পদ্মা সেতু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৬′৪৬″ উত্তর ৯০°১৫′৪৪″ পূর্ব / ২৩.৪৪৬০° উত্তর ৯০.২৬২৩° পূর্ব / 23.4460; 90.2623
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Emdad Tafsir (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ যুক্ত করা হয়েছে
ট্যাগ: দৃশ্যমান সম্পাদনা মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
RockyMasum (আলোচনা | অবদান)
১০৮ নং লাইন: ১০৮ নং লাইন:
Padma Bridge 17.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 17.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 13.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 13.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 09.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
4.পদ্মা সেতু.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 03.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
Padma Bridge 03.jpg|নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু
</gallery>
</gallery>

০৫:২১, ২৯ জানুয়ারি ২০২১ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পদ্মা সেতু
নির্মাণাধীন পদ্মা বহুমুখী সেতুর প্রস্থচ্ছেদ
স্থানাঙ্ক২৩°২৬′৪৬″ উত্তর ৯০°১৫′৪৪″ পূর্ব / ২৩.৪৪৬০° উত্তর ৯০.২৬২৩° পূর্ব / 23.4460; 90.2623
বহন করেযানবাহন, ট্রেন
অতিক্রম করেপদ্মা নদী
স্থানমুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরিয়তপুরমাদারীপুর
দাপ্তরিক নামপদ্মা বহুমুখী সেতু
রক্ষণাবেক্ষকবাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ
বৈশিষ্ট্য
নকশাএ.ই.সি.ও.এম
উপাদানকংক্রিট, স্টিল
মোট দৈর্ঘ্য৬.১৫ কিলোমিটার (২০,২০০ ফুট)
প্রস্থ১৮.১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট)
ইতিহাস
নকশাকারAECOM
নির্মাণকারীচায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিঃ
নির্মাণ শুরু৭ ডিসেম্বর, ২০১৪
নির্মাণ শেষ২০২২ (আনুমানিক)[১]
চালুএপ্রিল ২০২২ (আনুমানিক)
অবস্থান
মানচিত্র

পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর উপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সিগঞ্জের লৌহজংয়ের সাথে শরিয়তপুরমাদারীপুর জেলা যুক্ত হবে, ফলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সাথে উত্তর-পূর্ব অংশের সংযোগ ঘটবে। বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের জন্য পদ্মা সেতু হতে যাচ্ছে এর ইতিহাসের একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং নির্মাণ প্রকল্প। দুই স্তর বিশিষ্ট স্টিল ও কংক্রিট নির্মিত ট্রাস ব্রিজটির ওপরের স্তরে থাকবে চার লেনের সড়ক পথ এবং নিচের স্তরটিতে থাকবে একটি একক রেলপথ। পদ্মা-ব্রহ্মপুত্র-মেঘনা নদীর অববাহিকায় ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের ৪১টি স্পান ইতিমধ্যে বসানো সম্পন্ন হয়েছে, ৬.১৫০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এবং ১৮.১০ মিটার প্রস্থ পরিকল্পনায় নির্মিত হচ্ছে দেশটির সবচেয়ে বড় সেতু।[৩] পদ্মা সেতু নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি জানিয়েছে, পদ্মা সেতু যান চলাচলের উপযোগী হতে ২০২২ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত লেগে যাবে।[৪]

নির্মাণের ইতিহাস

২০১৬-১৭ সালে প্রকল্প প্রস্তুতির সাথে যুক্ত কিছু লোকের দুর্নীতির অভিযোগ উঠায় বিশ্বব্যাংক তার প্রতিশ্রুতি প্রত্যাহার করে নেয় এবং অন্যান্য দাতারা সেটি অনুসরণ করে। এই ঘটনায় তৎকালীন যোগাযোগমন্ত্রী সৈয়দ আবুল হোসেনকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয় ও সচিব মোশারেফ হোসেন ভূইয়াকে জেলেও যেতে হয়েছিল। পরবর্তীতে এমন কোনও অভিযোগ প্রমাণ না পাওয়ায় কানাডিয়ান আদালত মামলাটি বাতিল করে দেয়। দুর্নীতির অভিযোগ পরবর্তীতে আদালতে খন্ডিত হয়। বর্তমানে প্রকল্পটি বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব সম্পদ থেকে অর্থায়ন করা হচ্ছে।[৫] AECOM এর নকশায় পদ্মা নদীর উপর বহুমুখী আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্প 'পদ্মা বহুমুখী সেতুর' নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা ছিল ২০১১ সালে। শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৩ সালে। মূল প্রকল্পের পরিকল্পনা করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৭ সালের ২৮ আগস্ট। সে সময় ১০ হাজার ১৬১ কোটি টাকার বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প পাস করা হয়। পরে আওয়ামী লীগ সরকার এসে রেলপথ সংযুক্ত করে ২০১১ সালের ১১ জানুয়ারি প্রথম দফায় সেতুর ব্যয় সংশোধন করে। তখন এর ব্যয় ধরা হয়েছিল ২০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর ব্যয় আরও আট হাজার কোটি টাকা বাড়ানো হয়। ফলে পদ্মা সেতুর ব্যয় দাঁড়িয়েছে সব মিলিয়ে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।[৬] বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বাসেক) ২০১০ সালের এপ্রিলে প্রকল্পের জন্য প্রাক যোগ্যতা দরপত্র আহবান করে। প্রথম পরিকল্পনা অনুসারে, ২০১১ সালের শুরুর দিকে সেতুর নির্মাণ কাজ আরম্ভ হওয়ার কথা ছিল[৭] এবং ২০১৩ সালের মধ্যে প্রধান কাজগুলো শেষ হওয়ার কথা ছিল।[৮] প্রকল্পটি তিনটি জেলাকে অন্তর্ভুক্ত করবে- মুন্সীগঞ্জ (মাওয়া পয়েন্ট/উত্তর পাড়), শরীয়তপুর এবং মাদারীপুর (জঞ্জিরা/দক্ষিণ পাড়)। এটির জন্য প্রয়োজনীয় এবং অধিগ্রহণকৃত মোট জমির পরিমাণ ৯১৮ হেক্টর।

প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি

বাংলাদেশের প্রথম বৃহৎ সেতু প্রকল্প যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল তৈরি করা হয়। অধ্যাপক জামিলুর রেজা চৌধুরীকে ১১ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সভাপতি নিযুক্ত করা হয়। এ প্যানেল সেতুর নকশা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন পর্যায়ে প্রকল্প কর্মকর্তা, নকশা পরামর্শক ও উন্নয়ন সহযোগীদের বিশেষজ্ঞ পরামর্শ প্রদান করে। [৯]

কর্মপরিকল্পনা

পদ্মা সেতুর ভৌত কাজকে মূলত পাঁচটি প্যাকেজে ভাগ করা হয়েছে যথা— মূল সেতু, নদী শাসন, জাজিরা অ্যাপ্রোচ রোড, টোল প্লাজা ইত্যাদি। মাওয়া অ্যাপ্রোচ রোড, টোল প্লাজা ইত্যাদি এবং মাওয়া ও জাজিরা সার্ভিস এরিয়া। প্রকল্পে নিয়োজিত নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘মনসেল-এইকম’ ভৌত কাজের ঠিকাদার নিয়োগের প্রিকোয়ালিফিকেশন বিড ডকুমেন্ট প্রস্তুত, টেন্ডার আহ্বানের পর টেন্ডার ডকুমেন্ট মূল্যায়ন, টেন্ডার কমিটিকে সহায়তাসহ এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেল নকশা পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের কাজ তদারক করত। ভৌত কাজের বিভিন্ন প্যাকেজের জন্য দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি গঠন করা হয়েছিল। পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের পরিচালক ছিলেন কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সভাপতি।

নদীশাসন

প্রথম দিকে পদ্মা নদীর তলদেশের মাটি খুঁজে পেতে বেগ পেতে হয় সেতু নির্মাণকারী প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। তলদেশে স্বাভাবিক মাটি পাওয়ার যায়নি। সেতুর পাইলিং কাজ শুরুর পরে সমস্যা দেখা যায়। প্রকৌশলীরা নদীর তলদেশে কৃত্রিম প্রক্রিয়ায় মাটি বদলে নতুন মাটি তৈরি করে পিলার গাঁথার চেষ্টা করে। স্ক্রিন গ্রাউটিং নামের এই পদ্ধতিতেই বসানো হয় পদ্মাসেতু। এরকম পদ্ধতির ব্যবহারের নমুনা বিশ্বে তেমন একটা নেই। এ প্রক্রিয়ায় ওপর থেকে পাইপের ছিদ্র দিয়ে কেমিক্যাল নদীর তলদেশে পাঠিয়ে মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর ওই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই। এ পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়।  পাইপের ভেতর দিয়ে এক ধরনের কেমিক্যাল পাঠিয়ে দেওয়া হয় নদীর তলদেশের মাটিতে। কেমিক্যালের প্রভাবে তখন তলদেশের সেই মাটি শক্ত রূপ ধারণ করে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না।[১০]

নকশা

পদ্মা বহুমুখী সেতুর সম্পূর্ণ নকশা এইসিওএমের নেতৃত্বে আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পরামর্শকদের নিয়ে গঠিত একটি দল তৈরি করে। পদ্মা সেতু সম্পূর্ণ বাংলাদেশের অর্থায়নে তৈরি হয়েছে।

নির্মাণব্যয়

পদ্মা সেতু নির্মাণে মোট খরচ করা হচ্ছে ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। এসব খরচের মধ্যে রয়েছে সেতুর অবকাঠামো তৈরি, নদী শাসন, সংযোগ সড়ক, ভূমি অধিগ্রহণ, পুনর্বাসন ও পরিবেশ, বেতন-ভাতা ইত্যাদি। বাংলাদেশের অর্থ বিভাগের সঙ্গে সেতু বিভাগের চুক্তি অনুযায়ী, সেতু নির্মাণে ২৯ হাজার ৮৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে সরকার। ১ শতাংশ সুদ হারে ৩৫ বছরের মধ্যে সেটি পরিশোধ করবে সেতু কর্তৃপক্ষ।[১১]

নির্মাণের সময়ক্রম

২০১৭
  • ৩০ সেপ্টেম্বর দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর পদ্মা সেতুতে পিলারের ওপর বসানো হয় প্রথম স্প্যান। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৭ ও ৩৮ নম্বর পিলারের ওপর ভাসমান ক্রেনের সাহায্যে এই স্প্যান বসানো হয়।  [১২]
  • ১১ মার্চ ৩৯ ও ৪০ নম্বর পিয়ারের ওপর বসে তৃতীয় স্প্যান।
  • ১৩ মে ৪০ ও ৪১ নম্বর পিয়ারের ওপর চতুর্থ স্প্যান বসানো হয়।
  • ২৯ জুন সেতুর পঞ্চম স্প্যান বসানো হয়েছে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার নাওডোবা এলাকায়।
২০১৮
  • জানুয়ারি মাসে জাজিরা প্রান্তের তীরের দিকের ষষ্ঠ শেষ স্প্যান বসে।
  • ২৮ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর ৩৮ ও ৩৯ নম্বর পিলারের ওপর দ্বিতীয় স্প্যান ৭বি সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়। প্রথম স্প্যান বসানোর প্রায় চার মাস পর জাজিরার নাওডোবা প্রান্তে তিন হাজার ১৫০ টন ধারণ ক্ষমতার এ স্প্যান বসানো হয়।
  • মাওয়া প্রান্তে ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারের ওপর বসে সপ্তম স্প্যান।
২০১৯
  • ২০ ফেব্রুয়ারি জাজিরা প্রান্তে ৩৬ ও ৩৫ নম্বর পিয়ারের ওপর অষ্টম স্প্যান বসানো হয়।
  • ২২ মার্চ সেতুর ৩৫ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর বসে নবম স্প্যানটি।
  • ১০ এপ্রিল মাওয়া প্রান্তে ১৩ ও ১৪ নম্বর পিয়ারের ওপর দশম স্প্যান।
  • ২৩ এপ্রিল শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৩৩ ও ৩৪ নম্বর পিয়ারের ওপর ১১তম স্প্যান বসে।
  • ১৭ মে মাওয়া ও জাজিরা প্রান্তের মাঝামাঝি স্থানে ২০ ও ২১ নম্বর পিয়ারের ওপর ১২তম স্প্যান বসানো হয়েছিল।
  • ২৫ মে ১৪ ও ১৫ নম্বর পিয়ারের ওপর ১৩তম স্প্যান ৩বি বসানো হয়।
  • ২৯ জুন ১৪তম স্প্যান বসানো হয়।
  • ২২ অক্টোবর জাজিরা প্রান্তে ২৪ ও ২৫ নম্বর পিয়ারের ওপর পদ্মা সেতুর ১৫তম স্প্যান বসানো হয়েছিল।
  • ২৭ নভেম্বর মাওয়া প্রান্তে ১৬ ও ১৭ নম্বর পিয়ারের ওপর ১৬তম স্পানটি বসানো হয়।
  • ২০১৯ সালেল ৫ ডিসেম্বর পিয়ার ২২ ও ২৩–এর ওপর মূল সেতুর ১৭তম স্প্যানটি বসানো হয়।
  • ১১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১৮তম স্প্যান বসানো হয়।
  • ১৮ ডিসেম্বর বসানো হয় ১৯তম স্প্যান।
  • ৩১ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে ১৮ ও ১৯ নম্বর পিলারের উপরে বসানো হয় পদ্মা সেতুর ২০তম স্প্যান। ধূসর রঙের ‘৩-এফ’ নম্বরের স্প্যানটি খুঁটির উপরে বসানো হয়।[১৩]
২০২০
  • ১৪ জানুয়ারি পদ্মা সেতুর জাজিরা প্রান্তে ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২১তম স্প্যান।
  • ২৩ জানুয়ারি মাওয়া প্রান্তের ৫ ও ৬ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় ২২তম স্প্যান।
  • ২ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৩তম স্প্যান।
  • ১১ ফেব্রুয়ারি বসেছে ২৪তম স্প্যান।
  • ২১ ফেব্রুয়ারি ২৫তম স্প্যান বসানো হয়।
  • ১০ মার্চ পদ্মা সেতুর ২৬তম স্প্যান বসানো হয়। শরীয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ২৮ ও ২৯ নম্বর পিলারের ওপর বসানো হয় এই স্প্যান।
  • ২০ এপ্রিল ২৭তম স্প্যানটি পিয়ার-২৭ ও ২৮-এর ওপর বসানো হয়।
  • ১১ এপ্রিল জাজিরা প্রান্তে বসানো হয় ২৮তম স্প্যান।
  • ৪ মে মাওয়া প্রান্তে সেতুর ১৯ ও ২০তম পিয়ারের ওপর ‘৪এ’ আইডি নম্বরে সেতুর ২৯তম স্প্যান বসানো হয়।
  • ৩০ মে জাজিরা প্রান্তে সেতুর ২৬ ও ২৭ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর বসানো হয় ৩০তম স্প্যান।
  • ১০ জুন পদ্মা সেতুর ৩১তম স্প্যান বসানো হয়। সেতুর ২৫ ও ২৬ নম্বর পিয়ারে শরিয়তপুরের জাজিরা প্রান্তে ৫-এ স্প্যান বসানো হয়।
  • ১১ অক্টোবর পদ্মা সেতুর ৩২তম স্প্যানটি বসানো হয়। পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে প্রথম দিন বসানো সম্ভব না হলেও প্রকৌশলীদের প্রচেষ্টায় দ্বিতীয় দিনে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যানটি বসানো হয়। বন্যা ও পদ্মা নদীর তীব্র স্রোতের কারণে স্প্যানটি বসানো হয় চার মাস পর।
  • ২০ অক্টোবর বসানো হয় সেতুর ৩৩তম স্প্যান।
  • ২৫ অক্টোবর  ৩৪তম স্প্যান বসানো হয় সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৭ ও ৮ নম্বর পিয়ারের ওপর স্প্যান ২-এ।
  • ৩১ অক্টোবর ৩৫তম স্প্যান বসানো হয় মাওয়া প্রান্তে ৮ ও ৯ নম্বর পিলারের ওপর স্প্যান ২-বিতে।
  • ৬ নভেম্বর পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান বসানো হয় সেতুর মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর পিলারের ওপর।
  • ১৩ নভেম্বর ৩৭তম স্প্যান ‘২-সি’ মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে  ৯ ও ১০নং পিয়ারের ওপর বসানো হয়।
  • ২১ নভেম্বর মুন্সীগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১ ও ২ নম্বর খুঁটির ওপর ৩৮তম স্প্যানটি সফলভাবে বসানো হয়।
  • ২৭ নভেম্বর ৩৯ তম স্প্যান বসানোর কাজ সম্পন্ন হয়। স্প্যানটি মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তের ১০ ও ১১ নম্বর পিলারের ওপর ‘টু-ডি’ স্প্যানটি বসানো হয়।
  • ৪ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ৪০তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় সেতুর ছয় হাজার মিটার।
  • ১০ ডিসেম্বর পদ্মা সেতুর ১২ ও ১৩ তম পিলারে ৪১তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে দৃশ্যমান হয় পুরো পদ্মা সেতু।
২০২১

চুক্তিবদ্ধ সংস্থা

সেতুটি তৈরির জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেড এর আওতাধীন চায়না মেজর ব্রীজ নামক একটি কোম্পানী। কাজ শুরু হয় ৭ ডিসেম্বর ২০১৪। এতে ব্যয় হচ্ছে ৩০ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা৷[১৪]

অর্থনৈতিক গুরুত্ব

প্রস্তাবিত পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্প মাওয়া-জাজিরা পয়েন্ট দিয়ে নির্দিষ্ট পথের মাধ্যমে দেশের কেন্দ্রের সাথে দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের সরাসরি সংযোগ তৈরি করবে। এই সেতুটি অপেক্ষাকৃত অনুন্নত অঞ্চলের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও শিল্প বিকাশে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখবে। প্রকল্পটির ফলে প্রত্যক্ষভাবে প্রায় ৪৪,০০০ বর্গ কিঃমিঃ (১৭,০০০ বর্গ মাইল) বা বাংলাদেশের মোট এলাকার ২৯% অঞ্চলজুড়ে ৩ কোটিরও অধিক জনগণ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হবে। ফলে প্রকল্পটি দেশের পরিবহন নেটওয়ার্ক এবং আঞ্চলিক অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে। সেতুটিতে ভবিষ্যতে রেল, গ্যাস, বৈদ্যুতিক লাইন এবং ফাইবার অপটিক কেবল সম্প্রসারণের ব্যবস্থা রয়েছে। এই সেতুটি নির্মিত হলে দেশের জিডিপি ১.২ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পাবে।[১৫]

বিতর্ক ও গুজব

জুলাই ২০১৯ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজে মানুষের মাথা লাগবে বলে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে গুজব ছড়ায়। এতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে অপহরণকারী ধারণা করে অনেক মানসিক ভারসাম্যহীনকে মারধরে পুলিশে হস্তান্তর করার ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনাকে গুজব ও ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ৯ জুলাই ২০১৯ তারিখে সেতু নির্মাণ কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমগুলোতে বিজ্ঞপ্তি পাঠায়। এক্ষেত্রে গবেষকরা সেতু কর্তৃপক্ষকে সেতুটি নির্মাণে খুঁটিনাটি সকল তথ্য জনগণের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার পরামর্শ দেন। [১৬][১৭]

চিত্রশালা

নির্মানাধীন চিত্র

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. Mamun, Shohel (২৪ ডিসেম্বর ২০১৭)। "2017 in review : Will people see Padma bridge take shape in 2018?"Dhaka Tribune 
  2. https://www.thedailystar.net/backpage/padma-bridge-cost-rises-again-1593706
  3. প্রথম আলো (৮ ডিসেম্বর ২০১৪)। "বাস্তবের পথে পদ্মা সেতু"। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  4. "পদ্মা সেতুতে বসেছে সর্বশেষ স্প্যান, গাড়ি চলবে কবে?"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  5. "পদ্মা সেতু হচ্ছে, খরচও বাড়ছে"প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১০-২১ 
  6. https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1463076/
  7. "Funds for Pawdda Bridge Arranged"Bangladesh News। ৪ ডিসেম্বর ২০১০। ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১১ 
  8. "ADB Approves Loan for Bangladesh Bridge Project"। roadtraffic-technology.com। ৩০ নভেম্বর ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১১ [অনির্ভরযোগ্য উৎস?]
  9. BonikBarta। "ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রয়াণ ও পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে কিছু কথা"ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীর প্রয়াণ ও পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে কিছু কথা (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  10. "পদ্মার তলে মাটি বদলে যেভাবে দাঁড়ালো পিলার, জানালেন জামিলুর রেজা"সারাবাংলা। ২০২০-০১-১৭। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  11. "পদ্মা সেতুতে বসেছে সর্বশেষ স্প্যান, গাড়ি চলবে কবে?"BBC News বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  12. হোসেন, আনোয়ার। "পদ্মা সেতুর সর্বশেষ স্প্যানটি বসানোর কাজ চলছে"Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  13. "১১৬৭ দিনে ৪১ স্প্যান"বাংলা ট্রিবিউন। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১২-১০ 
  14. ডয়েচ ভেলে (২০১৭-০৯-৩০)। "দৃশ্যমান পদ্মা সেতু"। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ 
  15. স্বপ্নের সেতু, বাস্তবের সেতুBanglaNews24.com 
  16. "গুজবের জবাব দিলো পদ্মাসেতু"দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯ 
  17. "পদ্মা সেতু তৈরিতে মানুষের মাথা লাগার গুজব কেন ছড়ালো?"বিবিসি বাংলা। ১০ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ