পিট্‌সবার্গ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
ভূগোল
অর্থনীতি
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:


শহরটি পশ্চিম আলেঘেনি প্লাতোর ইকো-অঞ্চলের আলেঘেনি প্লাতোর তীরে অবস্থিত<ref>{{cite web|title=Level III Ecoregions of Pennsylvania|url=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/cropmap/pennsylvania/maps/PAeco3.html |publisher=U.S. Environmental Protection Agency|accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> এবং ডাউনটাউন এলাকা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নামেও পরিচিত) আলেঘেনি নদী উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং মনোঙ্গাহেলা নদী দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসে [[ওহাইও নদী]]তে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্গমস্থল পয়েন্ট স্টেট পার্কে অবস্থিত, যা "দ্য পয়েন্ট" নামেও পরিচিত। শহরটি পূর্ব বর্ধিত হয়ে ওকল্যান্ড ও শ্যাডিসাইড শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে [[পিট্‌সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়]], [[কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়]], [[চাথাম বিশ্ববিদ্যালয়]], [[কার্নেগি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার]] এবং আরও অনেক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরটির দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক মূলত আবাসিক এলাকা।
শহরটি পশ্চিম আলেঘেনি প্লাতোর ইকো-অঞ্চলের আলেঘেনি প্লাতোর তীরে অবস্থিত<ref>{{cite web|title=Level III Ecoregions of Pennsylvania|url=http://www.hort.purdue.edu/newcrop/cropmap/pennsylvania/maps/PAeco3.html |publisher=U.S. Environmental Protection Agency|accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> এবং ডাউনটাউন এলাকা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নামেও পরিচিত) আলেঘেনি নদী উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং মনোঙ্গাহেলা নদী দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসে [[ওহাইও নদী]]তে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্গমস্থল পয়েন্ট স্টেট পার্কে অবস্থিত, যা "দ্য পয়েন্ট" নামেও পরিচিত। শহরটি পূর্ব বর্ধিত হয়ে ওকল্যান্ড ও শ্যাডিসাইড শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে [[পিট্‌সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়]], [[কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়]], [[চাথাম বিশ্ববিদ্যালয়]], [[কার্নেগি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার]] এবং আরও অনেক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরটির দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক মূলত আবাসিক এলাকা।

==অর্থনীতি==
পিট্‌সবার্গ শতাব্দীব্যাপী ইস্পাত ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। এই দুটি শিল্পের পতনের পর এলাকাটি উন্নত প্রযুক্তি, রোবটিক্স, স্বাস্থ্য সেবা, পারমাণবিক প্রকৌশল, পর্যটন, জৈবচিকিৎসা প্রযুক্তি, অর্থায়ন, শিক্ষা ও সেবা খাতে ধাবমান হয়েছে। অঞ্চলটির প্রযুক্তি খাতে বার্ষিক পেরোল ২০০৭ সালে $১০.৮ বিলিয়ন পেরিয়ে যায়<ref>[http://www.pghtech.org/aboutus/about-our-region.aspx About Our Region] Pittsburgh Technology Council {{webarchive |url=https://web.archive.org/web/20140327204307/http://www.pghtech.org/aboutus/about-our-region.aspx |date=March 27, 2014 }}</ref> এবং ২০১০ সালে এখানে ১,৬০০ প্রযুক্তি কোম্পানি ছিল।<ref name="Bobkoff">{{cite web|url=https://www.npr.org/2010/12/16/131907405/from-steel-to-tech-pittsburgh-transforms-itself|title=From Steel To Tech, Pittsburgh Transforms Itself|last=ববকফ |first=ড্যান |date=December 16, 2010|work=এনপিআর |accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> ২০১৪ সালের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রতিবেদনে পিট্‌সবার্গকে আন্তঃপ্রজন্ম অর্থনৈতিক সচলতার দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা মার্কিন শহর বলে উল্লেখ করেছে।<ref>{{cite journal |last1=চেতি |first1=রাজ |last2=হেনড্রেন |first2=নাথানিয়েল |last3=ক্লাইন |first3=প্যাট্রিক |last4=সায়েজ |first4=এমানুয়েল |title=Where Is The Land of Opportunity? The Geography of Intergenerational Mobility in the United States |journal=NBER Working Paper Series |issue=Working Paper 19843 |page=৬৭ |publisher=[[National Bureau of Economic Research Working Paper]] |date=January 2014 |url=https://www.nber.org/papers/w19843 |accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ |url-status=live |archiveurl=https://web.archive.org/web/20140202184957/http://obs.rc.fas.harvard.edu/chetty/mobility_geo.pdf |archivedate=February 2, 2014 }}</ref> শহর জুড়ে শিল্প প্রযুক্তির দিকে ধাবমান হয়েছে এবং প্রাক্তন ফ্যাক্টরিগুলো আধুনিক অফিসে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়েছ। বেকারি স্কয়ার নামে পরিচিত ১৯১৮-১৯৯৮ নাবিস্কো ফ্যাক্টরিতে [[গুগল]] তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তি অফিসগুলো স্থাপন করেছে।<ref>{{cite web |url=http://bakery-square.com/ |title=Bakery Square at Eastside, Pittsburgh :: Commercial, Residential Hotel Development |publisher=Walnut Capital and RCG Longview Fund |accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref> বৃহৎ ডগ মিশ্রণ-সহ ফ্যাক্টরিটির কিছু মূল উপকরণ এই স্থানটির শৈল্পিক শিকড় হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে।<ref>{{cite web |url= |title=It's a beautiful day in this neighborhood: growing in Pittsburgh |last=মুর |first=অ্যান্ড্রু |date=December 8, 2010 |work=দাপ্তরিক গুগল ব্লগ |accessdate=৫ সেপ্টেম্বর ২০২০}}</ref>


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

১৯:৩৯, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

পিট্‌সবার্গ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পেন্সিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের একটি শহর এবং আলেঘেনি কাউন্টির একটি কাউন্টি আসন। ২০১৯ সালের হিসাব মোতাবেক, এই শহরের জনসংখ্যা প্রায় ৩০০,২৮৬ জন, ফলে এটি জনসংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৬৬তম বৃহত্তম শহর এবং ফিলাডেলফিয়ার পর পেন্সিলভেনিয়ার দ্বিতীয় সর্বাধিক জনবহুল শহর। পিট্‌সবার্গ মেট্রোপলিটন এলাকা পশ্চিম পেন্সিলভেনিয়ার নঙ্গর ফেলার স্থান। ২,৩২৪,৭৪৩ জন বাসিন্দা নিয়ে এটি ওহাইও উপত্যকা ও অ্যাপালাচিয়ার বৃহত্তম, পেন্সিলভেনিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম বৃহত্তম শহর।

পিট্‌সবার্গ পেন্সিলভেনিয়া অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ-পশ্চিমে আলেঘেনি, মনোঙ্গাহেলা ও ওহাইও নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত।[১] পিট্‌সবার্গ তিন শতাধিক ইস্পাতের সাথে জড়িত ব্যবসায়ের জন্য "ইস্পাত নগরী" এবং ৪৪৬ সেতুর জন্য "সেতুর নগরী" নামে পরিচিত। শহরটিতে ৩০টি গগনচুম্বী অট্টালিকা, দুটি বাঁকানো রেলপথ, একটি প্রাক-স্বাধীনতার পরিখাপ্রাচীর এবং নদীর সঙ্গমস্থলে একটি পয়েন্ট স্টেট পার্ক রয়েছে। শহরটি আটলান্টিক উপকূলের সাথে মিডওয়েস্টের সংযোগের জন্য গড়ে ওঠেছিল।

ইতিহাস

১৭৫৮ সালে জেনারেল জন ফোর্বস ব্রিটিশ রাষ্ট্রপরিচালক উইলিয়াম পিট, চাথামের প্রথম আর্লের সম্মানার্থে শহরটির নামকরণ করেন পিট্‌সবার্গ। ফোর্বস স্কট ছিলেন, তিনি সম্ভবত এর উচ্চারণ করতেন "পিট্‌সবরা" ("এডিনবরা"'র মত)।[২][৩] ১৯৭৪ সালের ২২শে এপ্রিল পিট্‌সবার্গ বরা হিসেবে উত্তীর্ণ হয়।[৪] ১৮৯১ থেকে ১৯১১ সাল পর্যন্ত শহরটি "পিট্‌সবার্গ" ("Pittsburg") নামে পরিচিতি লাভ করে, এই সময়ে শহরের সরকার ও অন্যান্য স্থানীয় সংগঠন নামটির শেষে h বর্ণটি তখন ব্যবহৃত করত না।[৫][২] একটি জনসংযোগের পর নামের শেষের h বর্ণটি সংরক্ষিত হয়।[২] দ্য পিট্‌সবার্গ প্রেস ১৯২১ সালের ১লা আগস্ট পর্যন্ত তাদের নামের ফলকে h বর্ণটি ব্যবহার করত না।[৬]

ভূগোল

পিট্‌সবার্গের আয়তন ৫৮.৩ বর্গ মাইল (১৫১ কিমি), তন্মধ্যে ৫৫.৬ বর্গ মাইল (১৪৪ কিমি) ভূ-ভাগ এবং ২.৮ বর্গ মাইল (৭.৩ কিমি) জলভাগ। ৮০তম মেরিডিয়ান ওয়েস্ট শহরটির মধ্য দিয়ে গিয়েছে।

শহরটি পশ্চিম আলেঘেনি প্লাতোর ইকো-অঞ্চলের আলেঘেনি প্লাতোর তীরে অবস্থিত[৭] এবং ডাউনটাউন এলাকা (গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গেল নামেও পরিচিত) আলেঘেনি নদী উত্তর-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসেছে এবং মনোঙ্গাহেলা নদী দক্ষিণ-পূর্ব থেকে প্রবাহিত হয়ে এসে ওহাইও নদীতে পরিণত হয়েছে। এই সঙ্গমস্থল পয়েন্ট স্টেট পার্কে অবস্থিত, যা "দ্য পয়েন্ট" নামেও পরিচিত। শহরটি পূর্ব বর্ধিত হয়ে ওকল্যান্ড ও শ্যাডিসাইড শাখাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যেখানে পিট্‌সবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি মেলন বিশ্ববিদ্যালয়, চাথাম বিশ্ববিদ্যালয়, কার্নেগি জাদুঘর ও গ্রন্থাগার এবং আরও অনেক শিক্ষা, চিকিৎসা ও সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শহরটির দক্ষিণ, পশ্চিম ও উত্তর দিক মূলত আবাসিক এলাকা।

অর্থনীতি

পিট্‌সবার্গ শতাব্দীব্যাপী ইস্পাত ও ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সাথে জড়িত ছিল। এই দুটি শিল্পের পতনের পর এলাকাটি উন্নত প্রযুক্তি, রোবটিক্স, স্বাস্থ্য সেবা, পারমাণবিক প্রকৌশল, পর্যটন, জৈবচিকিৎসা প্রযুক্তি, অর্থায়ন, শিক্ষা ও সেবা খাতে ধাবমান হয়েছে। অঞ্চলটির প্রযুক্তি খাতে বার্ষিক পেরোল ২০০৭ সালে $১০.৮ বিলিয়ন পেরিয়ে যায়[৮] এবং ২০১০ সালে এখানে ১,৬০০ প্রযুক্তি কোম্পানি ছিল।[৯] ২০১৪ সালের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের প্রতিবেদনে পিট্‌সবার্গকে আন্তঃপ্রজন্ম অর্থনৈতিক সচলতার দিক থেকে দ্বিতীয় সেরা মার্কিন শহর বলে উল্লেখ করেছে।[১০] শহর জুড়ে শিল্প প্রযুক্তির দিকে ধাবমান হয়েছে এবং প্রাক্তন ফ্যাক্টরিগুলো আধুনিক অফিসে নতুনভাবে সজ্জিত করা হয়েছ। বেকারি স্কয়ার নামে পরিচিত ১৯১৮-১৯৯৮ নাবিস্কো ফ্যাক্টরিতে গুগল তাদের গবেষণা ও প্রযুক্তি অফিসগুলো স্থাপন করেছে।[১১] বৃহৎ ডগ মিশ্রণ-সহ ফ্যাক্টরিটির কিছু মূল উপকরণ এই স্থানটির শৈল্পিক শিকড় হিসেবে রেখে দেওয়া হয়েছে।[১২]

তথ্যসূত্র

  1. "Pittsburgh"এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  2. "How to Spell Pittsburgh"কার্নেগি লাইব্রেরি অব পিট্‌সবার্গ। অক্টোবর ১, ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  3. কনরাট, স্টেসি (১ অক্টোবর ২০১৩)। "How Pittsburgh Got Its "H" Back"মেন্টাল ফ্লস। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  4. "Pittsburgh Facts"পিট্‌সবার্গ পোস্ট-গেজেট। ১ জানুয়ারি ২০০৩। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  5. স্টুয়ার্ট, জর্জ আর. (১৯৬৭) [১৯৪৫]। Names on the Land: A Historical Account of Place-Naming in the United Statesবিনামূল্যে নিবন্ধন প্রয়োজন (Sentry edition (3rd) সংস্করণ)। হৌটন মিফলিন। পৃষ্ঠা ৩৪২–৩৪৪ 
  6. "THE PITTSBURGH PRESS."। ২১ আগস্ট ১৯২১। পৃষ্ঠা ১। 
  7. "Level III Ecoregions of Pennsylvania"। U.S. Environmental Protection Agency। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  8. About Our Region Pittsburgh Technology Council ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত মার্চ ২৭, ২০১৪ তারিখে
  9. ববকফ, ড্যান (ডিসেম্বর ১৬, ২০১০)। "From Steel To Tech, Pittsburgh Transforms Itself"এনপিআর। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  10. চেতি, রাজ; হেনড্রেন, নাথানিয়েল; ক্লাইন, প্যাট্রিক; সায়েজ, এমানুয়েল (জানুয়ারি ২০১৪)। "Where Is The Land of Opportunity? The Geography of Intergenerational Mobility in the United States" (পিডিএফ)NBER Working Paper SeriesNational Bureau of Economic Research Working Paper (Working Paper 19843): ৬৭। ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  11. "Bakery Square at Eastside, Pittsburgh :: Commercial, Residential Hotel Development"। Walnut Capital and RCG Longview Fund। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ 
  12. মুর, অ্যান্ড্রু (ডিসেম্বর ৮, ২০১০)। "It's a beautiful day in this neighborhood: growing in Pittsburgh"। দাপ্তরিক গুগল ব্লগ 

বহিঃসংযোগ