তরল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
LeroLord (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন, সম্প্রসারণ, পরিষ্কারকরণ
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
[[চিত্র:Water drop 001.jpg|thumb|300px|তরল পানির [[Drop (liquid)|গোলাকার অতিক্ষুদ্র-কণা]] [[ভূপৃষ্ঠ]] এলাকাকে সংকুচিত করছে, যা তরলের উপর [[surface tension|পৃষ্ঠ টানের]] স্বাভাবিক ফল।]]
[[চিত্র:Water drop 001.jpg|thumb|300px|তরল পানির [[Drop (liquid)|গোলাকার অতিক্ষুদ্র-কণা]] [[ভূপৃষ্ঠ]] এলাকাকে সংকুচিত করছে, যা তরলের উপর [[surface tension|পৃষ্ঠ টানের]] স্বাভাবিক ফল।]]


'''তরল''' হল পদার্থের তিন অবস্থার একটি অবস্থা। (অন্য তিনটি অবস্থা হল [[কঠিন]], [[প্লাজমা]], ও [[গ্যাস|বায়বীয়]] অবস্থা)। এবং এটি হল [[পদার্থ|পদার্থের]] একমাত্র অবস্থা যার নির্দিষ্ট [[আয়তন]] আছে, কিন্তু কোন নির্দিষ্ট আকার নেই। এটি তৈরী হয় অনবরত কম্পনশীল অণুর মাধ্যমে। এতে অণুগুলো [[আন্তঃআণবিক বন্ধন|আন্তঃআণবিক বন্ধনের]] মাধ্যমে পরস্পরের কাছাকাছি থাকে। তরলের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হল [[জল]]। তরল [[গ্যাস|গ্যাসের]] মত প্রবাহিত হতে পারে, এবং যে পাত্রে রাখা হয়, তার আকার ধারণ করতে পারে। অধিকাংশ তরলই সংকুচিত হতে চায় না, তবে কিছু কিছু তরল সংকুচিত হয়। তরল [[গ্যাস|গ্যাসের]] মত পুরো পাত্র দখলের চেষ্টা করেনা। এটি একটি সাধারণ [[আয়তন|আয়তনে]] থাকে। তরল প্রবাহিত হতে পারে বলে একে প্রবাহী পদার্থ বা ফ্লুয়িড বলে। তরল ও [[গ্যাস|গ্যাসকে]] একত্রে বলা হয় প্রবাহী
'''তরল''' হল [[পদার্থ|পদার্থের]] চারটি অবস্থার একটি অবস্থা। অন্য তিনটি অবস্থা হল [[কঠিন পদার্থ|কঠিন]], [[প্লাজমা]], ও [[বাষ্প|বায়বীয়]] অবস্থা। এটি হল পদার্থের একমাত্র অবস্থা যার নির্দিষ্ট আয়তন আছে, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই। তরলের মধ্যে থাকা অণুগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। তরলের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হল [[পানি]]।


তরল গ্যাসের মতো প্রবাহিত হতে পারে। তাই তরল প্রবাহী পদার্থ বা [[প্রবাহী|ফ্লুইড]]। তরল ধারকের আকৃতি ধারণ করতে পারে এবং ধারক সিলবদ্ধ হলে তরলটি ধারকটির প্রতিটি পৃষ্ঠে একইভাবে চাপ প্রয়োগ করবে।
তরলের [[ঘনত্ব]] [[কঠিন|কঠিনের]] চেয়ে কম, কিন্তু [[গ্যাস|বায়বীয় পদার্থের]] চেয়ে বেশি।

তরল কণা দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে তবে কঠোরভাবে নয়। তারা একে অপরের পাশে স্বাধীনভাবে ঘুরতে সক্ষম হয়, যার ফলে সীমিত মাত্রায় কণার গতিশীলতা থাকে। তাপমাত্রা বাড়লে সাথে অণুগুলির মধ্যে কম্পন বৃদ্ধি পায় যার ফলে অণুগুলোর মধ্যকার দূরত্ব বাড়তে থাকে। যখন একটি তরল তার স্ফুটনাঙ্ক পৌঁছায়, তখন তার আন্তঃআণবিক গঠন ভেঙ্গে তা বায়বীয় পদার্থে পরিণত হয়। আর যদি তাপমাত্রা হ্রাস পায় তবে অণুগুলির মধ্যে দূরত্ব আরও ছোট হয়ে আসে। তরল যখন তার হিমাঙ্ক পৌঁছায়, তখন তার অণুগুলি সাধারণত খুব নির্দিষ্ট ক্রমে লক হয়ে যায়, যাকে ক্রিস্টালাইজিং বলা হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধনগুলি আরও দৃঢ় হয়ে যায়, ফলে তরলটি কঠিনে পরিণত হয়।


== তথ্যসূত্র ==
== তথ্যসূত্র ==

১৬:৫৮, ৭ মার্চ ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

তরল পানির গোলাকার অতিক্ষুদ্র-কণা ভূপৃষ্ঠ এলাকাকে সংকুচিত করছে, যা তরলের উপর পৃষ্ঠ টানের স্বাভাবিক ফল।

তরল হল পদার্থের চারটি অবস্থার একটি অবস্থা। অন্য তিনটি অবস্থা হল কঠিন, প্লাজমা, ও বায়বীয় অবস্থা। এটি হল পদার্থের একমাত্র অবস্থা যার নির্দিষ্ট আয়তন আছে, কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট আকার নেই। তরলের মধ্যে থাকা অণুগুলো স্বাধীনভাবে চলাচল করতে পারে। তরলের সবচেয়ে সাধারণ উদাহরণ হল পানি

তরল গ্যাসের মতো প্রবাহিত হতে পারে। তাই তরল প্রবাহী পদার্থ বা ফ্লুইড। তরল ধারকের আকৃতি ধারণ করতে পারে এবং ধারক সিলবদ্ধ হলে তরলটি ধারকটির প্রতিটি পৃষ্ঠে একইভাবে চাপ প্রয়োগ করবে।

তরল কণা দৃঢ়ভাবে আবদ্ধ থাকে তবে কঠোরভাবে নয়। তারা একে অপরের পাশে স্বাধীনভাবে ঘুরতে সক্ষম হয়, যার ফলে সীমিত মাত্রায় কণার গতিশীলতা থাকে। তাপমাত্রা বাড়লে সাথে অণুগুলির মধ্যে কম্পন বৃদ্ধি পায় যার ফলে অণুগুলোর মধ্যকার দূরত্ব বাড়তে থাকে। যখন একটি তরল তার স্ফুটনাঙ্ক পৌঁছায়, তখন তার আন্তঃআণবিক গঠন ভেঙ্গে তা বায়বীয় পদার্থে পরিণত হয়। আর যদি তাপমাত্রা হ্রাস পায় তবে অণুগুলির মধ্যে দূরত্ব আরও ছোট হয়ে আসে। তরল যখন তার হিমাঙ্ক পৌঁছায়, তখন তার অণুগুলি সাধারণত খুব নির্দিষ্ট ক্রমে লক হয়ে যায়, যাকে ক্রিস্টালাইজিং বলা হয় এবং তাদের মধ্যে বন্ধনগুলি আরও দৃঢ় হয়ে যায়, ফলে তরলটি কঠিনে পরিণত হয়।

তথ্যসূত্র

বহিঃসংযোগ