অরুণ কুমার বসাক: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
১টি উৎস উদ্ধার করা হল ও ০টি অকার্যকর হিসেবে চিহ্নিত করা হল।) #IABot (v2.0.1
ট্যাগ: ২০১৭ উৎস সম্পাদনা
২৯ নং লাইন: ২৯ নং লাইন:


==শিক্ষা জীবন==
==শিক্ষা জীবন==
অরুণ কুমার বসাক ১৯৫৭ সালে পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমী হতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা এর অধীনে ফার্স্ট ডিভিসনে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল জীবন শেষ করে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৫৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং তৎকালীন [[রাজশাহী বিভাগ]] (বর্তমান [[রংপুর]] ও [[রাজশাহী]]) ও [[খুলনা বিভাগ]] (বর্তমান [[খুলনা]] ও [[বরিশাল]]) এর সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তিনি রাজশাহীতে এসে [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী সরকারী কলেজে]] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন (উল্লেখ্য তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে বি. এস. সি কোর্স চালু ছিল না) এবং ১৯৬১ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে অনার্স পাশ করেন।<ref name="tomal">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=জাকির হোসেন |প্রথমাংশ=তমাল |শেষাংশ২=হুসাইন |প্রথমাংশ২=মিঠু |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/campus/2016/08/24/396908 |শিরোনাম=ল্যাবেই কাটে দিন |ভাষা=Bengoli |কর্ম=Daily Kalerkantho |তারিখ=2016-08-24 |সংগ্রহের-তারিখ=2016-08-24 }}</ref> অনার্স শেষ করে অরুণ কুমার বসাক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৬৩ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে মাস্টার্স পাশ করে সেই বছরই ২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর (৭৫%) পাওয়ার সম্মাননা হিসাবে ১৯৬৫ সালে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন এবং সেই কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু প্রগতিশীল চিন্তাধারার পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য বিমান বন্দরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://protivabarta.com/?p=1011|শিরোনাম=প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ইমেরিটাস|কর্ম=প্রতিভা বার্তা|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ মে ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305004507/http://protivabarta.com/?p=1011|আর্কাইভের-তারিখ=৫ মার্চ ২০১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>। ফলে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে লন্ডন যেতে ব্যর্থ হন। এরপর পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে তার পাসপোর্ট নতুন করে ইস্যু করা হয়। ঐ বছরই তিনি কমনওয়েলথ পোস্ট গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ লাভ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড গমন করেন সেখানে বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৫ সালে পি এইচ ডি সম্পন্ন করেন।<ref>বই: ভারতীয় উপমহাদেশের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান চর্চা। লেখক: প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল। পৃষ্ঠা: ৪২৮</ref>
অরুণ কুমার বসাক ১৯৫৭ সালে পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমী হতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা এর অধীনে ফার্স্ট ডিভিসনে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল জীবন শেষ করে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে [[এডওয়ার্ড কলেজ, পাবনা|পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে]] ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৫৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং তৎকালীন [[রাজশাহী বিভাগ]] (বর্তমান [[রংপুর]] ও [[রাজশাহী]]) ও [[খুলনা বিভাগ]] (বর্তমান [[খুলনা]] ও [[বরিশাল]]) এর সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তিনি রাজশাহীতে এসে [[রাজশাহী কলেজ|রাজশাহী সরকারী কলেজে]] রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন (উল্লেখ্য তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে বি. এস. সি কোর্স চালু ছিল না) এবং ১৯৬১ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে অনার্স পাশ করেন।<ref name="tomal">{{সংবাদ উদ্ধৃতি |শেষাংশ=জাকির হোসেন |প্রথমাংশ=তমাল |শেষাংশ২=হুসাইন |প্রথমাংশ২=মিঠু |ইউআরএল=http://www.kalerkantho.com/print-edition/campus/2016/08/24/396908 |শিরোনাম=ল্যাবেই কাটে দিন |ভাষা=Bengoli |কর্ম=Daily Kalerkantho |তারিখ=2016-08-24 |সংগ্রহের-তারিখ=2016-08-24 }}</ref> অনার্স শেষ করে অরুণ কুমার বসাক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৬৩ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে মাস্টার্স পাশ করে সেই বছরই ২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর (৭৫%) পাওয়ার সম্মাননা হিসাবে ১৯৬৫ সালে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন এবং সেই কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু প্রগতিশীল চিন্তাধারার পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য বিমান বন্দরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে<ref>{{ওয়েব উদ্ধৃতি|ইউআরএল=http://protivabarta.com/?p=1011|শিরোনাম=প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ইমেরিটাস|কর্ম=প্রতিভা বার্তা|সংগ্রহের-তারিখ=১৬ মে ২০১৫|আর্কাইভের-ইউআরএল=https://web.archive.org/web/20160305004507/http://protivabarta.com/?p=1011|আর্কাইভের-তারিখ=৫ মার্চ ২০১৬|অকার্যকর-ইউআরএল=হ্যাঁ}}</ref>। ফলে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে লন্ডন যেতে ব্যর্থ হন। এরপর পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে তার পাসপোর্ট নতুন করে ইস্যু করা হয়। ঐ বছরই তিনি কমনওয়েলথ পোস্ট গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ লাভ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড গমন করেন সেখানে বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৫ সালে পি এইচ ডি সম্পন্ন করেন।<ref>বই: ভারতীয় উপমহাদেশের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান চর্চা। লেখক: প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল। পৃষ্ঠা: ৪২৮</ref>


==কর্মজীবন==
==কর্মজীবন==

১৮:৫২, ২৮ অক্টোবর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

ড. অরুণ কুমার বসাক
ড. অরুণ কুমার বসাক
জন্ম (1941-10-17) ১৭ অক্টোবর ১৯৪১ (বয়স ৮২)
জাতীয়তাবাংলাদেশী
নাগরিকত্ববাংলাদেশ
পেশাঅধ্যাপনা
পরিচিতির কারণগবেষণা
দাম্পত্য সঙ্গীমিসেস দেবীকা বসাক
পুরস্কারসায়েন্স একাডেমি পুরস্কার(২০০৬)

প্রফেসর এমিরিটাস ড. অরুণ কুমার বসাক (ইংরেজি: Arun Kumar Basak) বিশিষ্ট পদার্থ বিজ্ঞানী ও বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের বরেণ্য শিক্ষক। তিনি বর্তমানে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে এমিরিটাস প্রফেসর হিসেবে কর্মরত[১] এবং তিনি বাংলাদেশে পদার্থ বিজ্ঞানে একমাত্র প্রফেসর এমিরিটাস।[২] জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা ছিলেন তিনি।[৩]

জন্ম ও পারিবারিক জীবন

অরুণ কুমার বসাক ১৯৪১ সালের ১৭ অক্টোবর পাবনার শহরের রাধানগর মহল্লায় জন্মগ্রহণ করেন।[২] তার ছেলেবেলা পাবনা শহরেই কাটে। পিতা মৃত হরিপদ বসাক ছিলেন একজন বেসরকারী চাকুরীজীবী ও মাতা মৃত ঊষা রানী বসাক ছিলেন একজন গৃহিণী। চার ভাই-বোনের মধ্য তিনি ছিলেন জ্যৈষ্ঠ।[৪] ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বর মাসে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।

শিক্ষা জীবন

অরুণ কুমার বসাক ১৯৫৭ সালে পাবনার রাধানগর মজুমদার একাডেমী হতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড ঢাকা এর অধীনে ফার্স্ট ডিভিসনে মেট্রিকুলেশন পাশ করেন। স্কুল জীবন শেষ করে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ১৯৫৯ সালে ইন্টারমিডিয়েট পাশ করেন এবং তৎকালীন রাজশাহী বিভাগ (বর্তমান রংপুররাজশাহী) ও খুলনা বিভাগ (বর্তমান খুলনাবরিশাল) এর সম্মিলিত মেধা তালিকায় ২য় স্থান অধিকার করেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে তিনি রাজশাহীতে এসে রাজশাহী সরকারী কলেজে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে অনার্সে ভর্তি হন (উল্লেখ্য তখন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে বি. এস. সি কোর্স চালু ছিল না) এবং ১৯৬১ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে অনার্স পাশ করেন।[৫] অনার্স শেষ করে অরুণ কুমার বসাক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে মাস্টার্সে ভর্তি হন এবং ১৯৬৩ সালে প্রথম শ্রেনীতে প্রথম হয়ে মাস্টার্স পাশ করে সেই বছরই ২ ডিসেম্বর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে প্রভাষক হিসাবে যোগদান করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর (৭৫%) পাওয়ার সম্মাননা হিসাবে ১৯৬৫ সালে তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের জন্য শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন এবং সেই কলেজে ভর্তি হন। কিন্তু প্রগতিশীল চিন্তাধারার পক্ষে অবস্থান গ্রহণের জন্য বিমান বন্দরে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার তার পাসপোর্ট জব্দ করে[৬]। ফলে তিনি উচ্চ শিক্ষা গ্রহণে লন্ডন যেতে ব্যর্থ হন। এরপর পরবর্তীতে বাংলাদেশ স্বাধীন হলে ১৯৭২ সালে তার পাসপোর্ট নতুন করে ইস্যু করা হয়। ঐ বছরই তিনি কমনওয়েলথ পোস্ট গ্রাজুয়েট স্কলারশিপ লাভ করেন এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য ইংল্যান্ড গমন করেন সেখানে বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ১৯৭৫ সালে পি এইচ ডি সম্পন্ন করেন।[৭]

কর্মজীবন

শিক্ষকতা ও গবেষণা

১৯৬৩ সাল থেকে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান প্রভাষক বিভাগে যোগদানের পর থেকে প্রফেসর এমিরিটাস অরুণ কুমার বসাক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশ এবং বিদেশের অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করেছেন। অরুন কুমার বসাক ১৯৮৫ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান হিসাবে ১৯৯০-১৯৯৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ঐ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম শিক্ষক ছিলেন। তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব ফিজিকাল সায়েন্স অনুষদের ডীন হিসাবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৯৪ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে নিজ বিভাগে ফিরে আসেন। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে বাকি সময় শিক্ষকতা করে ২০০৮ সালে তিনি বিভাগ থেকে অবসর গ্রহণ করেন। এরপর শিক্ষক ও গবেষক হিসাবে তার অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৯ সালে বাংলাদেশের পদার্থ বিজ্ঞানে এক মাত্র প্রফেসর এমিরিটাস (আজীবন) হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ প্রফেসর এমিরিটাস। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের কেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ১৯৯৭ সালে ভিজিটিং প্রফেসরের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি একাধিকবার যুক্তরাষ্ট্রের এর সাউদর্ন ইলিনইস ইউনিভার্সিটিতে রিসার্চ প্রফেসরে হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।[৫]

অন্যান্য

প্রফেসর এমিরিটাস ড. অরুণ কুমার বসাক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কম্পিউটার সেন্টারের প্রতিষ্ঠাতা।[৮] তার প্রচেষ্টায় বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে রাবির কম্পিউটার সেন্টারে প্রথম কম্পিউটার স্থাপিত হয়। সেখানে ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত প্রশাসক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিটার সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন এবং প্রশাসক হিসাবে চার বছর সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

  • ১৯৮১-৮২ পোস্ট ডক্টরাল ফেলো ইন নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, দি ওহায়ো স্টেট ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।
  • ১৯৭৯-৮১ এবং ১৯৭৫-৭৬ রিসার্স ফেলো ইন লো এনার্জি নিউক্লিয়ার ফিজিক্স, বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাজ্য।
  • ১৯৮৮ এবং ১৯৯৫ এসোসিয়েট মেম্বার, আইসিটিপি, ইতালি।
  • ১৯৯৭ ভিজিটিং স্কলার, সাউদার্ন ইলিনইস ইউনিভার্সিটি, যুক্তরাষ্ট্র।

পেশাদারি সদস্যপদ

অরুণ কুমার বসাক তার কর্মজীবনে অনেক গুরত্বপূর্ন সংস্থায় সাফল্যের সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন-

  • ১৯৮৭-আজীবন: ফেলো, বাংলাদেশ ফিজিকাল সোসাইটি।
  • ২০০০-০২: সিনেট সদস্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ।
  • ১৯৯০-১৯৯২ সিন্ডিকেট সদস্য, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
  • ২০০০-০৩ এবং ২০১৩-আজীবন: সদস্য, আমেরিকান ফিজিকাল সোসাইটি।
  • ২০০০-০৫: সিনিয়র এসোসিয়েট, আবদুস সালাম ICTP, ইতালি।
  • ১৯৯৮-আজীবন: ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স।[৯]
  • ২০০১-আজীবন: ফেলো, ইন্সটিটিউট অব ফিজিক্স, লন্ডন, যুক্তরাজ্য।

এছাড়া তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালমোনাই এ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসাবে ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেছেন।[১০]

প্রকাশনা

এ পর্যন্ত অরুণ কুমার বসাক ৫৫ টি এম. এস. সি, ২ টি এম.ফিল এবং ৬ জন পি এইচ ডি রিসার্চ পেপার তত্বাবধায়ন করেছেন। দেশে বিদেশে বিভিন্ন জার্নালে তার ১৩৯ টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে ৮৬ স্বীকৃত আন্তর্জাতিক জার্নালে ২৫ টি দেশীয় জার্নলে এবং বাকি গুলো বিভিন্ন বিজ্ঞান বিষয়ক কনফারেন্সে প্রকাশিত হয়। এছাড়াও তার আরো কয়েকটি প্রবন্ধ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি নিউক্লিয়ার বিষয়ক তত্বদিয়ে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করেছেন[১১]। অরুণ কুমার বসাক বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিষয়ক গবেষণা ধর্মী কলাম লিখেছেন। তার লেখা স্নাতক কোর্সের জন্য "ব্যবহারিক পদার্থ বিজ্ঞান" নামে একটি বই ১৯৮১ সালে বাংলা একাডেমী থেকে প্রকাশিত হয়।[১২]

প্রাপ্তবৃত্তি এবং পুরস্কার

  • ফিজিকাল সায়েন্সে অবদান রাখার জন্য তিনি ২০০৬ সালে বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্স গোল্ড মেডেল লাভ করেন।
  • ১৯৭২-১৯৭৫ কমনওয়েলথ পোষ্ট গ্রাজুয়েট স্কলারশীপ।
  • ১৯৬৩ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় গোল্ড মেডেল।
  • ১৯৬১-১৯৬৩ মেরিট স্কলারশিপ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং SEATO স্কলারশীপ।
  • ১৯৬৫ সালে লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজে উচ্চতর শিক্ষার জন্য স্কলারশীপ।

প্রফেসর বসাক পুরস্কার ও বৃত্তি

পেনিনসুলা ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট ২০০৭ সাল থেকে চালু করে প্রফেসর বসাক পুরস্কার ও বৃত্তি। প্রফেসর বসাকের নামে প্রতিবছর চারজন মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি ও দুই কৃত্তি শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।[৫]

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ

তথ্যসূত্র

  1. "Role of Science and Technology towards developments of Bangladesh - Bdchronicle.com"BD Chronilce। ৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫ 
  2. Alamgir। "প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর এমিরিটাসের ৭২তম জন্মদিন আজ"khulnanews.com [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "আমরা শেখার আনন্দ সৃষ্টি করতে ব্যর্থ: অরুণ কুমার বসাক"prothomalo.com। ২০২০-০১-১৯। ২০২০-০১-১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০১-১৯ 
  4. বই: ভারতীয় উপমহাদেশের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান চর্চা। লেখক: প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল। পৃষ্ঠা: ৪২৭-৪২৮
  5. জাকির হোসেন, তমাল; হুসাইন, মিঠু (২০১৬-০৮-২৪)। "ল্যাবেই কাটে দিন"Daily Kalerkantho (Bengoli ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০৮-২৪ 
  6. "প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী প্রফেসর ইমেরিটাস"প্রতিভা বার্তা। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৫ 
  7. বই: ভারতীয় উপমহাদেশের বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান চর্চা। লেখক: প্রফেসর ড. নিশীথ কুমার পাল। পৃষ্ঠা: ৪২৮
  8. "Computer Center, Rajshahi University"ru.ac.bd 
  9. "Professor Arun Kumar Basak"bas.org.bd 
  10. "Rajshahi University Alumni Association"oocities.org 
  11. "নিউক্লিয়ার ফিজিক্স গবেষণায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক"agrilife24.com [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  12. "Prof. Arun Kumar Basak"The Daily Star। ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬ 

বহিঃসংযোগ