মিন নদী (সিচুয়ান): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
সম্পাদনা সারাংশ নেই ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৯ নং লাইন: | ৯ নং লাইন: | ||
| map_caption = |
| map_caption = |
||
| source1_location = [[সোংপান]], সিছুয়ান |
| source1_location = [[সোংপান]], সিছুয়ান |
||
| |
| শাখানদী =[[ইবিন]] এর [[ইয়াংৎসি]], সিছুয়ান |
||
| subdivision_type1 = দেশ |
| subdivision_type1 = দেশ |
||
| subdivision_name1 = [[চীন]] |
| subdivision_name1 = [[চীন]] |
১৩:৩২, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
এই নিবন্ধটি উইকিপিডিয়ার বিশেষ এডিটাথন লক্ষ্য এবার লক্ষ এডিটাথন উপলক্ষ্যে তৈরি করা হচ্ছে। নিবন্ধটিকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নিবন্ধকার অনুবাদ করে এর মানোন্নয়ন ও সম্প্রসারণ করবেন। আপনার যেকোনো প্রয়োজনে নিবন্ধের আলাপ পাতাটি ব্যবহার করুন। এডিটাথনে জমা দেওয়ার পূর্বে কিংবা নিবন্ধ বা অনুচ্ছেদটি কয়েকদিনের জন্য সম্পাদনা করা না হলে অনুগ্রহপূর্বক এই টেমপ্লেটটি সরিয়ে ফেলুন ও প্রযোজ্যক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় টেমপ্লেট যুক্ত করুন। আপনার আগ্রহের জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।৩ বছর আগে Md. Abdul Ahad Khan (আলাপ | অবদান) এই নিবন্ধটি সর্বশেষ সম্পাদনা করেছেন। (হালনাগাদ) |
মিন নদী | |
---|---|
অবস্থান | |
দেশ | চীন |
প্রদেশ | সিছুয়ান |
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য | |
উৎস | |
• অবস্থান | সোংপান, সিছুয়ান |
নিষ্কাশন | |
• গড় | ৩,৯১৫ মি৩/সে (১,৩৮,৩০০ ঘনফুট/সে) |
অববাহিকার বৈশিষ্ট্য | |
উপনদী | |
• ডানে | দাদু নদী |
মিন নদী বা মিন জিয়াং (চীনা: 岷江; ফিনিন: মিনজিয়াং) হলো চীনের মধ্য সিছুয়ান প্রদেশে অবস্থিত একটি ৭৩৫-কিলোমিটার দীর্ঘ নদী (৪৫৭ মা)। এটি ঊর্ধ্ব ইয়াংৎসি নদীর একটি উপনদী যা ইবিনের সাথে মিলিত হয়। চীনের অভ্যন্তরে, এর উৎসসমূহের ব্যাপক অনুসন্ধানের আগে ঐতিহ্যগতভাবে এটিকে ইয়াংৎসি নদীর মূল অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হতো । [১][২]
ভুগোল
মিন নদী সাধারণত দক্ষিণ দিকে প্রবাহিত হয়। এটি দক্ষিণ কেন্দ্রীয় সিছুয়ান থেকে শুরু হয়ে, পশ্চিমে কিংলাই পর্বত দ্বারা এবং পূর্বে মিন পর্বত দ্বারা সংক্ষিপ্ত হয়েছে। নদীটি লংমেন পর্বতমালার মধ্য দিযে দুজিয়াংগেয়ানের কাছে সিছুয়ান অববাহিকায় প্রবেশ করে। সিছুয়ান অববাহিকার পশ্চিমতম অংশটি হলো ছেংতু, যা সিছুয়ান প্রদেশ দ্বারা দখলকৃত। ছেংতু সমভূমিটি মূলত পলিযুক্ত। ঐ অঞ্চলে প্রাচীন সেচ ব্যবস্থা এবং আধুনিক জিপিংপু বাঁধ অবস্থিত। মিন নদীর তীরে লেশান দানব বুদ্ধ নামের একটি বিশালাকায় মূর্তি নির্মিত আছে। এটি ৭১ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট এবং পাথরের তৈরী একটি মূর্তি, যা মৈত্রেয় বুদ্ধ এর প্রতি ইঙ্গিত করে।
নাম
১৯ শতকের কতিপয় পশ্চিমা লেখক মিনজিয়াং নদীর জন্য "ব্লু রিভার" বা "নীল নদী" নামটি স্থানীয় নাম হিসেবে ব্যবহার করেছেন। এর আগে স্থানীয় নাম চাইনিজ ছিল কিংশুই (清水,অর্থ. "পরিষ্কার পানি") [৩] এবং মিন নদীকে ইয়াংৎসির মূল অংশ মনে করা হত, [১] যা ইউরোপিয়দের কাছে "ব্লু রিভার" বা "নীল নদী" পরিচিত ছিল। [৪]
বন্যজীবন
জীববিজ্ঞানী ডেং কিজিয়াং এর একটি জরিপের মাধ্যমে জানা গেছে যে, ১৯৫০ সালে পাওয়া যেত মাছের এমন ৪০ টি প্রজাতির মধ্যে শুধুমাত্র ১৬ টিই এখন মিন নদীতে পাওয়া যায়। সিচুয়ান তাইমেন নামের একটি সরক্ষিত প্রজাতির মাছ সম্পূর্ণ এক দশকের জন্য ওয়েনচুয়ানে দেখা যায় নি। আইসিইউএন এর মতে মিন নদীতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন,ভূমিক্ষয় এবং বন উজাড় করার কারণে সিচুয়ান তাইমেনের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। আইনত সুরক্ষা থাকা অবৈধভাবে মাছ আহরণের কারণেও প্রজাতিটি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে যে, সিচুয়ান তাইমেন মাছের সংখ্যা গত তিন প্রজন্মের তুলনায় ৫০-৮০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।
ইতিহাস
মিন নদীর তীরে অবস্থিত জল ব্যবস্থা প্ৰকল্পটি প্রকৌশলবিদ বি লিং কর্তৃক নির্মিত প্রাচীনতম জল ব্যবস্থা প্রকল্প, যা কিন রাজ্যের শক্তিকে প্রসারিত করতে এবং চেংদু সমভূমিতে জনসংখ্যার গতি বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে। এটি প্রায় ২,৩০০ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল।পশ্চিমা শিক্ষাবিদদের মধ্যে জোসেফ নিধাম প্রথম এর ইতিহাস নিয়ে গবেষণা করে। ওয়ারিং রাজ্যের আমলে,যারা মিন নদীর তীরে বসবাস করত তারা বার্ষিক বন্যা দ্বারা খতিগ্রস্ত হতো। কিন রাজ্যের গভর্ণর সেচ প্রকৌশলবিদ বি লিং সমস্যাটি খতিয়ে দেখেন। বি লিং মিন নদীকে নিয়ন্ত্রন করার জন্য দুজিয়ানগেয়ানের সেচ ব্যবস্থার নকশা করেন,কেননা মিন নদী হলো ইয়াংৎসি নদীর প্রধান ও দীর্ঘতম উপনদী।
বাঁধসমূহ
প্রাথমিকভাবে জলবিদ্যুৎ শক্তির জন্য, মিন নদী খুব উন্নত হচ্ছে। ২০১৪ সালের মার্চ পর্যন্ত, মোট ২৭টি বাঁধ সম্পন্ন করা হয়েছে, নির্মানাধীন বা প্রকল্পিত রয়েছে। নিচে ঊর্ধ্বক্রম থেকে নিম্নক্রমে ঐ বাঁধগুলোর নাম দেয়া হলো।[৫][৬]
- পিইয়াংচুয়াংমান বাঁধ– সম্পন্ন, ৭৪০ মেগাওয়াট
- লংজিকোউ বাঁধ – প্রকল্পিত, ৩৬০ মেগাওয়াট
- জিয়ানওয়েই বাঁধ – প্রকল্পিত, ৩৬০ মেগাওয়াট
- সাজুই বাঁধ– প্রকল্পিত, ২৫০ মেগাওয়াট
- বানকিয়াওজি বাঁধ – প্রকল্পিত, ৩০ মেগাওয়াট
- ইয়াংলিউহু বাঁধ– প্রকল্পিত, ৭৬ মেগাওয়াট
- জিপিংপু বাঁধ– সম্পন্ন, ৭৬০ মেগাওয়াট
- ইংজিউয়ান বাঁধ– সম্পন্ন, ১৩৫ মেগাওয়াট
- তাইপিংগি বাঁধ – সম্পন্ন, ২৬০ মেগাওয়াট
- ফুটাংবা বাঁধ – সম্পন্ন, ৩৬০ মেগাওয়াট
- সাবা বাঁধ– নির্মানাধীন, ৭২০ মেগাওয়াট
- জিয়াংসেবা বাঁধ– সম্পন্ন, ৯৬ মেগাওয়াট
- ইয়াংমাওপিন বাঁধ– প্রকল্পিত, ৩.৪ মেগাওয়াট
- তংঝং বাঁধ – সম্পন্ন, ৪৯.৫ মেগাওয়াট
- নানজিন বাঁধ – সম্পন্ন, ৯.৬ মেগাওয়াট
- সিগু বাঁধ– সম্পন্ন, ২.৭ মেগাওয়াট
- জোঙ্কু বাঁধ– প্রকল্পিত, ২ মেগাওয়াট
- ইয়ানেরইয়ান বাঁধ– প্রকল্পিত, ৬৬ মেগাওয়াট
- ফেইহংকিয়াও বাঁধ – প্রকল্পিত,১২০ মেগাওয়াট
- জিনলংতান বাঁধ – সম্পন্ন, ১৮০ মেগাওয়াট
- তিয়ানলংঘু বাঁধ – সম্পন্ন, ১৮০ মেগাওয়াট
- জিয়াওহাইজি বাঁধ– সম্পন্ন, ৪৮ মেগাওয়াট
- লিয়ানহুয়াইয়ান বাঁধ– সম্পন্ন, ১১১ মেগাওয়াট
- উলিবাও বাঁধ – প্রকল্পিত, ১৫৭ মেগাওয়াট
- লংপ্যান বাঁধ– প্রকল্পিত, ৭২.৬ মেগাওয়াট
- জিনিংগুয়ান বাঁধ – প্রকল্পিত, ৩৭.২ মেগাওয়াট
- হংকিয়াগুয়ান বাঁধ– প্রকল্পিত, ৬৮.৫ মেগাওয়াট
আরো দেখুন
- চীনের নদীসমূহের তালিকা
- ইয়াংৎসি নদী
- দুজিয়ানগেয়ানের সেচ ব্যবস্থা
- কিংলাই পর্বত
- লেসান দানব বুদ্ধ
- মিন পর্বত
- সিচুয়ান প্রদেশ
- কিন রাজ্য
তথ্যসূত্র
- ↑ ক খ Jamieson, George (১৯১১)। "Yangtsze-Kiang"। চিসাম, হিউ। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ। 28 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 903।
- ↑ Fan Chengda. James M. Hargett (trans.) Riding the River Home: A Complete and Annotated Translation of Fan Chengda's (1126–1193) Travel Diary Record of a Boat Trip to Wu, p. 77. Chinese Univ. of Hong Kong (Hong Kong), 2008. Accessed 15 August 2013.
- ↑ Davenport, Arthur (১৮৭৭), Report upon the trading capabilities of the country traversed by the Yunnan Mission, Harrison and Sons, পৃষ্ঠা 10–11
- ↑ E.g., Moll, Herman. "The Empire of China and island of Japan, agreeable to modern history." Bowles & Bowles (London), 1736. Accessed 13 August 2013.
- ↑ Dong, Luan। "INTERACTIVE: Mapping China's "Dam Rush""। Wilson Center। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৪।
- ↑ "The Last Report on China's Rivers"। China's Rivers Report। মার্চ ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৪।