রংপুর জেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৪′ উত্তর ৮৯°১৫′ পূর্ব / ২৫.৭৩৩° উত্তর ৮৯.২৫০° পূর্ব / 25.733; 89.250
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
FuadSourov (আলোচনা | অবদান)
সম্পাদনা সারাংশ নেই
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
FuadSourov (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
২১৫ নং লাইন: ২১৫ নং লাইন:
* [[রংপুর বিভাগ]]
* [[রংপুর বিভাগ]]
* [[বাংলাদেশের জেলাসমূহ]]
* [[বাংলাদেশের জেলাসমূহ]]
* [[অবিভক্ত রংপুর জেলা]]


==বহিঃসংযোগ==
==বহিঃসংযোগ==

১৪:০২, ১৫ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রংপুর
জেলা
তাজহাট রাজবাড়ী, বর্তমানে জাদুঘর
তাজহাট রাজবাড়ী, বর্তমানে জাদুঘর
বাংলাদেশে রংপুর জেলার অবস্থান
বাংলাদেশে রংপুর জেলার অবস্থান
স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৪′ উত্তর ৮৯°১৫′ পূর্ব / ২৫.৭৩৩° উত্তর ৮৯.২৫০° পূর্ব / 25.733; 89.250 উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
দেশবাংলাদেশ
বিভাগরংপুর বিভাগ
প্রতিষ্ঠা১৭৭২ খ্রিঃ
আয়তন
 • মোট২,৪০০.৫৬ বর্গকিমি (৯২৬.৮৬ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)[১]
 • মোট২৯,৯৬,৩৩৬
 • জনঘনত্ব১,২০০/বর্গকিমি (৩,২০০/বর্গমাইল)
সাক্ষরতার হার
 • মোট৪৮.৫%
সময় অঞ্চলবিএসটি (ইউটিসি+৬)
পোস্ট কোড৫৪০০ উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন
প্রশাসনিক
বিভাগের কোড
৫৫ ৮৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট উইকিউপাত্তে এটি সম্পাদনা করুন

রংপুর জেলা বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল ও বিভাগীয় শহর।

ভৌগোলিক অবস্থান

রংপুর জেলা ২৫°০৩˝ থেকে ২৮°২৮˝ অক্ষাংশে এবং ৮৮°৪৫˝ থেকে ৮৯°৫৫˝ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত। এর উত্তরে লালমনিরহাট, পূর্বে কুড়িগ্রাম, দক্ষিণ-পূর্বাংশে গাইবান্ধা, উত্তর-পশ্চিমাংশে নীলফামারী এবং দক্ষিণ-পশ্চিমাংশে দিনাজপুর জেলার অবস্থান।[২] মোট আয়তন ২,৩০৮ বর্গকিলোমিটার (৮৯১ মা)। আটটি উপজেলা, ৩৮টি ইউনিয়ন, ১৪৫৫টি মৌজা এবং ১ টি সিটি কর্পোরেশন, ৩টি পৌরসভা নিয়ে রংপুর জেলা গঠিত। তিস্তা নদী রংপুর জেলার উত্তর ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তকে লালমনিরহাট এবং কুড়িগ্রাম জেলা থেকে আলাদা করেছে।

রংপুর জেলাকে বৃহত্তর বঙ্গপ্লাবন ভূমির অংশ মনে করা হয়। কিন্তু ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে এর গঠন দেশের অন্যান্য জেলা থেকে আলাদা। এ জেলার ভূগঠন অতীতে উত্তরাঞ্চল প্রবাহমান কয়েকটি নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং ভূকম্পনজনিত ভুমি উত্তোলনের সাথে জড়িত। তিস্তা নদীর আদি গতিপথ পরিবর্তন ছিল রংপুর জেলার ভূমি গঠনের ক্ষেত্রে অতি গুরুত্বপূর্ণ। তিস্তা নদী ১৭৮৭ সালের পূর্বে গঙ্গানদীর একটি উপনদী ছিল। তিস্তা সিকিম বা হিমালয়ে পরিচিত রাংগু ১৭৮৭ সাল পর্যন্ত দিনাজপুর জেলার নিকট আত্রাই এর সাথে মিলিত হয়ে নিম্ন গঙ্গা নদীতে পতিত হতো। ১৮শ শতকে তিস্তা, আত্রাই নদীর পথ ধরে গঙ্গা ও বিছিন্ন কিছু খাল বিলের মাধ্যমে ব্রহ্মপুত্র, উভয় কিছু নদীর সাথে ঋতু ভিত্তিক সংযোগ করত। অপর নদী ধরলা তিস্তা থেকে নিম্ন হিমালয় অঞ্চল বৃহত্তর রংপুর জেলার পূর্ব দিক দিয়ে (বর্তমান কুড়িগ্রাম) ব্রহ্মপুত্র নদে মিলিত হয়েছে। ঘাঘট এ জেলার অপর একটি গুরুত্বপূর্ণ নদ । ঘাঘট তিস্তার গর্ভ থেকে উৎপন্ন হয়ে রংপুর জেলার মধ্য দিয়ে দক্ষিণে গাইবান্ধা জেলা অতিক্রম করে করতোয়া নদীতে পতিত হয়। আত্রাই নদী এ সময় করতোয়া ও গঙ্গার মধ্যে সংযোগ রক্ষা করত।

প্রশাসনিক অঞ্চল

রংপুর সিটি কর্পোরেশন

রংপুর জেলায় ৮টি উপজেলা রয়েছে। এগুলো হল:

উপরোক্ত থানা সমূহ মনে রাখার জন্য ছড়া আকারে বলে থাকে, “সদর বদর মিঠা তারা, কাউনিয়া পীর পীর গংগাচড়া”।

নামকরণের ইতিহাস

রঙ্গপুরের সংবাদ পত্র রঙ্গপুর দর্পন, যার তারিখ ২১ নভেম্বর ১৯২১

নামকরণের ক্ষেত্রে লোকমুখে প্রচলিত আছে যে পূর্বের ‘রঙ্গপুর’ থেকেই কালক্রমে এই নামটি এসেছে। ইতিহাস থেকে জানা যায় যে উপমহাদেশে ইংরেজরা নীলের চাষ শুরু করে। এই অঞ্চলে মাটি উর্বর হবার কারণে এখানে প্রচুর নীলের চাষ হত। সেই নীলকে স্থানীয় লোকজন রঙ্গ নামেই জানত। কালের বিবর্তনে সেই রঙ্গ থেকে রঙ্গপুর এবং তা থেকেই আজকের রংপুর। অপর একটি প্রচলিত ধারণা থেকে জানা যায় যে রংপুর জেলার পূর্বনাম রঙ্গপুর। প্রাগ জ্যোতিস্বর নরের পুত্র ভগদত্তের রঙ্গমহল এর নামকরণ থেকে এই রঙ্গপুর নামটি আসে। রংপুর জেলার অপর নাম জঙ্গপুর । ম্যালেরিয়া রোগের প্রাদুর্ভাব থাকায় কেউ কেউ এই জেলাকে যমপুর বলেও ডাকত। তবে রংপুর জেলা সুদুর অতীত থেকে আন্দোলন প্রতিরোধের মূল ঘাঁটি ছিল। তাই জঙ্গপুর নামকেই রংপুরের আদি নাম হিসেবে ধরা হয়। জঙ্গ অর্থ যুদ্ধ, পুর অর্থ নগর বা শহর। গ্রাম থেকে আগত মানুষ প্রায়ই ইংরেজদের অত্যাচারে নিহত হত বা ম্যালেরিয়ায় মারা যেত। তাই সাধারণ মানুষ শহরে আসতে ভয় পেত। সুদুর অতীতে রংপুর জেলা যে রণভূমি ছিল তা সন্দেহাতীত ভাবেই বলা যায়। ত্রিশের দশকের শেষ ভাগে এ জেলায় কৃষক আন্দোলন যে ভাবে বিকাশ লাভ করে ছিল তার কারণে রংপুরকে লাল রংপুর হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল।

অর্থনীতি

টাউন হল

রংপুর অঞ্চলকে তামাকের জন্য বিখ্যাত বলা হয়। এখানে উৎপাদিত তামাক দিয়ে সারা দেশের চাহিদা মেটানো হয়। রংপুরে প্রচুর পরিমাণ ধান-পাট-আলু ও হাড়িভাঙ্গা আম উৎপাদিত হয়। যা স্থানীয় বাজার তথা সারাদেশের বাজারে সমান হারে সমাদৃত। তাছাড়াও সম্মিলিত খামার গড়ে উঠছে যা অর্থনীতিতে ব্যাপক হারে প্রভাব ফেলছে।

শিল্পপ্রতিষ্ঠান

রংপুর জেলার কেল্লাবন্দ নামক স্থানে বিসিক শিল্প নগরী গড়ে উঠেছে। সেখানে বিভিন্ন ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠান আছে। এগুলো হল-

  • আর.এফ.এল লিঃ
  • প্রাইম সনিক গ্রুপ
  • মিল্ক ভিটা বাংলাদেশ
  • আরডি মিল্ক
  • বিভিন্ন কোল্ড স্টোরেজ

এছাড়া হারাগাছ নামক স্থানে বিড়ি (সিগারেট) তৈরির একাধিক কারখানা রয়েছে। রংপুর শহরের আলম নগর নামক স্থানে আছে আর,কে ফ্যান কারখানা। বদরগঞ্জ উপজেলার শ্যামপুর নামক স্থানে গড়ে উঠেছে শ্যামপুর চিনিকল লিমিটেড এবং রংপুর ডিষ্টিলারিজ এন্ড কেমিক্যাল কোঃ লিঃ। পীরগাছা উপজেলার দেবী চৌধুরাণীতে একটি পাটকল আছে।

প্রকাশনা সংস্থা

  • আইডিয়া প্রকাশন (প্রতিষ্ঠাকাল ২০০৮)
অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এ অঞ্চলের সৃজনশীল বই প্রকাশে বিশেষ অবদান রাখছে এবং সংস্থাটি এ অঞ্চলের পক্ষে জাতীয় পর্যায়ে অংশগ্রহণকারী একমাত্র প্রকাশনা সংস্থা।

লিটল ম্যাগাজিন ও সাহিত্যপত্রিকা

  • নতুন সাহিত্য
  • ফিরেদেখা বাংলা সাহিত্যের কাগজ (২০ অক্টোবর ২০১৩)
  • রংপুর সাহিত্যপত্র
  • সূচনা সাহিত্যপত্র
  • শব্দ
  • অঞ্জলিকা সাহিত্যপত্র
  • মৌচাক
  • পেন্সিল
  • দুয়ার
  • রঙধনু
  • ঐতিহ্য
  • শিল্পাচল
  • সূত্রপাত
  • সাহিত্যমঞ্চ

পত্র-পত্রিকা

দৈনিক[৩]

  • দাবানল (১৯৮০)
  • যুগের আলো (১৯৯২)
  • পরিবেশ (১৯৯৪)
  • দৈনিক মায়াবাজার, রংপুর (২০১০) ১০ অক্টোবর
  • রংপুর (১৯৯৭)
  • রংপুর ক্রাইম নিউজ (২০০৫)
  • আরসিএন২৪বিডি ডটকম (২০০৭)
  • রংপুরের খবর 2005

সাপ্তাহিক[৩]

  • অটল (১৯৯১)
  • রংপুর বার্তা (১৯৯৬)
  • অবলুপ্ত: রঙ্গপুর বার্তাবহ (১৮৪৭)
  • রঙ্গপুর দর্পণ (১৯০৭)
  • রঙ্গপুর সাহিত্য পরিষদ পত্রিকা (১৯০৫)
  • রঙ্গপুর দিক প্রকাশ (১৮৬১)
  • উত্তর বাংলা (১৯৬০)
  • প্রভাতী (১৯৫৫)
  • সাপ্তাহিক রংপুর (১৯৯৬)
  • বজ্রকণ্ঠ (পীরগঞ্জ)

চিত্তাকর্ষক স্থান

'প্রজন্ম', মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য, রংপুর কারমাইকেল কলেজ
তাজহাট রাজবাড়ী
  1. কারমাইকেল কলেজ,
  2. তাজহাট রাজবাড়ী,
  3. মন্থনা জমিদার বাড়ি,
  4. ইটাকুমারী জমিদার বাড়ি,
  5. শ্রী জ্ঞানেন্দ্র নারায়ণ রায়ের জমিদার বাড়ি,
  6. ভিন্নজগত,
  7. রংপুর চিড়িয়াখানা,
  8. পায়রাবন্দ,
  9. ঘাঘট প্রয়াস পার্ক,
  10. চিকলির পার্ক,
  11. আনন্দনগর,
  12. দেবী চৌধুরাণীর পুকুর,
  13. তিস্তা সড়ক ও রেল সেতু,
  14. মহিপুর ঘাট,
  15. মিঠাপুকুর শালবন,

মিঠাপুকুর উপজেলার রানিপুকুর ও লতিবপুর ইউনিয়নের নিঝাল, ভিকনপুর, মামুদপুর তিন গ্রামের সীমানায় অবস্থিত মোঘল আমলের "নির্মিত তনকা মসজিদ"। একই উপজেলার ময়েনপুর ইউনিয়নের ফুলচৌকির মোঘল আমলের নির্মিত মসজিদ, সুড়ুং পথ, শালবনের ভিতরের মন্দির, সহ অনেক পুরাতন স্থাপনা আছে এই গ্রামে।

শিক্ষা

রংপুর জিলা স্কুল

শিক্ষা ব্যবস্থার দিক থেকে রংপুর জেলা প্রাচীন কাল থেকেই বাংলাদেশের একটি অন্যতম জেলা। এখানে গড়ে উঠেছে অনেক প্রসিদ্ধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এই জেলায় ২৮২টি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ৭২২ টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৩৮টি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ১৯৩টি বেসরকারী সংস্থা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিদ্যালয় এবং ৩২০টি মাদ্রাসা। তার মধ্যে অনতম্য হল

  • বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়,
  • মরিয়ম নেচ্ছা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,
  • কেরামতিয়া উচ্চ বিদ্যালয়
  • বড় রংপুর কারামতিয়া আলিয়া মাদরাসা, মাহিগঞ্জ
  • ধাপ সাতগাড়া বায়তুল মুকাররাম কামিল মাদরাসা
  • মুলাটোল মদিনাতুল উলুম কামিল মাদরাসা
  • বর্ডার গার্ড পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ ,
  • কারমাইকেল কলেজিয়েট স্কুল এন্ড কলেজ ,
  • প্রাইম মেডিকেল কলেজ ,( প্রাইভেট )
  • মাহিগঞ্জ কলেজ ,
  • সিদ্দিক মেমোরিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ

চিকিৎসা সুবিধা

রংপুর বিভাগ এর মধ্যে রয়েছে রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। এটি একটি পূনাঙ্গ সরকারি হাসপাতাল ও মেডিকেল কলেজ, যা ১৯৬৯ সালে স্থাপিত হয়। এছাড়াও অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে মা ও শিশু হাসপাতাল, বক্ষব্যাধি হাসপাতাল ও রংপুর সদর হাসপাতাল যা কলেরা হাসপাতাল নামেও পরিচিত। বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এর মধ্যে রয়েছে ক্রিস্টিয়ান মিশনারি হাসপাতাল, রংপুর ডেন্টাল কলেজ, প্রাইম মেডিকেল, ডক্টরস ক্লিনিক এবং কিছু বেসরকারি মেডিকেল কলেজ।

বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব

তথ্যসূত্র

  1. বাংলাদেশ জাতীয় তথ্য বাতায়ন (২৭ জুন ২০১৮)। "একনজরে রংপুর জেলা"। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। ১৮ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুন ২০১৮ 
  2. খান, হোসেন এবং সুলতান ২০১৪, পৃ. ২৫।
  3. "রংপুর জেলা, বাংলাপিডিয়া"। ১৭ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৪ 

উৎস

  • খান, শাসসুজ্জামান; হোসেন, মো. আলতাফ; সুলতান, আমিনুর রহমান, সম্পাদকগণ (২০১৪)। বাংলাদেশের লোকজ সংস্কৃতি গ্রন্থমালা রংপুর (প্রথম সংস্করণ)। বাংলা একাডেমি (প্রকাশিত হয় জুন ২০১৪)। আইএসবিএন 984-07-5118-2 

আরও দেখুন

বহিঃসংযোগ