রামরাম বসু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা |
||
১৮ নং লাইন: | ১৮ নং লাইন: | ||
==কর্মজীবন== |
==কর্মজীবন== |
||
১৭৯৩ সালে [[উইলিয়াম কেরি]] কলকাতায় এলে রামরাম বসু কেরির মুনশি নিযুক্ত হন। ১৭৯৫ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে কেরি মালদহ মদনবাটি নীলকুঠির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলে তিনিও সঙ্গে যান। ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন মুদ্রাযন্ত্র ও বাংলা বিদ্যালয় স্থাপন হলে তিনি এই বছরের জুন মাসে নিযুক্ত হন।<ref name = "সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৬৬৭, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> ১৮০১ সালের ৪ মে রামরাম বসু ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগে দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। |
১৭৯৩ সালে [[উইলিয়াম কেরি]] কলকাতায় এলে রামরাম বসু কেরির মুনশি নিযুক্ত হন। ১৭৯৫ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে কেরি মালদহ মদনবাটি নীলকুঠির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলে তিনিও সঙ্গে যান। ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন মুদ্রাযন্ত্র ও বাংলা বিদ্যালয় স্থাপন হলে তিনি এই বছরের জুন মাসে নিযুক্ত হন।<ref name = "সংসদ"> সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, ''সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান'', প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৬৬৭, {{আইএসবিএন|978-81-7955-135-6}}</ref> ১৮০১ সালের ৪ মে রামরাম বসু ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগে দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রামরাম বসু অনুবাদ ও সাহিত্য রচনা করেছেন। 'গসপেল মেসেঞ্জার'গ্রন্থটি 'হরকরা' নামে কবিতায় অনুবাদ করেন। পরে এটি ওড়িয়া ও হিন্দিতেও অনূদিত হয়। এরপর ১৮০০ সালে 'জ্ঞানোদয়' ও 'খৃষ্টবিবরণামৃতং' নামে কবিতায় খ্রিষ্টচরিত রচনা করেন। তবে তাঁর প্রধান কীর্তি ১৮০১ সালে প্রথম বাংলা গদ্যে রচিত ষোড়শ শতাব্দীর বাঙালি জমিদার প্রতাপাদিত্যের জীবনী - 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র'। প্রতাপাদিত্যের বংশধর হওয়ার কারণে এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক ও লোকশ্রুতির সমাহার লিপিবদ্ধ করতে পেরেছেন। <ref name="সাহিত্যসঙ্গী">শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, ''সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী'', সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৯০,১৯৫ {{আইএসবিএন|978-81-7955-007-9}}</ref> এরপর'লিপিমালা' নামে আর একটি গ্রন্থ। এটিও বাংলা গদ্যে |
||
১৮০২ সালে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত হয়।<ref>[[ধনঞ্জয় রায়]]; দিনাজপুর-মালদহের মিশনারী যুগ; বরেন্দ্র সাহিত্য পরিষদ, মালদহ; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪; পৃষ্ঠা-১৮-২০।</ref> রামরাম বসু উইলিয়াম কেরির বাংলা শিক্ষক ছিলেন। কেরির বাংলা বাইবেলের পরিমার্জনা করেছিলেন তিনি। |
|||
== তথ্যসূত্র == |
== তথ্যসূত্র == |
১৬:১৮, ৭ আগস্ট ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
রামরাম বসু | |
---|---|
জন্ম | ১৭৫১ চুঁচুড়া, হুগলি জেলা, পশ্চিমবঙ্গ |
মৃত্যু | ৭ আগস্ট, ১৮১৩ কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ |
ধরন | বাংলা গদ্য সাহিত্য |
উল্লেখযোগ্য রচনাবলি | রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত |
রামরাম বসু (১৭৫৭ - ১৮১৩) বাংলা গদ্যসাহিত্যের আদি লেখকদের একজন। অষ্টাদশ শতাব্দীর ব্যক্তিত্ব। তার জন্ম হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়। তিনি বাংলা, সংস্কৃত ও ফার্সি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন ; কিছু ইংরেজিও জানতেন। প্রথম দিকে তিনি ভারতে খ্রিস্টধর্ম প্রচারের জন্য আসা মিশনারি পাদ্রীদের বাংলা শেখাতেন। পরে ফোর্ট উইলিয়াম কলেজে তিনি মুন্সি ও সংস্কৃত ভাষার সহকারি শিক্ষকের চাকরি পান। তার রচিত রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত বাঙালির লেখা প্রথম বাংলা মৌলিক গদ্যগ্রন্থ ও ছাপাখানায় মুদ্রিত প্রথম বই। বইটি ১৮০১ সালের জুলাই মাসে শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে প্রকাশিত হয়। এটি ১৮০১ খ্রিষ্টাব্দের জুলাই মাসে প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া তিনি বাঙালা ভাষায় কয়েকটি খ্রিস্টধর্ম বিষয়ক বই লেখেন, রামায়ণ ও মহাভারত সম্পাদনা করেন ও উইলিয়াম কেরিকে বাইবেল অনুবাদে সহায়তা করেন।
কর্মজীবন
১৭৯৩ সালে উইলিয়াম কেরি কলকাতায় এলে রামরাম বসু কেরির মুনশি নিযুক্ত হন। ১৭৯৫ সালের জুন মাসের ১৫ তারিখে কেরি মালদহ মদনবাটি নীলকুঠির তত্ত্বাবধায়ক নিযুক্ত হলে তিনিও সঙ্গে যান। ১৮০০ সালে শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন মুদ্রাযন্ত্র ও বাংলা বিদ্যালয় স্থাপন হলে তিনি এই বছরের জুন মাসে নিযুক্ত হন।[১] ১৮০১ সালের ৪ মে রামরাম বসু ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের বাংলা বিভাগে দ্বিতীয় পণ্ডিতের পদে মাসিক ৪০ টাকা বেতনে নিযুক্ত হন। শিক্ষকতার পাশাপাশি রামরাম বসু অনুবাদ ও সাহিত্য রচনা করেছেন। 'গসপেল মেসেঞ্জার'গ্রন্থটি 'হরকরা' নামে কবিতায় অনুবাদ করেন। পরে এটি ওড়িয়া ও হিন্দিতেও অনূদিত হয়। এরপর ১৮০০ সালে 'জ্ঞানোদয়' ও 'খৃষ্টবিবরণামৃতং' নামে কবিতায় খ্রিষ্টচরিত রচনা করেন। তবে তাঁর প্রধান কীর্তি ১৮০১ সালে প্রথম বাংলা গদ্যে রচিত ষোড়শ শতাব্দীর বাঙালি জমিদার প্রতাপাদিত্যের জীবনী - 'রাজা প্রতাপাদিত্য চরিত্র'। প্রতাপাদিত্যের বংশধর হওয়ার কারণে এই গ্রন্থে ঐতিহাসিক ও লোকশ্রুতির সমাহার লিপিবদ্ধ করতে পেরেছেন। [২] এরপর'লিপিমালা' নামে আর একটি গ্রন্থ। এটিও বাংলা গদ্যে ১৮০২ সালে শ্রীরামপুর থেকে প্রকাশিত হয়।[৩] রামরাম বসু উইলিয়াম কেরির বাংলা শিক্ষক ছিলেন। কেরির বাংলা বাইবেলের পরিমার্জনা করেছিলেন তিনি।
তথ্যসূত্র
- ↑ সুবোধচন্দ্র সেনগুপ্ত ও অঞ্জলি বসু সম্পাদিত, সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৬ পৃষ্ঠা ৬৬৭, আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-১৩৫-৬
- ↑ শিশিরকুমার দাশ সংকলিত ও সম্পাদিত, সংসদ বাংলা সাহিত্যসঙ্গী, সাহিত্য সংসদ, কলকাতা, আগস্ট ২০১৯, পৃষ্ঠা ১৯০,১৯৫ আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৯৫৫-০০৭-৯ {{আইএসবিএন}} এ প্যারামিটার ত্রুটি: চেকসাম
- ↑ ধনঞ্জয় রায়; দিনাজপুর-মালদহের মিশনারী যুগ; বরেন্দ্র সাহিত্য পরিষদ, মালদহ; ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৪; পৃষ্ঠা-১৮-২০।