মদনমোহন কলেজ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
অ হটক্যাটের মাধ্যমে বিষয়শ্রেণী:মদনমোহন কলেজ যোগ |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
৪৫ নং লাইন: | ৪৫ নং লাইন: | ||
== ইতিহাস == |
== ইতিহাস == |
||
১৮৯২ সালে সিলেট অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান [[মুরারিচাঁদ কলেজ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার ৪৮বছর পর অর্থাৎ ১৯৪০ সালের ২৬ জানুয়ারি সিলেট শহরে লামাবাজার এলাকায় বাণিজ্য শাখায় অধ্যয়নের সুযোগ সংবলিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মদনমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠিত পায়। তৎকালীন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী মোহিনীমোহন দাস (১৮৮৯-১৯৪৪ খ্রি.) ও যোগেন্দ্রমোহন দাস (১৮৯৪-১৯৮৬ খ্রি.) তাদের পিতা [[মদনমোহন দাস]](১৮৫৬-১৯২৫ খ্রি.) এর স্মরণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা কলেজটি সিলেটের লামাবাজারে তাদের নিজেদের দান করা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে কলেজটির মোট আয়তন ৩.৩৭ একর। বর্তমান কলেজটি [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপযোজন নিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। |
১৮৯২ সালে সিলেট অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান [[মুরারিচাঁদ কলেজ]] প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার ৪৮বছর পর অর্থাৎ ১৯৪০ সালের ২৬ জানুয়ারি সিলেট শহরে লামাবাজার এলাকায় বাণিজ্য শাখায় অধ্যয়নের সুযোগ সংবলিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মদনমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠিত পায়। তৎকালীন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী মোহিনীমোহন দাস (১৮৮৯-১৯৪৪ খ্রি.) ও যোগেন্দ্রমোহন দাস (১৮৯৪-১৯৮৬ খ্রি.) তাদের পিতা [[মদনমোহন দাস]] (১৮৫৬-১৯২৫ খ্রি.) এর স্মরণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা কলেজটি সিলেটের লামাবাজারে তাদের নিজেদের দান করা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে কলেজটির মোট আয়তন ৩.৩৭ একর। বর্তমান কলেজটি [[বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়|বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের]] উপযোজন নিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭৮ বছর পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট আলোকে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।<ref>https://www.bd-journal.com/education/80753/সরকারি-হলো-দুই-কলেজ</ref> |
||
==বিভাগ== |
==বিভাগ== |
০০:৫০, ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
ধরন | সরকারি কলেজ |
---|---|
স্থাপিত | ২৬ জানুয়ারী ১৯৪০ |
অধ্যক্ষ | অধ্যাপিকা সর্ব্বাণী অর্জুণ |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ৫০ |
শিক্ষার্থী | ১০,৪৫১ জন (দশ হাজার চারশত একান্ন জন) |
স্নাতক | ২৭১৪ |
ঠিকানা | লামাবাজ , সিলেট -৩১০০ , |
পোশাকের রঙ | সাদা ও নীল |
সংক্ষিপ্ত নাম | এমএমসি |
অধিভুক্তি | বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় |
ওয়েবসাইট | প্রাতিষ্ঠানিক ওয়েবসাইট |
মদনমোহন কলেজ (এমএমসি নামেও পরিচিত) হল সিলেটের একটি শীর্ষস্থানীয় ও ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এটি সিলেট শহরের লামাবাজার এলাকায় অবস্থিত।
ইতিহাস
১৮৯২ সালে সিলেট অঞ্চলের সর্বপ্রাচীন উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুরারিচাঁদ কলেজ প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তার ৪৮বছর পর অর্থাৎ ১৯৪০ সালের ২৬ জানুয়ারি সিলেট শহরে লামাবাজার এলাকায় বাণিজ্য শাখায় অধ্যয়নের সুযোগ সংবলিত উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মদনমোহন কলেজ প্রতিষ্ঠিত পায়। তৎকালীন সিলেটের প্রখ্যাত শিক্ষানুরাগী মোহিনীমোহন দাস (১৮৮৯-১৯৪৪ খ্রি.) ও যোগেন্দ্রমোহন দাস (১৮৯৪-১৯৮৬ খ্রি.) তাদের পিতা মদনমোহন দাস (১৮৫৬-১৯২৫ খ্রি.) এর স্মরণে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। তারা কলেজটি সিলেটের লামাবাজারে তাদের নিজেদের দান করা জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে কলেজটির মোট আয়তন ৩.৩৭ একর। বর্তমান কলেজটি বাংলাদেশ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপযোজন নিয়ে এ অঞ্চলের শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৭৮ বছর পর ২০১৮ সালের ১২ আগস্ট আলোকে কলেজটি সরকারিকরণ করা হয়।[১]
বিভাগ
বিজ্ঞান অনুষদ
- রসায়ন বিভাগ
- পদার্থবিদ্যা বিভাগ
- গণিত বিভাগ
- পরিসংখ্যান বিভাগ
- আইসিটি বিভাগ
ব্যবসা শিক্ষা অনুষদ
- ব্যবস্থাপনা বিভাগ
- অ্যাকাউন্টিং বিভাগ
- অর্থ ও ব্যাংকিং বিভাগ
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ
- অর্থনীতি বিভাগ
- রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগ
- উন্নয়ন গবেষণা বিভাগ
জৈব বিজ্ঞান অনুষদের
- বোটানি বিভাগ
- প্রাণিবিদ্যা বিভাগ
কলা অনুষদ
- বাংলা বিভাগ
- ইংরেজি বিভাগ
- ইসলামী শিক্ষা বিভাগ
- দর্শনশাস্ত্র বিভাগ
- ইসলামী ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ
অবকাঠামো
একাডেমিক ভবন
বর্তমানে কলেজে বেশ কয়েকটি একাডেমিক ভবন রয়েছে। এ ভবনগুলো প্রধানত শ্রেণীকক্ষ, লাইব্রেরী ও প্রশাসনিক কাজে ব্যবহার করা হয়। এগুলোর মধ্যে রয়েছে মোহিনীমোহন ভবন, যোগেন্দ্রমোহন ভবন, এম. সাইফুর রহমান ভবন, একাডেমিক ভবন (প্রস্তাবিত), একাডেমিক ভবন তারাপুর ক্যাম্পাস।
লাইব্রেরী
কলেজটির একাডেমিক ভবনের নিচতলার উত্তরাংশে সুবৃহৎ গ্রন্থাগার রয়েছে, যেখানে প্রায় পঁচিশ হাজার দুষ্প্রাপ্য ও গবেষণাধর্মী গ্রন্থসমাবেশ রয়েছে।
হোস্টেল
অধ্যক্ষবৃন্দ ও কার্যকাল
নং | অধ্যক্ষ | কার্যকাল |
---|---|---|
০১ | শ্রীপ্রমোদচন্দ্র গোস্বামী | ১৬/০১/১৯৪০ হতে ১৪/০১/১৯৬৯ |
০২ | শ্রীগিরিজা ভূষণ চক্রবর্তী (ভারপ্রাপ্ত) | ১৫/০১/১৯৬৯ হতে ৩১/০৫/১৯৬৯ |
০৩ | শ্রীকৃষ্ণকুমার পালচৌধুরী | ০১/০৬/১৯৬৯ হতে ০৭/০৪/১৯৭১ |
০৪ | জনাব মোঃ আব্দুল মালিক চৌধুরী (ভারপ্রাপ্ত) | ০৫/০৫/১৯৭১ হতে ১৫/১২/১৯৭১ |
০৫ | শ্রীকৃষ্ণ কুমার পালচৌধুরী | ১৬/১২/১৯৭১ হতে ৩০/০৬/১৯৮৪ |
০৬ | জনাব সৈয়দ আবদুস শহীদ (ভারপ্রাপ্ত) | ০১/০৭/১৯৮৪ হতে ২৮/০৯/১৯৮৫ |
০৭ | জনাব সৈয়দ আব্দুস শহীদ | ২৯/০৯/১৯৮৫ হতে ৩০/০৯/১৯৯০ |
০৮ | জনাব নজরুল ইসলাম চৌধুরী | ০১/১০/১৯৯০ হতে ০১/০২/২০০০ |
০৯ | অধ্যাপক মুহিবুর রহমান (ভারপ্রাপ্ত) | ০২/০২/২০০০ হতে ২৭/০৭/২০০২ |
১০ | লে. কর্নেল এম. আতাউর রহমান পীর | ২৮/০৭/২০০২ হতে ১৭/১০/২০০৯ |
১১ | অধ্যাপক কৃপাসিন্ধু পাল (ভারপ্রাপ্ত) | ১৮/১০/২০০৯ হতে ২১/০২/২০১১ |
১২ | অধ্যাপক কৃপাসিন্ধু পাল | ২২/০২/২০১১ হতে ৩০/০৬/২০১২ |
১৩ | অধ্যাপক ড. মো. আবুল ফতেহ (ভারপ্রাপ্ত) | ০১/০৭/২০১২ হতে ০৭/০৪/২০১৩ (পূর্বাহ্ন) |
১৪ | অধ্যাপক ড. মো. আবুল ফতেহ | ০৭/০৪/২০১৩ (অপরাহ্ন) হতে বর্তমান |
তথ্যসূত্র
- মদনমোহন কলেজ[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ], সিলেটইনফো.কম। পরিদর্শনের তারিখ: জানুয়ারি ২৬, ২০১১।
- মদনমোহন কলেজের নিজস্ব ওয়েবসাইট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- তারুণ্য উচ্ছ্বসে সবুজ আঙিনা