জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
পাতা তথ্য যোগ হল
সম্প্রসারণ
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
'''জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী''' একজন বাঙালী সাহিত্যিক।
'''জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী''' (২০ আগস্ট, ১৯১২ — ১৯৮২) একজন বাঙালী সাহিত্যিক।


==প্রারম্ভিক জীবন==
==প্রারম্ভিক জীবন==
৫ নং লাইন: ৫ নং লাইন:


==সাহিত্য==
==সাহিত্য==
ছোটবেলা থেকে তিনি সাহিত্যচর্চ্চা করতেন। স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এক বছর গৃহবন্দি থাকাকালীন তার সাহিত্যচর্চার উপরে নিষেধাজ্ঞা জার করা হয়। জ্যোৎস্না রায় ছদ্মনামে সোনার বাংলা ও ঢাকার বাংলার বাণী পত্রিকায় তাঁর লেখা কয়েকটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়। তিনি সাগরময় ঘোষের সান্নিধ্যে আসেন ও দেশ পত্রিকায় ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় ছোটগল্প রাইচরণের বাবরি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের নজরে আসে জ্যোতিরিন্দ্রর লেখা। তাঁর লেখা ছোট গল্প ‘ভাত’ ও ‘গাছ’, ‘ট্যাক্সিওয়ালা’, ‘নীল পেয়ালা’, ‘সিঁদেল’ , ‘একঝাঁক দেবশিশু’ ও ‘নীলফুল’ এবং ‘বলদ’ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯৪৮ সালে দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস সূর্যমুখী প্রকাশিত হয়। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ১৯৬৫ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ও ১৯৬৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাকে কল্লোল যূগের অন্যতম শ্রেষ্ট ছোটগল্পকার ভলে মনে করা হয়। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ২০টি ও গল্পগ্রন্থ আছে তিপান্নটি।
ছোটবেলা থেকে তিনি সাহিত্যচর্চ্চা করতেন। স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এক বছর গৃহবন্দি থাকাকালীন তার সাহিত্যচর্চার উপরে নিষেধাজ্ঞা জার করা হয়। জ্যোৎস্না রায় ছদ্মনামে সোনার বাংলা ও ঢাকার বাংলার বাণী পত্রিকায় তাঁর লেখা কয়েকটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়। তিনি সাগরময় ঘোষের সান্নিধ্যে আসেন ও দেশ পত্রিকায় ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় ছোটগল্প রাইচরণের বাবরি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের নজরে আসে জ্যোতিরিন্দ্রর লেখা। তাঁর লেখা ছোট গল্প ‘ভাত’ ও ‘গাছ’, ‘ট্যাক্সিওয়ালা’, ‘নীল পেয়ালা’, ‘সিঁদেল’ , ‘একঝাঁক দেবশিশু’ ও ‘নীলফুল’ এবং ‘বলদ’ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯৪৮ সালে দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস সূর্যমুখী প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে তিনি সাহিত্যচর্চাকেই জীবিকা হিসাবে বেছে নেন। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ১৯৬৫ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ও ১৯৬৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাকে কল্লোল যূগের অন্যতম শ্রেষ্ট ছোটগল্পকার ভলে মনে করা হয়। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ২০টি ও গল্পগ্রন্থ আছে তিপান্নটি।


==তথ্যসূত্র==
==তথ্যসূত্র==

০৮:০৬, ২৮ জুলাই ২০২০ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী (২০ আগস্ট, ১৯১২ — ১৯৮২) একজন বাঙালী সাহিত্যিক।

প্রারম্ভিক জীবন

১৯১২ সালে অধুনা বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী। তাঁর ডাকনাম ছিল ধনু। পিতা অপূর্বচন্দ্র নন্দী ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাইস্কুলে শিক্ষকতা করতেন, তাঁর মায়ের নাম চারুবালা দেবী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা হাইস্কুল থেকে ১৯৩০ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করেছিলেন তিনি। ১৯৩২-এ কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএসসি পাশ করে ওই কলেজেই স্নাতক স্তরে ভর্তি হলেন জ্যোতিরিন্দ্র এবং ১৯৩৫ সালে প্রাইভেটে বিএ পাশ করেন তিনি। ১৯৩৬ সালে কর্মসূত্রে কলকাতা আসেন তিনি ও প্রথম চাকরি পান বেঙ্গল ইমিউনিটিতে। তার পর টাটা এয়ারক্রাফ্ট, জে ওয়ালটার থমসন-এর পাশাপাশি কাজ করেছেন যুগান্তর সংবাদপত্রের সাব-এডিটর হিসেবে এবং মৌলানা আজাদ খান সম্পাদিত দৈনিক আজাদ পত্রিকায়। তার কর্মক্ষেত্রে ছিল ইন্ডিয়ান জুটমিলস অ্যাসোসিয়েশনের ইংরেজি ও বাংলা ভাষার মুখপত্র মজদুর ও জনসেবক পত্রিকা।

সাহিত্য

ছোটবেলা থেকে তিনি সাহিত্যচর্চ্চা করতেন। স্বদেশি আন্দোলনে যুক্ত থাকার অভিযোগে ১৯৩১ সালে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এক বছর গৃহবন্দি থাকাকালীন তার সাহিত্যচর্চার উপরে নিষেধাজ্ঞা জার করা হয়। জ্যোৎস্না রায় ছদ্মনামে সোনার বাংলা ও ঢাকার বাংলার বাণী পত্রিকায় তাঁর লেখা কয়েকটি ছোট গল্প প্রকাশিত হয়। তিনি সাগরময় ঘোষের সান্নিধ্যে আসেন ও দেশ পত্রিকায় ১৯৩৬ সালে প্রকাশিত হয় ছোটগল্প রাইচরণের বাবরি। প্রেমেন্দ্র মিত্রের নজরে আসে জ্যোতিরিন্দ্রর লেখা। তাঁর লেখা ছোট গল্প ‘ভাত’ ও ‘গাছ’, ‘ট্যাক্সিওয়ালা’, ‘নীল পেয়ালা’, ‘সিঁদেল’ , ‘একঝাঁক দেবশিশু’ ও ‘নীলফুল’ এবং ‘বলদ’ পৃথিবীর নানা ভাষায় অনূদিত হয়। ১৯৪৮ সালে দেশ’ পত্রিকায় ধারাবাহিক উপন্যাস সূর্যমুখী প্রকাশিত হয়। এর পর থেকে তিনি সাহিত্যচর্চাকেই জীবিকা হিসাবে বেছে নেন। জ্যোতিরিন্দ্র নন্দী ১৯৬৫ সালে আনন্দবাজার পত্রিকা থেকে সুরেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার ও ১৯৬৬ সালে আনন্দ পুরস্কারে সম্মানিত হন। তাকে কল্লোল যূগের অন্যতম শ্রেষ্ট ছোটগল্পকার ভলে মনে করা হয়। তাঁর উপন্যাসের সংখ্যা ২০টি ও গল্পগ্রন্থ আছে তিপান্নটি।

তথ্যসূত্র