আবুল খায়ের: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
আফতাব বট (আলোচনা | অবদান)
যোগ
ট্যাগ: পুনর্বহালকৃত
৩৮ নং লাইন: ৩৮ নং লাইন:
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:খায়ের, আবুল (বুদ্ধিজীবী)}}
{{পূর্বনির্ধারিতবাছাই:খায়ের, আবুল (বুদ্ধিজীবী)}}
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ মৃত্যু]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ শহীদ বুদ্ধিজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:১৯৭১-এ শহিদ বুদ্ধিজীবী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]
[[বিষয়শ্রেণী:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী]]

১৫:০৬, ২৫ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

আবুল খায়ের
জন্ম১ এপ্রিল, ১৯২৯
মৃত্যু১৪ ডিসেম্বর, ১৯৭১
পেশাশিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ব পাকিস্তান (১৯৭১ সালের পূর্বে)
 বাংলাদেশ

ড. আবুল খায়ের (১ এপ্রিল ১৯২৯ - ১৪ ডিসেম্বর ১৯৭১)[১] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক সহকারী অধ্যাপক এবং একাত্তরের শহীদ বুদ্ধিজীবী।[২] ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষ লগ্নে পাকিস্তান সেনাবাহিনী, রাজাকার ও আল-বদর বাহিনীর বুদ্ধিজীবী হত্যাকান্ডের অংশ হিসাবে তিনি অপহৃত ও পরে শহীদ হন।[৩] বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকা ফুলার রোডের ৩৫/বি নম্বর বাসা থেকে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তাকে অপহরণ করা হয়।

৩রা নভেম্বর, ২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, চৌধুরী মুঈনুদ্দীন এবং আশরাফুজ্জামান খান কে ১৯৭১ সালের ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে আবুল খায়ের সহ ১৮ জন বুদ্ধিজীবীকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২।[৩] [৪]

জন্ম ও শিক্ষাজীবন

মো. আবুল খায়েরের জন্ম পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার কাঁঠালিয়া গ্রামে, ১ এপ্রিল ১৯২৯। বাবা আবদুর রাশেদ, মা সৈয়দা ফখরুননেছা। পিরোজপুর সরকারি স্কুল থেকে ১৯৪৫-এ প্রথম বিভাগে প্রবেশিকা পাস করে কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৪৭-এ প্রথম বিভাগে আইএ পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখান থেকে ১৯৫০ সালে ইতিহাসে অনার্স (দ্বিতীয় শ্রেণিতে তৃতীয়) এবং ১৯৫১ সালে এমএ পাস করেন। ১৯৫৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে এমএ এবং ১৯৬২ সালে আমেরিকান ইতিহাসে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন।

কর্মজীবন

ডঃ খায়ের ১৯৫৫ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-এ লেকচারার হিসেবে যোগ দেন। তার শিক্ষকতা জীবন শুরু হয় বরিশালের চাখার ফজলুল হক কলেজে। ১৯৫৩-৫৪ পর্যন্ত এই কলেজে শিক্ষকতা করে ঢাকার জগন্নাথ কলেজে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক নিযুক্ত হন। পরে রিডার (বর্তমানে সহযোগী অধ্যাপক) পদে উন্নীত হন।

পরিবার

মো. আবুল খায়েরের স্ত্রী সাঈদা বেগম। তার তিন ছেলে ও এক মেয়ে। ছেলে রিয়াজুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম ও রাশেদুল ইসলাম। মেয়ে হোমায়রা ইয়াসমীন।

মৃত্যু

১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর সকালে নিজ বাসভবন থেকে স্বাধীনতা বিরোধী রাজাকার, আলবদর বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর মিরপুর বধ্যভূমিতে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে তাকে সমাহিত করা হয়। [১]

চিত্রশালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে আবুল খায়েরের কবর

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাপিডিয়া
  2. বুদ্ধিজীবী হত্যার ৪২ বছর পরে ন্যায়বিচার ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ মে ২০১৪ তারিখে, অশোকেশ রায়, বাংলানিউজটুয়েন্টিফোর।কম, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।
  3. বুদ্ধিজীবী হত্যার সাজা ফাঁসি, প্রথম আলো দৈনিক পত্রিকা, লেখকঃ কুন্তল রায় ও মোছাব্বের হোসেন, ৪ঠা নভেম্বর, ২০১৩।
  4. মুঈনুদ্দীন ও আশরাফুজ্জামান খানের মৃত্যুদণ্ড, আকবর হোসেন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩রা নভেম্বর, ২০১৩।