কান্তনগর মন্দির: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

স্থানাঙ্ক: ২৫°৪৭′২৬″ উত্তর ৮৮°৪০′০০″ পূর্ব / ২৫.৭৯০৫৬° উত্তর ৮৮.৬৬৬৬৭° পূর্ব / 25.79056; 88.66667
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
পরিষ্কারকরণ, রচনাশৈলী
Ashiq Shawon (আলোচনা | অবদান)
সংশোধন
৪২ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
File:View of Kantanagar Temple from North east (2).jpg|মন্দির উত্তর পূর্ব দিক হতে
File:View of Kantanagar Temple from North east (2).jpg|মন্দির উত্তর পূর্ব দিক হতে
File:A Shiva temple at North East corner of Kantanagar Temple.jpg|মন্দিরের শিব মন্দির
File:A Shiva temple at North East corner of Kantanagar Temple.jpg|মন্দিরের শিব মন্দির
চিত্র:RadhaKrishn Statue in Kantajew Temple.jpg|কান্তনগর মন্দির এ রাঁধাকৃষ্ণ মূর্তি

</gallery>
</gallery>

==আরও দেখুন==
==আরও দেখুন==

* [[বাংলাদেশের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থানের তালিকা]]

* [[বাংলার মন্দির স্থাপত্য]]
* [[বাংলার মন্দির স্থাপত্য]]

* [[রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)]]
* [[রত্ন শিল্পরীতি (বাংলার মন্দির স্থাপত্যরীতি)]]


৫৯ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:
{{রংপুর বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা}}
{{রংপুর বিভাগের প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা}}


[[বিষয়শ্রেণী:হিন্দু মন্দির]]
[[বিষয়শ্রেণী:বাংলাদেশের হিন্দু মন্দির]]
[[বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা]]
[[বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান]]
[[বিষয়শ্রেণী:দিনাজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান]]

২০:৪০, ১০ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

কান্তনগর মন্দির
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিহিন্দুধর্ম
ঈশ্বরকৃষ্ণ
অবস্থান
অবস্থানদিনাজপুর, বাংলাদেশ
কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশ-এ অবস্থিত
কান্তনগর মন্দির
বাংলাদেশে অবস্থান
স্থানাঙ্ক২৫°৪৭′২৬″ উত্তর ৮৮°৪০′০০″ পূর্ব / ২৫.৭৯০৫৬° উত্তর ৮৮.৬৬৬৬৭° পূর্ব / 25.79056; 88.66667
স্থাপত্য
ধরননবরত্ন বাংলার মন্দির স্থাপত্য
সৃষ্টিকারীমহারাজা রামনাথ
সম্পূর্ণ হয়১৭৫২ খ্রিস্টাব্দ
কান্তনগর মন্দির, দিনাজপুর, বাংলাদেশ, ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ছবিতে নয়টি রত্নের সাতটি দৃশ্যমান রয়েছে,একটি ভূমিকম্পে বিখ্যাত এই নবরত্ন মন্দিরের রত্নসমূহ বিলীন হয়ে যায়

কান্তজীউ মন্দির বা কান্তজির মন্দির বা কান্তনগর মন্দির বাংলাদেশের দিনাজপুরে অবস্থিত একটি প্রাচীন মন্দির। মন্দিরটি হিন্দু ধর্মের কান্ত বা কৃষ্ণের মন্দির হিসেবে পরিচিত যা লৌকিক রাধা-কৃষ্ণের ধর্মীয় প্রথা হিসেবে বাংলায় প্রচলিত। ধারণা করা হয়, মহারাজা সুমিত ধর শান্ত এখানেই জন্ম গ্রহণ করেছিলেন।[১] ২০১৭ সালের কলকাতা বইমেলায় এই মন্দিরের আদলে বাংলাদেশ প্যাভিলিয়ন করা হয়।[২] ১৮৯৭ সালের ভূমিকম্পে এই মন্দির ধ্বংস হওয়ার আগে রাবণেষু, জন হেনরি এর ১৮৭১ সালে তোলা ছবিতে মন্দিরের নয়টি রত্ন বর্তমান।

অবস্থান

মন্দিরের বর্তমান অবস্থা

দিনাজপুর শহর থেকে ২০ কিলোমিটার (১২ মাইল) উত্তরে এবং কাহারোল উপজেলা সদর থেকে সাত কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সুন্দরপুর ইউনিয়নে, দিনাজপুর-তেঁতুলিয়া মহাসড়কের পশ্চিমে ঢেঁপা নদীর তীরবর্তী গ্রাম কান্তনগরে অবস্থিত এই প্রাচীন মন্দির

ইতিহাস

মন্দিরের উত্তর দিকের ভিত্তিবেদীর শিলালিপি থেকে জানা যায়, তৎকালীন দিনাজপুরের মহারাজা জমিদার প্রাণনাথ রায় তার শেষ বয়সে মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। ১৭২২ খ্রিষ্টাব্দে তার মৃত্যুর পরে তার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী তার পোষ্যপুত্র মহারাজা রামনাথ রায় ১৭৫২ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। শুরুতে মন্দিরের চূড়ার উচ্চতা ছিলো ৭০ ফুট। ১৮৯৭ খ্রিষ্টাব্দে মন্দিরটি ভূমিকম্পের কবলে পড়লে এর চূড়াগুলো ভেঙে যায়। মহারাজা গিরিজানাথ মন্দিরের ব্যাপক সংস্কার করলেও মন্দিরের চূড়াগুলো আর সংস্কার করা হয়নি।

স্থাপত্য

মন্দিরের বাইরের দেয়াল জুড়ে পোড়ামাটির ফলকে লেখা রয়েছে রামায়ণ, মহাভারত এবং বিভিন্ন পৌরাণিক কাহিনী। পুরো মন্দিরে প্রায় ১৫,০০০-এর মতো টেরাকোটা টালি রয়েছে।[৩] উপরের দিকে তিন ধাপে উঠে গেছে মন্দিরটি। মন্দিরের চারদিকের সবগুলো খিলান দিয়েই ভেতরের দেবমূর্তি দেখা যায়। মন্দির প্রাঙ্গণ আয়তাকার হলেও, পাথরের ভিত্তির উপরে দাঁড়ানো ৫০ ফুট উচ্চতার মন্দিরটি বর্গাকার। নিচতলার সব প্রবেশপথে বহু খাঁজযুক্ত খিলান রয়েছে। দুটো ইটের স্তম্ভ দিয়ে খিলানগুলো আলাদা করা হয়েছে, স্তম্ভ দুটো খুবই সুন্দর এবং সমৃদ্ধ অলংকরণযুক্ত। মন্দিরের পশ্চিম দিকের দ্বিতীয় বারান্দা থেকে সিঁড়ি উপরের দিকে উঠে গেছে। মন্দিরের নিচতলায় ২১টি এবং দ্বিতীয় তলায় ২৭টি দরজা-খিলান রয়েছে, তবে তৃতীয় তলায় রয়েছে মাত্র ৩টি করে।

কলকাতা বইমেলায় প্যাভিলিয়ন

২০১৭ সালের কলকাতা বইমেলায় বাংলার নিজস্ব স্থাপত্যশৈলীর নিদর্শন হিসাবে বাংলাদেশ সরকার তাদের প্যাভিলিয়নটি কান্তজিউ মন্দিরের আদলে গড়েন।[২]

চিত্রসম্ভার

আরও দেখুন

তথ্যসূত্র

  1. রায়, প্রণব (২৭ জানুয়ারী ১৯৯৯)। বাংলার মন্দির। তমলুক: পুর্বাদ্রী প্রকাশক। পৃষ্ঠা ৪১। 
  2. "Bangladesh book fair in Kolkata" 
  3. মামুন আব্দুল্লাহ (মে ৩০, ২০০৩)। "তিন তরুনের কান্তজী উদ্ধার"। দৈনিক প্রথম আলো (মুদ্রণ)। ঢাকা। পৃষ্ঠা ২৫। 

বহিঃসংযোগ