |সংগ্রহের-তারিখ=২৬ জানুয়ারি ২০১৭ |আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20131005015929/http://www.outlookindia.com/article.aspx?210639 |আর্কাইভের-তারিখ=৫ অক্টোবর ২০১৩ |অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ }}</ref> তিনি [[চারু মজুমদার]] এবং [[কানু সান্যাল]]-এর সাথে নকশাল আন্দোলন আরম্ভ করেন। |
||
==জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন== |
==জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন== |
০৬:১৮, ১ এপ্রিল ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
জঙ্গল সাঁওতাল | |
---|---|
জন্ম | ১৯২৫ |
মৃত্যু | ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ |
পরিচিতির কারণ | নকশাল আন্দোলন |
রাজনৈতিক দল | ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী) ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী-লেনিনবাদী) |
জঙ্গল সাঁওতাল (জন্ম ১৯২৬ - মৃত্যু ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮)[১] ছিলেন নকশাল আন্দোলন-এর প্রতিষ্ঠাতাদের একজন।[২] তিনি চারু মজুমদার এবং কানু সান্যাল-এর সাথে নকশাল আন্দোলন আরম্ভ করেন।
জন্ম ও প্রারম্ভিক জীবন
জঙ্গল সাঁওতাল দার্জিলিং জেলার হাতিঘেঁষায় জন্মেছিলেন। তিনি নেপালে বিয়ে করে সেখানেই বাস করতে থাকেন। ১৯৪৯ সালে সেদেশে রানাশাহীর বিরুদ্ধে নেপালি কংগ্রেস ও নেপালি কমিউনিস্ট সংগঠনের মিলিত সশস্ত্র গনসংগ্রামে যোগদান করেন। এই আন্দোলন ব্যার্থ হয় এবং তীব্র দমনপীড়ন চলতে থাকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি পশ্চিমবঙ্গের নকশালবাড়ী ফিরে আসেন সপরিবারে।
কর্মজীবন
১৯৫২ সসালে কৃষকসভার একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে গ্রামে গ্রামে কাজ করতেন। ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ লাভ করেন ১৯৫৩ সালে। তার সাহস, নিষ্ঠা, পার্টির প্রতি বিশ্বস্ততা তাকে মেহনতি মানুষের নিকটজন করে তোলে। তথাকতিত প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না পেলেও তিনি তার বিপুল অভিজ্ঞান দিয়ে নিজেকে উত্তরবঙ্গ কৃষক আন্দোলনের অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন। জঙ্গল দার্জিলিং জেলার সাঁওতাল জাতি অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে একজন সুসম্মানিত ব্যক্তিত্ব হয়ে ওঠেন এবং সিপিএমের টিকিটে ফেব্রুয়ারি ১৯৬৭তে নির্বাচনে দাঁড়িয়েছিলেন কিন্তু নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন।
নকশাল আন্দোলনের উদ্ভব
১৮ মে ১৯৬৭ তারিখে, জঙ্গল সাঁওতাল কৃষক পরিষদের সদস্য ছিলেন। কৃষক পরিষদ তখন বর্গাচাষিদের মাঝে জমি সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পুনরায় বিতরণ করার সিদ্ধান্তে অংশ নিচ্ছিল। ২৩ মে, এক ভাগচাষি যখন তার বরাদ্দকৃত জমি চাষ করার প্রয়াস চালায়, সেই কৃষককে জমিদারের লাঠিয়ালরা আক্রমণ করে পেটায়।[২] পরের দিন, যখন পরিদর্শক সোনম ওয়াংডির নেতৃত্বে একদল পুলিশ কিছু কৃষক নেতাদের গ্রেফতার করতে আসে তখন জঙ্গল সাঁওতাল গোষ্ঠীর তীর ও ধনুকের মাধ্যমে অতর্কিত আক্রমণ করেন। এতে সোনম ওয়াংডি মারা যায় এবং সহিংস নকশাল আন্দোলন আরম্ভ হয়। নবগঠিত কমিউনিস্ট পার্টি (মার্ক্সবাদী -লেনিনবাদী) গঠিত হলে জংগল সাঁওতাল তাতে যোগ দেন। যদিও পার্টির গৃহীত খতম লাইনে মতবিরোধ দেখা দেয় তার সাথে। চা শ্রমিক আন্দোলনে ছিলেন। পশ্চিম দিনাজপুর এলাকায় বীরেন কিসকু ছদ্মনামে কাজ করতেন কৃষকদের মধ্যে। এসময় পুলিশ তাকে জংগল সাঁওতাল বলে চিনে ফেলে ও তার সাত বছর কারাবাস হয়।
শেষ জীবন
জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর ক্রমশ সক্রিয় রাজনীতি থেকে সরে আসেন হতাশ জংগল সাঁওতাল। ৩ ডিসেম্বর, ১৯৮৮ সালে মারা যান তিনি।
তথ্যসূত্র
- ↑ Debroy, Bibek (২৫ মার্চ ২০১০)। "The last of the three"। Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ৩ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ ক খ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৫ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৬ জানুয়ারি ২০১৭।