চেলসি ফুটবল ক্লাব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ব্যবস্থাপনা দল + |
→ঘরোয়া: সংশোধন |
||
৩৪২ নং লাইন: | ৩৪২ নং লাইন: | ||
==== কাপ ==== |
==== কাপ ==== |
||
* {{sport honours|[[এফ.এ. কাপ]]|(৫)|১৯৬৯-৭০, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৯-২০০০, ২০০৬-০৭, ২০০৮-০৯, ২০১৭-১৮}} |
* {{sport honours|[[এফ.এ. কাপ]]|(৫)|১৯৬৯-৭০, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৯-২০০০, ২০০৬-০৭, ২০০৮-০৯, ২০১৭-১৮}} |
||
[[রানার আপ ]]|(১)| ২০১৯-২০ |
|||
* {{sport honours|[[ফুটবল লীগ কাপ|লীগ কাপ]]|৫|১৯৬৪-৬৫, ১৯৯৭-৯৮, ২০০৪-০৫, ২০০৬-০৭, ২০১৪-১৫}} |
* {{sport honours|[[ফুটবল লীগ কাপ|লীগ কাপ]]|৫|১৯৬৪-৬৫, ১৯৯৭-৯৮, ২০০৪-০৫, ২০০৬-০৭, ২০১৪-১৫}} |
||
* {{sport honours|এফএ চ্যারিটি শিল্ড/[[এফ.এ. কমিউনিটি শিল্ড|কমিউনিটি শিল্ড]]<ref>The trophy was known as the Charity Shield until 2002, and as the Community Shield ever since.</ref>|৪|১৯৫৫, ২০০০, ২০০৫, ২০০৯}} |
* {{sport honours|এফএ চ্যারিটি শিল্ড/[[এফ.এ. কমিউনিটি শিল্ড|কমিউনিটি শিল্ড]]<ref>The trophy was known as the Charity Shield until 2002, and as the Community Shield ever since.</ref>|৪|১৯৫৫, ২০০০, ২০০৫, ২০০৯}} |
২১:৪৭, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
পূর্ণ নাম | চেলসি ফুটবল ক্লাব | |||
---|---|---|---|---|
ডাকনাম | দ্য ব্লুজ, দ্য পেনশনার্স[১] | |||
সংক্ষিপ্ত নাম | সিএফসি, সিএইচই | |||
প্রতিষ্ঠিত | ১০ মার্চ ১৯০৫[২] | |||
মাঠ | স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ | |||
ধারণক্ষমতা | ৪০,৮৩৪[৩] | |||
স্থানাঙ্ক | ৫১°২৮′৫৪″ উত্তর ০°১১′২৮″ পশ্চিম / ৫১.৪৮১৬৭° উত্তর ০.১৯১১১° পশ্চিম | |||
মালিক | রোমান আব্রামোভিচ | |||
সভাপতি | ব্রুস বাক | |||
প্রধান কোচ | ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড | |||
লিগ | প্রিমিয়ার লীগ | |||
২০১৯–২০ | ৪র্থ | |||
ওয়েবসাইট | ক্লাব ওয়েবসাইট | |||
|
চেলসি ফুটবল ক্লাব (দ্য ব্লুজ অথবা পূর্বে দ্য পেনশনার্স নামেও পরিচিত) লন্ডনে অবস্থিত একটি ইংরেজ পেশাদার ফুটবল দল যারা প্রিমিয়ার লিগে খেলে থাকে।
১৯০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে ক্লাবটি এ পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়ে ইংল্যান্ডের ফুটবলে শীর্ষ দশে অবস্থান করেছে। তারা দুটি সময়ে সফলতা পেয়েছে, একটি হচ্ছে ১৯৬০ দশকের শেষভাগ ও ১৯৭০ দশকের শুরুতে এবং ১৯৯০ দশকের শেষভাগ থেকে বর্তমান পর্যন্ত। চেলসি প্রথম ইংলিশ লিগ শিরোপা অর্জন করে ১৯৫৫-৫৬ মৌসুমে। ১৯৬৫ থেকে ১৯৭১ সাল সময়কালে আরো কিছু কাপ প্রতিযোগিতায় ক্লাবটি জয়লাভ করে। ১৯৯৭ সাল থেকে ২৩টি শিরোপা জিতে দলটি গত দুই দশক ধরে ধারাবাহিকভাবে সাফল্য অর্জন করছে। সব মিলিয়ে চেলসি নিজেদের ইতিহাসে ২৯টি বড় শিরোপা জিতেছে, যার মধ্যে রয়েছে ছয়টি লীগ শিরোপা, আটটি এফ.এ. কাপ শিরোপা, পাঁচটি লীগ কাপ, দুটি উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ, একটি উয়েফা সুপার কাপ, দুটি উয়েফা ইউরোপা লীগ এবং একটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ। চেলসি হলো ইতিহাসের প্রথম ক্লাব যারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জেতার পরের বছরই উয়েফা ইউরোপা লীগ জিতেছে।[৪]
চেলসির ৪১৬৩১ দর্শক ধারণক্ষমতার নিজস্ব মাঠ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ পশ্চিম লন্ডনের ফুলহাম এলাকায় অবস্থিত। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই তারা এখানে খেলে আসছে। ২০০৩ সালে ক্লাবটি কিনে নেন রাশিয়ান তেল ব্যবসায়ী রোমান আব্রামোভিচ।[৫]
ক্লাবের ঐতিহ্যবাহী পোশাক হচ্ছে রাজকীয় নীল রংয়ের জামা ও শর্টস এবং সাদা মোজা। নিজেদের ভাবমূর্তি আধুনিকায়নের জন্য নিজেদের ইতিহাসে বেশ কয়েকবার ক্লাবটি নিজেদের প্রতীক পরিবর্তন করেছে। বর্তমান প্রতীকে একটি রাজকীয় নীল সিংহকে একটি লাঠি ধরে থাকতে দেখা যায়, যা ক্লাবটির ১৯৫০ এর দশকের একটি প্রতীকের আধুনিক রূপ।[৬] ইংলিশ ফুটবলের ইতিহাসে সর্বকালের গড় উপস্থিতির তালিকায় ক্লাবটির অবস্থান ষষ্ঠ। চেলসি যুক্তরাজ্যের অন্যতম জনপ্রিয় দল। তাদের সমর্থক সংখ্যা আনুমানিক চার মিলিয়ন।[৭] এছাড়া জনপ্রিয় সংস্কৃতিতেও ক্লাবের ভূমিকা রয়েছে। বিভিন্ন চলচ্চিত্র ও গানে চেলসি অংশ নিয়েছে। ফোর্বস ম্যাগাজিনের ২০১৭ সালের একটি জরিপে বিশ্বের সবচেয়ে দামী ক্লাবগুলোর তালিকায় চেলসির অবস্থান ৭ম এবং ২০১৬-১৭ মৌসুমে ৪ কোটি ২৮ লাখ পাউন্ড উপার্জন করে ক্লাবটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উপার্জন করা ক্লাবগুলোর মধ্যে অষ্টম স্থান অর্জন করে।
ইতিহাস
১৯০৪ সালে একটি ফুটবল মাঠ হিসেবে তৈরির উদ্দেশ্য নিয়ে গাস মিয়ার্স স্টাম্ফোর্ড ব্রিজ অ্যাথলেটিক স্টেডিয়াম কিনে নেন। নিকটবর্তী ফুলহাম ফুটবল ক্লাবের কাছে মাঠটি ইজারা দেওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি মাঠটি ব্যবহার করার জন্য নিজের একটি ক্লাব প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন। যেহেতু তখন উক্ত এলাকা ফুলহামের নিজের নামে একটি ক্লাব তখনই ছিলো, মিয়ার্স নিজের ক্লাবের জন্য পার্শ্ববর্তী এলাকা চেলসির নামটি বেছে নেন। কেন্সিংটন ফুটবল ক্লাব, স্টাম্ফোর্ড ব্রিজ ফুটবল ক্লাব এবং লন্ডন ফুটবল ক্লাব এর মতো নামগুলোও বিবেচনা করা হয়েছিলো।[৮]
খেলোয়াড়গণ ও কোচ
বর্তমান কোচ
ক্লাবের বর্তমান কোচ ক্লাবটির কিংবদন্তি সাবেক ইংলিশ মিডফিল্ডার ফ্র্যাংক ল্যাম্পার্ড। তিনি ৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে কোচ হিসাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বর্তমান দল
- ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত হালনাগাদকৃত।[৯]
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
চুক্তিবদ্ধ অন্যান্য খেলোয়াড়
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
ধারে অন্য দলে
টীকা: পতাকা জাতীয় দল নির্দেশ করে যা ফিফার যোগ্যতার নিয়মের অধীনে নির্ধারিত হয়েছে। খেলোয়াড়দের একাধিক জাতীয়তা থাকতে পারে যা ফিফা ভুক্ত নয়।
|
|
বর্ষসেরা খেলোয়াড়
সূত্র: চেলসি এফ.সি.
ব্যবস্থাপনা দল
পদ | কর্মচারি |
---|---|
প্রধান কোচ | ফ্রাঙ্ক ল্যাম্পার্ড |
সহকারী প্রধান কোচ | জোডি মরিস |
সহকারী কোচ | জো এডওয়ার্ডস |
ক্রিস জোনস | |
অ্যান্থনি ব্যারি[১০] | |
গোলরক্ষক কোচ | হেনরিক হিলারিও |
জেমস রাসেল | |
ফিটনেস কোচ | ম্যাট বির্নি |
উইল টুলেট | |
টেকনিক্যাল অ্যান্ড পারফরম্যান্স এডভাইজার | পিটার চেক[১১] |
মেডিক্যাল পরিচালক | পাকো বিয়স্কা |
ধার সংক্রান্ত টেকনিক্যাল কোচ | কার্লো কুইদিচিনি[১২] |
পাওলো ফেরেইরা | |
তোরে আন্দ্রে ফ্লো | |
ধার সংক্রান্ত গোলরক্ষক কোচ | ক্রিস্টফ ললিচন |
আন্তর্জাতিক স্কাউটিংয়ের প্রধান | স্কট ম্যাকলেকলান |
টেকনিক্যাল মেন্টর | ক্লদ্ মাকেলেলে[১৩] |
যুব উন্নয়নের প্রধান | নিল বাথ |
ডেভেলাপমেন্ট স্কোয়াড ম্যানেজার | অ্যান্ডি মায়ার্স |
অনুর্ধ্ব-১৮ ম্যানেজার | এড ব্র্যান্ড |
Source: Chelsea F.C.
সম্মাননা
ঘরোয়া
লীগ
- ১৯৫৪-৫৫, ২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬, ২০০৯-২০১০, ২০১৪-১৫, ২০১৬-১৭
- ১৯৮৩-৮৪, ১৯৮৮-৮৯
কাপ
- এফ.এ. কাপ: (৫)
- ১৯৬৯-৭০, ১৯৯৬-৯৭, ১৯৯৯-২০০০, ২০০৬-০৭, ২০০৮-০৯, ২০১৭-১৮
- লীগ কাপ: ৫
- ১৯৬৪-৬৫, ১৯৯৭-৯৮, ২০০৪-০৫, ২০০৬-০৭, ২০১৪-১৫
- এফএ চ্যারিটি শিল্ড/কমিউনিটি শিল্ড[১৫]: ৪
- ১৯৫৫, ২০০০, ২০০৫, ২০০৯
- ফুল মেম্বার্স কাপ: ২
- ১৯৮৬, ১৯৯০
ইউরোপীয়ান
- ২০১১-১২
- ২০১২-১৩, ২০১৮-১৯
- ১৯৭০-৭১, ১৯৯৭-৯৮
- ১৯৯৮
তথ্যসূত্র
- ↑ "Chelsea's first cup final – a century ago"। Chelsea FC। ২৩ এপ্রিল ২০১৫। ২৬ আগস্ট ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০১৬।
- ↑ "Team History – Introduction"। chelseafc.com। Chelsea FC। ২৭ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মে ২০১১।
- ↑ "Premier League Handbook 2019/20" (পিডিএফ)। Premier League। পৃষ্ঠা 14। ২৭ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২০।
- ↑ "Trophy Cabinet"। chelseafc.com। Chelsea FC। ২৪ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০১৮।
- ↑ "Russian businessman buys Chelsea"। BBC। ২০০৩-০৭-০২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-১১।
- ↑ "Chelsea centenary crest unveiled"। BBC। ২০০৪-১১-১২। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০১-০২।
- ↑ "Chelsea voted one of UK's top brands"। chelseafc.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৬-০৯-২৮।
- ↑ Glanvill, John (1664?–1735)। Oxford Dictionary of National Biography। Oxford University Press। ২০১৭-১১-২৮।
- ↑ "First team"। Chelsea FC। সংগ্রহের তারিখ ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০।
- ↑ "Lampard adds coach to his backroom staff"। Chelsea F.C.। ২৫ আগস্ট ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২০।
- ↑ "Petr Cech appointed Technical and Performance Advisor"। Chelsea F.C.। ২১ জুন ২০১৯। ৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০।
- ↑ "Carlo Cudicini takes on role coaching Chelsea loan players"। Chelsea F.C.। ২ আগস্ট ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ "Claude Makelele returns to Chelsea in a new coaching role"। Chelsea F.C.। ২ আগস্ট ২০১৯। ২০ আগস্ট ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ আগস্ট ২০১৯।
- ↑ Until 1992, when the Premier League was formed, the top tier of English football was known as the First Division
- ↑ The trophy was known as the Charity Shield until 2002, and as the Community Shield ever since.
- Batty, Clive (২০০৪)। Kings of the King's Road: The Great Chelsea Team of the 60s and 70s। Vision Sports Publishing Ltd। আইএসবিএন ০-৯৫৪৬৪২৮-১-৩।
- Batty, Clive (২০০৫)। A Serious Case of the Blues: Chelsea in the 80s। Vision Sports Publishing Ltd। আইএসবিএন ১-৯০৫৩২৬-০২-৫।
- Glanvill, Rick (২০০৬)। Chelsea FC: The Official Biography – The Definitive Story of the First 100 Years। Headline Book Publishing Ltd। আইএসবিএন ০-৭৫৫৩-১৪৬৬-২।
- Hadgraft, Rob (২০০৪)। Chelsea: Champions of England 1954–55। Desert Island Books Limited। আইএসবিএন ১-৮৭৪২৮৭-৭৭-৫।
- Harris, Harry (২০০৫)। Chelsea's Century। Blake Publishing। আইএসবিএন ১-৮৪৪৫৪-১১০-X।
- Ingledew, John (২০০৬)। And Now Are You Going to Believe Us: Twenty-five Years Behind the Scenes at Chelsea FC। John Blake Publishing Ltd। আইএসবিএন ১-৮৪৪৫৪-২৪৭-৫।
- Matthews, Tony (২০০৫)। Who's Who of Chelsea। Mainstream Publishing। আইএসবিএন ১-৮৪৫৯৬-০১০-৬।
- Mears, Brian (২০০৪)। Chelsea: A 100-year History। Mainstream Sport। আইএসবিএন ১-৮৪০১৮-৮২৩-৫।
- Mears, Brian (২০০২)। Chelsea: Football Under the Blue Flag। Mainstream Sport। আইএসবিএন ১-৮৪০১৮-৬৫৮-৫।