কবিতা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
103.143.255.19-এর সম্পাদিত সংস্করণ হতে NahidSultanBot-এর সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণে ফেরত
ট্যাগ: পুনর্বহাল
InternetArchiveBot (আলোচনা | অবদান)
Adding 2 books for যাচাইযোগ্যতা) #IABot (v2.0.7) (GreenC bot
১৩৫ নং লাইন: ১৩৫ নং লাইন:


== আরও পড়ুন ==
== আরও পড়ুন ==
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Brooks, Cleanth|লেখক-সংযোগ=Cleanth Brooks|শিরোনাম=The Well Wrought Urn: Studies in the Structure of Poetry|প্রকাশক=Harcourt Brace & Company|বছর=1947}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Brooks, Cleanth|লেখক-সংযোগ=Cleanth Brooks|শিরোনাম=The Well Wrought Urn: Studies in the Structure of Poetry|ইউআরএল=https://archive.org/details/wellwroughturnst00broo|প্রকাশক=Harcourt Brace & Company|বছর=1947}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Finch, Annie|শিরোনাম=A Poet's Ear: A Handbook of Meter and Form|প্রকাশক=University of Michigan Press|বছর=2011|আইএসবিএন=978-0-472-05066-6}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Finch, Annie|শিরোনাম=A Poet's Ear: A Handbook of Meter and Form|প্রকাশক=University of Michigan Press|বছর=2011|আইএসবিএন=978-0-472-05066-6}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Fry, Stephen|লেখক-সংযোগ=Stephen Fry|শিরোনাম=[[The Ode Less Travelled: Unlocking the Poet Within]]|প্রকাশক=Arrow Books|বছর=2007|আইএসবিএন=978-0-09-950934-9}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Fry, Stephen|লেখক-সংযোগ=Stephen Fry|শিরোনাম=[[The Ode Less Travelled: Unlocking the Poet Within]]|প্রকাশক=Arrow Books|বছর=2007|আইএসবিএন=978-0-09-950934-9}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Pound, Ezra|লেখক-সংযোগ=Ezra Pound|শিরোনাম=ABC of Reading|প্রকাশক=Faber|বছর=1951}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Pound, Ezra|লেখক-সংযোগ=Ezra Pound|শিরোনাম=ABC of Reading|প্রকাশক=Faber|বছর=1951}}
* {{বই উদ্ধৃতি|সম্পাদকগণ=Preminger, Alex; Brogan, Terry VF; Warnke, Frank J|শিরোনাম=The New Princeton Encyclopedia of Poetry and Poetics|সংস্করণ=3rd|প্রকাশক=Princeton University Press|আইএসবিএন=0-691-02123-6}}
* {{বই উদ্ধৃতি|সম্পাদকগণ=Preminger, Alex; Brogan, Terry VF; Warnke, Frank J|শিরোনাম=The New Princeton Encyclopedia of Poetry and Poetics|বছর=1993|ইউআরএল=https://archive.org/details/newprincetonency00alex|সংস্করণ=3rd|প্রকাশক=Princeton University Press|আইএসবিএন=0-691-02123-6}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Iturat, Isidro|শিরোনাম=[http://www.indrisos.com/ensayosyarticulos/poeticsisidroiturat.htm Poetics]|প্রকাশক=Indrisos.com|বছর=2010}}
* {{বই উদ্ধৃতি|লেখক=Iturat, Isidro|শিরোনাম=[http://www.indrisos.com/ensayosyarticulos/poeticsisidroiturat.htm Poetics]|প্রকাশক=Indrisos.com|বছর=2010}}



২২:৫০, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

চীনা কবিতা "স্বর্গীয় পর্বতের চতুর্পদী কবিতা" যা সং রাজবংশের সম্রাট গাওজং এর লেখা।

কবিতা, কাব্য বা পদ্য হচ্ছে শব্দ প্রয়োগের ছান্দসিক কিংবা অনিবার্য ভাবার্থের বাক্য বিন্যাস--- যা একজন কবির আবেগ-অনুভূতি, উপলব্ধি ও চিন্তা করার সংক্ষিপ্ত রুপ এবং তা অতি অবশ্যই উপমা-উৎপ্রেক্ষা-চিত্রকল্পের সাহায্যে আন্দোলিত সৃষ্টির উদাহরণ। পৃথিবী নামক গ্রহের তাবৎ বিষয়কে পুজি করে কবিতা ফলত সুমধুর শ্রুতিযোগ্যতা যুক্ত করে। কাঠামোর বিচারে কবিতা নানা রকম। যুগে যুগে কবিরা কবিতার বৈশিষ্ট্য ও কাঠামোতে পরিবর্তন এনেছেন। কবিতা শিল্পের মহত্তম শাখা পরিগণিত।

এর আয়তন প্রকারের উপর নির্ভরশীল।

কবিতা (গ্রিক: "ποίησις," poiesis, "নির্মাণ" অথবা "তৈরি করা"; ইংরেজি: Poetry) শিল্পের একটি শাখা যেখানে ভাষার নান্দনিক গুণাবলির ব্যবহারের পাশাপাশি ধারণাগত এবং শব্দার্থিক বিষয়বস্তু ব্যবহার করা হয়।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] কবিতার রয়েছে দীর্ঘ ইতিহাস, এবং কবিতাকে সংজ্ঞায়িত করার প্রাথমিক প্রচেষ্টা, যেমন এরিস্টটলের পোয়েটিকস, অলঙ্কারশাস্ত্র, নাটক, সংগীত এবং হাস্যরসাত্ম বক্তব্যের বিভিন্ন ব্যবহারসমূহের উপর দৃষ্টিপাত করে। কবিতা সাহিত্যের আদিমতম শাখা।

ইতিহাস

পশ্চিমা ঐতিহ্য

২০ শতকের বিরোধ

উপাদানসমূহ

ছন্দ:প্রকরণ

তাল

মিটার

ছন্দোময় নিদর্শন

ছড়া, অনুপ্রাস, স্বরানুপ্রাস

মিত্রাক্ষরকারী স্কিম

গঠন

পদ এবং স্তবক

দৃষ্টি সহায়ক উপস্থাপনা

রচনাশৈলী

প্রকার

রুবাই

এটি আরবীয় অঞ্চলের চার পংক্তির একটি কবিতা। ওমর খৈয়াম তার রুবাই-এর জন্য বিখ্যাত।

সিজো

এটি সীমিত দৈর্ঘ্যের কোরীয় কবিতা। সাধারণত ৪ পংক্তিতে লেখা হয়।

ক্বাসিদা

ক্বাসিদা-কবিতা ইংরেজজাতি দ্বারা নিষিদ্ধ কবিতার বই । মুসলিম ধর্মবিশ্বাসি একে ক্বসিদা শরীফ বলে। মুসলিম জাতি বিভিন্ন দুর্যোগ কালে এ ক্বাসিদা পাঠকরা হয় যাতে মুসলমানরা প্রাণ শক্তি ফিরে পান ।মুসলমানদের উপর এর প্রভার লক্ষ্য করে ব্রিটিশ বড় লাট লর্ড কার্জনের শাসনামলে (১৮৯৯-১৯০৫)ভারত বর্ষে এ ক্বাসিদা (কবিতা) নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।দীর্ঘ কবিতাকে আরবী ও ফার্সি ভাষায় বলা হয় ক্বাসিদা ।

চতুর্দশপদী

চতুর্দশপদী (Sonnet) হল এক ধরনের কবিতা যার উদ্ভব হয় ইউরোপে। এর বৈশিষ্ট হল যে এরূপ কবিতাগুলো ১৪টি চরণে সংগঠিত এবং প্রতিটি চরণে মোট ১৪টি অক্ষর থাকবে।

ইংরেজি চতুর্দশপদী প্রথম পরিচিতি পেয়েছিল ১৬তম শতাব্দিতে 'টমাস ওয়াট' এর প্রয়োগের মাধ্যমে। কিন্তু এর প্রচলন প্রবল হয়ে উঠে স্যার ফিলিপ সিডিনি এর Astrophel and Stella (১৫৯১) প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে। তার পরের দুই শতক উইলিয়াম শেকসপিয়র, এডমন্ড স্পেন্সার, মাইকেল ড্রায়টন ইত্যাদি ব্যক্তিত্বরা চতুর্দশপদী কবিতাকে নতুন নতুন ধাপে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। এরূপ কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল নারীর প্রতি ভালোবাসা।

হাইকু

হাইকু (একবচনে "হাইকি") একধরনের সংক্ষিপ্ত জাপানি কবিতা। তিনটি পংক্তিতে যথাক্রমে ৫, ৭ এবং ৫ জাপানি শ্বাসাঘাত মোরাস মিলে মোট ১৭ মোরাসের সংক্ষিপ্ত পরিসরে একটি মুহূর্তে ঘটিত মনের ভাব প্রকাশ করা হয়। জাপানি হাইকু একটি লাইনে লিখিত হয়। সেই বাক্যটিতে ১৭টি মোরাস থাকে। সাধারণত একটি ছবি বর্ণনা করার জন্য হাইকু লিখিত হয়। মোরাস ও মাত্রা একই ব্যাপার নয়। ইউরোপীয়গণ ১৭ মোরাসকে ১৭ দল মনে করে হাইকু লেখার সূত্রপাত করে। তাদের দেখাদেখি বাংলা ভাষায় ১৭ মাত্রার হাইকু লেখার প্রচলন হয়। মোরাস, দল ও মাত্রা এক-একটি ভাষার নিজস্ব শ্বাস অনুসারী। সেই অনুযায়ী ১২ মোরাসে ১৭ সিলেবল হয়। ইউরোপে ইমেজিস্ট আন্দোলনের পর ১৭ সিলেবলের পরিবর্তে আরো বেশি সিলেবলের হাইকু লেখা শুরু হয়েছে। জ্যাক কেরুয়াক প্রমুখ মার্কিন কবিগণ স্বীকার করেছেন যে মার্কিন উচ্চারণ জাপানি উচ্চারণ হইতে সম্পূর্ণ পৃথক। তারা ১৭ দল ও তিন বাক্যবন্ধন অস্বীকার করে হাইকু লিখেছেন।

লিমেরিক

লিমেরিক (Limerick) একটি ইংরেজি শব্দ। শব্দটি ইংরেজি ভাষা থেকে সরাসরি বাংলা কবিতার জগতে এসেছে। লিমেরিক ছোট কবিতার (Little Poems) এক অনন্য রচনা শৈলী। ৫টি চরণে গঠিত এই ফর্মে অন্ত্যমিলের বিন্যাস- ক ক খ খ ক। ৩য় ও ৪র্থ পঙ্‌ক্তি ১ম, ২য় ও ৫ম এর চেয়ে মাপে ছোট হয়। ইংরেজি নার্সারী রাইম (Nursery rhyme) থেকে এর উৎপত্তি। সাধারণতঃ লিমেরিকের বক্তব্য অর্থবোধক হয় না, বরং দ্যোতনাযুক্ত হয়। বাংলা লিমেরিকের উদাহরন –

"তাতীর বাড়ি ব্যাঙের বাসা

কোলা ব্যাঙের ছা।

খায় দায়,

গান গায়,

তাইরে নাইরে না।"

লিমেরিকের ইতিহাসঃ

লিমেরিক আয়ারল্যান্ডের একটি জায়গার নাম। ফ্রান্সের সৈন্যদলের আইরিশ ব্রিগেডিয়াররা ওই লিমেরিকে অবস্থান কালে এ রকম ছোট ছোট ছড়ার গান গাইত এবং শেষ লাইনে থাকত ধোয়াশার মতো এ কথাটি “ Let us come up to Limerick”. (সুর করে কোরাসের মাধ্যমে এ গানগুলো গাওয়া হত।) কোন এক অজানা কবির হাতে সৃষ্টি হয় এ গীতিকবিতা। সৈন্যারা হয়ত লিমেরিকের এই ধরনটার অনুকরনে মুখে মুখে ছড়া তৈরী করে মুখে মুখে গান গাইত। যূদ্ধশেষে যে যার বাড়ী ফিরে তারা তাদের বংশধদের এ গান শোনাতো। লিমেরিক স্থান থেকে আগত বলে ছোট ছোট এই গীতিকবিতাগুলোর নাম হয়ে যায় লিমেরিক

আঠারো খ্রিষ্টাব্দের গোড়ার দিকে ইংরেজি সাহিত্যে লিমেরিকের প্রচলনতা ও সাহিত্যিক জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে এডোয়ার্ড লিয়রের হাত ধরে (A Book of Nonsense in the year 1846), তবে লিয়ের এগুলোকে কখনো লিমেরিক অভিধায় রাখেননি। এরপর এই ফর্মে লিখতে থাকেন Alfred Lord Tennyson, Shakespeare, Rudyard Kipling, Dante Gabriel Rossetti, Ogden Nash, H. G. Wells, W. H. Auden, T. S. Eliot, James Joyce, and Lewis Carroll – এঁদের মতো আরো অনেক বিখ্যাত কবি-সাহিত্যিক।

গজল

গজল আরব থেকে এর উৎপত্তি হলেও ফার্সি ভাষায় এটি বিশেষ বিকাশ লাভ করে। পরবর্তীতে উর্দু ভাষায় এটি সমধিক জনপ্রিয়তা পায়। আরবি, ফার্সি, পশতু, উর্দু ছাড়াও হিন্দি, পাঞ্জাবী, মারাঠি, বাংলা এমনকি ইংরেজিতেও গজল লেখা হয়। প্রাথমিক দিকে ইমাম গাজালি, মওলানা জালালুদ্দিন রুমি, হাফিজ, সিরাজী, ফরিদুদ্দিন আত্তার, হাকিম শানাঈ প্রমুখ গজল লিখে বেশ নাম করেন। পরবর্তিতে আমির খসরু, মির তকি মির, ইবরাহিম জক, মির্জা গালিব, দাগ দেলবি এবং আধুনিক কালে আল্লামা মুহাম্মদ ইকবাল, ফয়েজ আহমেদ ফয়েজ, ফিরাক গোরখপুরী গজল লেখক হিসাবে নাম করেন। গজল হালকা মেজাজের লঘু শাস্ত্রীয় সঙ্গীত। আবার হালকা-গম্ভীর রসের মিশ্রণে সিক্ত আধ্যাত্মিক গান। গজল প্রেমিক-প্রেমিকার গান হলেও এ গান এমন একটি শৈলী যাতে প্রেম ও ভক্তির অপূর্ব মিলন ঘটেছে। পার্থিব প্রেমের পাশাপাশি গজল গানে আছে অপার্থিব প্রেম, যে প্রেমে স্রষ্টার প্রতি আত্মার আকুতি নিবেদিত। গজল গানে স্রষ্টা আর তার প্রেরিত মহাপুরুষদের প্রতি ভক্তির সঙ্গে মোক্ষ লাভের ইচ্ছা এসে মেলবন্ধন ঘটিয়েছে পার্থিব প্রেমের সঙ্গে।

শব্দকবিতা

i-কবিতা

চ্যাটি কবিতা

কাজল কবি রচিত পথের ধারে একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা ।

অণুকবিতা

ছোট আকারের কবিতা ।যাতে খুব অল্প কথায় কবি তার মনের ভাব প্রকাশ করে।

ধারা

আখ্যান কবিতা

মহাকাব্য

মহাকাব্য হচ্ছে দীর্ঘ ও বিস্তৃত কবিতা বিশেষ। সাধারণত দেশ কিংবা সংস্কৃতির বীরত্ব গাঁথা এবং ঘটনাক্রমের বিস্তৃত বিবরণ এতে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তুলে ধরা হয়। সুপ্রাচীনকালে মুখে মুখে প্রচলিত কবিতাসমগ্রও মহাকাব্যের মর্যাদা পেয়েছে। মহাকাব্য নিয়ে আলবার্ট লর্ড এবং মিলম্যান প্যারি গবেষণা করেছেন। তারা উভয়েই যুক্তিপ্রদর্শন সহকারে ঐকমত্য পৌঁছেছেন যে, আধুনিককালের মহাকাব্যগুলো প্রকৃত অর্থে প্রাচীনকালের মৌখিকভাবে প্রচলিত ও প্রচারিত কবিতাসমগ্রেরই শ্রেণিবিভাগ মাত্র।

নাট্যকাব্য

বিদ্রুপাত্মক কবিতা

গীতিকাব্য

শোককাব্য

শোক বা দুঃখ অর্থাৎ স্যাডনেস, ফ্রাস্ট্রেশন থেকে উদ্ভূত কবিমনের মর্মবাণী হলো শোককাব্য। মৃত্যুতে শোকাহত কবিমনের জীবন ও মৃত্যুর যথার্থ উপলব্ধি এই ধরনের কবিতা বা কাব্যে প্রকাশিত হয় একটি বিখ্যাত কাব্যের মধ্যে রয়েছে অক্ষয় কুমার বড়ালের "এষা" নামক শোককাব‍্য।

পদ্য আখ্যান

গদ্য কবিতা

গদ্য কবিতা বলতে সে সব কবিতাকে বুঝায় যেগুলো গদ্যে লিখিত হয়। এগুলো পদ্য ও গদ্যের সংমিশ্রণে সৃষ্ট। প্রকৃতির বাস্তবতার কাব্যিক ব্যঞ্জনার নাম গদ্য কবিতা। গদ্য কবিতা প্রাচীন যুগে স্কলারদের দ্বারা প্রথম লিখিত হয়। সপ্তদশ শতাব্দীতে নাম-না-জানা কয়েকজন লেখক ইংরেজিতে গ্রিক ও হিব্রু বাইবেল অনুবাদ করেছিলেন; এই অনুবাদের ভাষায় আশ্চর্য শক্তি এদের মধ্যে কাব্যের রস ও রূপকে নিঃসংশয়ে পরিস্ফুট করেছে। এই গানগুলোতে গদ্যছন্দের ব্যবহার রয়েছে। ১৮৪২ সালে প্রকাশিত হয় Aloysius Bertand-এর Gespard La nuit; যা গদ্য কবিতাকে প্রথম স্বীকৃতি এনে দেয়। এর ছন্দোময় ও কাব্যিক ভাষায় আকৃষ্ট হয়ে পরবর্তীতে অনেককে এ জাতীয় কবিতা লেখাতে আগ্রহী হন। ১৮৬৯ সালে প্রকাশিত হয় Bandelaire-এর Petis poems en Prose। অন্যান্য লেখকদের মধ্যে Rimbond, Oscar Wilde, Amy Lowell এই ধারায় লেখেন। ভার্জিনিয়া উল্‌ফ তার Gertrnde Stien- ÔTender Buttons উপন্যাসে এই ধারায অনুসরণ করেন। এটির সূচনা হয় ফ্রান্স থেকে এবং পৃথিবী ব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। দক্ষিণ আমেরিকায় Pablo Neruda ও Borges, রাশিয়ার Turgenev, ইতালীতে Marinetti এবং ডেনমার্কে J. B. Jacobson, উত্তর আমেরিকায় Whitman, Robert Bly, W. S. Merwin প্রমুখ এই ধারার স্বার্থক ও প্রমাণিত কবি।

তবে এটিকে কবিতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কারো মতে গদ্য কবিতা একটি বিশেষ ধারার কবিতা; কেননা এটা রূপক ভাষাকে সমৃদ্ধ করে। অপর কারো মতে গদ্য কবিতা গদ্য। আধুনিকবাদের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি নোবেল পুরস্কার বিজয়ী টি.এস.এলিয়ট গদ্য কবিতার বিপক্ষে জোড়ালো বক্তব্য তুলে ধরেন, যদিও তিনি নিজে দু-একটি চেষ্টাও করেছেন এই ধারায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই প্রসঙ্গে বলেছেন -- গদ্যকাব্য নিয়ে সন্দিগ্ধ পাঠকের মনে তর্ক চলছে। এতে আশ্চর্যের বিষয় নেই। ছন্দের মধ্যে যে বেগ আছে সেই বেগের অভিঘাত রসগর্ভ বাক্য সহজে হৃদয়ের মধ্যে প্রবেশ করে, মনকে দুলিয়ে তোলে, এ কথা স্বীকার করতে হবে। তবে ছন্দটাই যে ঐকান্তিকভাবে কাব্য তা নয়। কাব্যের মূল কথাটা আছে রসে, ছন্দটা এই রসের পরিচয় দেয় তার অনুষঙ্গ হয়ে। সহায়তা করে দুই দিক থেকে। এক হচ্ছে স্বভাবতই তার দোলা দেবার শক্তি আছে, আর-এক হচ্ছে পাঠকের চিরাভ্যস্ত সংস্কার। এই সংস্কারের কথাটা ভাববার বিষয়। একদা নিয়মিত অংশে বিভক্ত ছন্দই সাধু কাব্য ভাষায় একমাত্র পাঙ্ক্তেয় পদ্য ছিল। তখন ছন্দে মিল রাখাও ছিল অপরিহার্য। এমন সময় মধুসূদন বাংলা সাহিত্যে আমাদের সংস্কারের প্রতিকূলে আনলেন অমিত্রাক্ষর ছন্দ। তাতে রইল না মিল। তাতে লাইনের বেড়াগুলি সমানভাবে সাজানো বটে,কিন্তু ছন্দের পদক্ষেপ চলে ক্রমাগত বেড়া ডিঙিয়ে। অর্থাৎ এর ভঙ্গি পদ্যের মতো কিন্তু ব্যবহার চলে গদ্যের চালে। অমিত্রাক্ষর ছন্দের মিলবর্জিত অসমতাকে কেউ কাব্যরীতির বিরোধী বলে কাজ মনে করেন না। অথচ পূর্বতন বিধানকে এই ছন্দ বহুদূর লঙ্ঘন করে গেছে। কাজটা সহজ হয়েছিল, কেননা তখনকার ইংরেজি শেখা পাঠকেরা মিল্টন-শেক্স্পীয়রের ছন্দকে শ্রদ্ধা করতে বাধ্য হয়েছিলেন। কী হতে পারে এবং হতে পারে না, তা হওয়ার উপরই নির্ভর করে, লোকের অভ্যাসের উপর করে না, এ কথাটা ছন্দই পূর্বেই প্রমাণ করেছে। আজ গদ্যকাব্যের উপর প্রমাণের ভার পড়েছে যে, গদ্যেও কাব্যের সঞ্চারণ অসাধ্য নয়। এই ধারাবাহিকতায় আমরা গদ্যকবিতানির্ভর সবুজ তাপস (কাব্যগ্রন্থ) পেয়েছি এবং এর মতো আরও আরও কবিতার বই পাবো।

তথ্যসূত্র

আরও পড়ুন

সংকলন

বহিঃসংযোগ